পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে বিদেশি সিগারেট এদেশে ঢুকছে। অবৈধ কারবারে যুক্ত লোকজন কৌশল বদলে তা অনায়াসে নিয়ে আসছে সীমান্ত পেরিয়ে। তবে এই কাজে স্থানীয় পুলিস প্রশাসনের একাংশের সহযোগিতা যে চোরাকারবারিরা পাচ্ছে, সেব্যাপারে নিশ্চিত বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। তা না হলে এই বিপুল পরিমাণ সিগারেট এদেশে আনা সম্ভব হতো না। কয়েকদিন আগেই শুল্ক দপ্তরের কাছে খবর আসে, গুয়াহাটি থেকে একটি সিগারেট ভর্তি ট্রাক ঢুকেছে কলকাতায়। অসমের একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিতে তা বুকিং করা হয়। কলকাতায় ওই সংস্থার মূল দপ্তর। সেখানেই ওই সিগারেট খালাস হয়েছে। খোঁজখবর করে শুল্ক দপ্তরের অফিসাররা জানতে পারেন, এই সিগারেট মুম্বইয়ে পাঠানো হবে। হাওড়া স্টেশন হয়েই তা যাওয়ার কথা। মুম্বইগামী একটি ট্রেনে বুকিংও করা হয়েছে সেসব। সেই সূত্র ধরেই অফিসাররা জানতে পারেন, একটি লরিতে করে বিদেশি সিগারেট হাওড়া স্টেশনে আনা হবে। জোগাড় করা হয় লরির নম্বর। শুক্রবার আগে থেকেই হাওড়া ব্রিজে পৌঁছে যান শুল্ক দপ্তরের অফিসাররা। সেখানে অপেক্ষা ছিলেন শিকারের। রাতে লরিটি হাওড়া ব্রিজে ওঠার পরই সেটিকে আটকানো হয়। তল্লাশি চালিয়ে দেখা যায়, তাতে বিদেশি সিগারেট রয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, এগুলি লন্ডন ও ইন্দোনেশিয়া থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রথমে অসমে আনা হয়। আগে ট্রেনে করেই এই সিগারেট কলকাতায় নিয়ে আসা হতো। কিন্তু শুল্ক দপ্তরের কড়াকড়িতে কৌশল বদলে চোরাকারবারিরা তা সড়ক পরিবহণের মাধ্যমে কলকাতায় নিয়ে আসছে। যারা পাঠাচ্ছে, তারা ভুয়ো নাম ও ঠিকানা জমা দিচ্ছে ট্রান্সপোর্ট সংস্থার অফিসে। তাই সিগারেট ধরা পড়লেও কারা তা বুকিং করছে, তা জানতে পারছেন না তদন্তকারীরা। ফলে কারবারের গভীরে যাওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণেই বড়বাজার ও জোড়াবাগান এলাকার বেশ কিছু ট্রান্সপোর্ট সংস্থার অফিসকে নজরদারির মধ্যে আনেন অফিসাররা। এরপর নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ট্রান্সপোর্ট সংস্থার অফিসে হানা দেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি বড়বাজার এলাকার বেশ কিছু গোডাউনেও বেআইনি পথে আনা বিদেশি সিগারেট মজুত রাখার কথা জানতে পারেন তাঁরা। ওই গোডাউনগুলিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা চলছে। কলকাতায় থেকে কুরিয়ার হিসেবে যারা কাজ করছে, তাদের কয়েকজনকেও চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের সন্ধানে শুরু হয়েছে তল্লাশি। কুরিয়ারদের ধরা গেলে কলকাতায় এই চক্র কারা চালাচ্ছে, সেই তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন শুল্ক দপ্তরের অফিসাররা।