Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অবশেষে এল সে
রঞ্জনকুমার মণ্ডল 

ঋজু অফিস থেকে ফিরতেই রণংদেহি মূর্তি নিয়ে সামনে দাঁড়াল রিনি, প্রশ্ন করল, ‘তুমি গতকাল আদিত্যদের বাড়িতে গিয়েছিল?’
একটু থমকে দাঁড়াল ঋজু, জানতে চাইল, ‘তুমি কোন আদিত্যর কথা বলছ? আমার কলিগ?’
‘না, আমাদের ছেলে সুপর্ণর ক্লাসমেট আদিত্যর কথা বলছি। ফর্সা, ছিপছিপে... চিনতে পারছ?’
স্বভাবসিদ্ধ শান্ত মেজাজে জবাব দিল ঋজু, ‘হ্যাঁ।’
রিনির গলায় উত্তাপ, আবার প্রশ্ন করল, ‘এটা কোন প্রশ্নের উত্তর? তুমি আদিত্যকে ঠিক ঠিক চিনতে পেরেছ অথবা সত্যিই তার বাড়িতে গিয়েছিলে কিনা— কোনটার?’
ঋজু জবাব দিল, ‘তোমার দুটো প্রশ্নের একটাই উত্তর— হ্যাঁ।’
‘তা বেশ! আদিত্যর মা কেয়ার তো মাটিতে পা পড়ে না। পাত্তাই দেয় না কাউকে। ছেলেকে স্কুল থেকে কেয়াই আনতে যায়। সব সময় কেমন যেন একা একা। গার্জেনদের কেউই ওকে দেখতে পারে না। নিজেকে কী না কী একটা ভাবে।’
ঋজু জোরালো বিরোধিতা করল না, ছোট্ট করে বলল, ‘কেয়া বরাবরই একটু চুপচাপ।’
‘চুপচাপ!’ গর্জে উঠল রিনি, ‘দেমাক! দেমাক! ছেলে পড়াশোনায় ভালো। তাই এমন একটা ভাব দেখায় যেন ও নিজেই একটা বিশেষ কিছু! চুপচাপ! কতটুকু জানো ওকে? তুমি না কী যেন একটা! কিচ্ছু বোঝো না। একটা আস্ত নির্বোধ।’
ঋজুর বন্ধু সুমিতের বউ কেয়া। সুমিত-কেয়াকে অনেকদিন থেকেই চেনে, জানে ঋজু। সুমিত-কেয়ার বিয়ের ব্যাপারেও ঋজুর একটা ভূমিকা ছিল। তবু রিনির সঙ্গে তর্ক করল না ঋজু। আসলে অহেতুক তর্ক করা ওর ধাতে নেই। তার ওপর রিনির সঙ্গে বাদানুবাদের পরিণতি কী হতে পারে তা ইদানীং ঋজু বেশ টের পাচ্ছে। তিল হয়ে যাচ্ছে তাল। বিরক্তি বাড়ছে ঋজুর।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঋজু পা বাড়াল বসার ঘরের দিকে। গলায় অতিরিক্ত জোর এনে ঋজুকে ডাকল রিনি, ‘অ্যাই শোনো! আচ্ছা, তুমি যে ওখানে গিয়েছিলে তা তো আমাকে একবারও বলোনি। কথাটা আমাকে শুনতে হল দীপ্তর মা হেনার কাছ থেকে। আশ্চর্য!’
থমকে দাঁড়াল ঋজু, জিজ্ঞেস করল, ‘দীপ্তর মা হেনা? হেনা জানল কী করে?’
রিনি বলল, ‘তা তো বলতে পারব না। তবে যেভাবে হোক জেনেছে। তাছাড়া হেনা কোথা থেকে জানল সেটা বড় কথা নাকি আমাকে তোমার না জানানোটা বড় কথা। একটা বাইরের লোক তোমার সম্পর্কে যেটা জানে আমি ঘরের লোক হয়ে সেটা জানতে পারি না। এত গোপনীয়তা কেন, ঋজু?’
‘শোনো রিনি, ব্যাপারটা তেমন কিছুই নয়। রং, তুলি, ক্যানভাস কেনার জন্য কলেজ স্ট্রিট গিয়েছিলাম সেটা জানতে তো?’
‘জানতাম বইকি!’
‘যাওয়ার পথে সুমিতের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল হঠাৎই। কলেজ স্ট্রিট যাচ্ছি শুনে ওর ছেলের কয়েকটা বই এনে দিতে বলল। ওই বইগুলো দেবার জন্যই’—
ঋজুকে থামিয়ে দিয়ে ঝাঁঝিয়ে উঠল রিনি, ‘সে কথা আমাকে জানালে খুব একটা ক্ষতি হতো কি?’
ঋজু খানিকটা স্থির চোখে দেখল রিনিকে, বলল, ‘আসলে সুপর্ণদের ক্লাসের সৌম্যর সায়েন্সের টিউটর ঠিক করে দেওয়ার সময় তুমি এমনভাবে রাগারাগি করেছিলে যে...’
—‘সৌম্যর টিউটর তো? সেটাও তুমি আমাকে না জানিয়েই ঠিক করেছিলে। সেখানেও গোপনীয়তা! কেন? তুমি এরকম করো কেন? ঘরের লোকের কাছে এত কিছু চেপে যাওয়ার কী আছে?’
—‘সত্যি বলতে কী, কোনও কিছুই আমি চেপে যেতে চাই না। কিন্তু এসব ছোট ছোট ব্যাপারে তুমি এমনভাবে রিঅ্যাক্ট করো...’
‘রিঅ্যাক্ট করব না? তোমার কাছে এসব ছোট ছোট ব্যাপার হতে পারে, আমার কাছে নয়। ঠিক ঠিক ঘা খাও, বুঝবে। সেই প্রাইমারি স্কুল থেকে সৌম্যর সঙ্গে সুপর্ণর একটা লড়াই। ওর মা-টাকে তো আমি একেবারেই সহ্য করতে পারি না। সব সময় সুপর্ণর দিকে ট্যারা চোখে তাকায়। বোঝো এসব? খোঁজখবর রাখো?’
অস্বস্তি বাড়ছিল ঋজুর, জানতে চাইল রিনির কাছে, ‘সুপর্ণ কি এখন বাড়িতেই আছে?’
—‘হ্যাঁ, কেন?’
—‘এখন তাহলে এসব থাক না, রিনি। ছেলেটা হয়তো সব শুনছে।’
‘শুনুক। ওর বাবার নির্বুদ্ধিতার কথা জানুক। ওকে অনেক বেশি প্র্যাকটিক্যাল হতে হবে। ওকে তো আর তোমার মতো হতে দেওয়া চলবে না!’
অদৃশ্য একটা থাপ্পড় ঋজুর গালে যেন বসিয়ে দিয়েছে কেউ। ওর নেতিবাচক কোনও স্বভাববৈশিষ্ট্য ছেলের মধ্যে সংক্রামিত হয়ে ছেলের বিস্তর ক্ষতি করতে পারে! পরোক্ষে রিনি সেটাই বোঝাতে চাইছে! স্বয়ং অর্ধাঙ্গিনীর কাছ থেকে আসা এহেন অভিযোগ ঋজুকে রীতিমতো কুঁকড়ে দেয়। ব্যথা দলা পাকিয়ে আশ্রয় নেয় গলায়। বাকরুদ্ধ ঋজু পালিয়ে বাঁচে। অস্থির মেজাজকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনতে ওর আশ্রয় এখন রং-তুলি-ক্যানভাস।
ঘটনাচক্রে একটা প্রাইভেট কোম্পানির কেরানি হলেও ঋজুর মধ্যে জন্মগত একটা শিল্পীসত্তা বাস করে। পারিবারিক অবস্থা অনুকূল হলে হয়তো বা ঋজু শিল্পীজীবনকেই বেছে নিত। একঘেঁয়ে দিনযাপনের গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে ঋজু ছবি আঁকার অভ্যেসটা এখনও ধরে রেখেছে।
ছেলে সুপর্ণর মধ্যে ঋজুর এই অভ্যেসটা সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। ঋজুর চোখে অন্তত তেমন কিছু পড়েনি। ছেলের ওপর নিজের ভাবনাচিন্তাকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতাও ঋজুর মধ্যে নেই। আসলে সুপর্ণর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে রিনি, ছেলের যে কোনও বিষয়ে ঋজুর ভূমিকা গৌণ। ক্লাস এইটের ছাত্র সুপর্ণর টিউটরের ব্যবস্থা রিনিই করেছে। এর-ওর সঙ্গে আলোচনা করে রিনি ছেলেকে ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করে দিয়েছিল। মা আর ছেলে বছরখানেক দৌড়ঝাঁপ করার পর ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে বিদায় জানিয়েছে। ছেলের ব্যাপারে রিনির নতুন কোনও পরিকল্পনা আছে কি না ঋজুর জানা নেই। সত্যি কথাটা এই যে ছেলের ব্যাপারে সব কিছু রিনিই নিয়ন্ত্রণ করে। সে সুপর্ণকে স্বামীর মতো কেরানি দেখতে চায় না, দেখতে চায় না স্বামীর মতো ‘নির্বোধ ভালোমানুষ’ হিসেবেও।
মাঝে মাঝেই ঋজুর মনে প্রশ্ন জাগে, ছেলের ব্যাপারে কোনও কিছুই তো আমাকে জানিয়ে করো না রিনি! আমি কি কিছুই জানি না, কিছুই বুঝি না? তাহলে আমার কাজকর্ম নিয়ে তোমার এত প্রশ্ন কেন?
প্রশ্ন মনের মধ্যেই থেকে যায়, ঋজুর মুখে ব্যক্ত হয় না। এক পুঞ্জীভূত অভিমান ঋজুকে গ্রাস করে। সময় এগিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে অভিমান গাঢ়তর হয়। তাহলে একটা বিস্ফোরণের আশঙ্কা ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে কি? মানসিক সংঘাতের ব্যাপারটা সত্যি সত্যিই একদিন চরমে উঠল। ধিক ধিক করতে করতে মনের আগুন শেষমেশ দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল। মৃদুভাষী ঋজুর কণ্ঠস্বর উঠেছে চরমে। রিনি বলবে আর ঋজু শুনে যাবে, বড়জোর দু-একটা ছোটখাট কিছু বলবে— এতদিন এভাবেই অভ্যস্ত ছিল মুখরা রিনি।
আজ স্বামী ঋজুর প্রতি-আক্রমণে, অপ্রত্যাশিত জোরালো প্রতিক্রিয়ায় প্রথমে কিছুটা হতচকিত হয়ে গেল রিনি। কিন্তু স্বভাবসিদ্ধ মেজাজটা ফিরে পেতে দেরি হল না। ঋজুর গলাকে ছাপিয়ে চিৎকার করে উঠল, ‘আমার কোনও কথাই তোমার সহ্য হয় না, তাই না? আর অণিমার কথায় মেজাজ একেবারে ফুরফুরে। ফোনে সে কী কথা! অণিমার প্রতিটা কথা যেন কানে মধু ঢালে। অসভ্য কোথাকার!’
আজ ঋজুও ছাড়বার পাত্র নয়। এতদিনের সুপ্ত আগ্নেয়গিরি লাভা উদ্‌গিরণ শুরু করেছে, ‘অণিমাকে নিয়ে না পড়লে তোমার চলছিল না? অণিমাকে গালমন্দ না করলে তোমার পরিপাকে অসুবিধে হয়, রাতের ঘুম নষ্ট হয়— তাই না? এসব আর সহ্য হয় না। রিনি, এসব বন্ধ করো!’
আগুনে ঘি পড়ল। রিনির গলা আর এক ধাপ চড়ল, ‘বন্ধ করব? চমৎকার! ঘরে বউ রয়েছে, ছেলে রয়েছে। কোথাকার অণিমাকে নিয়ে... লজ্জা করে না তোমার? চুপ করে থাকব আমি? আমার জায়গায় তুমি হলে পারতে?’
গলার ঝাঁঝ বেড়েছে ঋজুরও, ‘আমার কথা ছাড়ো। তুমি তুমিই, আমি আমিই। ভুল করেও তোমার জায়গায় আমি কখনও হতাম না।’ দরদর ঘামছে ঋজু, সারা শরীর কাঁপছে থরথর করে।
এ ঋজুকে রিনি যেন চিনতে পারছে না কিছুতেই। সে কটূক্তির মাত্রাকে চরম থেকে চরমতর পর্যায়ে নিয়ে চলল। ‘ছুটির দিন হলেই বেরিয়ে যাচ্ছে। অণিমাকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছ? নির্লজ্জ কোথাকার!’
রিনির ধারণা ছিল ঋজু একটা সময় ভেঙে পড়বেই। কিন্তু রিনির ভুল ভেঙে গেল। রাগে অগ্নিশর্মা ঋজু গটগট করতে করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। সারাদিন ফিরল না ঋজু। রিনি এবার সত্যিই চিন্তিত হল— লোকটা গেল কোথায়? অণিমার কাছেই?

পর পর দুটো দিন কেটে গেল, ঋজুর দেখা নেই। এই আটচল্লিশটা ঘণ্টা রিনির কাছে এক সুদীর্ঘ সময় মনে হল। মুখরা রিনি কথা বলছে কম, মানসিকভাবে অস্থির বেশি। গুম খেয়ে থাকা সুপর্ণ দু’দিন স্কুলে যায়নি। তেরো বছরের ছেলেটা বড়দের মতো জটিল ব্যাপার অতশত বোঝে না। সে শুধু বুঝেছে বাবা একটা কিছুর জন্য বাড়ি থেকে চলে গেছে, কবে ফিরবে কেউ বলতে পারছে না। ভেতরটা অস্থির হয়ে ওঠে তার। নিজেকেই প্রশ্ন করে সে, ‘বাবা চলে গেল কেন? গেলই বা কোথায়?’
ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন, অফিসের দু’একজন সহকর্মী ছাড়া ঋজুর বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার ব্যাপারটা খুব একটা ছড়ানো হয়নি। রিনির বাবা সমীরণবাবুই নিষেধ করেছেন ছড়াতে। মেয়েকে বুঝিয়েছেন, ‘ব্যাপারটা যত ছড়াবে তোর পক্ষে তত বেশি অসম্মানের হবে।’ তবে রিনির দাদা বিনয়ের পরামর্শে থানায় একটা মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে।
যারা জেনেছে তারাই অল্পবিস্তর হতবাক হয়েছে। ঋজু কখনও এমনটা করতে পারে, সবাইকে চরম উদ্বেগের মধ্যে রেখে উধাও হয়ে যেতে পারে— এটা তাদের কল্পনারও অতীত। পরিচিতদের বেশিরভাগই কেমন একটা ধন্ধে পড়ে গেছে। বিশেষ করে রিনির মুখ থেকে অণিমার প্রসঙ্গটা শুনে অনেকেই দোলাচল চিত্ত। রিনির মনে বার বার ঘুরে ফিরে একটাই প্রশ্ন ঋজু কি শেষমেশ সত্যিই অণিমার কাছে চলে গেল? এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার নিয়ে অনেকের কাছেই অনেক কথা শুনেছে রিনি। খবরের কাগজ আর টিভির নিউজে এ ব্যাপারটা প্রায়ই চোখে পড়ে তার। এর জন্যে খুন পর্যন্ত হচ্ছে আজকাল। ভাবতে ভাবতে রিনির ভেরতটা কেঁপে ওঠে। দিনের আলো যে এত ম্যাড়মেড়ে আর রাতের অন্ধকার যে এমন নিকষকালো হতে পারে এটা তার জানা ছিল না।
কেউ কোনও খবর দিতে পারছে না। ঋজুর ফোনটা সুইচড অব। ছেলেটার মুখের দিকে তাকালে অদৃশ্য রক্তক্ষরণ বাড়ে। রিনি অবশ হয়ে যায়। তাকে বিব্রত করে সুপর্ণ হঠাৎই প্রশ্ন করেছে এক সময়— ‘অণিমা কে মা? সে থাকেই বা কোথায়?’

অনেক চেষ্টা করেও রিনি বা ঘনিষ্ঠজনেদের কেউ অণিমার হদিশ পেল না। ঋজু চলে যাওয়ার পর চার চারটে দিন কেটে গেছে। সময় যত গড়িয়েছে বড়দের মনে ঋজু সম্পর্কে বিচিত্র সম্ভাবনা আর আশঙ্কার ভাবনা উঁকি দিয়ে গেছে। আর ছোট্ট সুপর্ণ বড়দের কাছ থেকে তার প্রশ্নের সদুত্তর না পেয়ে মনমরা হয়ে বসে থেকেছে।
সেদিনও সকালে সুপর্ণ ওদের ছোট্ট বসার ঘরের একটা চেয়ারে বসেছিল। মাঝে মাঝেই দেওয়ালে আটকানো বাবার আঁকা ছবিগুলির দিকে তাকাচ্ছিল আর অন্যমনস্ক হয়ে সাত-পাঁচ ভাবছিল। মা রিনি তখন রান্নাঘরে ব্যস্ত। হঠাৎ কলিং বেলের শব্দ।
তাড়াহুড়ো করে দরজা খুলল সুপর্ণ। সামনে দাঁড়িয়ে তার মায়ের বয়সি এক মহিলা আর তাঁরই পাশে সুপর্ণর সমবয়সি একটা মেয়ে।
ভদ্রমহিলা জানতে চাইলেন, ‘এটাই তো ঋজু দত্তর বাড়ি?’ সুপর্ণর উত্তর, ‘হ্যাঁ।’
—‘তুমি কি সুপর্ণ?’
—‘হ্যাঁ।’
—‘মা বাড়িতে নেই?’
—‘আছে।’
কলিংবেলের শব্দ শুনেই রিনি রান্নাঘর থেকে বসার ঘরের দিকে আসছিল। এখন সম্পূর্ণ অচেনা দু’জনের মুখোমুখি ভদ্রমহিলা নিজেই বললেন, ‘আপনি আমাকে চিনবেন না বউদি। আমি ঋজুদার স্কুলজীবনের বন্ধু পল্লবের স্ত্রী। সঙ্গে এটি আমার মেয়ে।’
দু’চোখে অপার কৌতূহল নিয়ে ওদের দিকে তাকাল রিনি। ভদ্রমহিলা আবার শুরু করলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন কানপুরে ছিলাম, বছর খানেক হল কলকাতায় এসেছি। হঠাৎ একদিন কলেজ স্ট্রিটে ঋজুদার সঙ্গে দেখা আর তারপর’—
‘ও, বুঝেছি। কিন্তু এমন একটা দিনে এলেন যে ঋজু’.. ডুকরে কেঁদে উঠল রিনি।
ভদ্রমহিলা আশ্বস্ত করলেন রিনিকে, ‘এমা, আপনি কাঁদছেন কেন বউদি? ঋজুদা ঠিক আছেন, আমাদের বাড়িতেই আছেন।’
ঋজুর সম্পর্কে ছবিটা এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার না হলেও মা আর ছেলের চোখ-মুখের চেহারা একটু একটু করে বদলাতে শুরু করেছে। কাঁপা কাঁপা গলায় রিনি জানতে চাইলে, ‘ঋজু কিছু বলেনি?’
‘বলেছে... ও সব কথা থাক এখন। দু’জনে তৈরি হয়ে নিন, আমাদের সঙ্গে যেতে হবে তো।’
চারদিকে চোখ বুলিয়ে ভদ্রমহিলা বললেন, ‘বাঃ, এসব ঋজুদার আঁকা নিশ্চয়ই। চলুন আমাদের বাড়িতে। দেখবেন আমাদের ড্রয়িংরুমেও ঋজুদার আঁকা ছবি’—
বিস্মিত রিনি, ‘ঋজু এঁকে দিয়েছে আপনাদের?’
‘হ্যাঁ। মাঝে মাঝে ছুটির দিনে আমাদের বাড়ি যান ঋজুদা। ছবি আঁকেন, গল্প করেন। আসলে আমার স্বামী পল্লব ঋজুদার এই গুণটার কথা আগে থেকেই জানত। তাই বন্ধুর কাছে আবদার আর কি! আমার মেয়েটা ঋজুদার কাছ থেকে আঁকার ব্যাপারে কত টিপস নেয়।’
সুপর্ণ এখন অনেক শান্ত। মন দিয়ে মা আর এই হঠাৎ-আসা ভদ্রমহিলার কথা শুনছে। রিনি এখনও জানে না এই মুহূর্তে ঋজুর অবস্থান কী। ভয়ে ভয়ে জানতে চাইল, ‘ঋজু খুব রেগে আছে, তা-ই না?’
ভদ্রমহিলা বললেন, ‘সত্যি বলতে কি বউদি, উনি খুব মনোকষ্টে আছেন। আপনারা গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
রিনি ব্যস্ত হয়ে উঠল এবার, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ যাব দিদি, এখনই তৈরি হয়ে নিচ্ছি।’ খানিক থেমে রিনি বলল, ‘একটা কথা দিদি। আপনার নামটা?’
—‘আমি কেতকী, কেতকী সান্যাল।’ এবার নিজের মেয়ের দিকে ইঙ্গিত করে ভদ্রমহিলা বললেন, ‘ও আমাদের মেয়ে অনিমিষা। সবাই ওকে ছোট্ট করে অনি নামেই ডাকে। আর ঋজুদার কাছে ও আদরের অনি-মা।’ 
15th  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

সুকুমার রায়। শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে ‘ননসেন্স রাইম’-এর প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পুত্র।  বিশদ

29th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয় 
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

একান্ন মহাপীঠের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাপীঠ হল কামাখ্যা। এই মহাতীর্থে সতীর মহামুদ্রা অর্থাৎ যোনিদেশ পতিত হয়েছিল। দেবীর গুপ্ত অঙ্গ পতিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, পর্বতটি নীলবর্ণ ধারণ করে এবং শত যোজন উচ্চ পর্বত ক্রমশ ভূগর্ভে নেমে যেতে থাকে।   বিশদ

29th  September, 2019
ম্যাজিক
ধ্রুব মুখোপাধ্যায় 

নম্বরগুলো মেলানোর পর যে আনন্দটা হয়েছিল, বিশ্বাস করুন, আমি জীবনে অতটা খুশি কোনওদিনও হয়নি। ‘পঞ্চাশ হাজার’ -না, এমনটা নয় যে আমি কোনওদিনও ভাবিনি। আসলে আমি বিগত কুড়ি বছর ধরে এটাই ভেবে এসেছি। আজকে ভাবনাটা সত্যি হল।
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
চন্দ্রগুট্টির দেবী গুত্তেভারা, পর্ব-২৯
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সেবার কোলহাপুর থেকে সৌন্দত্তি গিয়েছিলাম দেবদাসী তীর্থের ইয়েলাম্মাকে দেখতে। ঠিক তার পরের বছরই ওই একই তিথিতে অর্থাৎ মাঘী পূর্ণিমায় কর্ণাটকেরই আর এক দেবী চন্দ্রগুট্টির গুত্তেভারা দেবীকে দর্শন করতে গেলাম। কিন্তু কেন এত জায়গা থাকতে এই সুদূর দেবীতীর্থে আসা? কারণটা বলছি। 
বিশদ

22nd  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৯

বিয়ের বারো বছর বাদে কন্যা সন্তানসম্ভবা হয়েছে জেনে কবি যথেষ্ট আনন্দিত হয়েছিলেন। তিনি তখন আমেরিকায়। তিনি মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনীকে টেলিগ্রাম করে বেলার সাধভক্ষণের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি বাড়ির খাজাঞ্চি যদু চট্টোপাধ্যায়কে পাঁচশো টাকা এই কারণে মেজ বৌঠানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশও দেন। 
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
সৌন্দত্তির দেবী ইয়েলাম্মা, পর্ব-২৮
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

এবার রওনা দেওয়া যাক সুদূর কর্ণাটকের দিকে। এখানে সৌন্দত্তিতে আছেন ভক্তজন বাঞ্ছিতদেবী ইয়েলাম্মা। ইনি হলেন মূলত দেবদাসীদের আরাধ্যা দেবী। প্রতিবছর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে দলে দলে মেয়েরা এই মন্দিরে দেবদাসী হন। 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৮
আবার মৃত্যু, কবি-জীবন থেকে ঝরে যাবে আরও একটি ফুল। কবির জ্যেষ্ঠা কন্যা মাধুরীলতা। ডাকনাম বেলা। কবির বেল ফুল-প্রীতির কথা পরিবারের সবাই জানতেন। সেই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই কবির মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখলেন বেলা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই কন্যাকে নানা নামে ডাকতেন, কখনও বেলা, কখনও বেল, কখনও বেলি, কখনও বা বেলুবুড়ি। 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা!
বিশদ

08th  September, 2019
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম।
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়। 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না।  
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019
একনজরে
বিএনএ, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির মণ্ডপে পাশাপাশি দেখা গিয়েছে দিদি-মোদির ফ্লেক্স। পুজো প্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষের অভিনন্দনজ্ঞাপক ফ্লেক্সের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জলপারইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন ...

জম্মু, ৯ অক্টোবর (পিটিআই): আরও একবার নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালাল পাকিস্তান। বুধবার পুঞ্চের কৃষ্ণঘাঁটি ও বালাকোট সেক্টরে সারারাত ধরে গুলি চালায় পাক সেনা। ভারতীয় সেনা চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পাশাপাশি তারা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকেও টার্গেট করে। ...

পুনে, ৯ অক্টোবর: ভারতের মাটিতে ‘টিম ইন্ডিয়া’কে হারানো কতটা কঠিন, তা বিলক্ষণ টের পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কারণ, প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দলের ৫০২ রানের ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে হঠাৎ হাজির হলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। বুধবার সকালে তিনি নিজেই চলে আসেন এখানে। তাঁর দাবি, আইফোনের পাসওয়ার্ড জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই জন্যই তিনি এসেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম
১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু দত্তের মৃত্যু
২০১১: গজল গায়ক জগজিৎ সিংয়ের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৪ টাকা ৭২.০৪ টাকা
পাউন্ড ৮৫.৩৯ টাকা ৮৮.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৬.৬০ টাকা ৭৯.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৩ রাত্রি ৭/৫২। শতভিষা ৫১/৩৮ রাত্রি ২/১৪। সূ উ ৫/৩৪/৩৩, অ ৫/১৩/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ২/৫৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/১৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/২৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২২ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৭/৪২ রাত্রি ৭/৫৩/৫২। শতভিষা ৫৪/১৮/১৬ রাত্রি ৩/১৮/৫, সূ উ ৫/৩৪/৪৭, অ ৫/১৪/৪৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৩/৪৭/১৭ গতে ৫/১৪/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ২/১৯/৪৭ গতে ৩/৪৭/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/২৪/৪৭ গতে ১২/৫৭/১৭ মধ্যে। 
মোসলেম: ১০ শফর 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালো। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। মিথুন: ব্যবসায় বেশি বিনিয়োগ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
মানসিক স্বাস্থ্য দিবস১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু ...বিশদ

07:03:20 PM

২০১৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছেন পোল্যান্ডের ওলগা তোকারজুক এবং ২০১৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পাবেন অস্ট্রিয়ার পিটার হ্যান্ডকা

05:15:00 PM

দ্বিতীয় টেস্ট, প্রথম দিন: ভারত ২৭৩/৩ 

04:43:00 PM

সিউড়ি বাজারপাড়ায় পরিত্যক্ত দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ল, চাঞ্চল্য 

04:27:12 PM

মুর্শিদাবাদে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী বৃদ্ধ 
রোগ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে ...বিশদ

03:34:00 PM