পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা এদিন জানান, অভিযোগকারীরা কেন নিজেদের মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছিলেন, সেবিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হবে। যদি দেখা যায়, তাঁরা কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজ করেছিল, সেক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করা হবে। সেই সঙ্গে অপহরণের ঘটনা নিয়ে এখন বেশ কিছু ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে কমিশনারেটের গোয়েন্দাদের মধ্যেও। বিশেষ করে যে পাঁচজন সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে অপহরণ করতে এসেছিল, তারা অপহৃতদের সঙ্গে পূর্ব পরিচিত ছিল কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। কমিশনারেটের একটি সূত্রের দাবি, অপহৃতকে আগে থেকে চিনত কি না, সেবিষয়ে ধৃতরা এখনও কোনও স্বীকারোক্তি দেয়নি। তবে কয়েকটি সূত্র থেকে পুলিস জানতে পেরেছে, ধৃতরা অপহৃতদের ব্যবসায়ীক সহযোগী। এদিকে, এদিন ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। তাদের ১০ দিনের পুলিস হেফাজতে পাঠানো হয়।
গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ধৃতদের সঙ্গে অপহৃতদের পূর্ব পরিচয় ছিল বলে কয়েকটি জায়গা থেকে তাদের কাছে খবর এসেছে। সেই তথ্যগুলি যাচাই করা হচ্ছে। একইসঙ্গে কেন ১৫ লক্ষ টাকাই মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল, সেবিষয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ওই টাকা অভিযুক্তরা অপহৃতর কাছ থেকে পেত, অপহরণ করে সেই টাকা আদায় করার চেষ্টায় ছিল তারা। সেবিষয়েও ধৃতদের জেরা করে তথ্য পেতে চাইছে পুলিস। পাশাপাশি অপহৃত এখানে একটি এনজিও’র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেখানকার কোনও কাজের জন্যই এই অপহরণ কি না, সেবিষয়েও দু’পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিস। এদিকে, নিউটাউনের যে ফ্ল্যাট থেকে তংব্রান লুখোই সিংকে অপহরণ করা হয়েছিল, সেখানকার প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শুক্রবার যখন ঘটনাটি ঘটেছে তখন তাঁরা কেউ কিছু বুঝতে পারেননি। কারণ যে পাঁচজন এসেছিল, তারা যাওয়ার সময় দুই অপহৃতর কাধে হাত দিয়ে গল্প করতে করতে এমনভাবে গাড়িতে উঠে চলে যায়, যে কেউ কিছু বুঝতে পারেননি। একইসঙ্গে পুলিস আরও জানতে পেরেছে, অভিযুক্তরা যখন শুক্রবার তংব্রান লুখোই সিংয়ের ফ্ল্যাটে এসে দরজার বেল বাজায়, তখন ‘আই¬-হোল’ তারা ঢেকে রেখেছিল। যাতে ফ্ল্যাটে আসা ব্যক্তিরা কারা, সেটা আগে থেকে বুঝতে না পারেন পরিবারের লোকেরা। এই ঘটনাকে ঘিরেও অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। সেবিষয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই তথ্য পেতে চাইছে পুলিস।