Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

প্রাচীন ভারতে 
বিজ্ঞানচর্চা

শূন্য আবিষ্কার হয়েছিল এ দেশেই। দশভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতিরও প্রচলন হয় এখান থেকেই। শুধু গণিতশাস্ত্রই নয় জ্যোতির্বিজ্ঞান থেকে শল্যচিকিৎসা— বিজ্ঞানের একাধিক শাখার জন্মভূমি প্রাচীন ভারতবর্ষ।

প্রাচীন ভারত। নিঃসন্দেহে পৃথিবীর অনন্য এক সভ্যতার উদাহরণ। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, পুরাণ ও বিজ্ঞানের এই চারণভূমি একদিকে ছিল যেমন মুনি-ঋষিদের তীর্থক্ষেত্র, তেমনই সময়ে সময়ে উপহার দিয়েছে জগদ্বিখ্যাত অনেক বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও মনীষীকে। ভারতে বিজ্ঞানের চর্চা শুরু হয়েছিল সেই প্রাচীন কালেই, যা পরবর্তীতে পৃথিবীর অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে। প্রাচীন ভারতের আবিষ্কার করা বিভিন্ন জিনিস থেকে সাহায্য নিয়ে গড়ে উঠেছে অন্যান্য সভ্যতার বিজ্ঞান, চিকিৎসা ও গণিতের ভিত্তিপ্রস্তর। প্রাচীন ভারতে একের পর এক যুগান্তকারী আবিষ্কার পৃথিবীর কত রহস্য উদঘাটন করে গিয়েছে, তা শুনলে তোমরা অবাক হবে। কী সেই যুগান্তকারী আবিষ্কার?

শূন্যের ধারণা
গণিতের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার শূন্য। শূন্যের আবিষ্কারের পরেই পৃথিবীতে গণিতের চিত্ররূপ পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছিল এবং বাজিমাত করে দিয়েছিল মানব-ইতিহাসের পথ। মায়ান বা মেসোপটেমীয় সভ্যতায় শূন্যের ব্যবহার প্রচলিত থাকলেও সর্বপ্রথম এর বিবরণ পাওয়া যায় প্রাচীন ভারতে। যেখানে প্রথম শূন্যকে  সংকেত বা প্রতীকের খোলস ভেঙে বের করে সরাসরি সংখ্যা হিসেবে ব্যবহারের কৃতিত্ব দেখা যায়।
খ্রিস্টপূর্ব নবম শতাব্দীর দিকে ভারতে হিসাব-নিকাশ করার সময় শূন্য ব্যবহৃত হতো। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম থেকে দ্বিতীয় শতকের মধ্যে ভারতীয় গণিতবিদ পিঙ্গলার ছন্দ-সূত্রতে শূন্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। সপ্তম শতাব্দীতে ভারতের গণিতবিদ ব্রহ্মগুপ্ত উল্লেখ করেছেন, কোনও সংখ্যার সঙ্গে শূন্য যোগ বা বিয়োগ করলে সেই সংখ্যার কোনও পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় না। কোনও সংখ্যাকে শূন্য দ্বারা গুণ করলে এর মানও হয়ে যায় শূন্য। আর ভাগ করলে এর মান হয় অসংজ্ঞায়িত! শূন্য শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘শুণ্যোয়া’ থেকে এসেছে। পরবর্তীতে তা আরবে ‘সিফর’ হয়ে ধীরে ধীরে পশ্চিমী দুনিয়ায় ‘জিরো’-তে পরিণত হয়।

দশভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি
বর্তমান পৃথিবীতে সর্বাধিক প্রচলিত ও জনপ্রিয় হল দশভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি। এই পদ্ধতির উদ্ভব ঘটেছে দুই হাতের দশটি  আঙুল গণনার উপর ভিত্তি করে। দশভিত্তিক গণনা পদ্ধতির প্রধান বিষয়টি হচ্ছে শূন্যের ব্যবহার। প্রাচীন মেসোপটেমিয়া, মায়া সভ্যতায় শূন্যের ধারণা প্রচলিত থাকলেও তারা শূন্যকে অনুপস্থিতি, অভাব ও অশুভ কিছু বলে বিবেচনা করত। শূন্যের কার্যকর ব্যবহার এবং এর আলোকে দশভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কার ও লিপিবদ্ধ ব্যবহারের কৃতিত্ব দেওয়া হয় ভারতীয় সভ্যতাকে। খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ সালের দিকে ভারতবর্ষে দশভিত্তিক সংখ্যা ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। খ্রিস্টপূর্ব ৪৯৮ সালে গণিতবিদ আর্যভট্ট একটি সংস্কৃত কাব্যে উল্লেখ করেছেন, ‘স্থানম স্থানম দশ গুণম’ অর্থাৎ স্থান হতে স্থান দশগুণ।
শূন্যের প্রণালীবদ্ধ নিয়ম গঠনের ফলে সহজ হয়ে গিয়েছিল সংখ্যা লিখন পদ্ধতি। যত বড় সংখ্যাই হোক না কেন, তা ০-৯ পর্যন্ত মাত্র ১০টি অঙ্ক ব্যবহার করেই দশভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতির সাহায্যে অনায়াসে লেখা যেত। এটি এখনও পর্যন্ত ব্যবহার হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। ভারতের কাছ থেকে ধার করা এই জ্ঞান, ইউরোপসহ সারাবিশ্বে জনপ্রিয় করে তোলে আরবীয় গণিতবিদরা। আরব পণ্ডিতরা এর উপর বিস্তর গবেষণা চালিয়ে এর আরও উন্নতি রূপ দেন।

দৈর্ঘ্য মাপার কাঠি ও বাটখারা
প্রাচীন ভারতের হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোতে খননকার্য চালিয়ে গজদন্ত ও খোলের তৈরি স্কেল সদৃশ অনেক পরিমাপক কাঠির সন্ধান মিলেছে, যা দিয়ে মূলত দৈর্ঘ্য মাপা হতো। পাওয়া গিয়েছে কয়েকটি দাঁড়িপাল্লার ভগ্নাবশেষও। তাদের ওজন পরিমাপ পদ্ধতি ছিল ১৬ ভিত্তিক। যেমন, ১৬, ৬৪, ১৬০, ৩২০ ইত্যাদি। ওজন পরিমাপ করার নানা সামগ্রীর উৎপত্তিস্থল মূলত প্রাচীন ভারতের সিন্ধু সভ্যতাকেই ধরা হয়। সেখানে ব্যবহার হতো বিভিন্ন চারকোনা ও গোলাকার বাটখারা।

সৌরজগতের মতবাদ
প্রাচীন ভারতীয় গণিতবিদরা প্রায় সময়ই গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি, জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় গণনা করার জন্য গাণিতিক জ্ঞানকে ব্যবহার করতেন। প্রাচীন গণিতশাস্ত্রের কিংবদন্তি আর্যভট্ট গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কীয় বিবিধ তথ্য ‘আর্যভট্টীয়’ নামে গ্রন্থে চার খণ্ডে মোট ১১৮টি স্তোত্রে লিপিবদ্ধ করে  গিয়েছেন। আর্যভট্ট সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগৎ ও পৃথিবীর আহ্নিক গতির ধারণা দিয়েছেন গ্যালিলিও, কোপারনিকাস, ব্রুনোদের হাজার বছর আগেই। তিনি বইয়ে উল্লেখ করেছেন, পৃথিবী নিজ অক্ষের সাপেক্ষে ঘোরে। তিনি পৃথিবীর আহ্নিক গতির হিসাবও করেছিলেন। তাঁর হিসেবে পৃথিবীর পরিধি ৩৯ হাজার ৯৬৮ কিলোমিটার। বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে পৃথিবীর নির্ণীত পরিধি হল ৪০ হাজার ২৩৪ কিলোমিটার প্রায়। তাঁর হিসেবে ভুলের পরিমাণ ছিল অতি নগণ্য, মাত্র ০.২ শতাংশ। এছাড়াও তিনি চাঁদ ও সূর্যের গ্রহণ সম্পর্কে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন। প্রাচীন ভারতের গণিতবিদ সূর্য সিদ্ধান্ত গাণিতিক হিসেব কষে বের করেছিলেন, পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে মোট সময় লাগে ৩৬৫.২৫৬৩৬২৭ দিন। যা আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে বের করা সময় ৩৬৫.২৫৬৩৬৩০০৪ দিনের চেয়ে মাত্র ১.৫ সেকেন্ড বেশি। আজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৭০০ বছর আগে, না ছিল কোনও টেলিস্কোপ, না ছিল কোনও উন্নত যন্ত্র। তবুও গণিতের কাঁধে ভর করে, এত সূক্ষ্ম মান কীভাবে তিনি বের করেছিলেন, সেটা আজও বিস্ময়।

