Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অথৈ সাগর
বারিদবরণ ঘোষ

কোন সুকৃতিবলে আমরা পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মশায়ের দ্বিশতজন্মবর্ষে জীবিত রয়েছি, তা আমি জানি না। তাঁর জীবন সাধারণ জীবনের অতিরিক্ত এক পরাজীবন, তাঁর উপস্থিতি বিশ্বকে শুদ্ধ ও কর্মোদ্যোগী রেখেছে। যাবতীয় আবর্জনা দূরীকরণ তাঁর জীবনের লক্ষ্য এবং সিদ্ধিঅর্জন তাঁর সাধনা। তিনি এক বহুবর্ণের কাচখণ্ডের সমাহার, ইংরেজিতে যাকে বলে ক্যালাইডোস্কোপ— যিনি তাঁকে যে বর্ণে ও ভাবে দেখতে চান— তিনি সেভাবেই দেখতে পারেন। শাস্ত্রানুসন্ধানী পণ্ডিত, বুদ্ধিজীবী সামাজিক, বিদ্যাজীবী শিক্ষক, শিক্ষাজীবী শিক্ষার্থী এমনকী যাঁদের আমরা সাধারণ মানুষ বা আম-আদমি বলি— তাঁদের কাছেও বিদ্যাসাগর আপনজন— বস্তুত এই সাধারণ মানুষের ভাবনায় তিনি অসাধারণ। বহুদিনের বাসনা ছিল এই সাধারণ মানুষের বিদ্যাসাগরকে একবার তাঁর সেই সাধারণ মানুষের জন্য উপস্থাপন করি।
বীরসিংহা গ্রামের ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামের কাছেই কোমরগঞ্জের হাটে কিছু সওদা করতে গিয়েছেন। তাঁর ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে তাঁর বাবা রামজয় তর্কভূষণ মশায়ের আর তর সইছে না। খবরটা দেওয়া যে বড্ড জরুরি। ওই তো ঠাকুরদাস— জোরে ডাকলেন, ঠাকুরদাস আজ আর কেনাকাটা করতে হবে না, তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে চল। আমাদের বাড়িতে একটা এঁড়ে বাছুরের জন্ম হয়েছে। ঠাকুরদাস বড় বড় পা ফেলে এগতে লাগলেন বাড়ির দিকে। ঘরে ঢুকেই সটান গোয়াল ঘরের দিকে এগিয়ে গেলেন তিনি— তিনি তো জানেনই বাড়ির গাভিন গাইটার দু’-একদিনের মধ্যে বাছুর হবে। বাবার কথা শুনে সেই কথাটাই আগে মনে হল— তাই গোয়াল ঘরের দিকে পা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
রামজয় হেঁকে বললেন— হতচ্ছাড়া, ওদিকে নয় এদিকে আয়। —বলে ঠাকুরদাসকে আঁতুড় ঘরের দিকটা দেখিয়ে দিলেন। হাটে যাওয়ার আগে ঠাকুরদাস দেখে গিয়েছিলেন স্ত্রী ভগবতীদেবী আঁতুড়ঘরে ঢুকেছেন— তাঁর আসন্নপ্রসবা স্ত্রী সন্তানের জন্ম দেবেন। রামজয় তাই মুচকি হেসে বললেন, এই দেখ বাড়ির এঁড়ে বাছুরটাকে। হারকিউলিস জন্মেই অজগরের মুণ্ডটা ছিঁড়ে নিয়েছিলেন, মধ্যম পাণ্ডব ভীমসেন জন্মের পরই মায়ের কোল থেকে পড়ে গিয়েছিলেন যে পাথরের চাঁইটার ওপরে— সেটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। অ্যাটলাস জন্মেই মহাজগৎটাকে কাঁধের ওপরে তুলে নিয়েছিলেন। বীরসিংহার আঁতুড় ঘরে যে শিশুটিকে জন্ম নিতে দেখলেন ঠাকুরদাস— তাকে দেখে বাবার কথাই সত্যি বলে মনে হল— এ ছেলেটা ঘাড় বেঁকিয়ে চলবে, মাথা মাটির দিকে নোয়াবে না, বাঁধ দিয়ে তাকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। সে বিপ্লব সৃষ্টি করবে না— সে যে নিজেই বিপ্লব। এমনই তাঁর গোঁ, এমনই সে নাছোড়বান্দা এক বৃষশিশু। সে মানুষ নয়, রামজয় আদর করে নাম রাখলেন ঈশ্বর— ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। নরলোকের ঈশ্বর! রামজয়ের মনে হয়েছিল শিশুটি ‘ঈশ্বরতুল্য’— তাই এই নামকরণ।
তারিখটা ছিল ১৭৪২ শকাব্দের ১২ আশ্বিন, বাংলা ১২২৭ সাল, ইংরেজি ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবারের দুপুরবেলা। দুপুরবেলা তো হতেই হবে— মধ্যাহ্নসূর্যের খরতাপ তাঁর প্রতিটি স্নায়ুতে। রাশি জানতে চান— রামজয় যখন এঁড়ে বাছুর বলেছেন— তখন বৃষরাশি তো হতেই হবে— আমরা জ্যোতিষ কী বলছে তা মানব না। ঈশ্বরচন্দ্রের একটাই রাশি কর্মরাশি, একটাই জন্মরাশি— বৃষ। দুশো বছর ধরে বাঙালি এবং বিশ্ব এই বৃষ-পূজক— বৃষের আরাধক।
ঈশ্বরচন্দ্র জন্মগ্রহণের কিছুক্ষণ পরেই তাঁর ঠিকুজি তৈরি করেন গ্রহাচার্য কেনারাম আচার্য।
রামজয় তর্কভূষণকে পাঠকদের তেমন করে জানার কথা নয়। না জানলে আবার ভুল হবে খুব। এমনকী রামজয়ের বাবা, বাবার বাবার কথাও জানা ভালো। যে বীরসিংহা গ্রামের এত নামডাক— সত্যি বলতে বিদ্যাসাগরের কারণেই, এঁরা তো সব সেই বীরসিংহার বাসিন্দা ছিলেন না আদপেই। রবি ঠাকুর জন্মেছিলেন বটে জোড়াসাঁকোয়— কিন্তু আদত বাড়ি তো এখনকার বাংলাদেশেই। অবিশ্যি এতসব প্রপিতামহ-বৃদ্ধ প্রপিতামহ বৃদ্ধ বৃদ্ধ পিতামহদের খোঁজে আমরা যাব না। আমরা বিদ্যাসাগরের প্রপিতামহ ভুবনেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়— বিদ্যালঙ্কার উপাধি ছিল তাঁর— তাঁকে দিয়েই বংশাবলির শুরু করতে চাই। তিনি ছিলেন তখনকার হুগলি জেলার বনকালীপুরের বাসিন্দা। তাঁর পাঁচটি সন্তান— সবাই পুত্রসন্তান। নাম— নৃসিংহরাম, গদাধর, রামজয়, পঞ্চানন এবং রামচরণ। তৃতীয় ছেলে রামজয়ই ঈশ্বরচন্দ্রের পিতামহ। বিয়ে করেছিলেন অধুনা মেদিনীপুরের বীরসিংহার উমাপতি তর্কসিদ্ধান্ত মশায়ের মেয়ে দুর্গাদেবীকে। ভুবনেশ্বর মারা গেলে রামজয়ের ভাইরা আর একত্র থাকলেন না— হয়তো সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণেই। রামজয়ের এসব ভালো লাগল না। সংসার করা ঝকমারি ভেবে তিনি বিবাহ করেও প্রায় সন্ন্যাসী হয়ে দেশত্যাগ করে কোথায় কোথায় যে ঘুরে বেড়ালেন তার পাত্তা নেই।
কিন্তু তার আগেই দুর্গাদেবী পাঁচ পুত্রকন্যার জননী হয়ে গিয়েছেন। রামজয়— তাঁর স্বামী বিবাগী-শ্বশুরবাড়িতে থাকা তাঁর পক্ষে বিষময় হয়ে উঠেছিল। তাই বাপের বাড়ির আশ্রয়কেই সম্বল করে বনমালীপুর ছেড়ে চলে এলেন বীরসিংহাতে। কিছুকাল পরে রামজয়ের সুমতি হল, তিনি ছদ্মবেশে বনমালীপুরে গিয়ে দেখেন দুর্গাদেবী নেই— তল্লাশ করে বীরসিংহায় এলেন। একটি সন্তান তাঁকে চিনতে পারলেন আর তাতেই ঈশ্বরচন্দ্রের ঠাকুরদা বীরসিংহার বাসিন্দা হয়ে গেলেন। হুগলির লোক এলেন মেদিনীপুরে— সত্যি বলতে কী বীরসিংহা আগে হুগলি জেলারই মধ্যে ছিল— বড়লাট জর্জ কাম্বেলের (১৮৭১-১৮৭৪) সময়ে এটা মেদিনীপুরের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮২০ সালে জাত ঈশ্বরচন্দ্র তাই আদতে হুগলি জেলারই লোক। বীরসিংহা কলকাতা থেকে ২৬ ক্রোশ— ৫২ মাইল— প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূর। কলকাতা থেকে জলপথে এই গ্রামে আসতে হলে গঙ্গা, রূপনারায়ণ নদ প্রভৃতি পার হয়ে আসতে হতো। গ্রামটি ঘাটাল থেকে আড়াই ক্রোশ অর্থাৎ পাঁচ মাইল বা আট কিলোমিটার। রামজয় এই গ্রামে বাস করতে লাগলেন সপরিবারে— তবে শ্বশুরমশায় তো বেঁচে নেই, নইলে বলতাম— ঘরজামাই। তবে এটা স্বীকার করতে হবে— রামজয় এখন প্রযত্নে দুর্গাদেবী। (ক্রমশ) 
01st  December, 2019
আজও তারা জ্বলে
পর্ব-৩ 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়-তৃতীয় কিস্তি। 
বিশদ

