ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
পড়ার ম্যাজিক এবার প্রায় শেষ পর্যায়। ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে পড়াশোনাকে থিম করে বহু ধরনের ম্যাজিক শিখিয়েছেন তোমাদের। লেখাপড়ার বিষয়গুলির মধ্যে থেকেই এবার ওয়ার্ক এডুকেশন বিষয়টিকে বেছে নিয়ে দু-দু’খানা মজার ম্যাজিক তৈরি ফেলেছেন তিনি। সেগুলো শিখে নিয়ে তোমরাও দেখাতে পারো সবাইকে। শিখবে নাকি ম্যাজিক দুটো?
ম্যাজিক ১
এই ম্যাজিকটা একেবারে বাচ্চারাও শিখে ফেলতে পারবে। মা কালীর উপর ম্যাজিক। তার নামটিও ভারী সুন্দর রেখেছেন ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ। ম্যাজিকের নাম শ্যামা মায়ের আগমনে করোনা ভ্যানিশ! করোনার ঝক্কি সামলাতে মা কালীর আশীর্বাদেরই দরকার। তোমরা নিশ্চয়ই এতক্ষণে অস্থির হয়ে উঠেছ ম্যাজিক বিষয়ে জানার জন্য। ম্যাজিশিয়ান স্টেজে উঠলেন। হাতে একটা বড় ছবি। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তিনি সেটা তোমাদের দেখাচ্ছেন আর বলছেন এই হল করোনা ভাইরাস। গত বছর থেকেই এর সংক্রমণে আমাদের ওষ্ঠাগত প্রাণ। কিন্তু আর নয়। এবার শ্যামা মা এসে করোনাকে ভ্যানিশ করে দেবেন। এমন গল্প শুনতে শুনতে তোমারাও বিভোর হয়ে যাচ্ছ। ভাবছ, আর কি কখনও মাস্কবিহীন জীবন হবে। আর তারই মধ্যে সত্যিই দেখলে কোথায় গেল করোনার ছবি? এতো শ্যামা মায়ের ছবি! হাতে তাঁর মাস্ক।
পদ্ধতি: ম্যাজিকটা কিন্তু সম্পূর্ণই চোখের খেলা। গল্পচ্ছলে দর্শককে ভোলানোর কায়দা মাত্র। এই ম্যাজিকের জন্য একটা করোনা ভাইরাসের ছবি লাগবে। আর একই মাপের একটা মা কালীর ছবিও লাগবে। আঠা লাগবে, আর লাগবে একটা সার্জিক্যাল মাস্ক ও সামান্য বোথ সাইড টেপ।
এবার করোনা ভাইরাসের ছবির উল্টো পিঠে মা কালীর ছবিটা আঠা দিয়ে আটকে নিতে হবে। আর মায়ের হাতে অল্প বোথ সাইড টেপ লাগিয়ে মাস্কটা তার সঙ্গে সেঁটে দিতে হবে। তারপর গল্প বলতে বলতে প্রথমে করোনা ভাইরাসের ছবিটা দর্শককে বারবার দেখাতে হবে এবং গল্পচ্ছলেই হাতটা ঘুরিয়ে মায়ের হাতের ছবিটা সামনে নিয়ে আসতে হবে। দর্শক দেখবে মায়ের আগমনে করোনা ভ্যানিশ।
ম্যাজিক ২
দুর্গাপুজোর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ দেবীঘট। আমাদের বিশ্বাস, এই ঘটের জল কখনও ফুরোয় না। আজ ম্যাজিক করে সেটাই তোমাদের দেখালেন ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ। তিনি একটা দেবীঘট হাতে নিয়ে তোমাদের দেখালেন প্রথমে। তারপর তা উল্টে দিলেন। ঝরঝর করে সব জল পরে গেল। আবার তা সোজা করে নিলেন এবং ফের উল্টে দেখালেন আবারও তা থেকে জল পরছে। এইভাবে যতবারই তিনি ঘটটা উল্টালেন তোমরা দেখলে দেবীঘট জলে পরিপূর্ণ!
পদ্ধতি: এই ম্যাজিকটা দেখানোর আগে একটু প্র্যাকটিস করে নেওয়া দরকার। এর জন্য লাগবে একটা দেবীঘট। একটা ঘটের গলার মাপে তৈরি স্পঞ্জ বল আর জল। প্রথমে ঘটটা জলে পরিপূর্ণ করে নেবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন জল ঘট থেকে উপচে না যায়। এবার ঘটের ভেতর স্পঞ্জ বলটা চেপে ঢুকিয়ে দাও। এবারও খেয়াল রেখো যেন বল ঘটের গলার মাপের হয়। তারপর ঘটটা উল্টে দিলে দেখবে কিছুটা জল পরে যাবে তারপর বলটা ঘটের মুখে এস আটকে যাবে এবং আর জল পরবে না। এইভাবে যতবারই ম্যাজিকটা দেখাবে ততবারই ঘটের মুখে বল আটকে যাবে এবং পুরোটা জল পরবে না। আমাদের বিশ্বাস অটুট রেখে মঙ্গলঘটের জল কোনওদিনও নিঃশেষ হবে না।