Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৯

বিয়ের বারো বছর বাদে কন্যা সন্তানসম্ভবা হয়েছে জেনে কবি যথেষ্ট আনন্দিত হয়েছিলেন। তিনি তখন আমেরিকায়। তিনি মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনীকে টেলিগ্রাম করে বেলার সাধভক্ষণের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি বাড়ির খাজাঞ্চি যদু চট্টোপাধ্যায়কে পাঁচশো টাকা এই কারণে মেজ বৌঠানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশও দেন।
তিনি আমাদের অশান্ত জীবনে বারে বারে শান্তির বারি সিঞ্চন করেছেন। অসংখ্য সুখ, দুঃখের দিনে তাঁর লেখা পাঠ করে আমরা পেয়েছি অপার শান্তি। অথচ সেই মানুষটির জীবন পথ ছিল কণ্টকময়। বারে বারে পেয়েছেন আঘাত, অসংখ্য মৃত্যু -শোক তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে, অপমানিত হয়েছেন প্রিয়জনদের কাছ থেকে।
পিতৃগৃহ পরিত্যাগ করার কিছুদিনের মধ্যেই কোনও অজ্ঞাত কারণে মাধুরীলতার সন্তানটি মারা যায়। এই ভয়াবহ খবরটি তখনও জানতেন না কবি। তিনি তখন আরবানায়। সেখান থেকে জোড়াসাঁকোর ঠিকানায় কন্যা বেলাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু কবির প্রিয় ‘বেল’ তখন চলে গিয়েছেন অন্য ঠিকানায়— ডিহি শ্রীরামপুরে। ফলে এই ঠিকানা কেটে সেই ঠিকানায় আবার চিঠিটি পুনরায় পাঠান হয়। কিন্তু সেই চিঠির কোনও উত্তর পাননি কবি।
ওদিকে মাধুরীলতা— অসংখ্য বেদনায় বিপর্যস্ত হয়ে তিনিও ক্রমশ হয়ে উঠছেন অর্ন্তমুখী। তিনিও বোধহয় তাই তাঁর পিতাকে এতবড় শোকের খবরটি জানাতে চাননি, কিংবা পিতার ওপর প্রবল অভিমানে তিনিও হয়তো ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছিলেন কবির কাছ থেকে। পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় লিখছেন, ‘বেলার দুঃখের দিনে— প্রবাসী পিতার নীরবতা তাঁর কাছে প্রতিভাত বিস্ময়কর উদাসীনতা। কবির সুদীর্ঘদিন ইংল্যান্ড -আমেরিকা ভ্রমণের ব্যস্ততায় বেড়ে যায় বেলা-শরৎকুমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের দূরত্ব। অভিমানহত কন্যার সঙ্গে পিতার সম্পর্ক আর কখনও স্বাভাবিক হয়নি— রবীন্দ্রনাথের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও। বিস্ময়ের বিস্ময়— ভুবনবিখ্যাত রবীন্দ্রনাথকে করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখতে হয় জামাতা শরৎকুমারকে। আর কবি সে চিঠি লিখছেন এমন নত হয়ে যেন সব অপরাধ তাঁরই— যেন তাঁর আচরণই, তাঁর দুর্ব্যবহারই সব অশান্তির মূলে। অথচ কী গভীর বেদনা ও দুর্ভাগ্য কবির— জামাই তো দূরের কথা তাঁর অতি আদরের বেলাও যতদিন বেঁচে ছিলেন দুঃখের তাপস পিতাকে ভুল বুঝেই থাকলেন।’
আবার মৃত্যুর আক্রমণ! আবার পরাস্ত হবেন কবি। অভিমানিনী বেলা হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়লেন। ঘুসঘুসে জ্বর ও কাশি দিয়ে শুরু হল উপসর্গ। সেই সমস্যার হাত ধরেই কবির আদরিনী বেলার শরীরে প্রবেশ করল ক্ষয়রোগ।
