Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি।

‘তিনি বলিলেন, না মা, আজি আমি, এখন পর্যন্ত কিছুই খাই নাই। তখন সেই স্ত্রীলোক ঠাকুরদাসকে বলিলেন, বাপাঠাকুর জল খাইও না, একটু অপেক্ষা কর। এই বলিয়া নিকটবর্তী গোয়ালার দোকান হইতে, সত্বর দই কিনিয়া আনিলেন এবং আরও মুড়কি দিয়া, ঠাকুরদাসকে পেট ভরিয়া ফলার করাইলেন। পরে তাঁহার মুখে পরিশেষ সমস্ত অবগত হইয়া, জিদ করিয়া বলিয়া দিলেন, যে দিন তোমার এরূপ ঘটিবেক, এখানে আসিয়া ফলার করিয়া যাইবেক।’ এরপরে যেদিন ঠাকুরদাসের এমন অনাহার ঘটত— সেদিন তিনি ওই মহিলার কাছে গিয়ে পেট ভরে খেয়ে নিতেন।
এমনি করে দিন যেতে লাগল। ঠাকুরদাস একটা সাধারণ ধরনের কাজ পেলেন— মাইনে মাসে দু’ টাকা। কোনওক্রমে পেট চালিয়ে নিয়ে ঠাকুরদাস মাইনের পুরোটা মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিতে লাগলেন। বিদ্যাসাগরের মাতৃভক্তি একটা প্রবাদে পরিণত হয়েছিল, তা নিয়ে গল্প পর্যন্ত তৈরি হয়ে গেছিল— তা যে তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া উত্তরাধিকার সূত্রে— তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দু’-তিন বছর পরে মাইনে বেড়ে হল পাঁচ টাকা। এর সিংহভাগটি মা দুর্গাদেবীর কাছে দিতেন— তাঁর দুর্গতি এবারে অনেক কমে গেল। মনের আনন্দে ঠাকুরদাস কাজ করতে লাগলেন— মন দিয়ে। এই সময়ে তাঁর বাবাও ফিরে এলেন— বনমালীপুরে স্ত্রীর সন্ধান না পেয়ে লোকের কাছে শুনে বীরসিংহায় এলেন। সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। দুর্গাদেবীর সংসারে আবার হাসির মুখ দেখা দিল। বড় ছেলের ততদিনে বাইশ-তেইশ বছর বয়স, তাঁকে দেখবার জন্যে রামজয় কলকাতায় এলেন বড়বাজারের ভাগবতচন্দ্র সিংহের বাড়ি। ততদিনে ঠাকুরদাসের মাইনে পাঁচ থেকে বেড়ে আট টাকা হয়েছে। কোথাও যদি পাঠক দেখতে পান তাঁর মাইনে বাড়তে বাড়তে দশ টাকা হয়েছে— ভেবে নেবেন দশচক্রে ভগবান ভূত হয়েছেন— অষ্ট তঙ্কার বেশি মাইনে তাঁর কোনও দিন হয়নি— কেবল কর্মত্যাগের আগে শেষবার বেড়ে হয়েছিল দশ। বাড়িয়ে বলা বাঙালিরা সেটাকে একেবারে দ্বিগুণ করে কুড়িতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে ঠাকুরদাসের আর এক পুত্র শম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্ন তাঁর ‘ভ্রমনিরাশে’ লিখে গিয়েছেন— ‘তাঁহার বেতন দশ টাকা ছিল। তাঁহার বেতন কখনও দশ টাকার ঊর্ধ্ব হয় নাই।’ শেষের দিকে বড়িশার এক না-বালকের সম্পত্তি দেখাশোনা করার চাকরি করেছিলেন— তারানাথ বাচস্পতি তাঁকে একদা যে চাকরিটির জোগাড় করে দিয়েছিলেন, তার সেই দু’ টাকা মাইনে বেড়ে দশ টাকা— ভাবাই যায় না সেকালে। আর যখন পাঁচ টাকা মাইনে ছিল— তখন ঠাকুরদাস ঈশ্বরচন্দ্রকে হিন্দু কলেজে পড়িয়ে ওই পাঁচ টাকাই খরচ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। সাধে কি কাশীবাসী বাবাকে তিনি কাশীর বিশ্বনাথের সমান মর্যাদা দিতেন। দু’ টাকা মাইনে বেড়ে পাঁচ হয়ে গেছিল ভাগবতচরণ সিংহের বাড়িতে কাজ করতে করতেই। তিনি মারা গেলে তাঁর ছেলে জগদ্দুর্লভ সিংহ মশায় ঠাকুরদাসকে পূর্ণমর্যাদায় বহাল রেখেছিলেন। বড়বাজারের দ’য়েহাটায় তাঁদের বিশাল বাড়িতে ছেলেকে দেখবার জন্যে রামজয় যে এতটুকু ইতস্তত করেননি— তার কারণ তর্কভূষণ মশায়ের সঙ্গে এই বাড়ির পরিচয় ছিল আগে থেকেই। তিনি এসেছেন দেখে ভাগবতচরণ রামজয়কে বলেছিলেন আপনি ছেলেকে আমার কাছে নিশ্চিন্তে রেখে