অথৈ সাগর 
বারিদবরণ ঘোষ

আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। 
বিশদ

কন্যে কথন
নিয়তি রায়চৌধুরী 

—তোমার সঙ্গে একটা কথা আছে মা।
—আবার কী হল? রুমির একটা কথা মানে একশোটি কথার বাঞ্চ। সবটাই বিভাস বিষয়ক। এটা সবিতা জানেন। বনিবনা হচ্ছে না। শ্বশুরবাড়ির সহায়তা নেই। পরপর দুটি মেয়ের কারণে বিভাসের বাবা-মা’র নাতির আশায় ছাই পড়েছে। ছেলে-বউয়ের লাগাম ছাড়া কোন্দলে তাই উদ্বেগ নেই। 
বিশদ

মানুষ গড়ার কারিগর
সৌমিত্র চৌধুরী

 চোখের জল মুছে বাবা বলল, ‘ঠিক আছে স্যার, আপনার কথা রাখলাম। তবে ঋণ বাড়াব না। ফেল করলে ওর কিন্তু পড়া বন্ধ।’ এত দূর বলে আমাদের পিসিএম থামল। আমার চোখে বিস্ময়। জম স্যার নিজে গেল হাটখোলায়? একটু অবাক হয়েছিলাম সেদিন। কিন্তু কয়েকমাস পরে ক্লাসের সবাইকে, এমনকী গোটা স্কুলকে অবাক করে দেবার মতো ঘটনা ঘটল। অঙ্কে আশি নম্বর পেয়ে বার্ষিক পরীক্ষায় চার নম্বর স্থানটা দখল করেছে প্রদীপ। বিশদ

08th  December, 2019
অথৈ সাগর

 আগামী বছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষ। তার প্রাক্কালে মাইলফলক দেখে ইংরেজি সংখ্যা শেখাই হোক বা বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য তীব্র লড়াই— বিদ্যাসাগরের জীবনের এমনই নানা জানা-অজানা কাহিনী দিয়ে সাজানো এ ধারাবাহিকের ডালি। বিশদ

08th  December, 2019
আজও তারা জ্বলে
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
সন্দীপ রায়চৌধুরী

 ওপার বাংলা থেকে আসা ‘বাঙাল’ ভানুকে শুধু চেহারা দেখেই নাকি ‘জাগরণ’ ছবির জন্য নির্বাচন করেছিলেন বিভূতি চক্রবর্তী। কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ‘আমার ছবিতে দুর্ভিক্ষপীড়িত চিমসে চেহারার একটা চরিত্র আছে, সেটা তুমি করবে।’ বিশদ

08th  December, 2019
ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় পর্ব * ১
সন্দীপ রায়চৌধুরী

উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের দ্যুতিতে ভাস্বর। এই লাইনটা বললে হয়তো এক রকম অপমানই করা হয় তাঁদের। কারণ অন্যের আলোয় আলোকিত হওয়ার প্রয়োজন এঁদের কারও কখনও হয়নি। এঁরা নিজেরাই এক একজন কিংবদন্তি।   বিশদ

01st  December, 2019
ফেসবুকে বনলতা
শুচিস্মিতা দেব 

আমি তপেন বাগচি। পেশাহীন এবং নেশাহীন ছাপোষা মানুষ। পেশার অভাবে নেশা করার হিম্মত হয়নি কখনও। অভিজাত পাড়ায় ঠাকুরদার আমলের দোতলা বাড়িতে বিনা পয়সার বাসস্থান। বাবা ছিলেন ব্যারিস্টার ঠাকুরদার ল ফার্মের যোগ্য উত্তরাধিকারী।   বিশদ

01st  December, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মহাকালীর কালীমঠ
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

পর্ব-৩৭

হিমালয়ের পবিত্র দেবস্থানগুলি বারে বারে পরিব্রজন করলেও গুপ্তকাশীর অদূরে কালীমঠে আর যাওয়াই হয় না। তাই সেবার গৌরীকুণ্ডের পথে ত্রিযুগীনায়ারণ হয়ে গুপ্তকাশীতে এসে রাত্রিবাস করলাম। 
বিশদ

24th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৭

ছিলেন বিজ্ঞানের ছাত্র, বিষয় ছিল রসায়ন। তিনি নিজের সম্পর্কে বলতেন, ‘আমি বিজ্ঞানের ছাত্র। আচারে-ব্যবহারে, ভ্রমণে-পর্যটনে, খাদ্যে-পানীয়ে কালাপাহাড় বলিয়া পরিচিত মহলে আমার অখ্যাতি আছে; তবু আজ অস্বীকার করিতে পারি না, অলৌকিক শ্রেণীর দুইটি ঘটনার আমি সাক্ষী হইয়া আছি। 
বিশদ

24th  November, 2019
বীরবল
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাদশাহের মর্জিতেই তাকে নামানো হয়েছে লড়াইতে, কিন্তু তাকে কিছুতেই বাগ মানাতে পারছে না তার পিলবান। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে প্রতিদ্বন্দ্বী হাতিকে ছেড়ে তাড়া করল এক জওয়ান লেড়কা দর্শককে, সেই লেড়কা দ্রুত পালিয়ে ঢুকে গেল আম-আদমির ভিড়ের মধ্যে। হাতিটা তখন দূর থেকে দেখছে বীরবরের লাল বেনিয়ান পরা চেহারাটা। বিশদ

17th  November, 2019
 বন্ধুত্ব
তপনকুমার দাস

দীনবন্ধুর যে ক’জন বন্ধু ছিল, তাদের সবাই প্রায় হারিয়ে গেছে। কলেজবেলার পর চাকরিবেলার শুরুতেই হারানোর পালা শুরু হতে হতে সংসারবেলায় পৌঁছে একেবারে ফেড আউট হয়ে গেছিল যাবতীয় বন্ধুত্ব। একে অপরকে ভুলে যেতে যেতে একসময় গল্পের উঠোনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল সব বন্ধুত্ব।
বিশদ

17th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি।  
বিশদ

10th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা।   বিশদ

10th  November, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে শনিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। গড়ফার কাছে সকাল থেকে অবরোধের পর আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল অন্তত ...

 কল্যাণী থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি: ট্রাউকে হারিয়ে ২২ ডিসেম্বর ডার্বি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিলেন ইস্ট বেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো। শনিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে ম্যাচের পর স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘এরপর আমরা সল্টলেক স্টেডিয়ামে খেলব। এই মাঠ আমার খুবই পছন্দের। ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: জমির রেকর্ড নিজের নামে না থাকায় চাষিদের অনেকেই বুলবুলের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এনিয়ে কৃষক মহলে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষক সংগ্রাম পরিষদ।   ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নোটবন্দির ফাঁদে রাজ্যের বহু আদালত। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আদালতে জমা থাকা পুরনো ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা না করায় এমনই জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পিতার স্বাস্থ্যহানী হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক চা দিবস
১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,
১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী রঙ্গনাথানন্দের জন্ম,
১৯৫০- সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মৃত্যু,
১৯৭৬- ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়ার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৮০ টাকা ৭১.৪৯ টাকা
পাউন্ড ৯৩.৪৩ টাকা ৯৬.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.৪৪ টাকা ৮০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  December, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৪৫৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭, ০৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ২/৪৫ দিবা ৭/১৮ পরে চতুর্থী ৫৮/২৫ শেষরাত্রি ৫/৩৫। পুষ্যা ৫৪/৩০ রাত্রি ৪/১। সূ উ ৬/১২/৩৫, অ ৪/৫০/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৪ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫২ গতে ২/৪২ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩০ গতে ৯/১৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/১২ গতে ১২/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১ গতে ২/৫১ মধ্যে। 
২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, তৃতীয়া ৫/৩৫/৫৭ দিবা ৮/২৮/৫০। পুনর্বসু ১/১৯/৩২ প্রাতঃ ৬/৪৬/১৬ পরে পুষ্যা ৫৮/৫৩/৩৭ শেষরাত্রি ৫/৪৭/৫৪, সূ উ ৬/১৪/২৭, অ ৪/৫০/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১২/১ গতে ২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৯ গতে ৯/২৬ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ১/৫৪ মধ্যে ও ২/৪৭ গতে ৬/১৫ মধ্যে, কালবেলা ১১/৩২/২৬ গতে ১২/৫১/৫৫ মধ্যে, কালরাত্রি ১/১১/৫৬ গতে ২/৫৩/২৬ মধ্যে। 
মোসলেম: ১৭ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা মিলবে। বৃষ: ব্যবসা শুরু করলে ভালো হবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
 আন্তর্জাতিক চা দিবস১৮৭৭- টমাস এডিসন ফোনোগ্রাফের পেটেন্ট নিলেন,১৯০৮- রামকৃষ্ণ মঠ ...বিশদ

07:03:20 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জিতল 

09:55:39 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩২/২ (৪০ ওভার) 

09:12:17 PM

প্রথম একদিনের ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬১/১ (৩০ ওভার) 

08:23:30 PM

মাথাভাঙায় জলাশয় থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার 

08:10:00 PM