Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ব্রিটিশ গরাদে
বন্দি কারাসাহিত্য

সুখেন বিশ্বাস

সময়টা ছিল ১৯৩১-এর ৩০ জুন। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি রয়েছেন দীনেশ গুপ্ত। ফাঁসির কয়েক দিন আগে মাকে লিখছেন, ‘মা, যদিও ভাবিতেছি, কাল ভোরে তুমি আসিবে, তবুও তোমার কাছে না লিখিয়া পারিলাম না। তুমি হয়তো ভাবিতেছ, ভগবানের কাছে এত কাতর প্রার্থনা করিলাম, তবুও তিনি শুনিলেন না। তিনি নিশ্চয়ই পাষাণ, কাহারও বুক ভাঙ্গা আর্তনাদ তাঁহার কানে পৌঁছয় না। ভগবান কি আমি জানি না, তাঁহার স্বরূপ কল্পনা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, কিন্তু তবু এ কথাটা বুঝি, তাঁহার সৃষ্টিতে কখনও অবিচার হইতে পারে না।’
ফাঁসির আগে জীবনের চরমতম মানবিকবৃত্তি— যেমন শোক, দুঃখ, ভালোবাসা ইত্যাদির প্রকাশ ঘটেছিল এই চিঠিতে। বহু বিপ্লবী কারাগারে বন্দি অবস্থায় চিঠি পাঠিয়েছেন প্রিয়জনদের কাছে। এ ছাড়াও লিখেছেন আত্মজীবনী, স্মৃতিকথা ইত্যাদি। নজরুল ইসলাম ‘বিষের বাঁশি’, ‘ভাঙার গান’ এইরকম অনেক কবিতা লিখেছেন জেলে বসেই। এই প্রসঙ্গে তিনি চিঠিতে লিখেছেন, ‘রাজার পিছনে ক্ষুদ্র, আমার পিছনে রুদ্র। রাজার পক্ষের যিনি, তার লক্ষ্য স্বার্থ, লাভ অর্থ; আমার পক্ষে যিনি তার লক্ষ্য সত্য, লাভ পরমানন্দ।’ অন্যদিকে সুভাষচন্দ্রের লেখা চিঠির ভাষারীতি আমাদের অবাক করে দেয়। তিনি লিখেছেন, ‘...জিজ্ঞাসা করিলেন অদ্বৈত জ্ঞান ব্রহ্ম সত্য, জগন্মিথ্যা— একটা থিয়োরি কিনা? বলিলাম, যতক্ষণ মুখে বলছি, ততক্ষণ থিয়োরি কিন্তু রিয়ালাইজ করিলে সত্য এবং রিয়ালাইজ করা যায়।’
ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সূচনা হয়েছিল ১৭৫৭ থেকে। দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে আমাদের দেশে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন হয়েছে। ইতিহাস বলছে, এইসব আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বাংলার বিপ্লবীরা। জেলবন্দি বিপ্লবীরা কী ভয়ানকভাবে দিন কাটিয়েছেন, তা তাঁদের রোজনামচা পড়লেই অনুভব করা যায়। নগ্ন করে রাখা, ডাণ্ডাবেড়ি পরানো, তালাবন্ধ করে রাখা, বিচারাধীন বন্দিদের বেত্রাঘাত, নখে সুচ বিঁধিয়ে দেওয়া, দিনরাত নির্জন কক্ষে বন্দি করে রাখা ইত্যাদি। কমলা দাশগুপ্ত ‘রক্তের অক্ষরে’ বইয়ের মধ্যে একইরকমের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। জেলখানা প্রসঙ্গে মহাত্মা গান্ধী এক জায়গায় বলেছিলেন, ‘জেলগুলি মানুষের সৃষ্ট বাস্তব নরক, কল্পিত নরক নহে।’ এই নরকে বসেই বিপ্লবীরা নিজের খেয়ালে সাহিত্যচর্চা করে গিয়েছেন। 
কারাজগৎ বন্দির দেহকে শৃঙ্খলিত করেছিল বটে, কিন্তু মনকে পারেনি। তাই তাঁদের মনে দার্শনিক জীবনজিজ্ঞাসা, সাহিত্যানুভূতি ও দিব্যদৃষ্টির উন্মোচন ঘটেছিল। চিত্তরঞ্জন দাশ তখন কারাগারে। দেশবন্ধুর সাপ্তাহিক বাংলা কাগজে ছাপানোর জন্য বাসন্তী দেবী লোক পাঠালেন নজরুলের কাছে। বিদ্রোহী কবি সেখানে বসেই লিখে দিলেন, ‘কারার ওই লৌহ কপাট...’ । এই লেখাটির অন্য একটি প্রাসঙ্গিকতাও আছে। সুভাষচন্দ্র তাঁর বন্ধু দিলীপকুমার রায়কে জেলখানায় বসে লিখেছিলেন, ‘জেলে যখন লোহার দরজা বন্ধ করে দেয়, তখন মনে যে কী আকুলি-ব্যাকুলি করে কী বলব! তখন বার বার মনে পড়ে যায় কাজীর গান। কারার ওই লৌহ কপাট ভেঙে ফেল কররে লোপাট। কাজীকে ভাগ্যিস জেলে যেতে হয়েছিল।’ 
তবে লেখার জন্যে সবসময় যে জেলখানায় কাগজ-কলম পাওয়া যেত তা কিন্তু নয়। কোনও কোনও রাজবন্দির কাছে অনেক সময় কাগজ-কলম থাকত, কিন্তু সবার কাছে থাকত না। উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নির্বাসিতের আত্মকথা’-য় দেখা যায় যে তাঁরা চুন-সুড়কি দিয়ে জেলের মেঝেতে বসে তৈরি করতেন একটা রং। সেই রং দিয়ে তাঁরা দেওয়ালের গায়ে লিখতেন। কখনও বা নখ দিয়ে কাগজের উপরে লিখতেন। বিপ্লবী ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘লিখিবার জন্য আমাদের কাগজ-কলম কিছু ছিল না— মুখে মুখেই কবিতা তৈয়ারি করিতে হইত এবং পরে চিৎকার করিয়া পরস্পরকে শুনাইতাম। কখনও সেলের দেওয়ালে সুড়কি দিয়া লেখা হইত।’ অন্যদিকে সতীনাথ ভাদুড়ী সম্পর্কে ফণীশ্বরনাথ রেণু বলেছিলেন, ‘একদিন ডিগ্রিতে বসে চা খাচ্ছিলাম, সামনে একটা খাতা ছিল। হাতে নিয়ে পাতা খুলে দেখি লেড পেন্সিল দিয়ে লেখা।’ আসলে লেড পেন্সিল আর খাতা দিয়ে সতীনাথ জেলের মধ্যেই লিখে ফেলেছিলেন ‘জাগরী’। 
চিঠিপত্র লেখার পাশাপাশি বিপ্লবীরা গল্প, কবিতাও লিখেছেন। এই ভাবনাকে সামনে রেখেই বাংলা সাহিত্যে ‘কারাসাহিত্য’ নামে একটি নতুন ধারার সৃষ্টি হয়েছে। 
জেলে বসে যাঁরা কারাসাহিত্য লিখেছেন তাঁদের সিংহভাগই সাধারণ মানুষ। তাঁদের স্বপ্ন ছিল দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা। এঁরা কেউই লেখক হতে চাননি। সাময়িক আগ্রহে দণ্ডিত জীবনের নিষ্ঠুর ও করুণ অভিজ্ঞতাকে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। ব্যক্তি অভিজ্ঞতাই ছিল তাঁদের মুখ্য অবলম্বন। এর মধ্যে দিয়ে তাঁরা জীবন্ত হৃদয়ের উষ্ণতা ও অনুভূতিকে প্রকাশ করেছিলেন। দেশকে তাঁরা ‘মা’ বলে ডাকতেন। সাহিত্যের উপাদান হিসেবে তাঁরা সংগ্রহ করেছিলেন নিজেদের নিঃসঙ্গতা, একাকিত্ব, ইন্দ্রিয়পীড়ন এবং বিভীষিকাময় মানসিক অবস্থা। কারাগ্রন্থগুলিতে রয়েছে ‘লিটারারি টোন’—যাকে বলা যেতে পারে ‘বেদনাসিক্ত স্মৃতি’।
