Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়।
এই তীর্থদর্শনে এলে প্রথমেই আসতে হবে নাসিকে। সত্যযুগে ভগবান ব্রহ্মা এই নাসিকে পদ্মাসনে বসে সৃষ্টি চিন্তা করেছিলেন, তাই এর নাম ‘পদ্মনগর’। ত্রেতাযুগে ঘন অরণ্য পরিবেষ্টিত এই নাসিকে খর, দূষণ এবং ত্রিশির নামক রাক্ষসের বিচরণ ভূমি ছিল, তাই এর নাম হয়েছিল ‘ত্রিকণ্টক’। জনকরাজা এখানে অনেক যজ্ঞ করেছিলেন বলে দ্বাপরে এর নাম হয়েছিল ‘জনস্থান’। কিন্তু কলিযুগের মানুষের কাছে লক্ষ্মণ কর্তৃক শূর্পণখার নাসিকা ছেদন কারণে এই স্থান নাসিক নামেই পরিচিত।
নাসিকে এসে আমি পঞ্চবটীতে সিন্ধানিয়া ধর্মশালায় উঠেছিলাম। নাসিক এবং পঞ্চবটী একই শহর হলেও গোদাবরী নদী এই শহরটিকে দু’ভাগে ভাগ করেছে। গোদাবরীতে স্নান ও সপ্তশৃঙ্গী দর্শনের অভিলাষে এই শহরে আমি দু’বার এসেছিলাম।
ধর্মশালার খুব কাছেই বাস স্ট্যান্ড। সেখান থেকে সপ্তশৃঙ্গী যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। সেই বাস অবশ্য সপ্তশৃঙ্গী যায় না। এই বাসে নান্দুরি পর্যন্ত গিয়ে বাস বদল করতে হয়। ভাগ্য ভালো যে স্ট্যান্ডে যাওয়ামাত্রই সিবিএসের একটি বাস পাওয়া গেল।
মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ছাড়ল বাস। পথের দূরত্ব ৪৮ কিমি। পথে দিন্দুরি ও ওনি নামে দু’জায়গায় বাস থামল। তারপর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম চানবরগাঁও তালুকের সপ্তশৃঙ্গীর পাদদেশে নান্দুরিতে। সেখান থেকে অন্য বাসে সপ্তশৃঙ্গী।
প্রথমেই এখানকার একটি ধর্মশালায় আশ্রয় নিলাম। ঘন পর্বতমালায় শোভিত এই পুণ্যক্ষেত্রে এসে আনন্দে নন্দিত হয়ে উঠলাম। এবার যাত্রীসাধারণের জ্ঞানার্থে বলি, আমি কিন্তু নান্দুরি থেকে সরাসরি বাসে আসিনি। এসেছিলাম এক দুর্গম পন্থায় রোদনতুণ্ড হয়ে। পরবর্তীকালে বাসে এসেছিলাম। আমারই লেখা দশমাতৃকা তীর্থে এই ব্যাপারে বিশদ আছে।
যাই হোক, ধর্মশালাকে ঘিরে সমস্ত মন্দির প্রাঙ্গণ পূজাসামগ্রী ও অন্যান্য দোকানপত্তরে ঘেরা। এই জায়গা থেকে আরও উচ্চস্থানে দেবীর গুহামন্দির। মন্দিরে ওঠার সিঁড়ির মুখে তোরণ। একটি বিশাল শৃঙ্গ এখানে দেওয়ালের মতো খাড়া। তারই এক চতুর্থাংশ উচ্চতায় দেবীর মন্দির। সেই পর্বতগাত্রে অসংখ্য গুহা। সেই গুহায় পেচক ও অন্যান্য নিশাচর পক্ষীদের বাস। এখানে মায়ের মন্দির পর্যন্ত লোহার রেলিং দিয়ে ঘেরা সিঁড়ির ব্যবস্থা আছে। পেশোয়ার সর্দার খাণ্ডেরাও দাবাড়ের স্ত্রী উমাবাঈ দাবাড়ে ৪৭২টি ধাপযুক্ত এই সিঁড়ি ১৭১০ সালে তৈরি করে দিয়েছিলেন।
আমি দর্শনের জন্য শুদ্ধবস্ত্রে পূজার ডালি নিয়ে সিঁড়িভাঙা শুরু করলাম। খানিক ওঠার পর ‘রাম কা টপ্পা’ পড়ল। কথিত আছে, রামচন্দ্র বনবাস কালে লক্ষ্মণ ও সীতা সহ সপ্তশৃঙ্গী দর্শনে এসে এখানে বিশ্রাম করেছিলেন। ‘রাম কা টপ্পা’ পেরিয়ে যখন মূল মন্দিরে গেলাম তখনই দর্শন মিলল সপ্তশৃঙ্গী দেবীর। একটি ১৮ ফুট গুহাকে কেন্দ্র করে এই মন্দির। মন্দিরের ভেতর ৮ ফুট উঁচু দেবীর মূর্তি। রণসজ্জায় সজ্জিতা দেবী বামদিকে ঘাড় কাত করে আছেন। শান্ত সিঁদুর রঞ্জিত মূর্তি তাঁর। রক্তবর্ণ চোখ। আঠারোভুজা দেবী। তাঁর দক্ষিণ হস্তে মণিমালা, পদ্ম, বাণ, তরবারি, বজ্র, চক্র, ত্রিশূল ও কুড়ুল। বাম হস্তে শঙ্খ, ঘণ্টা, পাশা, গদা, দণ্ড, ঢাল, ধনুক, পানপাত্র ও কমণ্ডলু।
ভাগ্যক্রমে আমি গিয়ে পড়েছিলাম দেবীর অভিষেক মুহূর্তে। এখানকার পাণ্ডারা খুব ভালো। বিশেষ করে বাঙালি যাত্রী দেখে খুব খুশি। নাটমন্দিরে তখন অনক যাত্রী বসে আছেন। পাণ্ডারা আমাকে সকলের সামনের সারিতে বসিয়ে দিলেন।
অভিষেক পর্ব আরম্ভ হল। দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে চলল সেই অভিষেক পর্ব। প্রথমে জল দিয়ে দেবীর মুখ প্রক্ষালন। তারপর দুধে স্নান। এবার দেবীর সর্বাঙ্গে দধি মর্দন করে রাশি রাশি ঘি, মধু, এবং চিনি লেপন করা হল। তারপর ঘড়া ঘড়া জলে দেবীর স্নান। এরও পরে দুটি বালতিতে মেটেসিঁদুর গুলে দেবীর সর্বাঙ্গে মাখাতে লাগলেন পাণ্ডারা। পরে কাজল দিয়ে চোখ এঁকে চক্ষুদান করানো হল। সব শেষে বস্ত্র পরিধান।
এবার মন্ত্রধ্বনি সহকারে শুরু হল আরতি। আরতির পর পুজোপাঠ ও প্রসাদ বিতরণ।
এবার সপ্তশৃঙ্গী দেবীর একটু পরিচয় দেওয়া যাক। ইনিও ৫২ পীঠের অন্তর্গত এক দেবী। তবে সতীদেহের কোন অংশটি এখানে পড়েছিল তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারলেন না। দেবী ভাগবতে আছে সপ্তশৃঙ্গী মহারাষ্ট্রের সাড়ে তিন পীঠের এক দেবী। সপ্তশৃঙ্গী সাড়ে তিন পীঠের অর্ধপীঠ। ইনিও ত্রিগুণাত্মিকা দেবী।
এই অঞ্চলে সহ্যাদ্রি শিখরে সাতটি শৃঙ্গ। এগুলি ভীষণাকৃতি ও অসম সদৃশ। তার কারণ হনুমান যখন গন্ধমাদনকে বয়ে নিয়ে যান তখন সেই পাহাড়ের বিশাল বিশাল অংশগুলির এক একটি অংশ সহ্যাদ্রি পর্বতের সাতটি স্থানে পড়ে। তাই এই পাহাড়ের সাতটি শৃঙ্গ। এই সাতটি শিখরে সাত দেবী আছেন। তাঁদের বলা হয় সপ্ত দুর্গা। যেমন— ইন্দ্রাণী, কার্তিকেয়ী, বারাহী, বৈষ্ণবী, শিবা, চামুণ্ডী ও ন্যায়সিংহী। এই সাত দেবীর অনুরোধে সপ্তশৃঙ্গী এই পর্বতের সর্বোচ্চ শিখরে বিরাজ করছেন।
মার্কণ্ডেয় মুনি এই পর্বতেই তপস্যা করতেন। তিনিই স্বপ্নাদেশে দেবীকে এখানে প্রতিষ্ঠা করেন। সপ্তশৃঙ্গী হলেন দেবী চণ্ডিকার অন্য রূপ। মহিষাসুর বধের সংবাদ পেয়ে ভীমাসুর পাতাল ফুঁড়ে বেরিয়ে এসে এখানে প্রচণ্ড উপদ্রব শুরু করলে দেবী আঠারোভুজা হয়ে এখানেই তাকে বধ করেন।
কালক্রমে মার্কণ্ডেয় মুনির স্থাপনা করা এই মূর্তিটি জঙ্গলের গভীরে ঢাকা পড়ে যায়। বহুকাল পরে একবার এক মেষপালক মেষ চরাতে এসে এই পাহাড়ের বিশাল গুহায় একটি মৌচাক দেখে লুব্ধ হয়। একদিন গোপনে একাকী সেটি ভাঙতে এসেই চক্ষুস্থির। দেখল মৌচাক থেকে মধুর বদলে গল গল করে গোলা সিঁদুর বেরিয়ে আসছে। তাই দেখে সে ভয়ে পালিয়ে এসে গ্রামে খবর দেয়। মেষপালকের কথা শুনে গ্রামবাসীরা এসে মৌমাছি সরিয়ে চাক ভাঙতেই বেরিয়ে পড়ল দেবীর মূর্তি। গ্রামবাসীরা সবাই জানতেন সপ্তশৃঙ্গীর কথা। কিন্তু দেবী ঠিক কোনখানে অবস্থান করছেন তা কেউ জানতেন না। এবার মূর্তি আবিষ্কারের পর থেকেই শুরু হল নিয়ম করে সপ্তশৃঙ্গী দেবীর পূজার্চনা। এখন আমরা দলে দলে সেই দেবীকে দর্শন করে ধন্য হচ্ছি।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল 
01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

