পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
জেলাজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন বহরমপুর শহরে লোকজনও অনেক কম ছিল। আন্দোলনকারীরা ১৬ ডিসেম্বর ওমরপুরে বড় জমায়েত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওইদিন জাতীয় সড়ক অবরোধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সব মিলিয়ে জেলাজুড়ে শনিবার দুপুর থেকে অস্থির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা বলেন, সকলকেই শান্তি বজায় রাখার জন্য বলা হচ্ছে। কেউ যেন আইন হাতে না তুলে নেয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আন্দোলনের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি ছিল জঙ্গিপুর মহকুমায়। সকাল থেকেই বিক্ষোভকারীরা নিমতিতা স্টেশন, পোড়াডাঙা স্টেশন, নওপাড়া মহিষাসুর স্টেশনে জমায়েত হয়ে ভাঙচুর শুরু করে। রেল লাইন তুলে ফেলারও তারা চেষ্টা করে তারা। জঙ্গিপুর স্টেশনে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস আটকে রাখা হয়। তার জেরে ট্রেনের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। যাত্রীদের আর্তনাদ উপেক্ষা করেই দীর্ঘক্ষণ এই স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সূতির ওরঙ্গাবাদে যাত্রীদের নামিয়ে বিক্ষোভকারীরা ১০টি’র বেশি বাসে ভাঙচুর করে। একটি সরকারি বাসে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়। এখানেও যাত্রীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছিল। রঘুনাথগঞ্জে জাতীয় সড়কের উপর কয়েক হাজার লোক জমায়েত হয়েছিল। রঘুনাথগঞ্জ শহরও থমথমে ছিল। অন্যদিকে, বেলডাঙা স্টেশনে বিক্ষোভকারীরা রাতেও তাণ্ডব চালিয়েছিল। স্টেশনের টিকিট কাউন্টারসহ একাধিক ঘরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন সকালে দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নেভাতে গেলে বিক্ষোভকারীরা সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। রেল লাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আবার কবে থেকে এই পথে ট্রেন চলবে তা নিয়ে বাসিন্দারা ধন্দে রয়েছে। লালগোলা-বেলডাঙা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছেন। সামশেরগঞ্জ থানা লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। অন্যদিকে, এদিন দুপুরে ইসলামপুর ২০-২৫হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সেসময় তাদের একটা অংশ হঠাৎ করেই রানিনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলামের বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়িতে ভাঙচুর করে তারা। তাঁর দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দু’টি বাইকেও ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তৃণমূলের একটা অংশ মিশে ছিল। তারা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা সভাপতির বাড়িতে হামলা করে।
তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, সিপিএম এবং কংগ্রেস যৌথভাবে বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। ওদের উস্কানিতে এসব হচ্ছে। ঘটনা শুনে আমি এবং মইনুল হাসান ইসলামপুরে গিয়েছিলাম। আমাদের গাড়িতেও ওরা চড়াও হয়। কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত দাস বলেন, কাটমানি নিয়ে ওদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছে। সেকারণে হামলা হয়েছে। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। রাজ্য প্রশাসন মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না।