পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
বিজেপি’র নদীয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এতদিন ছিলেন মহাদেব সরকার। তাঁর জায়গায় আশুতোষ পালকে নতুন সভাপতি করা হয়েছে। তিনি এর আগে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস অবধি অবিভক্ত নদীয়া জেলার বিজেপি’র সভাপতি ছিলেন। সাংগঠনিক জেলা ভাগের পর ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব পান মহাদেব সরকার। দলের একটা অংশের মতে, লোকসভার পর সংগঠন বিস্তারেও তাঁর খামতি ছিল। এনিয়ে রাজ্যস্তরে দলের কয়েকজন অভিযোগও করেছিলেন।
মহাদেববাবু বলেন, আমি যতটা সম্ভব ভালোভাবে দলটা চালিয়ে এসেছি। পঞ্চায়েত ভোটে তার প্রমাণও দিয়েছি। তবে দল যা মনে করেছে তা শিরোধার্য। নতুন সভাপতিকে অনেক শুভেচ্ছা। অন্যদিকে, আশুতোষবাবু বলেন, আগের সভাপতি ভালোভাবেই কাজ করেছেন। আমাদের দলের এটা রুটিন ব্যাপার। আমি চেষ্টা করব, দলকে আরও শক্তিশালী করার।
অন্যদিকে, নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ছিলেন মানবেন্দ্র রায়। তাঁর জায়গায় নতুন জেলা সভাপতি হয়েছেন অশোক চক্রবর্তী। অশোকবাবু তাহেরপুর নেতাজি হাইস্কুলের শিক্ষক। তিনি এক সময় বিজেপির তাহেরপুর শহর মণ্ডলের সভাপতি ছিলেন। পরে বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক এবং সবশেষে জেলার সহ-সভাপতি ছিলেন।
দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন চলছে। সেই প্রক্রিয়ার মধ্যেই পরিবর্তন করা হয়েছে বেশ কয়েকজন জেলা সভাপতিকে। বহুদিন ধরেই রানাঘাট সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ জেলা সভাপতি মানবেন্দ্র রায় এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ সদস্য জগন্নাথ সরকার গোষ্ঠীর বিবাদ চলছে। তা নিয়ে মাঝে মধ্যেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। মাসখানেক আগে জেলা সভাপতিকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছিল দলের নিচুতলার দুই বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু, সেই ঘটনার পরও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অবসান ঘটেনি। বারংবারের এই ঘটনায় নিচুতলার কর্মীরাও ক্ষুব্ধ ছিলেন।
তাঁরা বলেন, লোকসভা ভোটে মানুষ বিজেপিকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করেছে দলের গোষ্ঠী কোন্দল দেখবার জন্য নয়। বারংবার এই ঘটনা ঘটলে আগামী পুরসভা ভোটে মানুষের কাছে কোন মুখ নিয়ে ভোট চাইতে যাব। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা সভাপতি বদলের খবর পাওয়া পর কর্মীরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে। লোকসভার পর দায়িত্ব পেয়েছিলেন মানবেন্দ্রবাবু। বছর ঘোরার আগেই তাঁকে সরানো হল। নতুন সভাপতি সংসদ সদস্য জগন্নাথ সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত।
এ প্রসঙ্গে মানবেন্দ্র রায় বলেন, জেলা সভাপতি পরিবর্তনের বিষয়টি আমি ভাসা ভাসা শুনেছি। বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার নয়। অন্যদিকে, নতুন জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তী বলেন, সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে চাই। আগামী ভোটগুলিতে জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাব।