Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনৈতিক স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গে
আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

শনিবার যখন এই লেখা লিখছি তখনও চারদিক থেকে গণ্ডগোল, অবরোধ, আগুন লাগানোর খবর আসছে। নাগরিক বিল নিয়ে এককথায় রাজ্য উত্তাল। কিন্তু এই অশান্তি কোনওমতেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে তাই মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন মেনে হাঙ্গামায় প্ররোচনা দেওয়া বন্ধ হোক। বন্ধ হোক আগুন নিয়ে খেলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দিয়েছেন, বাংলায় তিনি বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে দেবেন না। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে আরও অনেক রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথাকে সম্মান জানিয়েই আপাতত সবার উচিত শান্ত থাকা।
সংযত থাকা। মনে রাখতে হবে, এখন রাজনীতির সময় নয়। তার জন্য অনেক সময় পড়ে আছে। রাজনৈতিক স্বার্থে গোলমাল পাকিয়ে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা ব্যর্থ করুন। প্রশাসন কঠোর হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করুক। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা পরাজিত হোক।
বলা বাহুল্য, এ রাজ্যের পক্ষে সময়টা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাই সুযোগ সন্ধানীরা ইন্ধন দেবেই। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কাউন্ট ডাউন শুরু হল বলে। সব মিলিয়ে আর পনেরো ষোলো মাস বাকি। বাংলায় এবার মোকাবিলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি বিজেপির। সিপিএম, কংগ্রেস জোট হোক আর নাই হোক, আপাতত এরাজ্যে তারা নিতান্তই এলেবেলে শক্তি, তায় একে অপরের লেজুড়। আপাতত ওদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। এই মুহূর্তে ধারে ভারে সার্বিক গ্রহণযোগ্যতার নিরিখে তৃণমূল অনেকটা এগিয়ে থাকলেও এরাজ্যে লড়াইয়ের চূড়ান্ত ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে মরিয়া হয়ে নেমেছেন অমিত শাহরা। বিজেপি নেতৃত্ব জানেন, এই মুহূর্তে সারা দেশে বাংলার জননেত্রীর মতো সোজা মেরুদণ্ডের আপসহীন লড়াকু আর একজনও নেই। হার্ভার্ড ও অক্সফোর্ডে উচ্চশিক্ষিত কংগ্রেসের তাবড় নেতা নেত্রীরাও মমতার নাছোড় লড়াইয়ের সামনে তাই ম্লান। সম্প্রতি রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে গেরুয়া দলের ভরাডুবিই প্রমাণ করেছে, এখনও মমতাতেই আস্থা গোটা বাংলার। দু’হাজার একুশেও মমতাকেই বাংলার সিংহাসনে বসানোর জন্য রাজ্যবাসী প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি এবং অগ্নিকন্যা মমতা শক্ত ঠাঁই বুঝেই তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার আগে সংবিধানটাকেই দুমড়ে মুচড়ে তার অন্তর্নিহিত আত্মাকে খতম করে দেওয়ার ভয়ঙ্কর খেলায় নেমেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন মোদি ও অমিত শাহের বিজেপি। দরকার হলে গোলপোস্টের অবস্থানটাকেই বদলে দিতেও তাঁরা যে দু’বার ভাববেন না, তাও পরিষ্কার। সেই কারণেই দেশভাগের ক্ষত বয়ে চলা বাংলায় এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করার কদর্য খেলায় নেমেছে গেরুয়া শিবির। যার আসল উদ্দেশ্য, হিন্দু ভোটব্যাঙ্ককে একজোট করা। তবে একটা কথা বিনা দ্বিধায় বলতে পারি, হার মানার পাত্রী অগ্নিকন্যা নন। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আবার ধর্মের ভিত্তিতে মানুষভাগের হীন চক্রান্ত তিনি রুখবেনই রুখবেন। এখনও বাংলার মানুষের সেই বিশ্বাস আছে।
নরেন্দ্র মোদির দল বিলক্ষণ জানে সোজাসাপ্টা লড়াইয়ে একুশে বাংলা দখল কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এখানে বিগত তিন দশক ধরে মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা আন্দোলন প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছে মমতাকে কেন্দ্র করেই। তিনি বাংলার অবিসংবাদিত নেত্রী। উল্টে, এনআরসির ঠেলায় জেলায় জেলায় ভয় আর আতঙ্কে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। যেটুকু সমর্থন বিজেপি পেয়েছিল লোকসভা ভোটে, তা দ্রুত কমছে। এই পরিস্থিতিতেই ভারতীয় সংবিধানের বিবেককে বিসর্জন দিয়ে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে, মানুষে মানুষে বিভেদ ও বৈষম্য তৈরির আরও ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছে বিজেপির সরকার। চালু হচ্ছে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান। তুমি হিন্দু হলে, শিখ হলে, বৌদ্ধ হলে, পার্সি হলে, খ্রিস্টান হলে, জৈন হলে শরণার্থী হয়েও নাগরিকত্ব পাবে। আর মুসলমান হলে, তোমার পরিচয় হবে ‘বেআইনি অনুপ্রবেশকারী’, বৈধ নাগরিকত্ব তুমি পাবে না। ভারতের সংবিধান যে-দর্শনের উপর দাঁড়িয়ে, তা মানুষে-মানুষে এই বিভেদ বৈষম্যের কথা কখনও বলে না। সব ধর্ম, সব সম্প্রদায়কে সমানভাবে দেখা ও প্রত্যেককে সুবিচার দেওয়ার জন্যই কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ এই সংবিধানের
মূল সুর। অথচ, আজ ৭০ বছর পর এর ঠিক
উল্টোটাই মোদি অমিত শাহদের রাজনীতির ধ্রুবপদ। ফলে ভয়ঙ্কর সঙ্ঘাত ও তার থেকে রক্তক্ষরণ অবশ্যম্ভাবী। হচ্ছেও তাই।
নোটবন্দি এবং ত্রুটিপূর্ণ তড়িঘড়ি জিএসটি চাপিয়ে দেওয়া থেকে রক্ত ঝরছে ভারতের অর্থনীতির। ৩৭০ ধারার ধাক্কায় বিচ্ছিন্ন হয়েছে গোটা কাশ্মীর উপত্যকা। আজ সেই ঘটনার পাঁচ মাস পরেও ওই রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কার্যত নজরবন্দি। বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে কোনও যোগ নেই উপত্যকার বহু অংশের। আর গতকাল থেকে একই কায়দায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে অসমে। গুয়াহাটি, তেজপুর, ডিব্রুগড় জ্বলছে। মানুষ বিপন্ন। প্রাণও হারাচ্ছে। আর ভোটব্যাঙ্কে ফায়দার হিসেব কষছেন বিজেপি নেতারা। আসল সঙ্কটের দিকে তাকানোর সময়ই নেই অমিত শাহদের। দেশজুড়ে যুবসমাজ নানা সমস্যায় দীর্ণ। চাকরি নেই, ব্যবসা নেই, উৎপাদন নেই, শিক্ষার প্রসার নেই। আর এসব নিয়ে কোনও কথা নেই, আলোচনা নেই সংসদেও। মাঝে মাঝে মহামান্য অর্থমন্ত্রী কিছু ঘোষণা করছেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। অর্থনীতি জাগছে না। পুরো সরকারটা মজে আছে শুধু ধর্ম আর তার ভিত্তিতে অবিশ্বাস, ঘৃণা ও বিদ্বেষের মিথ্যে বাতাবরণ তৈরি করতে। মানুষের ধর্ম আর বিশ্বাসকে সম্বল করে ভোট বৈতরণী পার হওয়ার স্বপ্ন বিজেপির মজ্জাগত। আর, পশ্চিমবঙ্গে দেশভাগের আগুন, সব হারানো মানুষের আর্তনাদ আজ সাত দশক পরেও ঘোর বাস্তব। শিশু কোলে শরণার্থী এরাজ্যের মানুষের স্মৃতিতে টাটকা। তাই এনআরসি এবং নাগরিকত্ব বিলের আড়ালে হিন্দুদের মনে সেই দেশভাগের স্মৃতিকে উস্কে হিন্দু ভোটকে নিজেদের পদ্মফুল প্রতীকের দিকে টানার জঘন্য খেলা শুরু হয়েছে। লক্ষ্য, বিধানসভা ভোট। এই আগুন