প্লাস্টিক সার্জারি
সুশ্রুত প্রাচীন বিশ্বের চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক বিস্ময়ের নাম। আজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৬০০ বছর আগে প্রাচীন ভারতে জন্ম নেওয়া এই মহর্ষির কাছে চিকিৎসাবিজ্ঞান অনেকভাবেই ঋণী। সর্বকালের সেরা শল্যচিকিৎসকদের তালিকায় স্থান করে   নেওয়া সুশ্রুত লিখে গিয়েছেন ‘সুশ্রুত সংহিতা’ নামে এক গ্রন্থ, যা বিশ্বের সেরা শাস্ত্রগুলির মধ্যে অন্যতম। পৌরাণিক কাহিনিতে সুশ্রুতকে বর্ণনা করা হয়েছে ঋষি বিশ্বামিত্রের পুত্র কিংবা ধন্বন্তরির বংশধর হিসেবে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, ধন্বন্তরির পরিচয় পাওয়া যায় দেবতাদের চিকিৎসক হিসেবে। সুশ্রুত শল্যচিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি  প্রসূতিবিদ্যার নানাবিধ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়াও তিনি সেই  প্রাচীন যুগেই রাইনোপ্লাস্টি (নাকের অস্ত্রোপচার ),  অস্টোপ্লাস্টি,   ল্যারিংগোপ্লাস্টির মতো জিনিসেরও বর্ণনা দিয়ে গিয়েছেন। মূলত প্রণালীবদ্ধ সূক্ষ্ম ও সঠিক শল্যচিকিৎসার পথিকৃৎ তিনিই। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ছানি দূরীকরণের নজির পাওয়া যায় সুশ্রুতের আমলেই, সেই খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ সালে। চোখ থেকে ছানি অপসারণে সুশ্রুত ‘জবামুখী শলাকা’ নামে এক প্রকার সুচ ব্যবহার করতেন। এর মাধ্যমে মূলত লেন্স আলগা করে, চাপ দিয়ে ছানিকে বের করে আনা হতো। তারপর চোখ সুস্থ হওয়া পর্যন্ত সেটাকে ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়ে রাখা হতো।

আয়ুর্বেদ
হিপ্পোক্রেটিসের জন্মের বহু আগেই ‘চরকসংহিতা’ গ্রন্থের লেখক আচার্য চরক শরীরতত্ত্ব নিয়ে লিপিবদ্ধ বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা দিয়ে গিয়েছেন। প্রাচীন এই ভারতীয় মনীষীকে বলা হয় ভারতের চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক। পৃথিবীতে তিনিই প্রথম চিকিৎসক, যিনি হজম-ক্রিয়া, বিপাক-ক্রিয়া, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে বিশদ আলোচনা তাঁর শাস্ত্রে লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন। এছাড়াও তাঁর বইয়ে দেহতত্ত্ব, নিদানতত্ত্ব ও ভ্রূণতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা আজকের যুগেও প্রাসঙ্গিক।
আশ্চর্যের বিষয় যে, উইলিয়াম হার্ভের প্রায় দেড় হাজার বছর আগে তিনি মানবদেহে রক্ত সঞ্চালনের কথা ব্যক্ত করে গিয়েছিলেন। এককালে পৃথিবীর প্রায় সকল ভাষাতেই গ্রন্থটিকে অনুবাদ করা হয়েছিল। প্রাচীনকালে এত সম্মান বোধহয় আর কোনও গ্রন্থের ভাগ্যে জোটেনি। 
প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কোনও ব্যক্তিবিশেষের গবেষণার ফল নয় বলেই ধরা হয়। হাজার বছরের অজস্র প্রতিভার বিচ্ছুরণেই এমন এক পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাবিজ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয়েছিল।
05th  December, 2021
সাহিত্যিক বিজ্ঞানী

তিনি একাধারে বিজ্ঞানী ও কবি। তাঁর কবিতা কখনও প্রকাশিত হয়নি, থেকে গিয়েছে পাণ্ডুলিপি আকারেই। সেই বিজ্ঞানী হামফ্রে ডেভিকে নিয়ে কলম ধরেছেন মৃণাল শীল। বিশদ

05th  December, 2021
শিশু উৎসব

শীতকাল মানেই তো চারদিকে পিকনিক, কার্নিভাল বা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে গত দু’বছর ধরে আমরা কোনও কিছুই করতে পারছি না। আর এর ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে বাড়ির খুদে সদস্যরা। বিশদ

05th  December, 2021
ম্যাজিক লেখাপড়া

ম্যাজিক মানে শুধুই খেলা? পড়ার লেশমাত্র নেই? মোটেও না, ম্যাজিকে এবার লেখাপড়ার বিষয়গুলোও ভরে দেওয়া হল। পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দারুণ ম্যাজিক দেখাবেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। আর প্রতি মাসের একটা করে রবিবার তোমাদের জন্য থাকবে ম্যাজিকে লেখাপড়া। এবারের বিষয়  ফিজিক্যাল ট্রেনিং। ম্যাজিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

28th  November, 2021
জাগুয়ার, লেপার্ড ও চিতার ডেরায়
অনির্বাণ রক্ষিত

দেখতে প্রায় একইরকম হলেও জাগুয়ার, লেপার্ড এবং চিতার মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। তিনটি প্রাণীকে চিনতে তোমাদের অনেক সময় অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।  শরীরের গঠনগত বিন্যাস দেখে এদের আলাদাভাবে চেনা যায়।  তিনটি প্রাণীরই গায়ের লোমে রয়েছে কালো ছাপ। বিশদ

28th  November, 2021
বাজল ছুটির ঘণ্টা
 

নতুন ছন্দ: বেশ তো চলছিল জীবন। দৈনিক পড়াশোনা, বিকেলের খেলাধুলো, বন্ধুদের আড্ডা, ইস্কুলের ঘণ্টাধ্বনি, রাস্তাঘাট বাজারের কর্মব্যস্ততা— পৃথিবী জুড়েই ছিল কলতান, মুখরতা। করোনার সদর্প হুঁশিয়ারিতে মুহূর্তে তালভঙ্গ হল পৃথিবীর। মানুষ হল গৃহবন্দি। বিশদ

21st  November, 2021
স্বাধীনতার সিংহ
চকিতা চট্টোপাধ্যায়

বিপিনচন্দ্রের পড়াশোনা শুরু হয় মৌলবীর কাছে। পরে ভর্তি হন সিলেট গভর্নমেন্ট স্কুলে। ছেলেবেলায় খেলাধুলোর বদলে তাঁর মন পড়ে থাকত লেখাপড়ায়। ভালোবাসতেন মনীষী ও সাহিত্যিকদের বই পড়তে। প্রবেশিকা পরীক্ষায় স্কলারশিপ পেয়ে পাশ করে আইএ ক্লাসে ভর্তি হন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। বিশদ

21st  November, 2021
সোনি বিবিসি আর্থের
নতুন শো ‘ওয়াটার ব্রাদার্স’

 

জল এবং তার মধ্যে প্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখার ক্ষমতা আমাদের এই পৃথিবী  নামক গ্রহটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কোরাল (প্রবাল) রিফের ক্রমাগত ক্ষয় মৎস শিল্প এবং জলের ক্ষেত্রে একটা বড় চিন্তার বিষয়। বিশদ

14th  November, 2021
হার্ট অপারেশনের পরও
ফুটবলের মহাতারকা

একেই নিদারুণ অর্থকষ্ট। তার উপর চার ভাইবোন। সন্তানের মুখে খাবার জোগাতে হিমশিম খেতেন মা মারিয়া। জীবনের সেই দুর্লঙ্ঘ্য বাধা পেরিয়ে হয়ে উঠেছেন আজকের  ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বিশদ

14th  November, 2021
শিশুদিবসের উপহার

১৪ নভেম্বর শিশু দিবস— একথা আমরা সবাই জানি। আর এও জানি, এই দিনটি পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন। পণ্ডিত নেহরুর জন্মদিনটিকেই শিশুদিবস হিসেবে স্থির করা হয়েছে। প্রশ্ন হল কেন পণ্ডিত নেহরুর জন্মদিনটিকে শিশুদিবস হিসেবে ধরা হল? বিশদ

14th  November, 2021
সাপখেকো  মাকড়সা

ছোটখাট বা অনেক সময় একটু বড় মাকড়সার জাল বুনে শিকার ধরার ক্ষমতা কারও অজানা নয়। সাধারণত মাকড়সা ছোট পোকামাকড়কে জালে জড়িয়ে ফেলে তাকে মেরে ফেলে। ওই প্রাণীর দেহে থাকা নির্যাস চুষে খেয়ে নেয়।
বিশদ

07th  November, 2021
পৃথিবীর জাদুঘর

জাদুঘর দেখতে তো তোমরা সকলেই ভালোবাসো, তাই না? কত যে বিস্ময় সাজানো থাকে জাদুঘরে তার ইয়ত্তা নেই। ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে শুরু করে কলকাতার ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম পর্যন্ত পৃথিবীর সব জাদুঘরেই রয়েছে দুর্লভ ঐতিহাসিক নিদর্শনের সংগ্রহ ও সংরক্ষণ।
বিশদ

07th  November, 2021
সোনি বিবিসি আর্থের
নতুন শো ‘ডায়ন্যাস্টিজ’

‘যিনি পথ চেনেন, সেই রাস্তায় হাঁটেন এবং বাকিদের পথ দেখান তিনিই রাজা’— জন সি ম্যাক্সওয়েলের এই কথাগুলো সার্থকভাবে একজন প্রকৃত রাজার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলেছে।
বিশদ

07th  November, 2021
সোনি বিবিসি আর্থের নতুন শো
‘অ্যানিমাল আইনস্টাইনস’

প্রকৃতিতে টিকে থাকার জন্য প্রাণীদের বুদ্ধিমান হতেই হয়। কিছু কিছু প্রাণী আবার আমরা যতটা আশা করি, তার থেকেও বেশি বুদ্ধিমান হয়। প্রাকৃতিক এই বুদ্ধিমত্তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তোমাদের জন্য সোনি বিবিসি আর্থ নিয়ে এসেছে নতুন শো ‘অ্যানিমাল আইনস্টাইনস’।
বিশদ

31st  October, 2021
ম্যাজিকে লেখাপড়া

ম্যাজিক মানে শুধুই খেলা? পড়ার লেশমাত্র নেই? মোটেও না, ম্যাজিকে এবার লেখাপড়ার বিষয়গুলোও ভরে দেওয়া হল। পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দারুণ ম্যাজিক দেখাবেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। আর প্রতি মাসের একটা করে রবিবার তোমাদের জন্য থাকবে ম্যাজিকে লেখাপড়া। এবারের বিষয়  ওয়ার্ক এডুকেশন। ম্যাজিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন কমলিনী চক্রবর্তী। 
বিশদ

31st  October, 2021
একনজরে
ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে আগেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। রবিবার মধ্যরাতের দিকে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বলয়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা উপকূল ...

পুড়িয়ে মারার আগে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের শরীরের প্রায় সব হাড়ই পিটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাদের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। ...

কোচবিহার জেলায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং দলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের সঙ্গে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার বিরোধ চরম আকার নিয়েছে। ...

রবিবার আইএসএলের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স  ২-১ গোলে হারাল ওড়িশা এফসিকে। এবার প্রতিযোগিতায় প্রথম জয় পেল কেরলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM