Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বৈধ-অবৈধ নাগরিক কথা
সমৃদ্ধ দত্ত

পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তান থেকে ভারতে চলে আসার পর মানুষদের কী অবস্থা সে সব আমরা খুব বেশি জানি না। আমরা বাঙালিরা জানি বাংলাদেশ সম্পর্কে। কারণ, বাংলাদেশ আমাদের পাশের দেশ। সুতরাং নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে যে প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়া দরকার সেগুলি বাংলাদেশ সংক্রান্ত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। প্রথম প্রশ্ন, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যত হিন্দু বাঙালি প্রথমে পূর্ব পাকিস্তান এবং পরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে এসেছে, তাদের মধ্যে কতজন আছে, যাদের এখনও পর্যন্ত কোনও নথিই নেই ভারতের নাগরিকত্বের? আমরা তো সকলেই জানি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা একবার সীমান্ত পেরিয়ে এপার বাংলায় ঢুকে পড়ার পর, প্রথম যে কাজটি করে, তা হল একটা রেশন কার্ড জোগাড় করা। যখন বামফ্রন্ট ক্ষমতায় ছিল তাদের স্থানীয় নেতাদের ধরাধরি করে রেশন কার্ড পেয়ে যেত বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষ। আর পরবর্তী কালে তৃণমূল ক্ষমতাসীন হওয়ার পরও একই চিত্র। আর যাদের রেশন কার্ড নেই, তারা আজকের দিনে পেয়ে যাচ্ছে আধার কার্ড। এরকম উদাহরণ প্রচুর। কারণ অত্যন্ত স্বাভাবিক। ভোটব্যাঙ্ক। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকবে সেই চাইবে নতুন আসা মানুষকে আমি সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিলে সে আমারই ভোটার হয়ে থাকতে বাধ্য হবে। সেই প্রবণতা থেকে এই রেশন কার্ড ইস্যু হয়। সেই কারণেই বিগত ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে দেখা যায় সর্বদাই পশ্চিমবঙ্গে জনগণনা অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার থেকে রেশন কার্ডের সংখ্যা বেশি। সুতরাং, বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষেরা এদেশে একটানা বিনা নথিতে পাঁচ বছর থাকলেই নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে এই ঘোষণার তাৎপর্যপূর্ণ দিক এটা নয় যে লক্ষ লক্ষ মানুষ এবার নাগরিকত্ব পেতে চলেছে। কারণ, পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে পশ্চিমবঙ্গে বাস করছে, অথচ রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড কিছুই নেই, এরকম মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য হবে সেটা বলাই বাহুল্য। আর পাঁচ বছর আগেও যে লোকটি কোনও না কোনওভাবে রেশন কার্ড জোগাড় করে নিয়েছে, সে আবার নতুন করে নিজেকে নথিপত্রহীন বাংলাদেশি বলে সরকারের কাছে ঘোষণা করবে? কেন করবে? তার ভয় করবে না হাতে রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও আবার নিজেকে অবৈধ ঘোষণাতে? কারণ, একবার যখন রেশন কার্ড বা ভোটার কার্ড পাওয়া হয়েই গিয়েছে, তখন আবার নিজেকে অনুপ্রবেশকারী বা শরণার্থী হিসাবে ঘোষণা করতে কেউ কেন যাবে? বিল পাশ হয়ে যাওয়ার পর, এখন দেখার বিষয় এটাই যে, আদৌ কতজন মানুষ আবেদন করছে নিজেকে নথিপত্রহীন ঘোষণা করে। যদি এই যুক্তির পাল্টা যুক্তি এটা দেওয়া হয় যে, অবশ্যই কোটি কোটি মানুষ আছে, যাদের কোনও নথিই নেই, তা হলে তো পরোক্ষে স্বীকার করে নেওয়া হচ্ছে বামফ্রন্ট অথবা তৃণমূল কোনও সরকারই অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাঙ্ক ভেবে ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ড পাইয়ে দেয়নি! কোনটা ঠিক?
প্রশ্নটা অন্য। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে কিংবা আগামীদিনেও আসবে, তাদের ক্ষেত্রেও কি এই আইন প্রযোজ্য হবে? নতুন আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু, আইনে বলা হয়েছে হিন্দুরা (এবং অন্য পাঁচটি অমুসলিম ধর্মীয় সম্প্রদায়) ধর্মীয় অত্যাচারে ভারতে আশ্রয় পেতে চাইছে এবং তাই তাদের শরণার্থী আখ্যা দিয়ে ভারত মানবিকতার স্বার্থে নাগরিকত্ব দেবে। খুব ভালো কথা। কিন্তু সেই অত্যাচার তো আগামীকালও হতে পারে? তা হলে সেই সম্ভাব্য অত্যাচারিত হিন্দু মানুষগুলি কী দোষ করল? তাদের ভারতে ঢুকতে কি বাধা দেওয়া হবে? যদি বাধা দেওয়া না হয়, তা হলে কি তাদেরও আগামী পাঁচ বছর ভারতে থাকার পর সমানভাবে নাগরিকত্ব দিয়ে দেওয়া হবে? অর্থাৎ সেক্ষেত্রে আমরা কি ধরে নিতে পারি যে, বাংলাদেশ থেকে আগামীদিনে হিন্দু বাঙালিরা সক঩লেই যদি ভারতে এসে নাগরিকত্ব পেতে চায়, সকলকেই ভারত নিজেদের নাগরিক করে নেবে? প্রশ্নটার কারণ হল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারংবার বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর চরম অত্যাচার শুরু হয়েছে মুজিবর রহমানের মৃত্যুর পর। সেই অত্যাচার আজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে এমন কথা বলা হচ্ছে না। তাহলে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কেন? এখন যারা বাংলাদেশ থেকে চলে আসতে চাইবে তাদেরও তো অনুমতি ও নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত নীতি অনুযায়ী? বিনীত প্রশ্ন, কারা ২০১৪ সালের আগে এসেছে আর কারাই বা গতকাল এসেছে, এটা প্রমাণ হবে কী ভাবে? প্রমাণপত্র লাগবে না এটা তো সরকারই বলেছে। সেলফ ডিক্লারেশনই যথেষ্ট।
দ্বিতীয় প্রশ্ন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পর গোটা দেশে এনআরসি চালু হবে সরকারই ঘোষণা করেছে। এনআরসিতে স্বাভাবিকভাবেই নিশ্চয়ই ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখই সময়সীমা হবে? এটাই প্রত্যাশিত। অর্থাৎ এনআরসিতে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা ভারতে এসেছে, তাদেরই স্থান দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে অসমে যে ১৯ লক্ষ মানুষ বাদ গিয়েছে তাদের সিংহভাগই আবার নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু নতুন এনআরসি যখন সমাপ্ত হবে, তখন যারা ভারতের নাগরিক তালিকা থেকে বাদ যাবে, তাদের নিয়ে কী করা হবে? ভারতের অভ্যন্তরে এনআরসি আর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে যতটা আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কথা বলছে, শেখ হাসিনাকে তো কি‌ছুই বলা হচ্ছে না! বরং সম্প্রতি শেখ হাসিনা ভারতে আসার পর বলেছেন, তাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশের চিন্তার কারণ নেই এনআরসি নিয়ে। এর অর্থ কী? ভারতে লক্ষ লক্ষ অথবা কোটি কোটি বেআইনি নাগরিক যখন ধরা পড়বে, তাদের তার মানে পাকিস্তান অথবা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে না? কী করা হবে? ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হবে? কতদিন? নিয়ম হল ১৪ ফরেনার্স অ্যাক্টে অনুপ্রবেশকারীদের পুশব্যাক করা। সেটা হবে না?
তৃতীয় প্রশ্ন, এনআরসিতে বিভিন্ন স্থানে যত মানুষ বাদ যাবে অবৈধ নাগরিক হিসাবে, তাদের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও ইস্তফা দেবেন তো? কারণ যে মানুষটি ভারতের নাগরিকই নয়, তার ভোটও অবৈধ। সুতরাং ভারতব্যাপী এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় জেলায় জেলায়, শহরে, গ্রামে, ব্লকে, পঞ্চায়েতে যখন অবৈধ নাগরিক ধরা পড়বে একজনও, তখন নীতি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী থেকে পঞ্চায়েত প্রধান, এমপি থেকে কাউন্সিলার, সক঩লেই নিশ্চয়ই পদত্যাগ করবেন? একজনও অবৈধ নাগরিকের ভোটে নির্বাচিত এমপি, বিধায়ক, কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত সদস্যের নির্বাচনটাও তো অবৈধ হয়ে যাবে! তাই তখন সকলের উচিত নয় কি পদত্যাগ করা? অসমে সাড়ে ১৯ লক্ষ মানুষ বাদ গিয়েছেন। এটা যদি চূড়ান্ত এনআরসি তালিকাই হয়, তা হলে কেন্দ্র ধরে ধরে জেলায় জেলায় প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির ইস্তফা দেওয়া উচিত। সহজ যুক্তি, অবৈধ নাগরিক মানে হল নাগরিকত্ব নেই। সুতরাং ভোটদানের অধিকার নেই। তার অর্থ ভোটেরও তো বৈধতা নেই! অসমের এমপি, এমএলএ, কাউন্সিলার, পঞ্চায়েত সদস্যরা ইস্তফা দিচ্ছেন না কেন?
শেষ প্রশ্ন। যখন এনআরসি প্রক্রিয়া চালু হবে, তখন আমাদের, যাঁদের কাছে সমস্ত রকম নথিপত্র আছে, যাঁরা বছরের পর বছর আয়কর দিয়ে গেলাম, যাঁরা বছর বছর ভোট দিয়ে যাচ্ছি, যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পেনশন অ্যাকাউন্ট, সবই আছে, যাঁদের বার্থ সার্টিফিকেট থেকে আধার সার্টিফিকেট, সবই আছে, ভোটার কার্ড থেকে পাশপোর্ট, সবই আছে, তাঁদের কেন লাইন দিয়ে, ভিড় ঠেলে, ফর্ম ফিল আপ করে, কাজের সময় নষ্ট করে, নিজেদের আবার ভারতীয় প্রমাণ করতে হবে? বৈধ ভারতীয়দের কাছে এভাবে বারংবার বৈধতার প্রমাণ চাওয়া কি তাদের অপমান করা নয়! মাননীয় সরকার এনআরসি প্রক্রিয়া চালু করার আগে একটু ভেবে দেখবেন অনুগ্রহ করে! এটুকু সম্মান কি প্রাপ্য নয় বৈধ নাগরিকদের? সে নাগরিক ধনীই হন অথবা দরিদ্র।  
13th  December, 2019
রাজনৈতিক স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গে
আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

 শনিবার যখন এই লেখা লিখছি তখনও চারদিক থেকে গণ্ডগোল, অবরোধ, আগুন লাগানোর খবর আসছে। নাগরিক বিল নিয়ে এককথায় রাজ্য উত্তাল। কিন্তু এই অশান্তি কোনওমতেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে তাই মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন মেনে হাঙ্গামায় প্ররোচনা দেওয়া বন্ধ হোক।
বিশদ

এনআরসি দেশ গড়ার পথ, নাকি ক্ষমতায় পৌঁছনোর ইস্যু
তন্ময় মল্লিক

পরিবর্তনই জীবনের বৈশিষ্ট্য। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় সবকিছুই। কিন্তু পরিবর্তনের এই ধারায় সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছে রাজনীতির অভিমুখ ও উপাদান। একটা সময় রাজনীতিতে সাফল্য লাভের প্রধান উপাদান ছিল উন্নয়ন। এখন রাজনীতিতে সাফল্য লাভের উপাদান জবরদস্ত ইস্যু। ইস্যু তৈরি করতে পারলেই কেল্লা ফতে। 
বিশদ

14th  December, 2019
এনকাউন্টার, আইন এবং ন্যায়বিচার
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

জাস্টিস ইজ ডান। নীচে একটা স্মাইলি... প্ল্যাকার্ডে লেখা বলতে শুধু এটাই। কোনও কায়দা নেই। নেই রাজনীতির রং। নেহাতই সাদা কাগজে মোরাদাবাদের স্কুলের ছাত্রীদের হাতে লেখা কাগজগুলো বলছে, এবার হয়তো আমরা নিরাপদ হব।
বিশদ

10th  December, 2019
আর ক’জন ধর্ষিতা হলে রামরাজ্য পাব
সন্দীপন বিশ্বাস 

রাত অনেক হল। মেয়েটি এখনো বাড়ি ফেরেনি। কোথাও আটকে গিয়েছে। অনেক লড়াই করে, পুরুষের সঙ্গে পাশাপাশি ঘাম ঝরিয়ে তাকে বেঁচে থাকতে হয়। বাড়িতে বাবা-মা অস্থির হয়ে ওঠেন।  বিশদ

09th  December, 2019
অর্থনীতিবিদদের ছাড়াই অর্থনীতি
পি চিদম্বরম

প্রত্যেকেই অর্থনীতিবিদ। যে গৃহবধূ পরিবার সামলানোর বাজেট তৈরি করেন, তাঁকে থেকে শুরু করে একজন ডেয়ারি মালিক যিনি দুধ বিক্রির জন্য গোদোহন করেন এবং একজন ছোট উদ্যোগী যিনি বড় নির্মাণ ব্যবসায়ীর জন্য যন্ত্রাংশ তৈরি করেন, সকলেই এই গোত্রে পড়েন।  বিশদ

09th  December, 2019
বাজার আগুন, বেকারত্ব লাগামছাড়া,
শিল্পে মন্দা, সরকার মেতে হিন্দুরাষ্ট্রে
হিমাংশু সিংহ

 দেশভাগ, শরণার্থীর ঢল, বার বার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা আর অভিশাপের মাশুল এই বাংলা বড় কম দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, সাবেক পূর্ববঙ্গের শত শত নিরাশ্রয় মানুষকে নিজের বুকে টেনে নিতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সঙ্কট। বদলে গিয়েছে গোটা রাজ্যের জনভিত্তি।
বিশদ

08th  December, 2019
বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুর প্রাপ্য অধিকার
জিষ্ণু বসু

 কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা বলেছেন। চলতি অধিবেশনেই হয়তো পাশ হবে ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব সংশোধনী। এটি আইনে রূপান্তরিত হলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান ও পারসিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাবেন।
বিশদ

08th  December, 2019
কর্পোরেটদের যথেষ্ট সুবিধা দিলেও অর্থনীতির বিপর্যয় রোধে চাহিদাবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ
দেবনারায়ণ সরকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থে ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ কিন্তু কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতীয় অর্থনীতির চরম বেহাল অবস্থার বাস্তবতা সর্বদা চাপা দিতে ব্যস্ত। 
বিশদ

07th  December, 2019
অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। 
বিশদ

06th  December, 2019
সার্ভিল্যান্স যুগের প্রথম পরীক্ষাগার উইঘুর সমাজ
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সংবাদ মানেই তো যেন সাফল্যের খবর। সমুদ্রের উপর ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহণ বিমান তৈরি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া উদ্ভাবন, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ...। মিহিরগুল তুরসুনের ‘গল্প’ সেই তালিকায় খুঁজেও পাবেন না। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে মিহিরগুল মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। 
বিশদ

06th  December, 2019
আর ঘৃণা নিতে পারছে না বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

 এটাই বোধহয় আমার শোনা প্রথম কোনও ছড়া। আজও ভুলতে পারিনি। শ্রবণ। দর্শন। স্পর্শ। প্রথম অনেক জিনিসই ভোলা যায় না। জীবনের উপান্তে পৌঁছেও সেসব অনুভবে জেগে থাকে অনেকের। কোনোটা বয়ে বেড়ায় সুখানুভূতি, কোনোটা বেদনা। এই ছড়াটি আমার জীবনে তেমনই একটি। যখন প্রথম শুনেছি তখন নিতান্তই শিশু। বিশদ

05th  December, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

03rd  December, 2019
একনজরে
 ওয়াশিংটন, ১৪ ডিসেম্বর (পিটিআই): ‘আমার কোনও দোষ নেই। তবু আমাকে ইমপিচ করা হচ্ছে। এটা অন্যায়।’ শুক্রবার ট্যুইটারে এভাবেই ইমপিচমেন্ট বিতর্কে ক্ষোভ উগরে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেসের জুডিশিয়ারি কমিটি ট্রাম্পের ‘অপসারণ’ অনুমোদন করে দেওয়ায় তা এখন হাউস অব ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে শনিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। গড়ফার কাছে সকাল থেকে অবরোধের পর আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল অন্তত ...

 কল্যাণী থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি: ট্রাউকে হারিয়ে ২২ ডিসেম্বর ডার্বি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিলেন ইস্ট বেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো। শনিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে ম্যাচের পর স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘এরপর আমরা সল্টলেক স্টেডিয়ামে খেলব। এই মাঠ আমার খুবই পছন্দের। ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: জমির রেকর্ড নিজের নামে না থাকায় চাষিদের অনেকেই বুলবুলের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এনিয়ে কৃষক মহলে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষক সংগ্রাম পরিষদ।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক চা দিবস
১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,
১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী রঙ্গনাথানন্দের জন্ম,
১৯৫০- সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মৃত্যু,
১৯৭৬- ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়ার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৮০ টাকা ৭১.৪৯ টাকা
পাউন্ড ৯৩.৪৩ টাকা ৯৬.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.৪৪ টাকা ৮০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৪৫৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭, ০৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ২/৪৫ দিবা ৭/১৮ পরে চতুর্থী ৫৮/২৫ শেষরাত্রি ৫/৩৫। পুষ্যা ৫৪/৩০ রাত্রি ৪/১। সূ উ ৬/১২/৩৫, অ ৪/৫০/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৪ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫২ গতে ২/৪২ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩০ গতে ৯/১৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/১২ গতে ১২/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১ গতে ২/৫১ মধ্যে। 
২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৫/৩৫/৫৭ দিবা ৮/২৮/৫০। পুনর্বসু ১/১৯/৩২ প্রাতঃ ৬/৪৬/১৬ পরে পুষ্যা ৫৮/৫৩/৩৭ শেষরাত্রি ৫/৪৭/৫৪, সূ উ ৬/১৪/২৭, অ ৪/৫০/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১২/১ গতে ২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/২৬ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ১/৫৪ মধ্যে ও ২/৪৭ গতে ৬/১৫ মধ্যে, কালবেলা ১১/৩২/২৬ গতে ১২/৫১/৫৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১/৫৬ গতে ২/৫৩/২৬ মধ্যে। 
মোসলেম: ১৭ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা মিলবে। বৃষ: ব্যবসা শুরু করলে ভালো হবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
 আন্তর্জাতিক চা দিবস১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ...বিশদ

07:03:20 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জিতল 

09:55:39 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩২/২ (৪০ ওভার) 

09:12:17 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬১/১ (৩০ ওভার) 

08:23:30 PM

মাথাভাঙায় জলাশয় থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার 

08:10:00 PM