পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
বিকেলে এই অনুষ্ঠানে আসার আগেই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে জগদীপ ধনকার ট্যুইট করেন। তাতে তিনি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে সংবিধানের প্রতি সত্যিকারের নিষ্ঠা ও বিশ্বাস দেখাতে হবে। তিনি এরই শপথ নিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজ্যপাল জানিয়ে দিয়েছেন, আমার যথাসাধ্য সংবিধানকে রক্ষা করব। রাজ্যে বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যে সক্রিয় থাকবেন, রাজ্যপাল এই বক্তব্যের মাধ্যমে সেটাই বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। রাজ্যপাল ট্যুইটবার্তায় আরও বলেন, রাজ্যে যা ঘটছে, তাতে তিনি হতাশ ও ব্যথিত।
সায়েন্স সিটি সংলগ্ন মাঠে বেঙ্গল চেম্বার অব অব কমার্স আয়োজিত ১৮ তম ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল মেগা ট্রেড ফেয়ারের উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের বলেন, তিনি কিছু বলতে চান। ট্রেড ফেয়ার ঘুরে দেখার পর তা বলবেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিবৃতি দেন জগদীপ ধনকার। যেহেতু পরিস্থিতি খুব স্পর্শকাতর, তাই তাঁকে কোনও প্রশ্ন না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, এখানে যেভাবে জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করা হচ্ছে, তা খুবই দুঃখজনক। আমি কাল থেকে খুবই ব্যথিত। যেখন মহাত্মা গান্ধীর জন্মের দেড়শো বছর পালন করা হচ্ছে, তখন এই ধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটা কখনই উচিত নয়। হিংসা কখনই সমস্যার সমাধান করতে পারে না।
রাজ্যপাল বলেন, আগে কী করা উচিত ছিল, সেটা নিয়ে আলোচনা করার সময় এখন নেই। আমাদের এখন পিছন ফিরে দেখার সময় নেই। আমাদের ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে। যে দুষ্কৃতীরা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। রাস্তায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে অপপ্রচার চলছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল।
মেগা ট্রেড ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভূটানের মন্ত্রী, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের ডেপুটি হাইকমিশনার, দিল্লির আফগানিস্থান ও শ্রীলঙ্কার দূতাবাসের আধিকারিকরা থাকলেও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। বেঙ্গল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট বি বি চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে চেম্বার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবারে এই ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের শিল্প ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এসেছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভাষণে রাজ্যপাল অবশ্য শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। এই ট্রেড ফেয়ার ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলছে। ১৫টি দেশ মেলায় যোগ দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যও এসেছে মেলায়।