Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

হুলো ও স্কুটি
জয়ন্ত দে

হুলোর কোনওদিন মন খারাপ হয় না। ভালোই থাকে। হাসিতে, খুশিতে থাকে। কিন্তু ইদানীং মনটা বড্ড খারাপ হয়ে যাচ্ছে। চারদিকে এই অনাচার, অত্যাচার দেখে দেখে সে খুবই বিষণ্ণ হয়ে পড়ছে। হয়তো এমন হতে পারে, এটা তার বয়েসের রোগ! বয়স যত বাড়ছে, মন মেজাজ তত খারাপ হচ্ছে।
ওই ভর দুপুরবেলায় হুলো একটু ঘোরাফেরা করছিল। প্রফেসরদিদা মাছ দিয়ে চাড্ডি ভাত মেখে ওকে ডাকল। বলল, ‘নে, খেয়ে নে।’
হুলো নেমে আসছিল তরতর করে। প্রফেসরদিদা কখন ডাকে ভেবে, এতক্ষণ তো সে এদিকেই তাকিয়ে বসেছিল। কিন্তু নেমে আসার সময়ই শুনল, ঘন্টের সেই বিধ্বংসী চিৎকার: হুলো গাল ফুলো/ হুলো রাঙা মুলো।
হুলো থমকে গিয়ে ঘন্টের দিকে তাকাল। বলল, ম্যাও! দুকুরবেলা, যা শোগে যা!
হুলোর ম্যাও শুনে ঘন্টে আরও উৎসাহী হল। তারস্বরে চিৎকার করে উঠল: হুলো রাঙা মুলো/ হুলো কান কুলো।
হুলো বিরক্তির গলায় বলল, মিঁয়াও! আর চিল্লাস না, গলার তার কেটে যাবে!
হুলো চলে এল প্রফেসরদিদার খাবারের থালার পাশে।
খেতে খেতে সে ভাবছিল ঘন্টেকে কেউ কোনওদিন থামাল না। বকল না। ওকে শেখাল না— বাঘের সঙ্গে বেড়ালের কী সম্পর্ক আছে। হুলো যদি বিড়াল না হতো, তবে সে বাঘ হতো। তাকে দেখার জন্য তোরা সব্বাই সুন্দরবন যেতিস। গিয়েও বাঘ দেখতে না পেয়ে মনখারাপ করে বাড়ি ফিরতিস। আর এখানে হুলোকে এমন করে ইনসাল্ট করছিস? একবার ভালো করে দেখ। তুই হুলোকে গাল ফুলো, রাঙা মুলো করছিস, তুই তো মটু জালা।
খাওয়া শেষ করে হুলো ঠোঁটটা ভালো করে জিব দিয়ে চাটল। ঘাউ করে একটা ঢেঁকুর তুলল। এবার একটু জল খেলে শান্তি। আসলে দুধ খেলে ভালো হতো, কিন্তু দুধ আর পাবে কোথায়! জলই সই!
নীচে নেমে গ্যারাজে ছায়ায়, গাড়ির আড়ালে একটু নিশ্চিন্তে বিশ্রাম নেবে ভেবেছিল। কিন্তু নীচে আসতেই একটা অদ্ভুত শব্দ কানে এল। ঘ্যাস ঘ্যাস করে কেউ যেন কিছু ছিঁড়ছে। পা টিপে টিপে এল হুলো। হ্যাঁ, যা সন্দেহ করেছে ঠিক তাই। গ্যারাজে রক্ষিতবাবুর বউয়ের স্কুটির সিটে নখ ঘষছে মেনি।
হুলো এসে তার সামনে দাঁড়াল, বলল, ‘কী ব্যাপার রে, ওখানে নখ ঘষছিস কেন?’
হুলোর দিকে না তাকিয়ে মেনি বলল, ‘নখে ধার দিচ্ছি!’
‘ছো! ধরিস তো নেংটি—সেই নখের আবার ধার?’
‘তাহলে বলি, আমার নখকুনি হয়েছে!’ মেনি বাঁকা গলায় বলল।
হুলো মেনির দিকে তাকিয়েছিল, এবার সে চোখ বড় করে তাকাল। বলল, ‘মতলবটা কী তোর?’
কিন্তু মেনি সেদিকে ফিরেও তাকাল না। বরং দ্বিগুণ আক্রোশে স্কুটির সিটে নখ টানতে লাগল। হুলো ঘাড় তুলে দেখল, স্কুটির সিটটা মেনির নখের আঁচড়ে জেব্রামার্কা হয়ে গেছে।
হুলো বুঝল, কোনও কারণে ছিঁচকাঁদুনে মেনির গোঁসা হয়েছে। আর গোঁসা থেকেই স্কুটির সিটের দফারফা করছে।
হুলো বলল, ‘কী হয়েছে কিলিয়ার করে বল?’
‘কিছু না, কী আবার হবে? আমরা বেড়াল, আমরা নোংরা, আমরা আদাড়েবাদাড়ে ঘুরি, সুযোগ পেলেই চুরি করি। চোরচোট্টাই আমাদের স্বভাব, আমাদের আবার কী হবে?’
মেনির কথা শুনে হুলোর মুখ ভারী হল। ‘কিছু একটা হয়েছে তো বুঝেছি। কিন্তু কী হয়েছে সেটা বল!’
মেনি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। তারপর গলার কান্না গলায় চেপে বলল, ‘তুমি তো জানো, সাদাবাড়ির পুচকে মেয়ে অ্যাঞ্জেলের সঙ্গে আমি মাঝেমাঝেই গিয়ে খেলি। কোনওদিন ওর অনিষ্ট করেছি? না, কোনওদিন ওর দুধ বিস্কুট চুরি করেছি? অ্যাঞ্জেল যা দেয় তাই খাই। আজ একটু আগে অ্যাঞ্জেলের সঙ্গে জানলায় দাঁড়িয়ে খেলছিলাম। তাই দেখে রক্ষিতবাবুর বউ কত কথাই না বলল—।’
হুলো বলল, ‘ও এই কথা— তা ভুল কিছু তো বলেনি। আমাদের ধর্মের কথাই বলেছে। ঠিকই আছে। এতে এত রাগ করার কিছু নেই।’
হুলোর কথা শুনে তিড়িং করে লাফিয়ে উঠল মেনি। ‘আমরা বেড়াল হয়ে কী পাপ করে ফেলেছি গো, যে আমাদের পিটিয়ে মারতে হবে? কী বলছে জানো— মা ষষ্ঠীর বাহন না হলে মানুষে নাকি আমাদের নিকেশ করে দিত!’
হুলো ‘হ্যাঁ’ ‘না’ উত্তর করল না।
মেনি আবার ব্যস্ত হল স্কুটির সিটে নখের আঁচড় দিতে। হুলো বলল, ‘অনেক রাগ দেখিয়েছিস। এবার থাম। আর ক্ষতি করিস না। কেউ কেউ খারাপ বললেও, কেউ কেউ তো ভালো বলে। ডেকে খেতে দেয়।’
মেনি হুলোর কথা শুনেও গ্যাঁট হয়ে স্কুটির সিটে বসে থাকে। হুলো বলে, ‘খবরদার, এমন কাজ আর কোনওদিন করবি না। তাহলে কিন্তু তোকে পাড়া ছাড়া করব। এ অন্যায় আমি সহ্য করব না।’
মেনি মাথা নিচু করে সিট থেকে নেমে আসে। হুলো বলল, ‘যা পালা। তোকে দেখলে সবাই ভাববে তুই করেছিস। তুই আর ভালোবেসে খাবার পাবি না। বরং আমি এখানে কিছুক্ষণ থাকি। তাতে আমার নামে দোষ পড়বে—তুই বেঁচে যাবি।’
কথাটা শুনে মেনি এক ছুটে পগার পার। আর হুলো চড়ে বসে রক্ষিতবউদির স্কুটিতে। এখন এ-বাড়ির দু একজন তাকে স্কুটিতে চেপে বসে থাকতে দেখলেই তার কাজ শেষ। মেনিটা বড্ড বোকা। রাগের মাথায় কী ক্ষতিটাই না করল।
এমন সময় সিঁড়ি দিয়ে নেমে এল রাহুল আর পাপুন। রাহুল বলল, ‘দেখ, দেখ হুলোটা স্কুটি চড়ছে!’
পাপুন বলল, ‘এই হুলো স্টার্ট দে।’
হুলো সিটের ওপর চার পায়ে দাঁড়িয়ে টান টান লম্বা হল। তারপর বিশাল একটা হাই তুলে হাসল। বলল, ব্যস! নিশ্চিন্তি! আমাকে দেখেছে যখন কাজ হয়েছে। সিট ছেঁড়ার দায় এখন আমার ওপরই পড়বে। যাক, মেনিটা বাঁচল।’
হুলো হেলেদুলে রাজকীয় ভঙ্গিতে গ্যারাজ থেকে নেমে জলের ট্যাঙ্কের দিকে চলল।

