Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এনআরসি দেশ গড়ার পথ, নাকি ক্ষমতায় পৌঁছনোর ইস্যু
তন্ময় মল্লিক

পরিবর্তনই জীবনের বৈশিষ্ট্য। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় সবকিছুই। কিন্তু পরিবর্তনের এই ধারায় সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছে রাজনীতির অভিমুখ ও উপাদান। একটা সময় রাজনীতিতে সাফল্য লাভের প্রধান উপাদান ছিল উন্নয়ন। এখন রাজনীতিতে সাফল্য লাভের উপাদান জবরদস্ত ইস্যু। ইস্যু তৈরি করতে পারলেই কেল্লা ফতে। আর ইস্যু তৈরিতে গেরুয়া শিবিরের জুড়ি মেলা ভার। এই মুহূর্তে বিজেপি নেতৃত্ব এনআরসির মতো জবরদস্ত ইস্যুকে সামনে এনে বিরোধী দলগুলির তো বটেই, কোটি কোটি ভারতবাসীর নজর একটা বিন্দুতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে রাস্তাঘাট, পাড়ার মোড় সর্বত্র একটাই আলোচনা, এনআরসি। অক্ষরজ্ঞানের আলো যাঁদের মধ্যে প্রবেশ করেনি, তাঁরাও বুঝে গিয়েছেন এনআরসির অর্থ। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর সেই চর্চা আরও বেড়েছে।
হরি হালদার অত্যন্ত ছাপোষা মানুষ। শিলিগুড়ি শহরের রাস্তাঘাটে বাদাম বিক্রি করে সংসার চালান। থাকেন শিলিগুড়ির আশিনগরে। আগে থাকতেন উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায়। এনআরসির কথা তুলতেই মুখ কাঁচুমাঁচু। বলেন, কাগজপত্র চোপড়ায় দাদাদের কাছে আছে বোধহয়। তবে, সবটাই ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছি। বেশি ভাবলেই কেমন যেন...। কথা শেষ না করেই ‘বাদাম চাই, বাদাম’ হাঁক দিয়ে সরে গেলেন।
উত্তর দিনাজপুরে মাটিকুন্ডা ১ পঞ্চায়েতের নতুন ডাঙাপাড়ার হালিমুদ্দিন শেখ বলেন, এদেশেই জন্মেছি... আর এখন প্রমাণ দিতে হবে, আমরা এদেশের নাগরিক! এটা ভাবা যায়? তবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এরাজ্যে এনআরসি হবে না। আমরা ওঁর ভরসাতেই আছি।
রাজ্যের উপনির্বাচনে বিজেপি পর্যুদস্ত হওয়ায় কাঠগড়ায় এনআরসি। উপনির্বাচনে এনআরসি অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর। কিন্তু, সেটাই প্রধান কারণ নয়। কালিয়াগঞ্জের ক্ষেত্রে কথাটা খাটলেও করিমপুর এবং খড়্গপুরে তৃণমূলের সাফ঩ল্যের জন্য শুধু এনআরসিকে নম্বর দিলে ভুল হবে। এনআরসি মূল ফ্যাক্টর হলে করিমপুরে বিজেপির ভোট কিছুতেই বাড়ত না। তাই কেবল এনআরসির দিকে আঙুল তুললে গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক লাভ ষোলো আনা।
এই মুহূর্তে দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা বোঝার জন্য অ্যাডাম স্মিথের ‘ওয়েল্থ অব নেশনস’ পড়ার দরকার নেই। মানুষ টের পাচ্ছে, সংসারের বোঝা দিন দিন হিমালয় হয়ে যাচ্ছে। উপলব্ধি করছে, ‘আচ্ছে দিন’ শুধুই স্লোগান। ১৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ ১৫০ টাকা ছুঁয়েছে। ৫০০ টাকা কেজির পোস্ত ১৪০০ টাকা ছুঁয়ে সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছে। বেকারি, রেলের মাশুল বৃদ্ধি, পেট্রল-ডিজেল, পেঁয়াজ, পোস্তর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মানুষের জ্বলুনির অন্ত নেই। তবে, এসব কিছুর দহন ঢেকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এনআরসিকে ময়দানে নামানো হয়েছে।
হ্যাঁ, এটাই কৌশল। ইস্যু তৈরির কৌশল। বিজেপির ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ অমিত শাহ বারবার বলছেন, এনআরসি হবেই। তাঁর যুক্তি, দেশকে মজবুত করতে গেলে এনআরসিই পথ। অমিত শাহ খুব ভালো করেই জানেন, বোতলবন্দি দৈত্যকে ছেড়ে দিলে তাকে সামলাতেই সকলে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। তাকে ঘিরেই আবর্তিত হবে রাজনীতি। এনআরসি কোনও ইস্যুকেই দানা বাঁধতে দেবে না।
রাহুল সিন্হা বাদে বঙ্গ বিজেপির প্রায় সকল নেতা উপনির্বাচনে বিপর্যয়ের জন্য এনআরসির দিকে আঙুল তুলেছেন। বলছেন, এনআরসি নিয়ে তৃণমূল মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে।
অনেকেই বলছেন, উপনির্বাচনে খারাপ ফলের জন্য এনআরসিকে বড় করে দেখানোটা বিজেপির একটা কৌশল। কারণ এনআরসিকে ‘ভিলেন’ বানাতে পারলেই এক ঢিলে দু’টি পাখি মরবে। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে বেশি চর্চা হবে না। আবার আলোচিত হবে না সংশোধন প্রক্রিয়ার ফলে তৃণমূলের ঘুরে দাঁড়ানোর কারণগুলি।
গেরুয়া শিবিরের এক তাত্ত্বিক নেতা এখনও ২০২১ সালে এরাজ্যে ভালো ফল করা নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। তাঁর কথায়, এখন যাঁরা এনআরসি নিয়ে লম্ফঝম্ফ করছেন, বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরাই চোখে সর্ষে ফুল দেখবেন। কারণ আতঙ্ক দূর করার দাওয়াই আছে অমিতজির ঝুলিতেই।
বিজেপির ওই নেতার কথা শুনে বহু বছর আগের একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। রাজ্যে তখন বামশাসনের স্বর্ণযুগ। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় সিপিএম আর তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াই লেগেই থাকত। সিপিএমের এক হার্মাদ নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানায় তৃণমূল বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। বিক্ষোভের পাশাপাশি শুরু হল রাস্তা অবরোধ। অবরোধ তুলতে গিয়ে অফিসার আচমকা লাঠিচার্জ করায় একটি ছেলের মাথা ফেটে গেল। উত্তেজনা চরমে। দাবি বদলে গেল, অভিযুক্ত পুলিস অফিসারের শাস্তি চাই। বিক্ষোভ জোরদার হল। শুরু হল ভাঙচুর। বারাকপুর থেকে এক অফিসার বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেই চারদিক দেখে নিলেন। চোখের ইশারায় পজিশন নিল পুলিস। তারপর লাঠি উঁচিয়ে রে রে করে তেড়ে গেল। সামনে যাকে পেল, তাকেই গাড়িতে তুলল। মুহূর্তে এলাকা ফাঁকা।
কিছুক্ষণ পর তৃণমূলের এক নেতা দু’-একজনকে নিয়ে থানায় গিয়ে ওই অফিসারকে বললেন, যাদের ধরেছেন, তারা নির্দোষ। দয়া করে ছেড়ে দিন। অফিসার বললেন, ‘কেস দিয়ে সবাইকে কোর্টে চালান করে দেব। ইয়ার্কি হচ্ছে! পুলিসের সঙ্গে মস্তানি।’ তখন সকলে হাতজোড় করে বলেন, স্যার, দয়া করে ছেড়ে দিন। আর এরকম হবে না। অফিসার বললেন,‘এলাকা যেন একদম ফাঁকা হয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক পর মুচলেকা দিয়ে বাড়ি ফিরে যাবে।’ নেতা সহ সকলেই পুলিস অফিসারকে ‘থ্যাঙ্ক ইউ স্যার, থ্যাঙ্ক ইউ স্যার’ বলে গদগদ চিত্তে বিদায় নিলেন।
নেতা যেতেই অফিসার চায়ের অর্ডার দিয়ে মুচকি হেসে বললেন, দেখলেন, কী ভাবে সিচ্যুয়েশন কন্ট্রোল করলাম। ওরা যে দাবি নিয়ে আন্দোলন করছিল, সেটাই ভুলে গেল। এখন লোকজনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারলে বাঁচে। ওরা মার খেল, মাথা ফাটল, রক্ত ঝরল। আবার ‘থ্যাঙ্ক ইউ স্যার’ বলে গেল। জেলের আতঙ্ক তৈরি করতে না পারলে থামানোই কঠিন হতো।
প্রশাসনই হোক, আর রাজনীতিই হোক, কৌশলটাই আসল। প্রয়াত অনিল বিশ্বাস দেখিয়ে গিয়েছেন, জনপ্রিয়তার তলানিতে পৌঁছেও স্রেফ কৌশলে কীভাবে ক্ষমতায় থাকা যায়। ২০০১ সালে ভাঙনের মুখে অনিলবাবু দলের ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের আলিমুদ্দিনে ডেকে বলেছিলেন, ক্ষমতাচ্যুত হলে তাঁদের তৃণমূল কী হাল করে ছাড়বে! দোদুল্যমান নেতাদের আতঙ্কিত করে তিনি এককাট্টা করেছিলেন। তা না হলে ২০০১ সালেই ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতো।
আবার কৌশলী না হলে উন্নয়ন করে, চাকরি দিয়েও ক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার উদাহরণ সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের সরকার। প্রচুর চাকরি দিয়ে, উন্নয়ন করেও পাঁচ বছরের বেশি টিকতে পারেনি। নিজের দ্বন্দ্ব, মারামারি রুখতে মূলত সিদ্ধার্থশঙ্করবাবুর পরামর্শে জরুরি অবস্থা জারি করেও নয়। উল্টে জরুরি অবস্থার জন্যই কংগ্রেসকে গোটা দেশ থেকে সমূলে উৎখাত হতে হয়েছিল। সুতরাং ক্ষমতায় টিকে থাকার শর্ত, হতে হবে কৌশলী।
২০২১ সালে এরাজ্যের নির্বাচনে এনআরসিই প্রধান ইস্যু হতে চলেছে। বিশেষ করে উপনির্বাচনের এই ফলাফলের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী সকলেই এনআরসিকে মূল হাতিয়ার করতে চাইবেন। কিন্তু, একটা কথা মনে রাখতে হবে, দৈত্য যত ভয়ঙ্করই হোক, সে মালিকের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। কারণ দৈত্য মালিকের কেনা গোলাম।
অনেকেই বলছেন, এনআরসি নিয়ে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ জুটির রয়েছে নিখুঁত পরিকল্পনা। চেষ্টা করলে অনুপ্রবেশ ঠেকানো হয়তো সম্ভব। কিন্তু, লক্ষ লক্ষ মানুষকে ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ রাখা বা তাদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব নয়। এটা তাঁরা খুব ভালো করেই বোঝেন। তবুও এনআরসির কথাই বলছেন। কারণ তাঁরা বিরোধীদের এনআরসি ইস্যুতেই বেঁধে রাখতে চাইছেন। তাঁরা মনে করছেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলই হবে তাঁদের তুরুপের তাস। ওই বিলে শুধু আতঙ্কের ক্ষতে মলমের ব্যবস্থাই নেই, আছে বিরোধীদের ঘায়েলের অস্ত্রও।
তাঁরা মনে করছেন, সংশোধনী বিলের যারা বিরোধিতা করবে, মুসলিম ছাড়া সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে তাদের ‘ভিলেন’ বানানো সহজ হবে। এরাজ্যে তারা বলবে, তৃণমূল শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চায় না বলেই বিলের বিরোধিতা করছে। এনআরসি আতঙ্কে ভোগা মানুষের একটা বড় অংশ বিজেপির প্রচার বিশ্বাসও করবে। কথায় আছে, চাচা আপন প্রাণ বাঁচা। আর তখনই অমিত শাহের এনআরসি ইস্যু বৃত্ত সম্পূর্ণ করবে।
যে কায়দায় পুলিস নিরীহদের হাজতে ভরে আতঙ্ক তৈরির পর মুক্তি দিয়ে ‘থ্যাঙ্ক ইউ স্যার’ পায়, একইভাবে এনআরসি আতঙ্ক থেকে মুক্তি দিয়ে মোদি-অমিত শাহ জুটি ‘স্যালুট’ কুড়াবেন। আর তখন বিরোধীরা সরকার বিরোধী ইস্যু তৈরি করতে নাকানি চোবানি খাবে। তাই এনআরসি স঩ত্যিই দেশ গড়ার পথ, নাকি ক্ষমতায় পৌঁছনোর ইস্যু, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। মনে রাখতে হবে, ছলনা শুধু দুর্জনের অস্ত্র নয়, রাজনীতির কৌশলও। 
14th  December, 2019
রাজনৈতিক স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গে
আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ হোক
হিমাংশু সিংহ

 শনিবার যখন এই লেখা লিখছি তখনও চারদিক থেকে গণ্ডগোল, অবরোধ, আগুন লাগানোর খবর আসছে। নাগরিক বিল নিয়ে এককথায় রাজ্য উত্তাল। কিন্তু এই অশান্তি কোনওমতেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে তাই মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন মেনে হাঙ্গামায় প্ররোচনা দেওয়া বন্ধ হোক।
বিশদ

বৈধ-অবৈধ নাগরিক কথা
সমৃদ্ধ দত্ত

পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তান থেকে ভারতে চলে আসার পর মানুষদের কী অবস্থা সে সব আমরা খুব বেশি জানি না। আমরা বাঙালিরা জানি বাংলাদেশ সম্পর্কে। কারণ, বাংলাদেশ আমাদের পাশের দেশ। সুতরাং নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে যে প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়া দরকার সেগুলি বাংলাদেশ সংক্রান্ত হওয়াই বাঞ্ছনীয়।  
বিশদ

13th  December, 2019
এনকাউন্টার, আইন এবং ন্যায়বিচার
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

জাস্টিস ইজ ডান। নীচে একটা স্মাইলি... প্ল্যাকার্ডে লেখা বলতে শুধু এটাই। কোনও কায়দা নেই। নেই রাজনীতির রং। নেহাতই সাদা কাগজে মোরাদাবাদের স্কুলের ছাত্রীদের হাতে লেখা কাগজগুলো বলছে, এবার হয়তো আমরা নিরাপদ হব।
বিশদ

10th  December, 2019
আর ক’জন ধর্ষিতা হলে রামরাজ্য পাব
সন্দীপন বিশ্বাস 

রাত অনেক হল। মেয়েটি এখনো বাড়ি ফেরেনি। কোথাও আটকে গিয়েছে। অনেক লড়াই করে, পুরুষের সঙ্গে পাশাপাশি ঘাম ঝরিয়ে তাকে বেঁচে থাকতে হয়। বাড়িতে বাবা-মা অস্থির হয়ে ওঠেন।  বিশদ

09th  December, 2019
অর্থনীতিবিদদের ছাড়াই অর্থনীতি
পি চিদম্বরম

প্রত্যেকেই অর্থনীতিবিদ। যে গৃহবধূ পরিবার সামলানোর বাজেট তৈরি করেন, তাঁকে থেকে শুরু করে একজন ডেয়ারি মালিক যিনি দুধ বিক্রির জন্য গোদোহন করেন এবং একজন ছোট উদ্যোগী যিনি বড় নির্মাণ ব্যবসায়ীর জন্য যন্ত্রাংশ তৈরি করেন, সকলেই এই গোত্রে পড়েন।  বিশদ

09th  December, 2019
বাজার আগুন, বেকারত্ব লাগামছাড়া,
শিল্পে মন্দা, সরকার মেতে হিন্দুরাষ্ট্রে
হিমাংশু সিংহ

 দেশভাগ, শরণার্থীর ঢল, বার বার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা আর অভিশাপের মাশুল এই বাংলা বড় কম দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, সাবেক পূর্ববঙ্গের শত শত নিরাশ্রয় মানুষকে নিজের বুকে টেনে নিতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সঙ্কট। বদলে গিয়েছে গোটা রাজ্যের জনভিত্তি।
বিশদ

08th  December, 2019
বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুর প্রাপ্য অধিকার
জিষ্ণু বসু

 কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা বলেছেন। চলতি অধিবেশনেই হয়তো পাশ হবে ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব সংশোধনী। এটি আইনে রূপান্তরিত হলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান ও পারসিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাবেন।
বিশদ

08th  December, 2019
কর্পোরেটদের যথেষ্ট সুবিধা দিলেও অর্থনীতির বিপর্যয় রোধে চাহিদাবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ
দেবনারায়ণ সরকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থে ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ কিন্তু কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতীয় অর্থনীতির চরম বেহাল অবস্থার বাস্তবতা সর্বদা চাপা দিতে ব্যস্ত। 
বিশদ

07th  December, 2019
অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। 
বিশদ

06th  December, 2019
সার্ভিল্যান্স যুগের প্রথম পরীক্ষাগার উইঘুর সমাজ
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সংবাদ মানেই তো যেন সাফল্যের খবর। সমুদ্রের উপর ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহণ বিমান তৈরি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া উদ্ভাবন, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ...। মিহিরগুল তুরসুনের ‘গল্প’ সেই তালিকায় খুঁজেও পাবেন না। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে মিহিরগুল মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। 
বিশদ

06th  December, 2019
আর ঘৃণা নিতে পারছে না বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

 এটাই বোধহয় আমার শোনা প্রথম কোনও ছড়া। আজও ভুলতে পারিনি। শ্রবণ। দর্শন। স্পর্শ। প্রথম অনেক জিনিসই ভোলা যায় না। জীবনের উপান্তে পৌঁছেও সেসব অনুভবে জেগে থাকে অনেকের। কোনোটা বয়ে বেড়ায় সুখানুভূতি, কোনোটা বেদনা। এই ছড়াটি আমার জীবনে তেমনই একটি। যখন প্রথম শুনেছি তখন নিতান্তই শিশু। বিশদ

05th  December, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

03rd  December, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নোটবন্দির ফাঁদে রাজ্যের বহু আদালত। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আদালতে জমা থাকা পুরনো ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা না করায় এমনই জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ...

 ওয়াশিংটন, ১৪ ডিসেম্বর (পিটিআই): ‘আমার কোনও দোষ নেই। তবু আমাকে ইমপিচ করা হচ্ছে। এটা অন্যায়।’ শুক্রবার ট্যুইটারে এভাবেই ইমপিচমেন্ট বিতর্কে ক্ষোভ উগরে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেসের জুডিশিয়ারি কমিটি ট্রাম্পের ‘অপসারণ’ অনুমোদন করে দেওয়ায় তা এখন হাউস অব ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে শনিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। গড়ফার কাছে সকাল থেকে অবরোধের পর আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল অন্তত ...

 শিলং, ১৪ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল উত্তর-পূর্ব ভারত। আন্দোলন চলছে পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যেও। এরমধ্যে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়। শুক্রবার ট্যুইটারে তাঁর বার্তা, আপনি যদি বিভেদকামী গণতন্ত্র না চান, তাহলে আপনার উত্তর কোরিয়া ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক চা দিবস
১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,
১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী রঙ্গনাথানন্দের জন্ম,
১৯৫০- সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মৃত্যু,
১৯৭৬- ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়ার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৮০ টাকা ৭১.৪৯ টাকা
পাউন্ড ৯৩.৪৩ টাকা ৯৬.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.৪৪ টাকা ৮০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৪৫৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭, ০৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ২/৪৫ দিবা ৭/১৮ পরে চতুর্থী ৫৮/২৫ শেষরাত্রি ৫/৩৫। পুষ্যা ৫৪/৩০ রাত্রি ৪/১। সূ উ ৬/১২/৩৫, অ ৪/৫০/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৪ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫২ গতে ২/৪২ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩০ গতে ৯/১৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/১২ গতে ১২/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১ গতে ২/৫১ মধ্যে। 
২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৫/৩৫/৫৭ দিবা ৮/২৮/৫০। পুনর্বসু ১/১৯/৩২ প্রাতঃ ৬/৪৬/১৬ পরে পুষ্যা ৫৮/৫৩/৩৭ শেষরাত্রি ৫/৪৭/৫৪, সূ উ ৬/১৪/২৭, অ ৪/৫০/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১২/১ গতে ২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/২৬ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ১/৫৪ মধ্যে ও ২/৪৭ গতে ৬/১৫ মধ্যে, কালবেলা ১১/৩২/২৬ গতে ১২/৫১/৫৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১/৫৬ গতে ২/৫৩/২৬ মধ্যে। 
মোসলেম: ১৭ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা মিলবে। বৃষ: ব্যবসা শুরু করলে ভালো হবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
 আন্তর্জাতিক চা দিবস১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ...বিশদ

07:03:20 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জিতল 

09:55:39 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩২/২ (৪০ ওভার) 

09:12:17 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬১/১ (৩০ ওভার) 

08:23:30 PM

মাথাভাঙায় জলাশয় থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার 

08:10:00 PM