যে কোনও পিতার কাছে কন্যার স্থান সবার ওপরে। কন্যারা হলেন পিতার জীবনের অ্যাঞ্জেল। কন্যার প্রবল অসুস্থতার খবর পেলেন পিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর আবার মনে পড়ল কন্যা রেণুকার কথা। বিদায়ের আগে সেই মেয়েও তো হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল তাঁর দিকে— ক্ষীণ, অতি ক্ষীণ স্বরে বলেছিল— বাবা, সব অন্ধকার হয়ে আসছে। কিছুই আর দেখতে পাচ্ছি না। তুমি পিতা নোহসি মন্ত্র পড়ে শোনাও আমাকে। আর আজ! আদরের বেলি মিশে যাচ্ছে রোগশয্যায়, আর দেরি নেই । বেলাও হয়তো শুনতে পাচ্ছে তাঁর পদশব্দ। শীতল পদশব্দ! তাই ছোটবেলার মতো বাবার হাত ধরে আবদার করছে, বাবা, আমাকে গল্প শোনাও। কঠিন কঠোর কবির হৃদয়ে তখনই শুরু হচ্ছে অঝোরে রক্তক্ষরণ। অদৃশ্য সেই রক্তক্ষরণে বারে বারে কবি-জীবন পিচ্ছিল হয়েছে। তবু তিনি থেকেছেন শান্ত, সৃষ্টির উল্লাসে ডুবেছেন বারে বারে।
রবীন্দ্রনাথ আদরের কন্যাকে গল্প শোনাতেন। কারণ তিনি প্রায় প্রতিদিনই দেখতে আসতেন কন্যাকে। লক্ষণ বুঝে হোমিওপ্যাথি ওষুধও দিতেন, আর শোনাতেন গল্প।
সাল ১৯১৮। মাত্র বত্রিশ বছর বয়সে ঝরে গেলেন অভিমানিনী মাধুরীলতা। প্রতিদিনের মতো সেদিনও কবি কন্যাকে দেখার জন্য যাত্রা শুরু করেছিলেন, পৌঁছে খবর পেলেন বেলি আর নেই। তিনি আর গাড়ি থেকে নামলেন না। ফিরে এলেন কলকাতায়।
পুত্র রথীন্দ্রনাথ তাঁর পিতৃস্মৃতি গ্রন্থে লিখছেন,‘... শেষদিন পর্যন্ত রোজ দুপুরে দিদির কাছে যেতে লাগলেন। সেদিন ২রা জ্যৈষ্ঠ— যখন ডিহি-শ্রীরামপুর রোডের বাড়ি পৌঁছলেন, তিনি বুঝতে পারলেন, যা হবার তা হয়ে গেছে, গাড়ি ঘুরিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন।
সেদিন সন্ধেবেলায় ‘বিচিত্রা’র বৈঠক ছিল। বাবা সকলের সঙ্গে হাসিমুখে গল্পসল্প যেমন করেন, সেদিনও তাই করলেন। তাঁর কথাবার্তা থেকে একজনও কেউ ঘুণাক্ষরে জানতে পারল না যে, মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হয়ে গেছে, মনের কী অবস্থা নিয়ে বাবা তাঁদের সঙ্গে সদালাপ করেছেন।’
মাধুরীলতার মৃত্যুর এগারো বছর পর, কবি সেদিনও বসেছেন পরলোকচর্চায়। পিতা আহ্বান করলেন তাঁর প্রাণাধিক প্রিয়া কন্যা মাধুরীলতাকে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা। কেমন যেন অস্থির হয়ে উঠলেন মিডিয়াম। রবীন্দ্রনাথ বুঝতে পারলেন ঘরে কোনও অতিথি এসেছেন। তিনি মৃদু স্বরে জানতে চাইলেন ‘ কে তুমি?
—বেল।
বেলা? ভালো আছিস?
—হ্যাঁ, বেশ আছি।
পৃথিবীর সব কথা মনে আছে? এখানের সঙ্গে তোর যোগ আছে?
—আছে বৈকি।
শমীর (শমীন্দ্রনাথ) সঙ্গে দেখা হয়? তাকে পাস কাছে?
—হ্যাঁ, এই তো কাছেই ছিল। এখনও আমার কাছেই রয়েছে।
সে ভারী চঞ্চল, না? শমী?
—হ্যাঁ, ভারী চঞ্চল।
এখনও সে কি বড় হয়নি? তার চঞ্চলতা কি ঘুচল না?
—না, এখনও কেউ ওকে সামলাতে পারে না। সবারই প্রিয় ও।
আগে মনে আছে তো, কবিতা শুনতে ভালোবাসত— পঞ্চনদীর তীরে— এখনও সেই ভাব আছে ওর?
—কবিতা যখনই পড়, ও ছুটে যায়, আমাদেরও টেনে আনে।
ভালো লাগে? আমার কবিতা শুনিস?
—বেশ সুন্দর।
সেদিন যে অভিনয় হয়েছিল তপতী, শুনেছিলি?
—বাঃ, ছিলুম যে সেইদিন।
ভালো লেগেছিল?
—বড়ো সুন্দর। শুধু দেখা নয়, পাওয়া জানা অনুভব করা।
আমি যুবা সেজেছিলুম। আমাকে দেখেছিলি?
—মানিয়েছিল সুন্দর।
অমিতাকে কেমন লাগল?
—ভালো।
শান্তিনিকেতনকে মনে পড়ে?
—পড়ে বৈকি।
এই যে এখন এখানে আছি— সব জানতে পারছিস, বুঝতে পারছিস?
—জানি সব, আর এত বেশি জানি। যখন বিদেশে থাকতুম, তখন এত কি সম্ভব হতো?
শমী তোর কাছেই আছে এখন?
—হ্যাঁ।
বিদায় নিলেন মাধুরীলতা। তিনি তাঁর প্রিয় পিতার কাছে এসেছিলেন একবার, দিনটি ছিল ২৮ নভেম্বর।
(ক্রমশ)
অলংকরণ: চন্দন পাল 
22nd  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

সুকুমার রায়। শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে ‘ননসেন্স রাইম’-এর প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পুত্র।  বিশদ

29th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয় 
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

একান্ন মহাপীঠের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাপীঠ হল কামাখ্যা। এই মহাতীর্থে সতীর মহামুদ্রা অর্থাৎ যোনিদেশ পতিত হয়েছিল। দেবীর গুপ্ত অঙ্গ পতিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, পর্বতটি নীলবর্ণ ধারণ করে এবং শত যোজন উচ্চ পর্বত ক্রমশ ভূগর্ভে নেমে যেতে থাকে।   বিশদ

29th  September, 2019
ম্যাজিক
ধ্রুব মুখোপাধ্যায় 

নম্বরগুলো মেলানোর পর যে আনন্দটা হয়েছিল, বিশ্বাস করুন, আমি জীবনে অতটা খুশি কোনওদিনও হয়নি। ‘পঞ্চাশ হাজার’ -না, এমনটা নয় যে আমি কোনওদিনও ভাবিনি। আসলে আমি বিগত কুড়ি বছর ধরে এটাই ভেবে এসেছি। আজকে ভাবনাটা সত্যি হল।
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
চন্দ্রগুট্টির দেবী গুত্তেভারা, পর্ব-২৯
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সেবার কোলহাপুর থেকে সৌন্দত্তি গিয়েছিলাম দেবদাসী তীর্থের ইয়েলাম্মাকে দেখতে। ঠিক তার পরের বছরই ওই একই তিথিতে অর্থাৎ মাঘী পূর্ণিমায় কর্ণাটকেরই আর এক দেবী চন্দ্রগুট্টির গুত্তেভারা দেবীকে দর্শন করতে গেলাম। কিন্তু কেন এত জায়গা থাকতে এই সুদূর দেবীতীর্থে আসা? কারণটা বলছি। 
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
সৌন্দত্তির দেবী ইয়েলাম্মা, পর্ব-২৮
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

এবার রওনা দেওয়া যাক সুদূর কর্ণাটকের দিকে। এখানে সৌন্দত্তিতে আছেন ভক্তজন বাঞ্ছিতদেবী ইয়েলাম্মা। ইনি হলেন মূলত দেবদাসীদের আরাধ্যা দেবী। প্রতিবছর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে দলে দলে মেয়েরা এই মন্দিরে দেবদাসী হন। 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৮
আবার মৃত্যু, কবি-জীবন থেকে ঝরে যাবে আরও একটি ফুল। কবির জ্যেষ্ঠা কন্যা মাধুরীলতা। ডাকনাম বেলা। কবির বেল ফুল-প্রীতির কথা পরিবারের সবাই জানতেন। সেই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই কবির মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখলেন বেলা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই কন্যাকে নানা নামে ডাকতেন, কখনও বেলা, কখনও বেল, কখনও বেলি, কখনও বা বেলুবুড়ি। 
বিশদ

15th  September, 2019
অবশেষে এল সে
রঞ্জনকুমার মণ্ডল 

ঋজু অফিস থেকে ফিরতেই রণংদেহি মূর্তি নিয়ে সামনে দাঁড়াল রিনি, প্রশ্ন করল, ‘তুমি গতকাল আদিত্যদের বাড়িতে গিয়েছিল?’
একটু থমকে দাঁড়াল ঋজু, জানতে চাইল, ‘তুমি কোন আদিত্যর কথা বলছ? আমার কলিগ?’ 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা!
বিশদ

08th  September, 2019
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম।
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়। 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না।  
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019
একনজরে
জম্মু, ৯ অক্টোবর (পিটিআই): আরও একবার নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালাল পাকিস্তান। বুধবার পুঞ্চের কৃষ্ণঘাঁটি ও বালাকোট সেক্টরে সারারাত ধরে গুলি চালায় পাক সেনা। ভারতীয় সেনা চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পাশাপাশি তারা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকেও টার্গেট করে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুজো যত এগিয়েছে, ততই কমেছে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা। সিইএসসি সূত্রের খবর, মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকায় এবং মাঝে-মধ্যে বৃষ্টির জেরে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ক্রমশ কমেছে।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দমদম-বাগুইআটি-নারায়ণপুর এলাকার বেশিরভাগ প্রতিমার বিসর্জন হল দশমীতে। সল্টলেকের অনেকগুলো পুজোর বিসর্জন হয়েছে দশমীতেই। এছাড়া বুধবার একাদশীর দিনও বিসর্জন চলেছে। নিউটাউনে অ্যাকশন এরিয়া ১-এ বিসর্জন ঘাট, দমদমের ধোবিঘাট, ভিআইপি রোডের ধারে দেবীঘাটে দিনরাত ছিল চরম ব্যস্ততা।  ...

বিএনএ, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির মণ্ডপে পাশাপাশি দেখা গিয়েছে দিদি-মোদির ফ্লেক্স। পুজো প্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষের অভিনন্দনজ্ঞাপক ফ্লেক্সের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জলপারইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম
১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু দত্তের মৃত্যু
২০১১: গজল গায়ক জগজিৎ সিংয়ের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৪ টাকা ৭২.০৪ টাকা
পাউন্ড ৮৫.৩৯ টাকা ৮৮.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৬.৬০ টাকা ৭৯.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৩ রাত্রি ৭/৫২। শতভিষা ৫১/৩৮ রাত্রি ২/১৪। সূ উ ৫/৩৪/৩৩, অ ৫/১৩/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ২/৫৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/১৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/২৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২২ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৭/৪২ রাত্রি ৭/৫৩/৫২। শতভিষা ৫৪/১৮/১৬ রাত্রি ৩/১৮/৫, সূ উ ৫/৩৪/৪৭, অ ৫/১৪/৪৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৩/৪৭/১৭ গতে ৫/১৪/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ২/১৯/৪৭ গতে ৩/৪৭/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/২৪/৪৭ গতে ১২/৫৭/১৭ মধ্যে। 
মোসলেম: ১০ শফর 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালো। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। মিথুন: ব্যবসায় বেশি বিনিয়োগ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
মানসিক স্বাস্থ্য দিবস১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু ...বিশদ

07:03:20 PM

২০১৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছেন পোল্যান্ডের ওলগা তোকারজুক এবং ২০১৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পাবেন অস্ট্রিয়ার পিটার হ্যান্ডকা

05:15:00 PM

দ্বিতীয় টেস্ট, প্রথম দিন: ভারত ২৭৩/৩ 

04:43:00 PM

সিউড়ি বাজারপাড়ায় পরিত্যক্ত দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ল, চাঞ্চল্য 

04:27:12 PM

মুর্শিদাবাদে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী বৃদ্ধ 
রোগ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে ...বিশদ

03:34:00 PM