বিকেলবেলায় শুরু হল হইচই। রক্ষিতের বউ চিৎকার করে সারা পাড়া মাথায় তুলল— হায় হায়! আমার এ সর্বনাশ কে করল? সারা সিটটা ছিঁড়ে ফালাফালা করেছে!
এ-ফ্ল্যাট, ও-ফ্ল্যাট থেকে দলে দলে বউরা এসে গ্যারাজে জমা হল। দু একজন পুরুষমানুষ ঠোঁট টিপে গোঁফ ঝুলিয়ে এল। দু একজন এল দাড়ি চুলকাতে চুলকাতে।
—না, না, এটা ঠিক নয়। একসঙ্গে থাকলে কারও সঙ্গে ঝগড়া মনোমালিন্য হতেই পারে। তাবলে এমনভাবে কেউ কারও ক্ষতি করবে?
—আপনি মিটিং ডাকুন। সবাই আসুক।
সবাইকে আসতে হল না, তার আগেই ফোর-বি ফ্ল্যাটের রাহুল বলল, ‘ও অ্যান্টি ওই হুলোকে আমি আজ দুপুরেই দেখেছি তোমার স্কুটির ওপর। এক্সারসাইজ করছিল। আমি আর পাপুন ছিলাম। তুমি পাপুনকে ডেকে জিগ্যেস করো। আমিই ওকে তাড়ালাম।’
কেয়ারটেকার নন্দ বলল, ‘না, না, হুলো এমন কাজ করতেই পারে না। নির্ঘাত ওটা অন্য বেড়াল!’
ওর কথা আরও দু একজন সায় দিল। হুলো না। হুলো এমন কাজ করবে না।
রাহুল বলল, ‘পাপুনকে জিগ্যেস করো।’
—পাপুন কোথায়? কোথায় পাপুন?
পাপুন কোচিং-এ গেছে। পাপুনের মা রাহুলের কথা সত্যতা জানতে তক্ষুনি ফোন করল তাকে। আর তারপরেই ঘোষণা করল, ‘হ্যাঁ ওরা দুজন মিলে হুলোকে তাড়িয়েছে। হুলো নাকি এত রেগে ছিল, পারলে স্কুটিটাকে চিবিয়েই খেয়ে ফেলত।’
এবার সবাই স্কুটি সিট ছেড়ে হুলোকে নিয়ে পড়ল। কী হল হুলোর? হুলো তো খেপে না? তবে কি পাগল হয়ে গেল? পাগল বেড়াল পাগলা কুকুরের থেকেও ডেঞ্জারাস!
ফ্ল্যাটের সেক্রেটারি কেয়ারটেকারকে ডেকে হুকুম করল। — হাতের সামনে একটা লাঠি রাখবে নন্দ। হুলোকে দেখলেই তাড়াবে। ত্রিসীমানায় যেন ওকে আর না দেখি।
এরপর যার যার বাইক, স্কুটার এবং স্কুটি আছে সবাই ভাবতে শুরু করল কে কীভাবে তাদের সিটগুলো রক্ষা করবে।
কেউ বলল, আজই সিটের ওপর বাইক ঢাকার কভার কিনে আনব।
কেউ বলল, সিটে একটা তোয়ালে মুড়ে রাখব।
একজন বলল, আমি অফিস থেকে দু গজ কাঁটাতার আনব কাল। সিটের ওপর জাস্ট ফেলে রাখব। বাছাধন এলে টের পাবে!
শুধু রক্ষিতের বউ তার সাধের স্কুটির সিটের ওপর টানা হাত বুলিয়ে চলল। —আহা রে, হুলো যখন নখ দিয়ে তোকে আঁচড়াচ্ছিল তোর কত কষ্ট হয়েছিল!
সত্যিই তো স্কুটি বলে কি তার প্রাণ নেই, না মানুষ না!
দুই
