ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
প্রকৃতিতে টিকে থাকার জন্য প্রাণীদের বুদ্ধিমান হতেই হয়। কিছু কিছু প্রাণী আবার আমরা যতটা আশা করি, তার থেকেও বেশি বুদ্ধিমান হয়। প্রাকৃতিক এই বুদ্ধিমত্তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তোমাদের জন্য সোনি বিবিসি আর্থ নিয়ে এসেছে নতুন শো ‘অ্যানিমাল আইনস্টাইনস’। এই শোতে জঙ্গলে টিকে থাকতে প্রায় মানুষের সমান ওদের অসাধারণ সব কৌশল ও চতুর পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। শোয়ে প্রাণীদের বুদ্ধিমত্তাকে বাস্তবসম্মত দিক থেকেই তুলে ধরা হচ্ছে বলে, ওরা কীভাবে বাসস্থান তৈরি করে, ঘুরে বেড়ায় এবং সন্তান প্রতিপালন করে—এই পুরো বিষয়টার প্রতি তোমাদের একটা সম্যক ধারণা দেবে। এক ঝলক চোখ বুলিয়ে নাও।
প্রফেসর মিরক্যাট
মানুষ সাধারণত স্কুল ও কলেজ থেকে শিক্ষা লাভ করে। বন্যপ্রাণীদের মধ্যেও কিন্তু খুব কম সংখ্যক প্রজাতিকেই ‘শিক্ষক’-এর সঙ্গে তুলনা করা যায়। এদের মধ্যে মিরক্যাটরা (বেজি জাতীয় প্রাণী) সম্ভবত জঙ্গলের সবথেকে বুদ্ধিমান শিক্ষক। জেনে রেখো, ওরা কিন্তু ঝুঁকি নেওয়াতে ওস্তাদ। কারণ একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিকে নিমেষে মারতে পারে এহেন বিষধর কাঁকড়াবিছে ওদের অন্যতম প্রিয় খাবার! প্রাপ্তবয়স্ক মিরক্যাটরা সন্তানদের মাত্র চার সপ্তাহ বয়সকাল থেকেই শিকারের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে এবং বিষয়টা কয়েকটা পর্যায়ে ঘটে। প্রাথমিক পর্যায়ে মৃত কাঁকড়াবিছে নিয়ে শুরু হয় প্রশিক্ষণ। কারণ সেক্ষেত্রে ভয় থাকে না। আর তারপর ধীরে ধীরে পরবর্তী পর্যায় শুরু হয়। দাঁড় বাদ দেওয়া জীবন্ত বিছেগুলোকে বাচ্চারা যখন ধরতে শিখে যায়, তারপর ওরা গোটা কাঁকড়াবিছে শিকার করতে শুরু করে।
কিয়া
নিউজিল্যান্ডের এই বিশেষ প্রজাতির টিয়ারা যে কোনও সমস্যা সমাধানে প্রখর বুদ্ধিমত্তার দৌলতে পাখিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। ওরা কিন্তু নিজেদের মস্তিষ্ক এবং চারপাশ থেকে সংগ্রহ করা তথ্যকে মিশিয়ে সম্ভাব্য খাবারের জায়গাগুলো খুঁজে বের করতে পারে। এই কৌশলের জন্যই ওরা এমন কিছু কিছু ক্ষমতার অধিকারী যা তোমরা অন্যান্য পাখিদের মধ্যে সেই অর্থে খুঁজে পাবে না। সহজভাবে বলতে গেলে, ওদের এই ক্ষমতাটা অনেকটা ওই আমাদের তাস খেলার মতো। খেলায় প্রতিপক্ষের তাস অনুমান করা ছাড়াও, প্রতিপক্ষ আদতে ধাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা করছে কি না সেটাও কিন্তু আমরা বোঝার চেষ্টা করি। কিয়াদের অনুমান করার ক্ষমতা ঠিক এতটাই তীক্ষ্ণ।
গ্রেগেরিয়াস হোয়াইট উইংগড কাফ
হোয়াইট উইংগড কাফ পাখিরা সাধারণত দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে পছন্দ করে। সেই দলে কখনও কখনও সর্বাধিক কুড়িটি পাখিও থাকে। প্রকৃতির কল্যাণে পাখিদের মধ্যে ছলচাতুরিতে ওরা কিন্তু সেরা। অস্ট্রেলিয়ার ছোট ছোট ঝোপে ওরা ওদের বাচ্চাদের বড় করে যেটা নেহাত সহজ কাজ নয়। এই দুষ্টু ও চালাক পাখিগুলো প্রয়োজনীয় সাহায্যের জন্য সবসময় ওদের দলের উপযুক্ত নতুন সদস্য খুঁজতে থাকে। আর ওরা এটা ‘উইং ওয়েভ টেল ওয়াগ’ নামে পরিচিত এক ধরনের নাচের মাধ্যমে করে থাকে, যা অন্য দলের পাখিদের আকর্ষণ করে। বিজ্ঞানীদের মতে, একটা বাচ্চা কাফের সফল লালন পালন করতে সাতজন প্রাপ্তবয়স্ক কাফের প্রয়োজন হয়। সাধারণত, আমরা নিজেদের বেশ চতুর প্রজাতি মনে করি। কিন্তু এতক্ষণ যা আলোচনা হল, তারপর এটা পরিষ্কার যে জীবজগতে আরও অনেক বেশি বুদ্ধিমান প্রাণীদের অস্তিত্ব রয়েছে। সোনি বিবিসি আর্থের ‘অ্যানিমাল আইনস্টাইনস’ দেখে তোমরা প্রাণীদের অসাধারণ সব ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পারবে।