পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
তবে জঞ্জাল অপসারণ বিভাগ সূত্রে খবর, শহর থেকে প্রায় ৪০০ খোলা ভ্যাট ইতিমধ্যেই তুলে দেওয়া হয়েছে। এখনও প্রায় ১৮০টির মতো ভ্যাট রয়েছে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায় বলে জানিয়ে বিভাগীয় আধিকারিক বলেন, খোলা ভ্যাট শহর থেকে উঠে যাক, তাঁরাও চান। কিন্তু অলি-গলিতে কম্প্যাক্টর বসানোর জায়গা কোথায়? যদি নিকাশি বিভাগের কর্মীরা নিকাশিনালা থেকে ওঠা যাবতীয় ময়লা, পলি নিজ দায়িত্বে ধাপা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলে দিয়ে আসেন, নির্মাণ সামগ্রীর ভগ্নস্তূপ দায়িত্ব নিয়ে যদি বিল্ডিং বিভাগের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলে দিয়ে আসেন, তাহলে এত খোলা ভ্যাট রাখার দরকারই হয় না। কারণ, কম্প্যাক্টরে ওই পলি-ময়লা বা নির্মাণ সামগ্রীর ভগ্নস্তূপ গুঁড়ো গুঁড়ো করা যায় না। তাই খোলা ভ্যাট থেকেই সেগুলি সংগ্রহ করে নিয়ে যেতে হয় জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের সাফাই কর্মীদের। বিভাগীয় এক শীর্ষকর্তা বলেন, আমরা শহরে যেখানে জায়গা পেয়েছি, কম্প্যাক্টর বসিয়েছি। এখনও পর্যন্ত কম্প্যাক্টর স্টেশন ১০৪টি বসিয়েছি। মুভেবল কম্প্যাক্টর ৭৫টি রয়েছে। তবে অলি-গলিতে কম্প্যাক্টর বসানোর জায়গা নেই। তাহলে সেখানকার ভ্যাট কীভাবে সরাব? মেয়র যদিও বলেন, কারও বাড়ির সামনে খোলা ভ্যাট থাকা কোনওভাবেই উচিত নয়। সেই বাড়ির সদস্যরাই বোঝেন, কী দুর্বিষহ অবস্থা হয়ে ওঠে।
এদিকে, এদিন ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের পীরপুকুর রোড থেকে এক নাগরিক ফোনে বলেন, তিনি আগে তাঁর এলাকায় খোলা ভ্যাট নিয়ে ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচিতে ফোন করেছিলেন। সেইমতো পুরসভার তরফে সেই ভ্যাটটি তুলে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে, কেউ কেউ সেই ফাঁকা রাস্তায় আবর্জনা ফেলছে। এলাকাজুড়ে দুর্গন্ধময় পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মেয়র জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের ডিজির কাছে জানতে চাইলে শুভাশিসবাবু বলেন, খোলা ভ্যাট তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে কে আবর্জনা ফেলছে, তাতে নজরদারি রাখব কীভাবে? পুরসভার হাতে জরিমানা করারও অধিকার নেই। পুর কমিশনার তাঁকে বলেন, তাহলে নোটিস দিন। মিউনিসিপ্যাল কোর্টে টেনে আনুন। মেয়রও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচির শেষে মেয়র বলেন, শুধু কম্প্যাক্টর বসালেই শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হবে না। নাগরিককে সচেতন হতে হবে। অনেক মানুষই সচেতন হয়েছেন। কিন্তু কিছু নাগরিক এখনও অসচেতনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি বারবার বলছি, যত্রতত্র ময়লা ফেলবেন না। এতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়। রোগ ছড়ায়। আট থেকে আশি, প্রত্যেকেই রোগের প্রকোপে পড়েন। কয়েকজনের জন্য এত লোকের দুর্ভোগ পুরসভা মেনে নেবে না। পুর আইনে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সংস্থান রয়েছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরকে বদনাম হতে দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি, তিনি এও বলেন, কাউকে যদি দেখেন, বাড়ি বা বহুতলের ছাদ থেকে পরিষ্কার রাস্তায় আবর্জনা ফেলছেন, তাহলে পাল্টা ওই আবর্জনা তাঁর বাড়িতে ফেলুন। যে ক্লাবগুলি ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতার কাজ করে, তাদেরকেও সক্রিয় হতে হবে। পরিষ্কার রাস্তায় কেউ আবর্জনা ফেললে প্রতিবাদ করুন। শহরকে কোনওভাবেই নোংরা হতে দেব না বলে জানান মেয়র। -নিজস্ব চিত্র