Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয় 
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

একান্ন মহাপীঠের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাপীঠ হল কামাখ্যা। এই মহাতীর্থে সতীর মহামুদ্রা অর্থাৎ যোনিদেশ পতিত হয়েছিল। দেবীর গুপ্ত অঙ্গ পতিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, পর্বতটি নীলবর্ণ ধারণ করে এবং শত যোজন উচ্চ পর্বত ক্রমশ ভূগর্ভে নেমে যেতে থাকে। দেবাদিদেব মহাদেব তখন উমানন্দ ভৈরব নাম ধারণ করে পর্বতকে নিজশক্তিতে ধরে রাখেন বলে পর্বত আর নামতে পারে না। সতী অঙ্গ এরপর কঠিন শিলারূপ ধারণ করে এবং দেবী মহামায়াও এই পর্বতে ক্রমশ যোগনিদ্রায় বিলীন হতে থাকেন। পর্বত নীল হওয়ার কারণে এর নাম হয় নীলপর্বত। দেবী কামাখ্যারও নাম হয় নীলপার্বতী। পর্বতের যে স্থানে দেবীর অঙ্গ পতিত হয় সেই স্থানের নাম হয় কুজ্জিকাপীঠ।
আমার পনেরো বছর বয়সের সময় মা-বাবার সঙ্গে প্রথম এসেছিলাম কামাখ্যা-তীর্থে। সালটা হবে ১৯৫৬। তখন কামাখ্যায় যাওয়া সহজসাধ্য ছিল না। প্রথমে সাহেবগঞ্জ হয়ে সকরিগলি ঘাট। তারপর দীর্ঘক্ষণ ধরে গঙ্গা পার হয়ে ওপারে মণিহারি ঘাটে। সেখান থেকে আবার ট্রেনে আমিনগাঁও। পরে আবার ব্রহ্মপুত্র পার হয়ে পাণ্ডুঘাট। সেখান থেকে ট্রেনে অথবা বাসে গৌহাটি (গুয়াহাটি)। এরপর কামাখ্যা, ওই কামাখ্যাতে আমরা কয়েকদিন ছিলাম এবং কামাখ্যা থেকে ঘুরে এসে দেবীর কৃপায় কামাখ্যা ভ্রমণ লিখে আমি লেখকজীবন শুরু করি। এখন এই পথের মহাপ্রস্থান হয়েছে। কামাখ্যা তীর্থযাত্রীদের জন্য হাওড়া থেকে সরাইঘাট এক্সপ্রেসই এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেন। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেন আসে গুয়াহাটিতে। এই মহাতীর্থে অজস্র ধর্মশালা, লজ, পাণ্ডার বাড়ি ইত্যাদি হয়েছে।
আমার কিশোর বয়সে যা ছিল না, এখন তাই হয়েছে। তখন হেঁটে উঠতে হতো পাহাড়ে। এখন বাস, মোটর, অটো, ট্রেকার সবেরই ব্যবস্থা হয়েছে। মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড়ও এখন অনেক। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হয় তাই। কম ভিড়ের জন্য একশো টাকা ও পাঁচশো টাকার লাইনও আছে। এখন গেলে ওইভাবেই দর্শন করতে হয়। তবে জাগ্রতা দেবীর আশীর্বাদেই আমি শুধু নয় অনেকেই ধন্য।
কামাখ্যা দর্শনের পর একটু উচ্চস্থানে নীলপর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে হল ভুবনেশ্বরী পীঠ। কামাখ্যা মন্দির ছাড়া এই পর্বতের বিভিন্ন অংশে দশমহাবিদ্যার যেসব মন্দির আছে তার মধ্যে মহাগৌরী ভুবনেশ্বরীরই প্রাধান্য বেশি। এখান থেকে ব্রহ্মপুত্র ও পিকক আইল্যান্ডে উমানন্দ ভৈরবের দৃশ্য ভারী সুন্দর দেখায়। কামাখ্যা দর্শনার্থীদের প্রত্যেকেরই উচিত উমানন্দ ভৈরবকে দর্শন করা।
ভুবনেশ্বরী পীঠ হল আর এক জাগ্রত পীঠ। এখানে জপতপাদি ক্রিয়াকর্ম করলে স্থানমাহাত্ম্যে অপ্রত্যাশিত ফললাভ হয়। তন্ত্রসাধকদের মতে তন্ত্রসাধনার এর চেয়ে উপযুক্ত স্থান আর নেই। শুধু কামাখ্যা মন্দির বা ভুবনেশ্বরী নয় কামরূপ জেলার সর্বত্র তন্ত্রসাধনা যথেষ্ট ফলপ্রদ। আগে এই কামরূপ প্রদেশ চারভাগে বিভক্ত ছিল। যেমন কামপীঠ, রত্নপীঠ, স্বর্ণপীঠ বা ভদ্রপীঠ ও সৌমার পীঠ। দেবী কামাখ্যা যেখানে বিরাজ করছেন সেই স্থান হল কামপীঠ।
কামরূপের দেবী কামাখ্যা দশমহাবিদ্যার এক মহাবিদ্যা। মহামায়ার বিভূতির অন্তর্গত ষোড়শী দেবী নামেই পূজিতা ইনি। মাতঙ্গী এখানে দেবী সরস্বতী। আর কমলা হলেন লক্ষ্মী। এখানে কামাখ্যা ও কামেশ্বর মন্দিরের মধ্যস্থলে আছেন দেবী কালিকা। ইনি দীর্ঘেশ্বরী নামে পূজিতা। কামাখ্যা এবং কালী মন্দিরের মধ্যস্থলে তারা দেবীর অবস্থান। ইনি এখানে উগ্রতারা। ভুবনেশ্বরীর কথা তো আগেই বলেছি। এবার ভৈরবীর কথা বলি। কামাখ্যা মন্দিরের দক্ষিণ দিকে একটু নিম্নস্থানে ভৈরবী দেবীর মন্দির। এই দেবী ত্রিঅঙ্গে বিভক্ত। উত্তরাঙ্গ হর, পশ্চিমাঙ্গ হেরুক ও দক্ষিণাঙ্গ ত্রিপুর ভৈরবী। এখানকার কুণ্ডটির নাম ভৈরবীকুণ্ড। অসংখ্য কচ্ছপে পরিপূর্ণ। কামাখ্যা মন্দিরের দক্ষিণে দেবী ছিন্নমস্তা গুপ্তদুর্গা নামে বিরাজিতা। অগ্নিকোণে আছেন বগলা। এর দক্ষিণ প্রান্তেই ধূমবতীর পীঠ। ইনি কষ্মাণ্ডী নামে প্রসিদ্ধা। এই পীঠকে বলা হয় কোটেশ্বরী পীঠ। দশমহাবিদ্যা দর্শনের পর মহাদেবের পঞ্চপীঠও দর্শন করতে হয়। তবে এই দর্শনে একজন পাণ্ডা অথবা স্থানীয় কাউকে সঙ্গে নিলে দর্শন সহজসাধ্য হয়।
কামাখ্যা মন্দিরে সবচেয়ে দর্শনীয় যা তা হল সৌভাগ্যকুণ্ড। মন্দির এলাকার মধ্যেই উত্তরদিকে এই সৌভাগ্যকুণ্ড। ইন্দ্রাদি দেবগণ এখানেই কুণ্ড খনন করে নরকাসুর বধের জন্য তপ ও জলতর্পণ করেন। দ্বারভাঙার মহারাজ ইটের প্রাচীর দিয়ে এই কুণ্ডটিকে দু’ভাগ করেছেন। একদিকের জল সাধারণের ব্যবহারের জন্য অপরদিকের কুণ্ডসলিলে মহামায়ার নিত্যস্নান ও ভোগপূজাদি হয়।
কামাখ্যা মন্দির দর্শনের পর তন্ত্র সাধনার মূল পীঠস্থান প্রাগ্‌঩জ্যোতিষপুরেও যাওয়া যেতে পারে। সুপ্রাচীনকালে পিতামহ ব্রহ্মা এখানে বসে নক্ষত্রাদি জগতের সৃষ্টিকার্য আরম্ভ করেছিলেন তাই এর নাম প্রাগ্‌঩জ্যোতিষপুর। নরকাসুর ও তাঁর পুত্র ভগদত্ত এই প্রাগ্‌঩জ্যোতিষপুরেই রাজত্ব করতেন। ভগদত্তের কন্যা ভানুমতীকে মহাভারতের দুর্যোধন বিবাহ করেছিলেন। যেখানে নরকাসুরের রাজ্যপাট ছিল সেটি গুয়াহাটি শহর থেকে তিন কিমি দূরে চিত্রাচলে। সেখানে নবগ্রহের অধিষ্ঠান আছে। এখনও প্রবলভাবে জ্যোতিষচর্চা হয় সেখানে।
গুয়াহাটি শহর থেকে ১২ কিমি দূরে বশিষ্ঠ আশ্রম না দেখলে মন ভরবে না। স্টেশনের কাছ থেকেই ঘন ঘন বাস ছাড়ে বশিষ্ঠ আশ্রমের।
বশিষ্ঠ আশ্রমের অবস্থান সন্ধ্যাচল পর্বতে। কী দারুণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সেখানকার। দলে দলে যাত্রীরা আসেন এখানে পুজো দিতে। একটি বড় গুহাকে ঘিরে মন্দির। অন্ধকার গুহায় দুটি বড় বড় শিলাখণ্ডই বশিষ্ঠমুনির স্মৃতি বহন করছে। এখানে বসেই মুনি তপস্যা করতেন। গুহামন্দিরের পাশে উচ্চ পর্বতের ঘন বনভূমির মধ্য দিয়ে সন্ধ্যা, ললিতা ও কান্তা নামে তিনটি ঝর্ণা নেমে এসে বশিষ্ঠ গঙ্গা নাম নিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কালিকাপুরাণে আছে— ব্রহ্মার মানসপুত্র বশিষ্ঠদেব একবার নিমি রাজার অভিশাপে দেহহীন হন। রাজর্ষি নিমিও তখন দেহহীন হন বশিষ্ঠের শাপে। যাই হোক, বশিষ্ঠদের দেহ ফিরে পাওয়ার জন্য ব্রহ্মার শরণাপন্ন হন। ব্রহ্মা বশিষ্ঠকে উপদেশ দেন কামরূপের সন্ধ্যাচল পর্বতে বসে বিষ্ণুর তপস্যা করতে। বশিষ্ঠদেব তাই করেন। বিষ্ণুও প্রসন্ন হন। বশিষ্ঠের তপোপ্রভাবে এবং বিষ্ণুর বরে সন্ধ্যাচল পর্বতে সন্ধ্যা, ললিতা ও কান্তা নামে তিনটি ঝর্ণা উদ্‌গম হয় এবং সেই ঝর্ণা ধারাতেই আবির্ভূতা হন মা গঙ্গা। তাই এর নাম হল বশিষ্ঠগঙ্গা। বশিষ্ঠদেব প্রতিদিন এই ত্রিধারা সঙ্গমে স্নান, পান, সন্ধ্যা ও তর্পণ করে পূর্বশরীর প্রাপ্ত হন।
(ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল 
29th  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

সুকুমার রায়। শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে ‘ননসেন্স রাইম’-এর প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পুত্র।  বিশদ

29th  September, 2019
ম্যাজিক
ধ্রুব মুখোপাধ্যায় 

নম্বরগুলো মেলানোর পর যে আনন্দটা হয়েছিল, বিশ্বাস করুন, আমি জীবনে অতটা খুশি কোনওদিনও হয়নি। ‘পঞ্চাশ হাজার’ -না, এমনটা নয় যে আমি কোনওদিনও ভাবিনি। আসলে আমি বিগত কুড়ি বছর ধরে এটাই ভেবে এসেছি। আজকে ভাবনাটা সত্যি হল।
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
চন্দ্রগুট্টির দেবী গুত্তেভারা, পর্ব-২৯
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সেবার কোলহাপুর থেকে সৌন্দত্তি গিয়েছিলাম দেবদাসী তীর্থের ইয়েলাম্মাকে দেখতে। ঠিক তার পরের বছরই ওই একই তিথিতে অর্থাৎ মাঘী পূর্ণিমায় কর্ণাটকেরই আর এক দেবী চন্দ্রগুট্টির গুত্তেভারা দেবীকে দর্শন করতে গেলাম। কিন্তু কেন এত জায়গা থাকতে এই সুদূর দেবীতীর্থে আসা? কারণটা বলছি। 
বিশদ

22nd  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৯

বিয়ের বারো বছর বাদে কন্যা সন্তানসম্ভবা হয়েছে জেনে কবি যথেষ্ট আনন্দিত হয়েছিলেন। তিনি তখন আমেরিকায়। তিনি মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনীকে টেলিগ্রাম করে বেলার সাধভক্ষণের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি বাড়ির খাজাঞ্চি যদু চট্টোপাধ্যায়কে পাঁচশো টাকা এই কারণে মেজ বৌঠানের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশও দেন। 
বিশদ

22nd  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
সৌন্দত্তির দেবী ইয়েলাম্মা, পর্ব-২৮
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

এবার রওনা দেওয়া যাক সুদূর কর্ণাটকের দিকে। এখানে সৌন্দত্তিতে আছেন ভক্তজন বাঞ্ছিতদেবী ইয়েলাম্মা। ইনি হলেন মূলত দেবদাসীদের আরাধ্যা দেবী। প্রতিবছর মাঘীপূর্ণিমা তিথিতে দলে দলে মেয়েরা এই মন্দিরে দেবদাসী হন। 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৮
আবার মৃত্যু, কবি-জীবন থেকে ঝরে যাবে আরও একটি ফুল। কবির জ্যেষ্ঠা কন্যা মাধুরীলতা। ডাকনাম বেলা। কবির বেল ফুল-প্রীতির কথা পরিবারের সবাই জানতেন। সেই ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই কবির মেজ বৌঠান জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সদ্যোজাত কন্যার নাম রাখলেন বেলা। রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই কন্যাকে নানা নামে ডাকতেন, কখনও বেলা, কখনও বেল, কখনও বেলি, কখনও বা বেলুবুড়ি। 
বিশদ

15th  September, 2019
অবশেষে এল সে
রঞ্জনকুমার মণ্ডল 

ঋজু অফিস থেকে ফিরতেই রণংদেহি মূর্তি নিয়ে সামনে দাঁড়াল রিনি, প্রশ্ন করল, ‘তুমি গতকাল আদিত্যদের বাড়িতে গিয়েছিল?’
একটু থমকে দাঁড়াল ঋজু, জানতে চাইল, ‘তুমি কোন আদিত্যর কথা বলছ? আমার কলিগ?’ 
বিশদ

15th  September, 2019
ছায়া আছে, কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পুত্র, ব্রাহ্ম নেতা,আচার্য, দানবীর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের শেষ উইলটি এবার করবেন। তাঁর মন আজকে বড়ই শান্ত, কাকে কী দেবেন তা পূর্ব রাত্রেই ঠিক করে ফেলেছেন। মনে আর কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই। কারণ তিনিও যে তার পায়ের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। মৃত্যুর পায়ের শব্দ— দিন ফুরিয়ে এল, এবার ফেরার পালা!
বিশদ

08th  September, 2019
কোলহাপুরের মহালক্ষ্মী - পর্ব-২৭
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

ভারতের মুখ্য দেবীপীঠগুলির মধ্যে করবীর নিবাসিনী মহালক্ষ্মী হলেন অন্যতমা। করবীর বর্তমানে কোলহাপুর নামে খ্যাত। কোলহাপুরং মহাস্থানং যত্র লক্ষ্মী সদা স্থিতা। পঞ্চগঙ্গার দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ৫১ (মতান্তরে ৫২) পীঠের অন্তর্গত এই মহাপীঠে সতীর ত্রিনয়ন (ঊর্ধ্বনেত্র) পতিত হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে আমি কোলহাপুরে গিয়েছিলাম।
বিশদ

08th  September, 2019
তর্পণ
দেবাঞ্জন চক্রবর্তী

রাত শেষ হয়ে এসেছে। এই সময় স্বপ্নটা দেখছিল সমীরণ। স্বপ্ন বলে কোনওভাবেই সেটাকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অথচ সে স্পষ্ট বুঝতে পারছে— এখন যা ঘটছে তা বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। বাবা চলে গেছেন আজ পঁচিশ বছর হল। পঁচিশ বছরে বাবার মাত্র একটা স্বপ্ন দেখেছে সে। এই নিয়ে সমীরণের মনের মধ্যে দুঃখও আছে। লোকে নাকি মৃতদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে।
বিশদ

08th  September, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধূলোয়
দেবী সপ্তশৃঙ্গী, পর্ব-২৬
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়  

সহ্যাদ্রি পর্বতে দেবী সপ্তশৃঙ্গীর বাস। তাই এবারে আসা যাক সহ্যাদ্রি পর্বতমালার বুকে নাসিকের সপ্তশৃঙ্গীতে। এর উচ্চতা ৫ হাজার ২৫০ ফুট। কাজেই স্থানটি শীতল ও রমণীয়। 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

২৬
বাজার সরকার শ্যামলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা, ঠাকুর পরিবারের অন্যতম কৃতী ও গুণবান সন্তান জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী কাদম্বরী দেবীর মৃত্যু জোড়াসাঁকোর সেই বিখ্যাত বাড়ির সদস্যদের সম্পর্কের ভিতে বোধহয় চোরা ফাটল ধরিয়ে দিয়েছিল। অনেকেই কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্বামীর দিকেই আঙুল তুলতেন। তাঁরা মনে করতেন স্বামীর অবহেলা, কথার খেলাপ অভিমানিনী কাদম্বরী দেবী কিছুতেই মেনে নিতে পারতেন না।  
বিশদ

01st  September, 2019
তিথির অতিথি
প্রদীপ আচার্য 

‘বাবা, উনি কাঁদছেন।’ চোখের ইশারায় গোলোকচন্দ্রকে বাইরে ডেকে নিয়ে নিচুস্বরে কথাটা বলল তিথি। গোলোকচন্দ্র আকাশ থেকে সটান মাটিতে পড়লেন। বললেন, ‘ধ্যাৎ, খামোখা কাঁদতে যাবেন কেন?’ 
বিশদ

01st  September, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

২৫
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’ ‘জীবিত ও মৃত’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোট গল্প। এখানেও এসেছেন কাদম্বরী দেবী, তবে নিজ নামে নয় কাদম্বিনী নামে। এই গল্পের শেষ অর্থাৎ ক্লাইম্যাক্সে কি হল! শোনাব আপনাদের। ‘কাদম্বিনী আর সহিতে পারিল না; তীব্রকণ্ঠে বলিয়া উঠিল, ‘ ওগো, আমি মরি নাই গো, মরি নাই।  
বিশদ

25th  August, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দমদম-বাগুইআটি-নারায়ণপুর এলাকার বেশিরভাগ প্রতিমার বিসর্জন হল দশমীতে। সল্টলেকের অনেকগুলো পুজোর বিসর্জন হয়েছে দশমীতেই। এছাড়া বুধবার একাদশীর দিনও বিসর্জন চলেছে। নিউটাউনে অ্যাকশন এরিয়া ১-এ বিসর্জন ঘাট, দমদমের ধোবিঘাট, ভিআইপি রোডের ধারে দেবীঘাটে দিনরাত ছিল চরম ব্যস্ততা।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে হঠাৎ হাজির হলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। বুধবার সকালে তিনি নিজেই চলে আসেন এখানে। তাঁর দাবি, আইফোনের পাসওয়ার্ড জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই জন্যই তিনি এসেছেন। ...

জম্মু, ৯ অক্টোবর (পিটিআই): আরও একবার নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালাল পাকিস্তান। বুধবার পুঞ্চের কৃষ্ণঘাঁটি ও বালাকোট সেক্টরে সারারাত ধরে গুলি চালায় পাক সেনা। ভারতীয় সেনা চৌকি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পাশাপাশি তারা সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকেও টার্গেট করে। ...

স্টকহোম, ৯ অক্টোবর (এপি ও এএফপি): লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরির স্বীকৃতি। ২০১৯ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার জিতে নিলেন তিন বিজ্ঞানী। আমেরিকার জন গুডএনাফ, ব্রিটেনের স্ট্যানলি হোয়াটিংহ্যাম ও জাপানের আরিকা ইয়োশিনো। বুধবার রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের তরফে একথা জানানো হল।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম
১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু দত্তের মৃত্যু
২০১১: গজল গায়ক জগজিৎ সিংয়ের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৪ টাকা ৭২.০৪ টাকা
পাউন্ড ৮৫.৩৯ টাকা ৮৮.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৬.৬০ টাকা ৭৯.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৩ রাত্রি ৭/৫২। শতভিষা ৫১/৩৮ রাত্রি ২/১৪। সূ উ ৫/৩৪/৩৩, অ ৫/১৩/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ২/৫৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/১৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/২৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২২ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৭/৪২ রাত্রি ৭/৫৩/৫২। শতভিষা ৫৪/১৮/১৬ রাত্রি ৩/১৮/৫, সূ উ ৫/৩৪/৪৭, অ ৫/১৪/৪৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৩/৪৭/১৭ গতে ৫/১৪/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ২/১৯/৪৭ গতে ৩/৪৭/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/২৪/৪৭ গতে ১২/৫৭/১৭ মধ্যে। 
মোসলেম: ১০ শফর 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালো। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। মিথুন: ব্যবসায় বেশি বিনিয়োগ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
মানসিক স্বাস্থ্য দিবস১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু ...বিশদ

07:03:20 PM

২০১৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছেন পোল্যান্ডের ওলগা তোকারজুক এবং ২০১৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পাবেন অস্ট্রিয়ার পিটার হ্যান্ডকা

05:15:00 PM

দ্বিতীয় টেস্ট, প্রথম দিন: ভারত ২৭৩/৩ 

04:43:00 PM

সিউড়ি বাজারপাড়ায় পরিত্যক্ত দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ল, চাঞ্চল্য 

04:27:12 PM

মুর্শিদাবাদে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী বৃদ্ধ 
রোগ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে ...বিশদ

03:34:00 PM