উল্লেখ্য, জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেছিলেন। আন্দামান সেলুলার জেলের বন্দিদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে তিনি কলকাতার টাউন হলে ভাষণ দিয়েছিলেন। কেবল ভাষণ বা সভাসমিতিই নয়—বিভিন্ন প্রবন্ধ, চিঠিপত্রের মাধ্যমে রাজবন্দিদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করেছেন। আমরা জানি, ৬২ দিন অনশনের পরে বিপ্লবী যতীন দাশ মারা গিয়েছিলেন। এই মৃত্যু এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যার জন্যে জওহরলাল নেহরু তাঁর নিজের সভার কাজ মুলতবি রেখেছিলেন। শান্তিনিকেতনে ‘তপতী’ নাটকের মহলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই রাতেই তিনি এই বেদনাকে প্রকাশ করেছিলেন কবিতায়—
‘সর্ব খর্বতারে দহে তব ক্রোধদাহ,
হে ভৈরব, শক্তি দাও, ভক্ত-পানে চাহো।।
দূর করো মহারুদ্র যাহা মুগ্ধ, যাহা ক্ষুদ্র—
মৃত্যুরে করিবে তুচ্ছ প্রাণের উৎসাহ।।
দুঃখের মন্থন বেগে উঠিবে অমৃত,
শঙ্কা হ’তে রক্ষা পাবে যারা মৃত্যুভীত।।’
সেইসময় ব্রিটিশরা অত্যাচার করেছিল বিপ্লবীদের মনটাকে ভেঙে দেওয়ার জন্যে। কিন্তু অত্যাচারই বিপ্লবীদের সংকল্পকে জোরালো করে তুলেছিল অন্তরের শক্তিতে। তাই কারাগারে থেকে বা পরে কারাজীবনকে কেন্দ্র করে সাহিত্য রচনায় হাত দিয়েছিলেন। তবে এই সাহিত্যের কোনও ধারাবাহিকতা ছিল না। প্রকরণগতভাবে কারাসাহিত্য কতখানি সাহিত্য হয়ে উঠেছিল এ প্রশ্ন থেকেই যায়। উপাদান হিসেবে জেলজগৎ, জেলের শাসকবর্গ ইত্যাদি কারাসাহিত্যকে পল্লবিত করেছিল। তবুও সাহিত্যের নান্দনিকতা এর মধ্যে মাঝে মাঝে উঁকি দিয়েছে বইকি। ভূপেন্দ্রকিশোর রক্ষিত তাঁর ‘বন্দীমন’ কাহিনিতে লিখেছেন, ‘ভোরের এ আলোকোচ্ছ্বাসের সঙ্গে কথা কয়ে খুশী হয়ে উঠল বন্দীমন। ও যেন ছোট একখানি সম্পূর্ণ চিঠি। তেমন চিঠি, যার প্রত্যাশায় মন থাকে চঞ্চল।’
কারা অভিজ্ঞতাকে কোনও শিল্পমাধ্যমে প্রকাশ করবেন এ বিষয়ে কিন্তু জেলবন্দিরা সচেতন ছিলেন না। ব্যক্তিগত ঘটনা, অমানবিক নির্যাতন, রাজনৈতিক চেতনা ইত্যাদিই তাঁদের ভাবিয়েছিল। শ্রীঅরবিন্দের লেখা ‘কারাকাহিনী’ এ বিষয়ে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারাজীবনের গ্লানি ও দমনপীড়নের অভিজ্ঞতা তাঁর মননে দার্শনিক চেতনার উন্মেষ ঘটিয়েছিল। নির্জন কারাকক্ষে নিজের অভিজ্ঞতা লিখেছেন এইভাবে, ‘প্রাণের কঠিন আবরণ খুলিয়া গেল এবং সর্বজীবের উপর প্রেমের স্রোত বইতে লাগল।’ এ কথা বলার অপেক্ষা থাকে না, কারাজীবনের নির্জনতাই শ্রীঅরবিন্দকে উপলব্ধির জগতে নিয়ে গিয়েছে। একদিকে জেলখানার বস্তুগ্রাহ্য দৃশ্য জগৎ, অন্যদিকে অদৃশ্য উপলব্ধির জগৎ। তিনি লিখেছেন, ‘শিশু মাতৃক্রোড়ে যেমন আশ্বস্ত ও নির্ভীক হইয়া থাকে আমিও যেন বিশ্ব জননীর ক্রোড়ে সেইরূপ শুইয়া রহিলাম।’ বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষের কাহিনিতে রোমাঞ্চ, উত্তেজনা, বৈপ্লবিক ঘনঘটার পাশাপাশি রয়েছে চিন্তাশীলতা। তিনি লিখছেন, ‘ভগবানের পথ বড় সহজ; দুর্লভ হইয়াও, কঠিন হইয়াও, ক্ষুরের ধারের অধিক সুতীক্ষ্ণ হইয়াও বুঝি সহজ। মানুষ কিন্তু সহস্র বাসনার ফেরে, সে সহজ পথকে দীর্ঘ  ও জটিল করিয়া রাখিয়াছে।’ এই বিষয়ে বারীন্দ্রের লেখা ‘দ্বীপান্তরের কথা’, ‘বারীন্দ্রের আত্মকাহিনী’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এর পাশাপাশি উল্লাসকর দত্ত লিখেছেন ‘আমার কারাজীবনী’, বিধুভূষণ বসু ‘পুরনো জেলের কথা’ ও ‘স্মৃতিকথা’, মদনমোহন ভৌমিক ‘আন্দামানে দশ বৎসর’, অমলেন্দু দাশগুপ্ত ‘ডেটিনিউ’, ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী ‘জেলে ত্রিশ বছর’, হেমচন্দ্র কানুনগো ‘বাংলার বিপ্লব কাহিনী’, নওসের আলির লেখা ‘বন্দীর চিঠি’ ইত্যাদি। বিধুভূষণই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তিত্ব যিনি গল্প লিখে কারাবরণ করেছিলেন। গল্পটির নাম ছিল ‘শিকার’। গল্পটি ১৯০৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। পাশাপাশি জেলবন্দি জীবনই তাঁদের নিত্যনতুন শব্দ সৃষ্টি ও ব্যবহারে প্রেরণা দিয়েছিল। নাহলে আমরা জানতেই পারতাম না ‘খাণ্ডারবাণী’ শব্দের অর্থ ‘জেলখানার গানের আসর’, ‘কঞ্চি’ শব্দের অর্থ ‘ফেনা ভাত’, ‘চেড়ি’—জেলকর্মী, ‘বি কেলাস’—জেলখাটা কয়েদি, ‘এ কেলাস’—ছিঁচকে চোর ইত্যাদি।
তবে এটা ঠিক, বন্দিরা জেলে বসেই আকাশ দেখতেন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য গোপাল হালদারের ‘কয়েদীর আকাশ’-এর কথা। কয়েদিরা লিখেছেন জেলে বসে, অনেকেই আবার লিখেছেন জেল থেকে বেরনোর পর। কয়েদিদের বেশিরভাগেরই সময় কাটত আকাশের দিকে তাকিয়ে। ১৯৩৩ সালের ৮ আগস্ট কন্ডেম সেল থেকে সূর্য সেন একটা চিঠিতে তাঁর দাদাকে লিখছেন, ‘শ্রীচরণকমলেষু দাদা, মানুষের মন একা কিছুতেই থাকতে চায় না। তার নিজের সঙ্গী জুটিয়ে নেবেই। আমার মনও দু-চার দিনের মধ্যেই প্রকৃতির মধ্যে নিজের সঙ্গী জুটিয়ে নিল। সেই সঙ্গী হচ্ছে টু ট্রিস দ্য স্কাই। যেদিন চাঁদ দেখা যেত না, সেদিন তারাগুলোর দিকে চেয়ে থাকতাম। এইভাবে পনেরো দিন কেটে গেল। তখন আপনার প্রেরিত তিনখানা বই গীতা, মহাভারত এবং চয়নিকা পেলাম। আমার মোস্ট ফেভারিট এই তিনখানা বই তখন আমার অ্যাডিশনাল সঙ্গী হল। প্রকৃতির জিনিসগুলি থেকে এবং এই তিনটি বই থেকে মৃত মনের খোরাক সংগ্রহ করে মনটাকে ভরিয়ে রাখলাম।’ উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ‘নির্বাসিতের আত্মকথা’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘প্রাচীরের উপর দিয়া খানিকটা আকাশ ও একটা অশ্বত্থ গাছের মাথা দেখিতে পাওয়া যাইত। জেলখানার কবিত্ব কেবল এইটুকু লইয়াই...।’ দুঃখের বিষয়, বেশিরভাগ কারাকাহিনিরই আজও সেভাবে মূল্যায়ন হল না!
28th  November, 2021
পিঠে-পিকনিকে
বাঙালির শীত

কথায় বলে, বর্ষার ছাতা আর শীতের কাঁথা সামলে রাখতে হয়। বাঙালির শীত মানেই লেপ-কাঁথার সঙ্গে সোয়েটার, মাফলার আর বাঁদর টুপি। সেই সঙ্গে পিঠেপুলি, খেজুর গুড়, পাটালি, পিকনিক তো আছেই। শব্দ দিয়ে শীতপ্রিয় বাঙালির ছবি আঁকলেন সোমনাথ বসু।
বিশদ

05th  December, 2021
গ্লাসগোয় পৌষমাস
ঘোড়ামারায় সর্বনাশ
মৃন্ময় চন্দ

হাট বসেছে, সোমবারে। চাঁদের হাট। ক্লাইডের পারে, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে। ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর। উপলক্ষ? জলবায়ু সম্মেলন। ‘সিওপি’ বা কপ ২৬’। কপ অর্থে ‘কনফারেন্স অব দি পার্টিস’। বিশদ

21st  November, 2021
ডায়াবেটিসে মালপোয়া!
শ্যামল চক্রবর্তী

বাড়ি থেকে আনা খাবার চেক করছি রোজ দু’বেলা। তবু সুগার আর কমে না। আমরা টেনশনে জেরবার। রেসকোর্সের মাঠের উল্টোদিকের গেট দিয়ে ঢুকে স্যারের কোয়ার্টার দোতলায়। রোজকার মতো সেদিনও সকাল আটটায় পৌঁছে গিয়েছি। স্যার ব্রিফকেসটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছেন প্রায় দৌড়ে। বিশদ

14th  November, 2021
আইএসএল
কতটা প্রস্তুত কলকাতার দুই প্রধান?

আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ঢাকে কাঠি পড়বে। প্রথম কয়েকটি বছর এই প্রতিযোগিতাটিকে নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল। একাধিক তারকা ফুটবলার থেকে শুরু করে জিকোর মতো কিংবদন্তি ফুটবল ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি আইএসএলকে অন্য পর্যায়ে পৌঁছে দেয়। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লিগের মানও পড়তে শুরু করে।
বিশদ

07th  November, 2021
সংগ্রাম
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আরও এক ৩১ অক্টোবর। ৩৭ বছর আগে ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধীর সংগ্রাম শেষ হয়েছিল ঠিক এই দিনটায়... তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে। ব্যক্তি হয়েও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে উঠেছিলেন তিনি। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস মুছে গিয়েছিল তাঁর রাজনৈতিক গ্ল্যামারে। অস্তিত্ব সঙ্কটে ভোগা দলকে আরও একবার শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন ইন্দিরা। আরও একবার সঙ্কটে কংগ্রেস... অস্তিত্ব রক্ষাই যে আজ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের মুখে আরও এক গান্ধী... সোনিয়া। সংগ্রামী জীবন যে তাঁরও... ঘরে-বাইরে। রাজনীতিতে।​​​
বিশদ

31st  October, 2021
স্যোশাল মিডিয়ার ফাঁদে

২০১৮। ব্রাজিল ও মার্কিন মুলুকে সাধারণ নির্বাচন। ফেসবুক নিজেই খুলে ফেলল ১ কোটি ৫ লক্ষ ফেক অ্যাকাউন্ট। ২০২০-এর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। অভিযোগ, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলটিকে জেতাতে ১ হাজার অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে অসংখ্য ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে নাকি নির্লজ্জ প্রচার চালানো হয়। বলিভিয়া-ইকুয়েডর-আজারবাইজান-ইউক্রেন-স্পেন সর্বত্র ‘অর্থের বিনিময়ে’ ভুয়ো খবরের অভিযোগ। ক’জন জানেন, ৬৪ শতাংশ উগ্রপন্থী সংগঠনের আঁতুড়ঘর ফেসবুক। এই সব হাড় হিম করা তথ্যকে লাশকাটা ঘরে পাঠাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় মার্কিন ‘আধিপত্যবাদের’ চতুর এই তল্পিবাহক। নামটা পাল্টে তাহলে ‘ফেকবুক’ রাখাই কি সমীচীন নয়? প্রশ্ন তুললেন  মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

24th  October, 2021
নানা রূপে দুর্গা
তরুণ চক্রবর্তী

সাধক গাইলেন, ‘ত্রিনয়নী দুর্গা, মা তোর রূপের সীমা পাই না খুঁজে।’ সত্যিই মায়ের রূপের যেন সীমা নেই। আর এমনটি হওয়াই স্বাভাবিক। শ্রীশ্রী চণ্ডীতে দেবী দুর্গার মাহাত্ম্য বর্ণনায় আছে,—‘নিঃশেষ দেবগণশক্তি সমূহ মূর্ত্যাঃ’, অর্থাৎ সব দেবতার সমস্ত শক্তির সম্মিলিত প্রতিমূর্তিই দেবী দুর্গা। বিশদ

10th  October, 2021
গান্ধীজির কলকাতা
রজত চক্রবর্তী

কলকাতা জুড়ে মিছিল শুরু হয়েছে— হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই। গান্ধীজি সন্ধ্যায় ফলের রস খেয়ে অনশন ভাঙলেন। গান্ধীজি আর সুরাবর্দি হায়দরি মঞ্জিলের সামনে তৈরি মঞ্চে উঠলেন। সাধারণ মানুষ আজ ভিড় করেছে প্রচুর। তারা শুনতে চায় শান্তির ক‍থা। বিশদ

03rd  October, 2021
বাংলার হারিয়ে যাওয়া নদী

মানব সভ্যতা নদীমাতৃক। অথচ, অনেক ক্ষেত্রে মানুষের সচেতনতার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে বহু নদী। সভ্যতা বাঁচাতে নদীকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই ‘বিশ্ব নদী দিবসে’ বাংলার হারিয়ে যাওয়া নদীগুলির সন্ধান করা হল। বিশদ

26th  September, 2021
বাতাসে বিষ কমছে আয়ু
অরিন্দম রায়

ছোটবেলায় স্কুলের বইতে বায়ুদূষণ নিয়ে যা পড়েছিলাম সেই ধারণার একটা পরিবর্তন করা দরকার। আমাদের পাঠ্য বইতে বায়ুদূষণের বেশিরভাগ অংশটাই ছিল সালফার-ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড কেন্দ্রিক। আমরা পড়েছিলাম, এই দুই গ্যাস কলকারখানা এবং গাড়ির ধোঁয়া থেকে বেরিয়ে অ্যাসিড বৃষ্টির সৃষ্টি করে। বিশদ

19th  September, 2021
অপু-দুর্গার খোঁজে
পুলক চট্টোপাধ্যায়

ছেলেবেলায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় যখন স্কুল পালিয়ে লুকিয়ে তাঁর বাবার লেখা ‘পশ্চিমের ডায়েরি’ পড়তেন, তখন থেকেই তাঁর মনের মধ্যে একটা কল্পনার পাখি বাসা বেঁধেছিল। এরপর বিভূতিভূষণ কর্মসূত্রে হাজির হলেন শরৎচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত ভাগলপুরের আদমপুরে উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে। বিশদ

12th  September, 2021
বাঙালির শিক্ষক
সমৃদ্ধ দত্ত

স্কটল্যান্ডের এবর্ডিন থেকে ২৫ বছর বয়সে বহু দূরের একটি শহর কলকাতায় যখন ডেভিড হেয়ার এলেন, তার কিছুকাল আগেই এই প্রদেশটিতে ভয়ঙ্কর এক দুর্ভিক্ষ ঘটে গিয়েছিল। তাঁর বাবা ছিলেন ঘড়ি নির্মাতা। চার পুত্র জোশেফ, আলেকজান্ডার, জন ও ডেভিড কমবেশি ঘড়ি-বিশেষজ্ঞ। বিশদ

05th  September, 2021
পেগাসাস, রাজকন্যা
ও চুপকথা

থ্রি মাস্কেটিয়ার্স— নিভ-সালেভ-ওমরির নামের আদ্যক্ষর মিলিয়ে তৈরি ইজরায়েলের কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা এনএসও। কেবল উগ্রপন্থী বা পেডোফাইলস (শিশু যৌন নির্যাতনকারী) পাকড়াতে বিভিন্ন দেশের সরকারকেই নাকি পেগাসাস বিক্রি করা হয়। আরবের রাজকুমারী লতিফা, খুন হওয়া সাংবাদিক জামাল খাশোগি বা মরক্কোর ইতিহাসবিদ্‌ মাতি মনজিব—সকলেই তাহলে ছিলেন পেডোফাইলস বা উগ্রপন্থী? আরব-ইজরায়েল সম্পর্ক সাপে-নেউলে। অথচ, পেগাসাস কেনাবেচার সময় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও মহম্মদ বিন রশিদ প্রাণের বন্ধু। গোটা বিশ্বের নিরাপত্তাই আজ বিপন্ন। ‘জিরো ক্লিকে’ই পেগাসাস ঢুকে পড়েছে কুলীন আইফোনের বাসরঘরে। রোমাঞ্চ উপন্যাসকেও হার মানানো পেগাসাসের কাণ্ডকারখানার তত্ত্বতালাশে কলম ধরলেন মৃন্ময় চন্দ।   বিশদ

29th  August, 2021
অবিস্মরণীয় চিত্রামৃত
শংকর

অনন্তকালের মহামানবদের বাণী প্রচারে অনেক সময় লেগে যায়। কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায় তার ব্যতিক্রম নন। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পাঁচ টাকা মাইনের পূজারী তাঁর অবসর সময়ে ভক্তজনদের কিছু বললেন, একজন স্কুল মাস্টার তা শ্রদ্ধার সঙ্গে শুনে বাড়ি ফিরে এসে নোটবইতে লিপিবদ্ধ করলেন। বিশদ

22nd  August, 2021
একনজরে
রবিবার আইএসএলের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স  ২-১ গোলে হারাল ওড়িশা এফসিকে। এবার প্রতিযোগিতায় প্রথম জয় পেল কেরলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। ...

পুড়িয়ে মারার আগে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের শরীরের প্রায় সব হাড়ই পিটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাদের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। ...

রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকা কেবল টিভি’র তারই চিন্তার কারণ। যাতায়াতের পথে অনেক সময় জড়িয়ে যাচ্ছে পায়ে। আবার সাইকেল বা বাইকের চাকাতে জড়িয়েও কখনও কখনও ঘটছে দুর্ঘটনা। ...

ফুটফুটে এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ফের উত্তাল হল ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশ। ঘটনাটি হাপুর শহরের। মাত্র ছ’বছরের এক শিশুকন্যার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর পর তাকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM