পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
বর্তমানে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সেকথআর উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বেশ কয়েকটি বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরকে দু’টি ভাগে ভাগ করেছে। কাশ্মীরে অশান্তি মাথাচাড়া দেওয়ার আগেই কেন্দ্র কড়া পদক্ষেপ করে তার মোকাবিলা করেছে। দেশের উত্তর-পূর্বের পরিস্থিতি শান্ত করতে নাগাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র আলোচনা চালাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে যার পড়েছে প্রভাব অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে।
পূর্বাঞ্চলীয় সেনার এক কর্তার কথায়, দেশের উত্তর-পূর্বে চীন সীমান্ত গত বছরের হুয়ান কনফারেন্সের পর স্বাভাবিক রয়েছে। যদিও মণিপুর ও নাগাল্যান্ডে কিছু কিছু জঙ্গিগোষ্ঠী এখনও সক্রিয়ভাবে তাদের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। কখনও কখনও সেনাদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়েও জড়িয়ে পড়ছে। তবে পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডারের কথায়, গোটা উত্তর-পূর্বের পরিস্থিতির উপরে আমাদের নজর রয়েছে। নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ার পর উত্তর-পূর্বের দু’-তিনটি রাজ্য উত্তপ্ত হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা নেমেছে। কোনও উস্কানির ফলে পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের (ওএফবি) ডিজি হরি মোহন বলেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দূরপাল্লার কামান ‘ধনুস’-এর ব্যারেল বিদেশে যাচ্ছে পরীক্ষার জন্য। যা ভারতের ইতিহাসে প্রথম। এটা আমাদের কাছে অন্যতম সাফল্য। কারণ, ‘ধনুস’ সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি। এর ব্যারেল বিদেশে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে অন্যান্য দেশও তা গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যেই ওএফবি ৪৬৪টি টি-৯০ ট্যাঙ্ক তৈরির বরাত পেয়েছে। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প আগামী পাঁচ বছরে শেষ করা হবে। এছাড়াও ১৬৫টি বিএমপি আর্মার্ড ভেহিক্যাল তৈরিরও বরাত পাওয়ার চেষ্টা চলছে। যার মূল্য প্রায় আট থেকে ন’হাজার কোটি টাকা। ডিজি বলেন, বর্তমান সরকার প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের প্রায় ৬৫ শতাংশ বাইরে থেকে আমদানি করছে। তবে ওএফবি’ও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজে যুক্ত রয়েছে।
পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার বলেন, বর্তমানে কেন্দ্রের যা আর্থিক পরিস্থিতি, তাতে প্রতিরক্ষা খাতে খুব একটা বড় ব্যয়ের দিকে হাঁটবে না সরকার। তবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সর্বদা আগ্রাসী ভূমিকা পালন করছে। নৌদিবস উপলক্ষে খিদিরপুর ডকে এসেছে দু’টি যুদ্ধজাহাজ। যা দেখতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ ও পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র