যান। সেই প্রস্তাবেই ঠাকুরদাসের এ বাড়িতে থাকা খাওয়ার সুবন্দোবস্ত হয়েছিল। রামজয় নিশ্চিন্তে বীরসিংহায় ফিরে গেলেন। তাঁর কাছে ঠাকুরদাসের মাইনে ভালো হয়েছে জেনে দুর্গাদেবীর আনন্দের আর অবধি রইল না। বাপ-ঠাকুরদার সূত্রে পাওয়া তেজস্বিতা ও আত্মমর্যাদা বিদ্যাসাগরকে এত মহীয়ান করে তুলেছিল। স্বাধীনতাপ্রিয়তা ও সত্যবাদিতাও তাঁর এই উত্তরাধিকার সূত্রেই পাওয়া। বিদ্যাসাগরের বগ্ভঙ্গিও তাঁর ঠাকুরদা তাঁকে বকলমে দিয়েছিলেন। রামজয় গলা উঁচু করে বলতেন— ‘এদেশে মানুষ নেই, সব গোরু।’ একবার রামজয় পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, জনৈক পথচারী তাঁকে ডেকে বললেন— ও পথটা দিয়ে যাবেন, গোটা পথেই মল-মূত্র ছড়িয়ে আছে। শুনে রামজয় বললেন— পথে তো দেখছি সব গোরু! একবার গাঁয়ের জমিদার তাঁকে কিছু জমি দান ক঩রে সেখানে থাকার প্রস্তাব দিলে রামজয় ভিক্ষার দান নিতে অস্বীকার করেন। তাঁর মতে অন্যের খোশামুদি করে কিছু নেওয়ার চেয়ে মরে যাওয়াটা অনেক ভালো। শরীরেও তাঁর প্রবল বল। একবার একটা ভালুককে গাছের উল্টো দিক থেকে ধরে গাছের গায়ে এমন করে ঘষে ছাল-চামড়া তুলে দেন যে ভালুক শাঁখআলু চিনতে পেরেছিলেন। ঠাকুরদাস দুটো পয়সা রোজগার করছেন দেখে রামজয়ের বিপুল স্বস্তি। চিরকালের ভবঘুরে স্বভাবের রামজয় এর মধ্যে তীর্থ ভ্রমণে বের হয়ে গেলেন। ঈশ্বরচন্দ্রের জন্মের আগে আবার গ্রামে ফিরে আসেন। ততদিনে ঠাকুরদাস বিয়ে করেছেন ভগবতীদেবীকে।
রামজয় যখন ফিরে এলেন তখন গর্ভবতী দুর্গাদেবী আসন্নপ্রসবা। আপাতত গর্ভজনিত উন্মাদরোগে পীড়িতা। নানা টোটকা নানান জনে ব্যবস্থা দিলেন। শেষ অবধি সন্তান জন্মের পরে পরেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেন। এঁড়েবাছুরকে পাগলেও ভয় পায়। ঘটে গেলও তাই। ভগবতীদেবীর কথা আমাদের বলতেই হবে— এমন মা না হলে কি এমন ছেলের জন্ম হয়!
ঠাকুরদাস বাঁড়ুয্যে যেভাবে বড় হয়েছেন, তার বাবা বাউন্ডুলে রামজয় তর্কভূষণ যেভাবে সংসারের ‘দায়িত্ব’ পালন করেছেন— তা যেটুকু ছবি পাঠক মহোদয়েরা এখানে দেখতে পেয়েছেন— তাতে তো তাঁদের আর্থিক অনটন নিয়ে পাঠকদের মনে সংশয় নেই যে তাঁদেরকে হাড়-হাভাতে না বলতে পারলেও আজকের ‘রেশন’-এর পরিভাষায় বিপিএল শ্রেণীভুক্ত সহজেই বলতে পারা যায়— অর্থাৎ বিলো প্রভার্টি লেভেল— গরিবদের চেয়েও একধাপ নীচে— সাধুভাষায় অকিঞ্চন বলতে পারব হয়তো! নামে দুর্গা কিন্তু দুর্গতির চরমতর অবস্থায় দিন কেটেছে। কুটিরে বাড়তি একটা লোক এলে বসতে-শুতে দেবার জায়গা নেই। লোক বলে বাপ কা বেটা, কেউ বলেন না— শাশুড়ি কি বহু। তো তাই হল ভগবতী দেবীর ক্ষেত্রেও। সেকালে বাঙালির সংসারে বারো বছরের এপাশ ওপাশেই বেটাছেলেরা বিয়ে করতেন। অথচ বাইশ-তেইশ বছরেও ঠাকুরদাসের বিয়ে হয়নি। দু’ টাকা মাইনে থেকে বেড়ে পাঁচ, পাঁচ থেকে আটে গিয়ে পৌঁছলেও স্ত্রীকে একখান শাড়ি কিনে দেবার সামর্থ্য কোনও পুরুষ মানুষের থাকে না। কাজেই বিয়ের বয়স পার হয়ে ঠাকুরদাসকে বিয়ে করতে হল। রোজগারটা আহামরি কিছু নয়, কিন্তু সংস্কৃত জানেন ভালো, দু’ কলম ইংরেজিটাও রপ্ত করেছেন মন্দ নয়। সচ্চরিত্র, যাকে বলে সাত্ত্বিক। পাত্র হিসেবে খুব একটা ফেলনার নয়।
(ক্রমশ)
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল 
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-৩ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়-তৃতীয় কিস্তি। 
বিশদ

কন্যে কথন
নিয়তি রায়চৌধুরী 

—তোমার সঙ্গে একটা কথা আছে মা।
—আবার কী হল? রুমির একটা কথা মানে একশোটি কথার বাঞ্চ। সবটাই বিভাস বিষয়ক। এটা সবিতা জানেন। বনিবনা হচ্ছে না। শ্বশুরবাড়ির সহায়তা নেই। পরপর দুটি মেয়ের কারণে বিভাসের বাবা-মা’র নাতির আশায় ছাই পড়েছে। ছেলে-বউয়ের লাগাম ছাড়া কোন্দলে তাই উদ্বেগ নেই। 
বিশদ

মানুষ গড়ার কারিগর
সৌমিত্র চৌধুরী

 চোখের জল মুছে বাবা বলল, ‘ঠিক আছে স্যার, আপনার কথা রাখলাম। তবে ঋণ বাড়াব না। ফেল করলে ওর কিন্তু পড়া বন্ধ।’ এত দূর বলে আমাদের পিসিএম থামল। আমার চোখে বিস্ময়। জম স্যার নিজে গেল হাটখোলায়? একটু অবাক হয়েছিলাম সেদিন। কিন্তু কয়েকমাস পরে ক্লাসের সবাইকে, এমনকী গোটা স্কুলকে অবাক করে দেবার মতো ঘটনা ঘটল। অঙ্কে আশি নম্বর পেয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় চার নম্বর স্থানটা দখল করেছে প্রদীপ। বিশদ

08th  December, 2019
অথৈ সাগর

 আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

08th  December, 2019
আজও তারা জ্বলে
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
সন্দীপ রায়চৌধুরী

 ওপার বাংলা থেকে আসা ‘বাঙাল’ ভানুকে শুধু চেহারা দেখেই নাকি ‘জাগরণ’ ছবির জন্য নির্বাচন করেছিলেন বিভূতি চক্রবর্তী। কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ‘আমার ছবিতে দুর্ভিক্ষপীড়িত চিমসে চেহারার একটা চরিত্র আছে, সেটা তুমি করবে।’ বিশদ

08th  December, 2019
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় পর্ব * ১
সন্দীপ রায়চৌধুরী

উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের দ্যুতিতে ভাস্বর। এই লাইনটা বললে হয়তো এক রকম অপমানই করা হয় তাঁদের। কারণ অন্যের আলোয় আলোকিত হওয়ার প্রয়োজন এঁদের কারও কখনও হয়নি। এঁরা নিজেরাই এক একজন কিংবদন্তি।   বিশদ

01st  December, 2019
অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

01st  December, 2019
ফেসবুকে বনলতা
শুচিস্মিতা দেব 

আমি তপেন বাগচি। পেশাহীন এবং নেশাহীন ছাপোষা মানুষ। পেশার অভাবে নেশা করার হিম্মত হয়নি কখনও। অভিজাত পাড়ায় ঠাকুরদার আমলের দোতলা বাড়িতে বিনা পয়সার বাসস্থান। বাবা ছিলেন ব্যারিস্টার ঠাকুরদার ল ফার্মের যোগ্য উত্তরাধিকারী।   বিশদ

01st  December, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মহাকালীর কালীমঠ
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

পর্ব-৩৭

হিমালয়ের পবিত্র দেবস্থানগুলি বারে বারে পরিব্রজন করলেও গুপ্তকাশীর অদূরে কালীমঠে আর যাওয়াই হয় না। তাই সেবার গৌরীকুণ্ডের পথে ত্রিযুগীনায়ারণ হয়ে গুপ্তকাশীতে এসে রাত্রিবাস করলাম। 
বিশদ

24th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৭

ছিলেন বিজ্ঞানের ছাত্র, বিষয় ছিল রসায়ন। তিনি নিজের সম্পর্কে বলতেন, ‘আমি বিজ্ঞানের ছাত্র। আচারে-ব্যবহারে, ভ্রমণে-পর্যটনে, খাদ্যে-পানীয়ে কালাপাহাড় বলিয়া পরিচিত মহলে আমার অখ্যাতি আছে; তবু আজ অস্বীকার করিতে পারি না, অলৌকিক শ্রেণীর দুইটি ঘটনার আমি সাক্ষী হইয়া আছি। 
বিশদ

24th  November, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। বিশদ

17th  November, 2019
 বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

17th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি।  
বিশদ

10th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা।   বিশদ

10th  November, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নোটবন্দির ফাঁদে রাজ্যের বহু আদালত। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আদালতে জমা থাকা পুরনো ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা না করায় এমনই জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: জমির রেকর্ড নিজের নামে না থাকায় চাষিদের অনেকেই বুলবুলের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এনিয়ে কৃষক মহলে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষক সংগ্রাম পরিষদ।   ...

 কল্যাণী থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি: ট্রাউকে হারিয়ে ২২ ডিসেম্বর ডার্বি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিলেন ইস্ট বেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো। শনিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে ম্যাচের পর স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘এরপর আমরা সল্টলেক স্টেডিয়ামে খেলব। এই মাঠ আমার খুবই পছন্দের। ...

 শিলং, ১৪ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল উত্তর-পূর্ব ভারত। আন্দোলন চলছে পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যেও। এরমধ্যে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। শুক্রবার ট্যুইটারে তাঁর বার্তা, আপনি যদি বিভেদকামী গণতন্ত্র না চান, তাহলে আপনার উত্তর কোরিয়া ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক চা দিবস
১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,
১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী রঙ্গনাথানন্দের জন্ম,
১৯৫০- সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মৃত্যু,
১৯৭৬- ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়ার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৮০ টাকা ৭১.৪৯ টাকা
পাউন্ড ৯৩.৪৩ টাকা ৯৬.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.৪৪ টাকা ৮০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৪৫৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭, ০৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ২/৪৫ দিবা ৭/১৮ পরে চতুর্থী ৫৮/২৫ শেষরাত্রি ৫/৩৫। পুষ্যা ৫৪/৩০ রাত্রি ৪/১। সূ উ ৬/১২/৩৫, অ ৪/৫০/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৪ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫২ গতে ২/৪২ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩০ গতে ৯/১৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/১২ গতে ১২/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১ গতে ২/৫১ মধ্যে। 
২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৫/৩৫/৫৭ দিবা ৮/২৮/৫০। পুনর্বসু ১/১৯/৩২ প্রাতঃ ৬/৪৬/১৬ পরে পুষ্যা ৫৮/৫৩/৩৭ শেষরাত্রি ৫/৪৭/৫৪, সূ উ ৬/১৪/২৭, অ ৪/৫০/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১২/১ গতে ২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/২৬ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ১/৫৪ মধ্যে ও ২/৪৭ গতে ৬/১৫ মধ্যে, কালবেলা ১১/৩২/২৬ গতে ১২/৫১/৫৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১/৫৬ গতে ২/৫৩/২৬ মধ্যে। 
মোসলেম: ১৭ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা মিলবে। বৃষ: ব্যবসা শুরু করলে ভালো হবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
 আন্তর্জাতিক চা দিবস১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ...বিশদ

07:03:20 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জিতল 

09:55:39 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩২/২ (৪০ ওভার) 

09:12:17 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬১/১ (৩০ ওভার) 

08:23:30 PM

মাথাভাঙায় জলাশয় থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার 

08:10:00 PM