টানা দুদিন হুলোকে উপোস দিতে হল। এ ফ্ল্যাটবাড়ির কেয়ারটেকার নন্দ সারাদিন লম্বা একটা লাঠি হাতে তাকে তাড়িয়েই বেড়াচ্ছে। হুলো যেন কোথাও তিষ্ঠতে পারছে না। নন্দ জানে, হুলো কখন কোথায় থাকে। নন্দ লাঠি নিয়ে এলেই হুলো গরররর গরররর করতে করতে চলে যাচ্ছে। না, নন্দ লাঠি দেখিয়েছে, কিন্তু লাঠিচার্জ করেনি।
হুলো বোঝে, নন্দ ওর চাকরি রক্ষা করার জন্য তাকে তাড়াচ্ছে। চাকরি বড় দায়! নইলে নন্দ মানুষটা খারাপ নয়। তার সঙ্গে কত কথা বলে। আসলে সেক্রেটারি যে নন্দকে হুমকি দিয়ে গেছে, হুলোকে ত্রিসীমানায় ঢুকতে দিবি না। ঢুকলে তোর চাকরি নট!
প্রফেসরদিদা আজ আর ভাত মেখে তাকে ডাকেনি। হয়তো নন্দই ওঁকে বারণ করেছে। উপোস করাটা হুলোর কাছে কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু নন্দর লাঠি হাতে তেড়ে আসাটা বড়ই মানসম্মানের ব্যাপার। এতদিন এ পাড়ায় থেকে শেষে তার এটাই পাওনা হল?
পরেরদিন বিকেলের দিকে মেনি এল। বলল, হুলোদা সরি! ব্যাপারটা এমন হবে আমি ঠিক বুঝতে পারিনি।’
হুলো বলল, ‘জ্বালাতন করিসনে, যা!’
মেনি বলল, ‘যাব কি, আমি যে রেস্ট নিতে এলাম। আমি তো এখন ডবল খাচ্ছি, তোমার খাবার আমার খাবার— দুটোই। থাঙ্কু হুলোদা। ভ্যাগিস আমার নামটা পড়েনি, তাহলে আমাকেও উপোস দিতে হত।’
গম্ভীর স্বরে হুলো বলল, ‘গেট আউট!’
মেনি গেট আউট হল না। তার আগেই ঘন্টে চিৎকার করে উঠল। হুলো গাল ফুলো/ হুলো রাঙা মুলো/ হুলো কান কুলো…!
হুলো রাগ রাগ চোখে ঘন্টের দিকে তাকাল। সত্যিই ওর খুব রাগ হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, যাই গিয়ে তোর বাপের বাইকের সিটের দফা রফা করে দিয়ে আসি। কথাটা ভেবেই সে নিজেকে সামলে নিল। না, এটা ঠিক নয়। একটা বাচ্চার কথা শুনে সে অনিষ্ট করবে। না, তার বিবেকে বাধে।
কিন্তু হুলোর মনের কথা যেন মেনি জেনে গেল। বলল, ‘কী হুলোদা কী ভাবছ? ভাবছ, সাহাবাড়ির বাইকের সিটটা ফরদাফাঁই করে আসবে, তাই তো? তবে বলি কি শোনো— ওদিকে একদম যেও না। মুশকিলে পড়ে যাবে। আজ দেখছিলাম, সাহাবাবুর মা ঘন্টের বাপকে দিয়ে বাইকের সিটের খাঁজে খাঁজে লঙ্কাগুঁড়ো দিচ্ছিল। বুড়ি হাসতে হাতে বলছিল, হুলোটা একবার এদিকে আসুক না, টেরটি পাবে।
হুলো বলল, ‘কী হবে?’
‘চোখ জ্বলবে। নাক জ্বলবে। জিভ জ্বলবে। লঙ্কার গুঁড়ো বলে কথা। তুমি পালিয়ে পথ পাবে না হুলোদা। খবরদার যেও না।’
হুলো বলল, ‘ঠিক কথা। কিন্তু আমার সঙ্গে যত শত্রুতাই থাক আমি কারও বাইকের সিট ছিঁড়ব না। ওসব তোর মতো অসভ্য মেয়েরা করে।’
কথাটা শুনে মেনি রা কাড়ল না। খাওয়াটা বড্ড বেশি হয়েছে। সে হাই তুলে শুয়ে পড়ল।
হুলো আজ সাহাবাড়ির রান্নাঘরে দু একবার উঁকি ঝুঁকি মেরেছে, কিন্তু ভালো মন্দের তেমন সন্ধান পায়নি। সে ইচ্ছে করলে ডাস্টবিনের দিকে যেতে পারত। কিন্তু সে ডাস্টবিন থেকে খায় না। ফলে আজও তাকে উপোস দিতে হল।
পরের দিন ভোরে সে সাহাবাড়ির নীচে গেল। গ্যারাজে। বাইকের কাছে যেতেই লঙ্কার ঝাঁজ এল নাকে। মেনি ঠিক খবরই দিয়েছে। হুলোর হাসি পেল, এই বোকা মানুষের কীর্তি দেখে। বিড়ালের ধর্ম চুরি করা, তাই সে চুরি করে। সাহাবাড়ির সঙ্গে তার আজীবন লড়াই থাকলেও পিছন থেকে এমন লড়াই সে করবে না। সে গ্যারাজ থেকে চলে আসছিল। হঠাৎ তার একটা দুষ্টুবুদ্ধি মাথায় এল। গ্যারাজের একপাশে একটা জলের বোতল আছে। তাতে অল্প জল আছে। হুলো মুখ দিয়ে বোতলের ছিপি খুলল। তারপর বোতলটা কামড়ে উঠে এল বাইকের সিটে। অল্প কিছুটা জল সিটের চারধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল। আর তখনই শুনল গ্যারাজ খোলার শব্দ। সে দ্রুত লুকিয়ে পড়ল। ঘন্টে আর তার বাপ এসে দাঁড়াল গ্যারা঩জে। ঘন্টের সাদা জামা সাদা প্যান্ট, ইস্কুলে চলেছে। সাতসকালে ইস্কুলে যাওয়ার সময় ঘন্টের মুখটা একবার দেখতে হয়। ঘুমে আর আলিস্যিতে জড়িয়ে চাউমিন। ঘন্টে রাতদুকুর পর্যন্ত কোন ডাকাত মারে কে জানে?
ওরা চলে যেতেই হুলো এসে উঠল জলট্যাঙ্কের ওপর। এবার অপেক্ষা!
না, বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হল না। আধঘণ্টা পরেই ঘন্টের বাপ বাইক নিয়ে ফিরে এল। সঙ্গে ঘন্টে।
হুলো দেখল, হ্যাঁ ঘন্টের সাদা প্যান্ট লালে নকশা আর ডিজাইনহয়ে আছে। এক্কেবারে ভেজিটেবল প্রিন্ট! এমন প্যান্ট নিয়ে কেউ স্কুল করে! তারপরেই সারাবাড়িতে বোম ফাটল!
ঘন্টে এখন হঠাৎ পাওয়া ছুটিতে খুব খুশি। ছাদে উঠেছে ঘুড়ি আর লাটাই নিয়ে। হুলো মিয়াঁও করে বলল, ও কিরে ঘন্টে, আমাকে একটা থ্যাঙ্কু দে! 
29th  September, 2019
স্মৃতির পুজো
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় 

পুজো এলেই হাজার স্মৃতি দেয় মনেতে হানা,
কাশের বনে হারিয়ে যেতে করত কে আর মানা!  বিশদ

29th  September, 2019
প্যান্ডেল ঘুরে ঠাকুর দেখার মজাই আলাদা 

‘প্যান্ডেল ঘুরে ঠাকুর দেখা’ এই ছিল এবারের লেখার বিষয়বস্তু। তোমাদের এত লেখা পেয়ে আমরা আপ্লুত। সেইসব মজাদার লেখার মধ্যে থেকে বেছে নিতে হয়েছে কয়েকটা। বাছাই করা লেখাগুলিই প্রকাশিত হল আজ, শিউলিস্নাত শারদ সকালে। দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে। 
বিশদ

29th  September, 2019
বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবর্ষ 

এই মহান মানুষটি তাদের বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। সেই বিদ্যাসাগরের জন্মের দুশো বছর উপলক্ষে তাঁকে নিয়ে লিখল মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন (মেন)-এর ছাত্ররা। 
বিশদ

22nd  September, 2019
বিদ্যাসাগরের ছেলেবেলা 

আমাদের এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য অনেকে অনেকভাবে স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষদের ছেলেবেলার কথা। এবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। 
বিশদ

22nd  September, 2019
শ্যুটিং ফ্লোর ছেড়ে পুজোর প্যান্ডেলে 

অ্যাকশন, কাট শব্দগুলো এখন শুনতে একঘেয়ে লাগছে ছোট্ট অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। মন তাদের উড়ুউড়ু। আকাশ নীল, কাশের বনে দোলা লেগেছে। সব্বার প্ল্যানিং সারা। কে কী করবে জানাল হ য ব র ল’র বন্ধুদের। 
বিশদ

15th  September, 2019
শিউলি কুঁড়ির সকাল 
কার্তিক ঘোষ

দাপুটে কানা নদীর গা ঘেঁষে তখন বোসেদের একটাই বাড়ি। তবু সবাই বলত বোসপাড়া!
আসলে, যত রাজ্যের পড়াশোনা করা ছেলে-মেয়েরা তখন সব ওই বাড়িতেই বেশি।
কেউ কলকাতায় নামী বিজ্ঞানী, তো, কেউ ডাক্তার!
পাশের বাড়িটা বড্ড গরিব! 
বিশদ

15th  September, 2019
 ড.‌ মারিয়া মন্টেসরির জন্মদিনে জে আই এস গোষ্ঠীর অনুষ্ঠান

ড.‌ মারিয়া মন্টেসরির ১৪৯তম জন্মদিনে জেআইএস গোষ্ঠীর প্রি-স্কুল ‘‌লিটল ব্রাইট স্টারস প্লে স্কুল’‌ পথ চলা শুরু করল। গত ৩১ আগস্ট সংস্থাটি এ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। প্রিস্কুলের পঠনপাঠনের পরিবর্তন নিয়ে একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়।   বিশদ

08th  September, 2019
 পৃথিবীতে বন্দি ভিনগ্রহী?

খোদ আমেরিকার বুকেই নাকি রয়েছে ভিনগ্রহীরা বন্দি হয়ে! এমনই দাবি বেশ কিছু মানুষের। কোথায় বন্দি হয়ে থাকতে পারে তারা? কেনই বা বন্দি করে রাখা হতে পারে তাদের? হ য ব র ল’র পাতায় রইল সেই নিয়ে খোঁজখবর।
বিশদ

08th  September, 2019
 লাইব্রেরি অব কংগ্রেসে কয়েক ঘণ্টা...

আমেরিকা থেকে ফিরে তোমাদের জন্য লিখেছেন মৃণালকান্তি দাস।
বিশদ

08th  September, 2019
ঘুঘুরাম
বাণীব্রত চক্রবর্তী

লোকটার চোখের দিকে তাকিয়ে কিট্টু ভয় পেয়ে গেল। নৌকোটা নদীর ঘাটের কাছে। ওখানে এক কোমর জল। তবে নৌকো ও ঘাটের মধ্যে পাটাতন পাতা আছে। সে সহজেই নৌকোয় উঠে যেতে পারে। নৌকোটা পাড়ের বটগাছের গুঁড়ির সঙ্গে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা। তবু নৌকো দুলছে। লোকটাও।
বিশদ

08th  September, 2019
গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড মাল্টিপারপাস স্কুলের অনুষ্ঠান 

সাড়ম্বরে ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করল গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড মাল্টিপারপাস স্কুল (বয়েজ), টাকী হাউজ। এদিন সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা বসাক। 
বিশদ

01st  September, 2019
পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রাণী 

দাউ দাউ করে জ্বলছে পৃথিবীর ফুসফুস। ভয়ঙ্কর দাবানলের গ্রাসে পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে আমাজন জঙ্গলের অনেকটা অংশ। গাছপালার পাশাপাশি আগুনে পুড়ে প্রাণ হারিয়েছে অসংখ্য জীবজন্তু। হয়তো তাদের মধ্যে কোনও কোনও প্রজাতি চিরদিনের জন্য মুছে গেল পৃথিবীর মানচিত্র থেকে।  
বিশদ

01st  September, 2019
রসগোল্লার ভূতভোজন 
দেবল দেববর্মা

এই গল্পটা শুনেছিলাম আমার বাবার মুখে, তা সে বহুকাল আগের কথা। তখন এত বাস-ট্রাক বা ছোটখাট লরি যাকে কলকাতার লোকে এখন ছোটহাতি বলে, সে-সবের এমন রমরমা ছিল না। আর গ্রামাঞ্চলের কথা আলাদা। 
বিশদ

01st  September, 2019
স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন  

৭৩তম স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করল দিল্লি পাবলিক স্কুল (জোকা)। এদিন বিদ্যালয় সেজে উঠেছিল শিক্ষার্থীদের আঁকা টি-শার্ট, নিজের তৈরি পতাকা প্রভৃতি দিয়ে। স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রতিটি অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল নজর কাড়ার মতো।  
বিশদ

25th  August, 2019
একনজরে
বিএনএ, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির মণ্ডপে পাশাপাশি দেখা গিয়েছে দিদি-মোদির ফ্লেক্স। পুজো প্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষের অভিনন্দনজ্ঞাপক ফ্লেক্সের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জলপারইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুজো যত এগিয়েছে, ততই কমেছে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা। সিইএসসি সূত্রের খবর, মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকায় এবং মাঝে-মধ্যে বৃষ্টির জেরে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ক্রমশ কমেছে।  ...

পুনে, ৯ অক্টোবর: ভারতের মাটিতে ‘টিম ইন্ডিয়া’কে হারানো কতটা কঠিন, তা বিলক্ষণ টের পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কারণ, প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দলের ৫০২ রানের ...

জম্মু, ৯ অক্টোবর (পিটিআই): আরও একবার নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালাল পাকিস্তান। বুধবার পুঞ্চের কৃষ্ণঘাঁটি ও বালাকোট সেক্টরে সারারাত ধরে গুলি চালায় পাক সেনা। ভারতীয় সেনা চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পাশাপাশি তারা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকেও টার্গেট করে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম
১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু দত্তের মৃত্যু
২০১১: গজল গায়ক জগজিৎ সিংয়ের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৪ টাকা ৭২.০৪ টাকা
পাউন্ড ৮৫.৩৯ টাকা ৮৮.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৬.৬০ টাকা ৭৯.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৩ রাত্রি ৭/৫২। শতভিষা ৫১/৩৮ রাত্রি ২/১৪। সূ উ ৫/৩৪/৩৩, অ ৫/১৩/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ২/৫৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/১৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/২৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২২ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৭/৪২ রাত্রি ৭/৫৩/৫২। শতভিষা ৫৪/১৮/১৬ রাত্রি ৩/১৮/৫, সূ উ ৫/৩৪/৪৭, অ ৫/১৪/৪৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৩/৪৭/১৭ গতে ৫/১৪/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ২/১৯/৪৭ গতে ৩/৪৭/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/২৪/৪৭ গতে ১২/৫৭/১৭ মধ্যে। 
মোসলেম: ১০ শফর 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালো। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। মিথুন: ব্যবসায় বেশি বিনিয়োগ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
মানসিক স্বাস্থ্য দিবস১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু ...বিশদ

07:03:20 PM

২০১৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছেন পোল্যান্ডের ওলগা তোকারজুক এবং ২০১৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পাবেন অস্ট্রিয়ার পিটার হ্যান্ডকা

05:15:00 PM

দ্বিতীয় টেস্ট, প্রথম দিন: ভারত ২৭৩/৩ 

04:43:00 PM

সিউড়ি বাজারপাড়ায় পরিত্যক্ত দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ল, চাঞ্চল্য 

04:27:12 PM

মুর্শিদাবাদে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী বৃদ্ধ 
রোগ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে ...বিশদ

03:34:00 PM