নিয়ে খেলা বন্ধ করতে না-পারলে এরাজ্যও অন্ধকারে ডুবে যাবে। বিভেদ আর চূড়ান্ত ধর্মীয় মেরুকরণ আখেরে মূল সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ারই চেষ্টা। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে রাজ্যকে দ্বিখণ্ডিত করার পর তাই বিজেপির পরবর্তী লক্ষ্য গোটা উত্তর-পূর্বের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গও। আর, বিজেপির এই সাম্প্রদায়িক দাপাদাপি থামাতে পারেন একমাত্র মা-মাটি-মানুষের নেত্রীই।
বাংলায় সিপিএমের দিন গিয়েছে অনেকদিন হল। জাতীয় রাজনীতিতেও বামেদের আর তাৎপর্য নেই। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যপাট হারানোর পর বামেদের সেই যে ভোটব্যাঙ্কের ক্ষয় শুরু হয়েছে তা অতি সম্প্রতি রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও জারি আছে আমরা দেখলাম। কংগ্রেসের অবস্থা আরও করুণ। কার্যত দু’দলই এরাজ্যে অস্তিত্বের তীব্র সঙ্কটে ভুগছে। জোট করেও একে অপরকে জাগাতে পারছে না। নেতৃত্বের সঙ্কটের কারণে জাতীয় স্তরেও কংগ্রেসের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে জোট করে এরাজ্যে সিপিএম-কংগ্রেস দু’তরফেরই ভরাডুবি হয়। ভুললে চলবে না, তখনও বিজেপি এত প্রবলভাবে রাজ্য-রাজনীতিতে মাথা তোলেনি। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফল সংসদীয় রাজনীতিটাকেই চূড়ান্ত একপেশে করে দিয়েছে। বামেদের কার্যত সংসদে দূরবিন দিয়েও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সংখ্যার বিচারে কংগ্রেস আর তেমন কোনও চ্যালেঞ্জ দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। এর বাইরে অধিকাংশ দলই চূড়ান্ত সংশয় ও দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে। যার জেরে লোকসভা তো বটেই রাজ্যসভাতেও বিজেপিকে কোনও বিল পাশ করাতে আর বেগই পেতে হচ্ছে না। বিতর্কের মানও অত্যন্ত দুর্বল। আরও কত কী যে হতে পারে, আগামী পাঁচবছর তা একমাত্র মোদি-অমিত শাহই জানেন। গত মে মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক বিতর্কিত বিল আইনে পরিণত করে চলেছেন মোদি-শাহ জুটি। তাঁদের যেন বিরাম বিশ্রাম নেওয়ার অবকাশই নেই! লোকসভা তো বটেই রাজ্যসভাও এখন পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে। তাই সংসদে বিল পাশ করানো এখন আর কোনও চিন্তার বিষয়ই নয়। তবে, সরকারেরও মনে রাখা দরকার যে ঘৃণা ছড়িয়ে কিন্তু শেষরক্ষা সম্ভব নয়। পাকিস্তান ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল বলেই তার অগ্রগতি ও সামগ্রিক বিকাশ ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের মতো হয়নি। ধর্ম, সম্প্রদায়কে অন্তরাত্মা করলে কোনও রাষ্ট্রই এগতে পারে না। এবার বিজেপি যদি ভারতকে একটি ‘হিন্দু-পাকিস্তান’-এ পরিণত করার কথা ভেবে থাকে তবে ভুলই করবে। এই উন্নত বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলার যে পরিসর আমরা অনেক কষ্টে তৈরি করেছি, পরিণামে, সেটুকুও হারাব। আত্মহত্যা কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের ‘চয়েস’ হতে পারে না।
এনআরসি দেশ গড়ার পথ, নাকি ক্ষমতায় পৌঁছনোর ইস্যু
তন্ময় মল্লিক

পরিবর্তনই জীবনের বৈশিষ্ট্য। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় সবকিছুই। কিন্তু পরিবর্তনের এই ধারায় সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছে রাজনীতির অভিমুখ ও উপাদান। একটা সময় রাজনীতিতে সাফল্য লাভের প্রধান উপাদান ছিল উন্নয়ন। এখন রাজনীতিতে সাফল্য লাভের উপাদান জবরদস্ত ইস্যু। ইস্যু তৈরি করতে পারলেই কেল্লা ফতে। 
বিশদ

14th  December, 2019
বৈধ-অবৈধ নাগরিক কথা
সমৃদ্ধ দত্ত

পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তান থেকে ভারতে চলে আসার পর মানুষদের কী অবস্থা সে সব আমরা খুব বেশি জানি না। আমরা বাঙালিরা জানি বাংলাদেশ সম্পর্কে। কারণ, বাংলাদেশ আমাদের পাশের দেশ। সুতরাং নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে যে প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়া দরকার সেগুলি বাংলাদেশ সংক্রান্ত হওয়াই বাঞ্ছনীয়।  
বিশদ

13th  December, 2019
এনকাউন্টার, আইন এবং ন্যায়বিচার
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

জাস্টিস ইজ ডান। নীচে একটা স্মাইলি... প্ল্যাকার্ডে লেখা বলতে শুধু এটাই। কোনও কায়দা নেই। নেই রাজনীতির রং। নেহাতই সাদা কাগজে মোরাদাবাদের স্কুলের ছাত্রীদের হাতে লেখা কাগজগুলো বলছে, এবার হয়তো আমরা নিরাপদ হব।
বিশদ

10th  December, 2019
আর ক’জন ধর্ষিতা হলে রামরাজ্য পাব
সন্দীপন বিশ্বাস 

রাত অনেক হল। মেয়েটি এখনো বাড়ি ফেরেনি। কোথাও আটকে গিয়েছে। অনেক লড়াই করে, পুরুষের সঙ্গে পাশাপাশি ঘাম ঝরিয়ে তাকে বেঁচে থাকতে হয়। বাড়িতে বাবা-মা অস্থির হয়ে ওঠেন।  বিশদ

09th  December, 2019
অর্থনীতিবিদদের ছাড়াই অর্থনীতি
পি চিদম্বরম

প্রত্যেকেই অর্থনীতিবিদ। যে গৃহবধূ পরিবার সামলানোর বাজেট তৈরি করেন, তাঁকে থেকে শুরু করে একজন ডেয়ারি মালিক যিনি দুধ বিক্রির জন্য গোদোহন করেন এবং একজন ছোট উদ্যোগী যিনি বড় নির্মাণ ব্যবসায়ীর জন্য যন্ত্রাংশ তৈরি করেন, সকলেই এই গোত্রে পড়েন।  বিশদ

09th  December, 2019
বাজার আগুন, বেকারত্ব লাগামছাড়া,
শিল্পে মন্দা, সরকার মেতে হিন্দুরাষ্ট্রে
হিমাংশু সিংহ

 দেশভাগ, শরণার্থীর ঢল, বার বার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা আর অভিশাপের মাশুল এই বাংলা বড় কম দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, সাবেক পূর্ববঙ্গের শত শত নিরাশ্রয় মানুষকে নিজের বুকে টেনে নিতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সঙ্কট। বদলে গিয়েছে গোটা রাজ্যের জনভিত্তি।
বিশদ

08th  December, 2019
বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুর প্রাপ্য অধিকার
জিষ্ণু বসু

 কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা বলেছেন। চলতি অধিবেশনেই হয়তো পাশ হবে ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব সংশোধনী। এটি আইনে রূপান্তরিত হলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান ও পারসিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাবেন।
বিশদ

08th  December, 2019
কর্পোরেটদের যথেষ্ট সুবিধা দিলেও অর্থনীতির বিপর্যয় রোধে চাহিদাবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ
দেবনারায়ণ সরকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থে ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ কিন্তু কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতীয় অর্থনীতির চরম বেহাল অবস্থার বাস্তবতা সর্বদা চাপা দিতে ব্যস্ত। 
বিশদ

07th  December, 2019
অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। 
বিশদ

06th  December, 2019
সার্ভিল্যান্স যুগের প্রথম পরীক্ষাগার উইঘুর সমাজ
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সংবাদ মানেই তো যেন সাফল্যের খবর। সমুদ্রের উপর ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহণ বিমান তৈরি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া উদ্ভাবন, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ...। মিহিরগুল তুরসুনের ‘গল্প’ সেই তালিকায় খুঁজেও পাবেন না। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে মিহিরগুল মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। 
বিশদ

06th  December, 2019
আর ঘৃণা নিতে পারছে না বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

 এটাই বোধহয় আমার শোনা প্রথম কোনও ছড়া। আজও ভুলতে পারিনি। শ্রবণ। দর্শন। স্পর্শ। প্রথম অনেক জিনিসই ভোলা যায় না। জীবনের উপান্তে পৌঁছেও সেসব অনুভবে জেগে থাকে অনেকের। কোনোটা বয়ে বেড়ায় সুখানুভূতি, কোনোটা বেদনা। এই ছড়াটি আমার জীবনে তেমনই একটি। যখন প্রথম শুনেছি তখন নিতান্তই শিশু। বিশদ

05th  December, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

03rd  December, 2019
একনজরে
 শিলং, ১৪ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল উত্তর-পূর্ব ভারত। আন্দোলন চলছে পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যেও। এরমধ্যে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। শুক্রবার ট্যুইটারে তাঁর বার্তা, আপনি যদি বিভেদকামী গণতন্ত্র না চান, তাহলে আপনার উত্তর কোরিয়া ...

 ওয়াশিংটন, ১৪ ডিসেম্বর (পিটিআই): ‘আমার কোনও দোষ নেই। তবু আমাকে ইমপিচ করা হচ্ছে। এটা অন্যায়।’ শুক্রবার ট্যুইটারে এভাবেই ইমপিচমেন্ট বিতর্কে ক্ষোভ উগরে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেসের জুডিশিয়ারি কমিটি ট্রাম্পের ‘অপসারণ’ অনুমোদন করে দেওয়ায় তা এখন হাউস অব ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: জমির রেকর্ড নিজের নামে না থাকায় চাষিদের অনেকেই বুলবুলের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এনিয়ে কৃষক মহলে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষক সংগ্রাম পরিষদ।   ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নোটবন্দির ফাঁদে রাজ্যের বহু আদালত। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আদালতে জমা থাকা পুরনো ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা না করায় এমনই জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক চা দিবস
১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,
১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী রঙ্গনাথানন্দের জন্ম,
১৯৫০- সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মৃত্যু,
১৯৭৬- ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়ার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৮০ টাকা ৭১.৪৯ টাকা
পাউন্ড ৯৩.৪৩ টাকা ৯৬.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.৪৪ টাকা ৮০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৪৫৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭, ০৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ২/৪৫ দিবা ৭/১৮ পরে চতুর্থী ৫৮/২৫ শেষরাত্রি ৫/৩৫। পুষ্যা ৫৪/৩০ রাত্রি ৪/১। সূ উ ৬/১২/৩৫, অ ৪/৫০/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৪ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫২ গতে ২/৪২ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩০ গতে ৯/১৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/১২ গতে ১২/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১ গতে ২/৫১ মধ্যে। 
২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৫/৩৫/৫৭ দিবা ৮/২৮/৫০। পুনর্বসু ১/১৯/৩২ প্রাতঃ ৬/৪৬/১৬ পরে পুষ্যা ৫৮/৫৩/৩৭ শেষরাত্রি ৫/৪৭/৫৪, সূ উ ৬/১৪/২৭, অ ৪/৫০/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১২/১ গতে ২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/২৬ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ১/৫৪ মধ্যে ও ২/৪৭ গতে ৬/১৫ মধ্যে, কালবেলা ১১/৩২/২৬ গতে ১২/৫১/৫৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১/৫৬ গতে ২/৫৩/২৬ মধ্যে। 
মোসলেম: ১৭ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা মিলবে। বৃষ: ব্যবসা শুরু করলে ভালো হবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
 আন্তর্জাতিক চা দিবস১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ...বিশদ

07:03:20 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জিতল 

09:55:39 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩২/২ (৪০ ওভার) 

09:12:17 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬১/১ (৩০ ওভার) 

08:23:30 PM

মাথাভাঙায় জলাশয় থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার 

08:10:00 PM