সুকুমার রায়। শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে ‘ননসেন্স রাইম’-এর প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পুত্র।  বিশদ

29th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয় 
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

একান্ন মহাপীঠের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাপীঠ হল কামাখ্যা। এই মহাতীর্থে সতীর মহামুদ্রা অর্থাৎ যোনিদেশ পতিত হয়েছিল। দেবীর গুপ্ত অঙ্গ পতিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, পর্বতটি নীলবর্ণ ধারণ করে এবং শত যোজন উচ্চ পর্বত ক্রমশ ভূগর্ভে নেমে যেতে থাকে।   বিশদ

29th  September, 2019
ম্যাজিক
ধ্রুব মুখোপাধ্যায় 

নম্বরগুলো মেলানোর পর যে আনন্দটা হয়েছিল, বিশ্বাস করুন, আমি জীবনে অতটা খুশি কোনওদিনও হয়নি। ‘পঞ্চাশ হাজার’ -না, এমনটা নয় যে আমি কোনওদিনও ভাবিনি। আসলে আমি বিগত কুড়ি বছর ধরে এটাই ভেবে এসেছি। আজকে ভাবনাটা সত্যি হল।
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
চন্দ্রগুট্টির দেবী গুত্তেভারা, পর্ব-২৯
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সেবার কোলহাপুর থেকে সৌন্দত্তি গিয়েছিলাম দেবদাসী তীর্থের ইয়েলাম্মাকে দেখতে। ঠিক তার পরের বছরই ওই একই তিথিতে অর্থাৎ মাঘী পূর্ণিমায় কর্ণাটকেরই আর এক দেবী চন্দ্রগুট্টির গুত্তেভারা দেবীকে দর্শন করতে গেলাম। কিন্তু কেন এত জায়গা থাকতে এই সুদূর দেবীতীর্থে আসা? কারণটা বলছি। 
বিশদ

22nd  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৯

বিয়ের বারো বছর বাদে কন্যা সন্তানসম্ভবা হয়েছে জেনে কবি যথেষ্ট আনন্দিত হয়েছিলেন। তিনি তখন আমেরিকায়। তিনি মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনীকে টেলিগ্রাম করে বেলার সাধভক্ষণের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি বাড়ির খাজাঞ্চি যদু চট্টোপাধ্যায়কে পাঁচশো টাকা এই কারণে মেজ বৌঠানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশও দেন। 
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
সৌন্দত্তির দেবী ইয়েলাম্মা, পর্ব-২৮
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

এবার রওনা দেওয়া যাক সুদূর কর্ণাটকের দিকে। এখানে সৌন্দত্তিতে আছেন ভক্তজন বাঞ্ছিতদেবী ইয়েলাম্মা। ইনি হলেন মূলত দেবদাসীদের আরাধ্যা দেবী। প্রতিবছর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে দলে দলে মেয়েরা এই মন্দিরে দেবদাসী হন। 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৮
আবার মৃত্যু, কবি-জীবন থেকে ঝরে যাবে আরও একটি ফুল। কবির জ্যেষ্ঠা কন্যা মাধুরীলতা। ডাকনাম বেলা। কবির বেল ফুল-প্রীতির কথা পরিবারের সবাই জানতেন। সেই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই কবির মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখলেন বেলা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই কন্যাকে নানা নামে ডাকতেন, কখনও বেলা, কখনও বেল, কখনও বেলি, কখনও বা বেলুবুড়ি। 
বিশদ

15th  September, 2019
অবশেষে এল সে
রঞ্জনকুমার মণ্ডল 

ঋজু অফিস থেকে ফিরতেই রণংদেহি মূর্তি নিয়ে সামনে দাঁড়াল রিনি, প্রশ্ন করল, ‘তুমি গতকাল আদিত্যদের বাড়িতে গিয়েছিল?’
একটু থমকে দাঁড়াল ঋজু, জানতে চাইল, ‘তুমি কোন আদিত্যর কথা বলছ? আমার কলিগ?’ 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা!
বিশদ

08th  September, 2019
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম।
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না।  
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দমদম-বাগুইআটি-নারায়ণপুর এলাকার বেশিরভাগ প্রতিমার বিসর্জন হল দশমীতে। সল্টলেকের অনেকগুলো পুজোর বিসর্জন হয়েছে দশমীতেই। এছাড়া বুধবার একাদশীর দিনও বিসর্জন চলেছে। নিউটাউনে অ্যাকশন এরিয়া ১-এ বিসর্জন ঘাট, দমদমের ধোবিঘাট, ভিআইপি রোডের ধারে দেবীঘাটে দিনরাত ছিল চরম ব্যস্ততা।  ...

বিএনএ, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির মণ্ডপে পাশাপাশি দেখা গিয়েছে দিদি-মোদির ফ্লেক্স। পুজো প্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষের অভিনন্দনজ্ঞাপক ফ্লেক্সের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জলপারইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন ...

জম্মু, ৯ অক্টোবর (পিটিআই): আরও একবার নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালাল পাকিস্তান। বুধবার পুঞ্চের কৃষ্ণঘাঁটি ও বালাকোট সেক্টরে সারারাত ধরে গুলি চালায় পাক সেনা। ভারতীয় সেনা চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পাশাপাশি তারা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকেও টার্গেট করে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে হঠাৎ হাজির হলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। বুধবার সকালে তিনি নিজেই চলে আসেন এখানে। তাঁর দাবি, আইফোনের পাসওয়ার্ড জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই জন্যই তিনি এসেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম
১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু দত্তের মৃত্যু
২০১১: গজল গায়ক জগজিৎ সিংয়ের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৪ টাকা ৭২.০৪ টাকা
পাউন্ড ৮৫.৩৯ টাকা ৮৮.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৬.৬০ টাকা ৭৯.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৩ রাত্রি ৭/৫২। শতভিষা ৫১/৩৮ রাত্রি ২/১৪। সূ উ ৫/৩৪/৩৩, অ ৫/১৩/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ২/৫৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/১৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/২৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২২ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৭/৪২ রাত্রি ৭/৫৩/৫২। শতভিষা ৫৪/১৮/১৬ রাত্রি ৩/১৮/৫, সূ উ ৫/৩৪/৪৭, অ ৫/১৪/৪৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৩/৪৭/১৭ গতে ৫/১৪/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ২/১৯/৪৭ গতে ৩/৪৭/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/২৪/৪৭ গতে ১২/৫৭/১৭ মধ্যে। 
মোসলেম: ১০ শফর 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালো। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। মিথুন: ব্যবসায় বেশি বিনিয়োগ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
মানসিক স্বাস্থ্য দিবস১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু ...বিশদ

07:03:20 PM

২০১৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছেন পোল্যান্ডের ওলগা তোকারজুক এবং ২০১৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পাবেন অস্ট্রিয়ার পিটার হ্যান্ডকা

05:15:00 PM

দ্বিতীয় টেস্ট, প্রথম দিন: ভারত ২৭৩/৩ 

04:43:00 PM

সিউড়ি বাজারপাড়ায় পরিত্যক্ত দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ল, চাঞ্চল্য 

04:27:12 PM

মুর্শিদাবাদে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী বৃদ্ধ 
রোগ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে ...বিশদ

03:34:00 PM