পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
এদিন দুপুরে ত্রিপুরার আটকে পড়া রেল যাত্রীদের দুর্দশার খোঁজ নিতে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী ও বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। পরে স্টেশন চত্বরেই তৃণমূল নেতৃত্ব ত্রিপুরার আটকে পড়া ৫০ জন রেল যাত্রীকে ভাত, ডাল, ফুলকপির তরকারি ও সব্জি রান্না করে খাওয়ায়। বয়স্ক রেল যাত্রীদের হাতে শীতের কম্বল তুলে দেন বিধায়ক সৌরভবাবু।
বৃন্দাবন ঘুরে শিয়ালদহে কাঞ্চনজঙ্খা ধরে ত্রিপুরার কুমারঘাটের বাড়িতে ফিরছিলেন অশীতিপর হরিপদ দেবনাথ। এদিন দুপুরে খাওয়ার পর বললেন, গত তিন দিন ধরে এখানে পড়ে আছি। রেল কর্তৃপক্ষ জল খাবারেরও কোনও ব্যবস্থা করেনি। তৃণমূল খাওয়ার ব্যবস্থা করায় প্রাণ ফিরে পেলাম। জানি না এরপর কী হবে। ডাল ভাত খেয়ে ত্রিপুরার আমবাসার বাসিন্দা সন্ধ্যা চক্রবর্তী বলেন, আমরা এখানে পড়ে থাকলেও কেউ খোঁজ নেয়নি। আমাদের টাকা পয়সাও ফুরিয়ে এসেছে। বাংলার তৃণমূল সত্যিই অতিথিপরায়ণ।
গত তিন দিন ধরে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনের ওয়েটিং রুমের মেঝেতে শুয়ে ঠান্ডায় কাঁপছিলেন ত্রিপুরার আমবাসার অনুকুল মণ্ডল। এদিন তৃণমূল থেকে কম্বল পেয়ে কান্না সামলাতে পারেননি অশীতিপর অনুকুলবাবু। অনুকুলবাবু বলেন, তৃণমূলের এই উপকার ভুলব না। এদিন তৃণমূলের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রেল শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে ত্রিপুরার অসহায় যাত্রীদের জন্য এই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, ত্রিপুরার যাত্রীদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত তাদের দুপুরে ও রাতে দু’বেলা করে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুলবাবু বলেন, এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের জেরে মানুষ যে কী সীমাহীন দুর্দশায় পড়েছে ত্রিপুরার যাত্রীরাই তার বড় প্রমাণ। বাংলার ঐতিহ্য দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সেজন্যই রেল না করলেও ত্রিপুরার যাত্রীদের জন্য দলের তরফে দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে, রেলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিধায়ক সৌরভবাবু বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশে অস্থিরতা তৈরি করছে। আর ট্রেন আটকে দিয়ে ও বাতিল করে পরোক্ষভাবে সেই অস্থিরতায় সাহায্য করছে রেল। যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়লেও রেল কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, অভিযোগ ঠিক নয়। ত্রিপুরার যাত্রীদের নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনেই থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।