Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অবিস্মরণীয় চিত্রামৃত
শংকর

অনন্তকালের মহামানবদের বাণী প্রচারে অনেক সময় লেগে যায়। কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায় তার ব্যতিক্রম নন। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পাঁচ টাকা মাইনের পূজারী তাঁর অবসর সময়ে ভক্তজনদের কিছু বললেন, একজন স্কুল মাস্টার তা শ্রদ্ধার সঙ্গে শুনে বাড়ি ফিরে এসে নোটবইতে লিপিবদ্ধ করলেন। তার কয়েক দশক পরে খণ্ডে খণ্ডে নিজের খরচে যে বই শ্রীম বের করলেন, তা ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত’ রূপে প্রথমে বাংলায়, পরে ইংরেজিতেও বিশ্ববিজয় করল। সেই জয়যাত্রা তো আজও অব্যাহত।
শুধু কথামৃতে আজকের মানুষের মন ভরে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অমৃতবাণীর প্রচারক সাধুসন্ততির মধ্যে দক্ষিণেশ্বরের পূজারী বাউনের ভাগ্য ভালো তাঁর সময়ে ফোটোগ্রাফির জয়যাত্রা সবে শুরু হয়েছে এবং তার কয়েকটি আলোকচিত্র আমাদের কাছে এসেছে, যা বুদ্ধ, খ্রিস্ট, শঙ্করাচার্য, শ্রীচৈতন্য কারও ক্ষেত্রেই ঘটেনি। সেই ফোটোচিত্রের সংখ্যা আর ক’টি! শ্রীরামকৃষ্ণের সবক’টি ছবিও আমাদের হাতে নেই। তাঁর ডাক্তার ভক্ত রামচন্দ্র দত্ত যেসব ছবি তুলেছিলেন অজ্ঞাত কারণে তার নেগেটিভ গঙ্গার জলে ফেলে এসেছিলেন। বাকি ছবির কোনটা কীভাবে কোন কোম্পানির কোন আলোকচিত্রী কোথায় তুলেছিলেন, আবার রামকৃষ্ণ কীভাবে কলকাতার প্রফেশনাল ফোটোগ্রাফারের স্টুডিওতে এলেন সে নিয়ে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের যথেষ্ট কৌতূহল আজও অব্যাহত। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ছাড়াও আছেন তাঁর সমকালের পুরুষ ও মহিলারা, তাঁদের দেখতে কেমন, কেন তাঁরা বিস্মৃতির আলো-আঁধার থেকে আবার বেরিয়ে এলেন সে নিয়ে যা অনুসন্ধান ও উদ্ধারকর্ম হয়েছে, তা নিয়ে কাশীপুরে অন্ত্যলীলাপর্ব থেকে অনুসন্ধান, সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও গবেষণা আজও চলছে দেশে এবং বিদেশে।
গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৮৩৬। দেহাবসান ১৮৮৬। কিন্তু তাঁর প্রথম আলোকচিত্র কবে এবং কোথায় কীভাবে তোলা হল সে সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় খবর স্বামী চেতনানন্দ সংগ্রহ করে রেখেছেন। প্রথম ছবির তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ১৮৭৯, উদ্যোক্তা কেশবচন্দ্র, স্থান তাঁর আপার সার্কুলার রোডের বাড়ি ‘কমল কুটীর’। কে এই ছবি তুলল,  তার সন্ধান মিলল দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বিশেষ সংগ্রহ থেকে, একটা ফোটোর পিছনে উল্লেখ রয়েছে ‘দ্য বেঙ্গল ফোটোগ্রাফার্স, প্রতিষ্ঠা ১৮৬২’। একশো বছর পরে (১৯৬৩) আমেরিকান গবেষক সন্ন্যাসী স্বামী বিদ্যাত্মানন্দ কলকাতার ওই ঠিকানায় গিয়ে স্টুডিওর খোঁজ পেলেন না, আমেরিকান সন্ন্যাসী খুঁজছিলেন ঐতিহাসিক ছবির প্লেট।
এই বিখ্যাত প্রথম ছবিতে আরও চরিত্র আছে— বাহ্য চৈতন্য বিলুপ্ত রামকৃষ্ণকে ধরে রয়েছেন তাঁর ভাগিনেয় ও সেবক হৃদয়রাম। এই ছবিতে আরও যাঁরা বসে আছেন, তাঁদের সবাইকে শনাক্ত করা যায়নি আজও। একমাত্র ব্যতিক্রম ত্রৈলোক্যনাথ সান্যাল।
আরও কিছু ছবি সংগৃহীত হয়েছে— শ্রীরামকৃষ্ণ চাইতেন না যে, কেউ তাঁর ছবি তুলুক। তিনি সমাধিস্থ না হলে তাঁর ছবি তোলা যে যেত না, তাও জানা যাচ্ছে।
দ্বিতীয় ছবিটির তারিখ ১০ ডিসেম্বর ১৮৮১, শনিবার। শ্রীরামকৃষ্ণের পরিধানে একটি ধুতি, একটি লম্বা হাতা পাঞ্জাবি ও একটি কোট, পায়ে চটি-জুতো। ছবির পিছনে তারিখ ১০ ডিসেম্বর ১৮৮১। ‘সুরেন্দ্রনাথ মিত্র তাঁকে গাড়ি করিয়া বেঙ্গল ফোটোগ্রাফার্স স্টুডিওতে লইয়া গেলেন, ফোটোগ্রাফার  তাঁহাকে দেখাইলেন কীরূপে ছবি তোলা হয়। কাঁচের পিছনে কালি মাখানো হয়,  তারপর ছবি ওঠে।’
এই দ্বিতীয় ছবি নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা, শ্রীরামকৃষ্ণ কি জুতো পরেছেন? পরে গবেষকরা বলেছেন, ধুতির নীচে তাঁর পদযুগল ছায়ায় আচ্ছাদিত, তাই কালো দেখাচ্ছে। চটি-জুতো সুস্পষ্ট দৃশ্যমান।
বিদেশি সন্ধানীরা জানাচ্ছেন এই আলোকচিত্র থেকেই ঠাকুরের প্রথম তৈলচিত্র তৈরি হয়েছিল। তারিখও পাওয়া যাচ্ছে ১০ ডিসেম্বর ১৮৮১— ২৭ অক্টোবর ১৮৮২। এর খবরও যে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতে রয়েছে তাও আমরা জানি। এই আলোকচিত্রের প্রিন্ট যে ঠাকুর দেখেছিলেন, তার ইঙ্গিতও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কে তাঁর প্রথম তৈলচিত্র অঙ্কন করেছিলেন? অদ্বৈত আশ্রমের নেগেটিভে একটি অস্পষ্ট স্বাক্ষর দেখা যায়। ‘Vilg’, কিন্তু তিনি কে তা আজও আবিষ্কারের অপেক্ষায়।
এবার সেই বিখ্যাত চিত্র যেখানে একটি সাদা কাপড় পরে কটিদেশ ও ঊরু আবৃত করে ঠাকুর বসে আছেন দক্ষিণেশ্বরে রাধাকান্ত মন্দিরের পশ্চিম দিকে। বরানগরের ভক্ত ভবনাথ চট্টোপাধ্যায় ঠাকুরের এই ছবি তুলতে চান, বরানগর থেকে এক ফোটোগ্রাফার চলে আসেন। এই ছবির ডিরেকশন দেন স্বয়ং নরেন্দ্রনাথ দত্ত। এই ছবি দেখেই ঠাকুর বলেছিলেন— ‘এই ছবি কালে ঘরে ঘরে পূজা হবে।’ ফোটোগ্রাফার অবিনাশচন্দ্র দাঁ ১৮৮৩ সালের অক্টোবর, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এই ছবি তোলেন। এই তারিখ নিয়ে সামান্য মতভেদ আছে। অন্য মত ২ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৪। স্বামী অভেদানন্দ লিখেছেন, ‘এই ছবির কাচের নেগেটিভ দাঁয়ের হাত থেকে পড়ে গিয়েছিল এবং মূল ছবিটি রক্ষা করতে দাঁ নেগেটিভের উপরিভাগ গোলাকারে কেটে দিয়েছিলেন। মূল ফোটোর প্রতিচিত্রের সংখ্যা ছিল ছয়টি।’
চতুর্থ ও পঞ্চম আলোকচিত্র তোলা হয়েছিল মহাসমাধির পরে কাশীপুরে ১৬ আগস্ট ১৮৮৬, এবারেও বেঙ্গল ফোটোগ্রাফারের। উদ্যোক্তা ঠাকুরের চিকিৎসক ডঃ মহেন্দ্রলাল সরকার। তিনি এর জন্য ১০ টাকা দিয়েছিলেন। এই দু’টি ছবির ঐতিহাসিক মূল্য নিদারুণ। অনেকের দুঃখ, বেলুড় মঠে স্বামী বিবেকানন্দের দেহাবসানের পর এমন ছবি স্বামী ব্রহ্মানন্দ তুলতে দেননি।
আরও যে ফোটোগ্রাফের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, তা ঠাকুরের পছন্দ না হওয়ায় ভক্ত ডাঃ রামচন্দ্র দত্ত গঙ্গায় নেগেটিভ ফেলে দিয়েছিলেন বলে অনেকের বেজায় দুঃখ।
দ্বিতীয় আলোকচিত্রে ফিরে আসা প্রয়োজন। যাঁর ছবি তিনি নেই, যে স্টুডিওতে ছবি তোলা তাও নেই। কিন্তু শ্রীরামকৃষ্ণের পরিধান ও কোটটি রয়ে গিয়েছে যা পরবর্তীকালের গবেষকদের খুব কাজে লেগে গিয়েছে। ভক্তরা শ্রীরামকৃষ্ণের দেহের দৈর্ঘ্য কখনও নির্ধারণ করেননি। স্বামী নির্বাণানন্দ ফেলে যাওয়া কোটটি মেপে এবং কোটটির সঙ্গে রামকৃষ্ণের আকৃতির সম্বন্ধ হিসেব করে মেপে ফেললেন, ঠাকুরের দেহের দৈর্ঘ্য ছিল পাঁচ ফুট সাড়ে নয় ইঞ্চি। এই স্থির চিত্র পরবর্তীকালে ঠাকুরের প্রথম মর্মর মূর্তি তৈরির সময় খুব কাজে লেগে গিয়েছিল। কলকাতায় তৈরি এই মূর্তি এখন রয়েছে বারাণসীর অদ্বৈত আশ্রমে।
এই আলোকচিত্র থেকেই শ্রীমা সারদামণির উক্তি— ‘এখানকার লোক সব সেয়ানা— ছবিটা তুলে নিয়েছে। কোন অবতারের কি ছবি আছে?’ তিনি আরও বলেছেন, ‘ছবি তো তাঁরই ছায়া। তাঁর ফোটো দেখলেই হবে। ফোটোতে তিনি স্বয়ং রয়েছেন।’
আমেরিকান গবেষক স্বামী বিদ্যাত্মানন্দ বলেছেন, ‘শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর ছবি তোলার বিরোধী ছিলেন না। ছবি তোলার ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন, কিন্তু তিনি তাঁর আকৃতি ও চেহারার সুস্পষ্ট প্রতিকৃতি রক্ষা করার অনুমতি দিয়েছিলেন।’
স্টুডিওতে তোলা শ্রীরামকৃষ্ণের দু’নম্বর ছবিটি নিয়ে এবং সংগ্রহশালার সুরক্ষিত জামা নিয়ে পরবর্তীকালে একটি অনন্য ছবি তৈরি করে তা স্বামী চেতনানন্দের নতুন বইয়ের প্রচ্ছদে ব্যবহার করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন জীবিতকালের তিনটি আলোকচিত্র ও একটি তৈলচিত্র থেকে কীভাবে মার্কিন দেশে অর্ধশতাব্দী ব্যয় করা সেন্টনুইস বেদান্ত সোসাইটির সভাপতি একদা খুলনার রিফিউজি চেতনানন্দ এই ৬৩৯ চিত্রের বিস্ময়কর রামকৃষ্ণ গ্রন্থ প্রস্তুত করলেন?
স্বামী চেতনানন্দ আমাকে বললেন, ‘এই চিত্রমালার সংগ্রহ ও পরিকল্পনা সেই শুরু থেকে। ১৯৭০ সালে মায়াবতীতে গিয়েছিলাম এবং সেখানে শ্রীরামকৃষ্ণের একটা চিত্রজীবনী তৈরি করি, যা ১৯৭৬ সালে অদ্বৈত আশ্রম থেকে প্রকাশিত হয়। কিন্তু এই সংগ্রহ আমাকে তৃপ্তি দেয়নি।’
‘আমেরিকা থেকে কয়েক বছর অন্তর ভারতবর্ষে যাই এবং দু’-তিনটি ক্যামেরা ও কোডাক ফিল্ম নিয়ে ঠাকুর সংক্রান্ত দশ হাজার ছবি তুলি।’
আমার আমেরিকান বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা ছাড়া এই ঐতিহাসিক দলিল সংগ্রহ ও মুদ্রণ সম্ভব হতো না।’ খ্যাতনামা গ্রাফিক আর্টিস্ট ডায়েন মার্শাল দু’বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমে ছবিগুলি সাজান। ২০১৮ সাল থেকে এই সংগ্রহের উপর আমরা কাজ করি, যাতে রামকৃষ্ণকালের কোনও কিছু ছবি বাদ না পড়ে। ছবিগুলো ডিজিটালাইজ করতে জন লুইসের ছ’বছর লাগে। এই বইয়ের ছবিগুলি সংগ্রহ করে, তা মুদ্রণোপযোগী করাও মস্ত এক চ্যালেঞ্জ ছিল। ছাপার জন্য ভক্তরা ঠিক করেন কানাডার বিখ্যাত প্রিন্টার ফ্রাইমেনকে। এই বইতে রামকৃষ্ণের সমকালীন ব্যক্তিত্বের ছবিগুলির পুনরুদ্ধার ছিল মস্ত কঠিন কাজ। যেমন ঠাকুরের সপ্তদশ সন্ন্যাসী সন্তানের ছবিটি— আদিতে এই ছবিতে ছিলেন ১৮৯৬ সালে আলমবাজারে তোলা মাত্র কয়েকজন। তারপর ডিমার্শাল ইলেকট্রনিক যন্ত্র সাহায্যে বাকি সাতজনের ছবি জুড়ে দিয়ে এই ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট ছবিটি তৈরি করলেন। এই মার্শালের তৈরি গদাধরের প্রথম সমাধির উৎস সাদা বকদের ছবিও আমাকে বিস্মৃত করে।
বিভিন্ন উৎস থেকে সমসাময়িক কালে ভক্ত ও ভক্তিমতীদের ছবি স্বামী চেতনানন্দ সংগ্রহ করেছেন। যেমন পাঠশালায় গদাধরের সহপাঠী গয়াবিষ্ণু লাহা ও হারাধন দত্ত।
খ্যাত অখ্যাত সমকালের মানুষদের ছবি উদ্ধার করেছেন স্বামী চেতনানন্দ। কোনও চরিত্র, কোনও জায়গা বাদ যায়নি। এই সম্পাদনা কাজে যাঁরা তাঁর  বিশেষ সহায়তা করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন— কিমকেন্ট, শুদ্ধপ্রাণা ও লিন্ডাপ্রু।
বলা হয়, শ্রবণ ও পাঠে যা পাওয়া যায় তার সহস্রগুণ প্রাপ্তি রয়েছে চোখের দেখায়। তাই শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতের সঙ্গে আমাদের বিশেষ প্রয়োজন ছিল এক রামকৃষ্ণ চিত্রামৃতের যেখানে কামারপুকুরের ধর্মদাস লাহার বিধবা কন্যা প্রসন্নময়ী দেবীর দুর্লভ ছবি থেকে কেশব সেন, বঙ্কিম, ঈশ্বরচন্দ্র, মথুরনাথ, জগদম্বা দাসী, যদু মল্লিক, বৈকুণ্ঠ সান্যাল, বলরাম বসু, তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণভাবিনী ও শাশুড়ি মাতঙ্গিনী ঘোষের দুর্লভ ছবি সংগৃহীত হয়েছে। সুগৃহীত ও মুদ্রিত হয়েছে ভক্ত রামচন্দ্র দত্তের স্ত্রী কৃষ্ণপ্রেয়সীর ছবি। আছে দরিদ্র ভক্ত ভগবতী দেবী ও গোলাপসুন্দরী দেবীর ছবি। শ্রীম লিখিত শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতের সুবিখ্যাত রামলালার ছবিও স্বামী চেতনানন্দ এই সংগ্রহে ছেপেছেন। যাকে এককথায় বলা যায় শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ চিত্রামৃত। একই বইতে এমন রামকৃষ্ণকেন্দ্রিক চিত্রসংগ্রহ এর আগে কস্মিনকালেও প্রকাশিত হয়নি। যার সংকলন ও মুদ্রণ ব্যয় বহন করেছেন আমেরিকান ও প্রবাসী ভারতীয়রা। 
এমন একটি চিত্র সংগ্রহের বিশেষ প্রয়োজন ছিল। প্রবাসী আমেরিকানদের উৎসাহ ও উন্নত কারিগরি সহযোগিতায় এবার তা সম্ভব হল। স্বামী চেতনানন্দের অর্ধ শতাব্দীকাল বিদেশবাস সার্থক হল।
শ্রীরামকৃষ্ণের হস্তলিপি থেকে শুরু করে ভক্ত ও শত্রু-মিত্রের এমন সম্পূর্ণ সংগ্রহ যে আগে কখনও সম্ভব হয়নি বলাটা অত্যুক্তি হবে না।
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায় 
22nd  August, 2021
পিঠে-পিকনিকে
বাঙালির শীত

কথায় বলে, বর্ষার ছাতা আর শীতের কাঁথা সামলে রাখতে হয়। বাঙালির শীত মানেই লেপ-কাঁথার সঙ্গে সোয়েটার, মাফলার আর বাঁদর টুপি। সেই সঙ্গে পিঠেপুলি, খেজুর গুড়, পাটালি, পিকনিক তো আছেই। শব্দ দিয়ে শীতপ্রিয় বাঙালির ছবি আঁকলেন সোমনাথ বসু।
বিশদ

05th  December, 2021
ব্রিটিশ গরাদে
বন্দি কারাসাহিত্য

সুখেন বিশ্বাস

সময়টা ছিল ১৯৩১-এর ৩০ জুন। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি রয়েছেন দীনেশ গুপ্ত। ফাঁসির কয়েক দিন আগে মাকে লিখছেন, ‘মা, যদিও ভাবিতেছি, কাল ভোরে তুমি আসিবে, তবুও তোমার কাছে না লিখিয়া পারিলাম না। তুমি হয়তো ভাবিতেছ, ভগবানের কাছে এত কাতর প্রার্থনা করিলাম, তবুও তিনি শুনিলেন না। বিশদ

28th  November, 2021
গ্লাসগোয় পৌষমাস
ঘোড়ামারায় সর্বনাশ
মৃন্ময় চন্দ

হাট বসেছে, সোমবারে। চাঁদের হাট। ক্লাইডের পারে, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে। ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর। উপলক্ষ? জলবায়ু সম্মেলন। ‘সিওপি’ বা কপ ২৬’। কপ অর্থে ‘কনফারেন্স অব দি পার্টিস’। বিশদ

21st  November, 2021
ডায়াবেটিসে মালপোয়া!
শ্যামল চক্রবর্তী

বাড়ি থেকে আনা খাবার চেক করছি রোজ দু’বেলা। তবু সুগার আর কমে না। আমরা টেনশনে জেরবার। রেসকোর্সের মাঠের উল্টোদিকের গেট দিয়ে ঢুকে স্যারের কোয়ার্টার দোতলায়। রোজকার মতো সেদিনও সকাল আটটায় পৌঁছে গিয়েছি। স্যার ব্রিফকেসটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছেন প্রায় দৌড়ে। বিশদ

14th  November, 2021
আইএসএল
কতটা প্রস্তুত কলকাতার দুই প্রধান?

আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ঢাকে কাঠি পড়বে। প্রথম কয়েকটি বছর এই প্রতিযোগিতাটিকে নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল। একাধিক তারকা ফুটবলার থেকে শুরু করে জিকোর মতো কিংবদন্তি ফুটবল ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি আইএসএলকে অন্য পর্যায়ে পৌঁছে দেয়। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লিগের মানও পড়তে শুরু করে।
বিশদ

07th  November, 2021
সংগ্রাম
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আরও এক ৩১ অক্টোবর। ৩৭ বছর আগে ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধীর সংগ্রাম শেষ হয়েছিল ঠিক এই দিনটায়... তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে। ব্যক্তি হয়েও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে উঠেছিলেন তিনি। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস মুছে গিয়েছিল তাঁর রাজনৈতিক গ্ল্যামারে। অস্তিত্ব সঙ্কটে ভোগা দলকে আরও একবার শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন ইন্দিরা। আরও একবার সঙ্কটে কংগ্রেস... অস্তিত্ব রক্ষাই যে আজ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের মুখে আরও এক গান্ধী... সোনিয়া। সংগ্রামী জীবন যে তাঁরও... ঘরে-বাইরে। রাজনীতিতে।​​​
বিশদ

31st  October, 2021
স্যোশাল মিডিয়ার ফাঁদে

২০১৮। ব্রাজিল ও মার্কিন মুলুকে সাধারণ নির্বাচন। ফেসবুক নিজেই খুলে ফেলল ১ কোটি ৫ লক্ষ ফেক অ্যাকাউন্ট। ২০২০-এর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। অভিযোগ, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলটিকে জেতাতে ১ হাজার অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে অসংখ্য ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে নাকি নির্লজ্জ প্রচার চালানো হয়। বলিভিয়া-ইকুয়েডর-আজারবাইজান-ইউক্রেন-স্পেন সর্বত্র ‘অর্থের বিনিময়ে’ ভুয়ো খবরের অভিযোগ। ক’জন জানেন, ৬৪ শতাংশ উগ্রপন্থী সংগঠনের আঁতুড়ঘর ফেসবুক। এই সব হাড় হিম করা তথ্যকে লাশকাটা ঘরে পাঠাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় মার্কিন ‘আধিপত্যবাদের’ চতুর এই তল্পিবাহক। নামটা পাল্টে তাহলে ‘ফেকবুক’ রাখাই কি সমীচীন নয়? প্রশ্ন তুললেন  মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

24th  October, 2021
নানা রূপে দুর্গা
তরুণ চক্রবর্তী

সাধক গাইলেন, ‘ত্রিনয়নী দুর্গা, মা তোর রূপের সীমা পাই না খুঁজে।’ সত্যিই মায়ের রূপের যেন সীমা নেই। আর এমনটি হওয়াই স্বাভাবিক। শ্রীশ্রী চণ্ডীতে দেবী দুর্গার মাহাত্ম্য বর্ণনায় আছে,—‘নিঃশেষ দেবগণশক্তি সমূহ মূর্ত্যাঃ’, অর্থাৎ সব দেবতার সমস্ত শক্তির সম্মিলিত প্রতিমূর্তিই দেবী দুর্গা। বিশদ

10th  October, 2021
গান্ধীজির কলকাতা
রজত চক্রবর্তী

কলকাতা জুড়ে মিছিল শুরু হয়েছে— হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই। গান্ধীজি সন্ধ্যায় ফলের রস খেয়ে অনশন ভাঙলেন। গান্ধীজি আর সুরাবর্দি হায়দরি মঞ্জিলের সামনে তৈরি মঞ্চে উঠলেন। সাধারণ মানুষ আজ ভিড় করেছে প্রচুর। তারা শুনতে চায় শান্তির ক‍থা। বিশদ

03rd  October, 2021
বাংলার হারিয়ে যাওয়া নদী

মানব সভ্যতা নদীমাতৃক। অথচ, অনেক ক্ষেত্রে মানুষের সচেতনতার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে বহু নদী। সভ্যতা বাঁচাতে নদীকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই ‘বিশ্ব নদী দিবসে’ বাংলার হারিয়ে যাওয়া নদীগুলির সন্ধান করা হল। বিশদ

26th  September, 2021
বাতাসে বিষ কমছে আয়ু
অরিন্দম রায়

ছোটবেলায় স্কুলের বইতে বায়ুদূষণ নিয়ে যা পড়েছিলাম সেই ধারণার একটা পরিবর্তন করা দরকার। আমাদের পাঠ্য বইতে বায়ুদূষণের বেশিরভাগ অংশটাই ছিল সালফার-ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড কেন্দ্রিক। আমরা পড়েছিলাম, এই দুই গ্যাস কলকারখানা এবং গাড়ির ধোঁয়া থেকে বেরিয়ে অ্যাসিড বৃষ্টির সৃষ্টি করে। বিশদ

19th  September, 2021
অপু-দুর্গার খোঁজে
পুলক চট্টোপাধ্যায়

ছেলেবেলায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় যখন স্কুল পালিয়ে লুকিয়ে তাঁর বাবার লেখা ‘পশ্চিমের ডায়েরি’ পড়তেন, তখন থেকেই তাঁর মনের মধ্যে একটা কল্পনার পাখি বাসা বেঁধেছিল। এরপর বিভূতিভূষণ কর্মসূত্রে হাজির হলেন শরৎচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত ভাগলপুরের আদমপুরে উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে। বিশদ

12th  September, 2021
বাঙালির শিক্ষক
সমৃদ্ধ দত্ত

স্কটল্যান্ডের এবর্ডিন থেকে ২৫ বছর বয়সে বহু দূরের একটি শহর কলকাতায় যখন ডেভিড হেয়ার এলেন, তার কিছুকাল আগেই এই প্রদেশটিতে ভয়ঙ্কর এক দুর্ভিক্ষ ঘটে গিয়েছিল। তাঁর বাবা ছিলেন ঘড়ি নির্মাতা। চার পুত্র জোশেফ, আলেকজান্ডার, জন ও ডেভিড কমবেশি ঘড়ি-বিশেষজ্ঞ। বিশদ

05th  September, 2021
পেগাসাস, রাজকন্যা
ও চুপকথা

থ্রি মাস্কেটিয়ার্স— নিভ-সালেভ-ওমরির নামের আদ্যক্ষর মিলিয়ে তৈরি ইজরায়েলের কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা এনএসও। কেবল উগ্রপন্থী বা পেডোফাইলস (শিশু যৌন নির্যাতনকারী) পাকড়াতে বিভিন্ন দেশের সরকারকেই নাকি পেগাসাস বিক্রি করা হয়। আরবের রাজকুমারী লতিফা, খুন হওয়া সাংবাদিক জামাল খাশোগি বা মরক্কোর ইতিহাসবিদ্‌ মাতি মনজিব—সকলেই তাহলে ছিলেন পেডোফাইলস বা উগ্রপন্থী? আরব-ইজরায়েল সম্পর্ক সাপে-নেউলে। অথচ, পেগাসাস কেনাবেচার সময় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও মহম্মদ বিন রশিদ প্রাণের বন্ধু। গোটা বিশ্বের নিরাপত্তাই আজ বিপন্ন। ‘জিরো ক্লিকে’ই পেগাসাস ঢুকে পড়েছে কুলীন আইফোনের বাসরঘরে। রোমাঞ্চ উপন্যাসকেও হার মানানো পেগাসাসের কাণ্ডকারখানার তত্ত্বতালাশে কলম ধরলেন মৃন্ময় চন্দ।   বিশদ

29th  August, 2021
একনজরে
কয়েকদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই কাটোয়া আদালত চত্বর থেকে বাইক চুরি। এমনকী বাইক চুরি করে পালানোর সময় এক মহিলার ব্যাগ ছিনতাইও করে দুষ্কৃতীরা। ...

পুড়িয়ে মারার আগে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের শরীরের প্রায় সব হাড়ই পিটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাদের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। ...

কোচবিহার জেলায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং দলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের সঙ্গে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার বিরোধ চরম আকার নিয়েছে। ...

ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে আগেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। রবিবার মধ্যরাতের দিকে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বলয়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা উপকূল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM