Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

বাতাসে বিষ কমছে আয়ু
অরিন্দম রায়

 গোড়ার কথা:
ছোটবেলায় স্কুলের বইতে বায়ুদূষণ নিয়ে যা পড়েছিলাম সেই ধারণার একটা পরিবর্তন করা দরকার। আমাদের পাঠ্য বইতে বায়ুদূষণের বেশিরভাগ অংশটাই ছিল সালফার-ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড কেন্দ্রিক। আমরা পড়েছিলাম, এই দুই গ্যাস কলকারখানা এবং গাড়ির ধোঁয়া থেকে বেরিয়ে অ্যাসিড বৃষ্টির সৃষ্টি করে। এখন কথা হচ্ছে, এই গ্যাস দুটো তাই-ই করত এবং একসময় এই দুই গ্যাসের দাপটে আচ্ছা আচ্ছা দেশ নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই দিন এখন অতীত। এখন পুরোটাই ধুলোকণার যুগ। বাতাসে ভাসমান ধুলোকণা যা কি না ২.৫ মাইক্রো মিটারের থেকে ছোট হয় সেই কণাই এখন বায়ুদূষণের বিরাট কোহলি। কতটা ছোট এই ২.৫ মাইক্রো মিটার? মোটামুটি একেবারে ছুঁচলো করে কাটা পেন্সিলের মুখটা ২০০ মাইক্রো মিটার মতো হয়। বা ধরুন দিঘাতে বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রের ধারে পড়ে থাকা এক কণা বালি হাতে তুলে নিতে পারলে সেটি ৯০ মাইক্রো মিটার। চুল লম্বায় তো হাত দুয়েকও হতে পারে কিন্তু চওড়ায় ৫০ মাইক্রো মিটারের কাছাকাছি। তার থেকেও অনেকটাই ছোট এই ধুলোকণাগুলির পোশাকি নাম হল পিএম ২.৫ বা ধুলোকণা ২.৫। এটি মাপা হয় মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘন মিটার এককে। সাধারণত আগে থেকে ওজন করে রাখা ফিল্টার কাগজ নিয়ে তার ওপর একটি নির্দিষ্ট  শক্তির পাম্প চালানো হয় যার সাহায্যে বাতাস টানা হয়। ধুলোকণাগুলি ওই কাগজের ওপর জমা হয়। এইবার ওই কাগজটিকে আবার ওজন করা হয়। ওজন করার পর প্রথম বার পাওয়া ওজনের থেকে পার্থক্য করলেই কতটা ধুলোকণা জমা পড়েছে, তা জেনে নেওয়া সম্ভব। এবারে কত ঘন মিটার বাতাস টানা হয়েছে সেটা দিয়ে এই ওজনের অন্তরকে ভাগ করলেই বাতাসের ধুলোকণার মাত্রা নির্ধারিত হয়। নামেই ধুলোকণা, কিন্তু এর উৎস গাড়ি বা কারখানার ধোঁয়া, রাস্তা বা বাড়ি তৈরির ধুলো বা জ্বালানি যেমন হতে পারে, তেমনই হতে পারে রান্নার সময়ের ধোঁয়া বা ধূপ অথবা মশা মারার কয়েলের ধোঁয়া।  
 কেন ধুলোকণা ২.৫:
এখন প্রশ্ন হল, চোখে দেখা যায় না এমন ধুলোকণা, সে কত বড় না ছোট এত জেনে কী হবে! আর এই ‘২.৫’ মাপটাই বা  এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? দেখা গিয়েছে, এই আকারের ধুলোকণাগুলি আমাদের শ্বাসনালীর বেড়াজাল ভেদ করে একেবারে ফুসফুসের ভেতরে ঢুকে পড়ে। বড় কণাগুলিকে আটকানোর কৌশল বা ব্যবস্থা আমাদের শরীরে আছে। কিন্তু ছোটগুলি এদিক-ওদিক দিয়ে গলে ঠিক চলে যায়। এই যেমন নন্টে-ফন্টে ঠিক হেডমাস্টার মশাইয়ের হাত থেকে বেরিয়ে যেত আর কেল্টুদা ধরা পড়ত। তেমনই আমাদের শরীর হল হেডমাস্টার মশাই। যে কেল্টু কুমারকে ধরতে পারলেও নন্টে-ফন্টে অধরাই থাকে। নন্টে-ফন্টে যেমন বিচ্ছু, এই ধুলোকণা ২.৫-ও একই রকম দুষ্টু। তারা নাকের মধ্যে দিয়ে ফুসফুসে পৌঁছয়। তারপর একেবারে ক্যান্সার থেকে শুরু করে হার্টের রোগ, হাঁপানি থেকে শুরু করে স্ট্রোক কী না বাঁধায়! 
যে কথা বলতে গিয়ে এত কথা এল, সেই সালফার-ডাই-অক্সাইড আর নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইডকে পাত্তা না দেওয়ার আর একটা কারণ হল, বাতাসে এদের পরিমাণ বেশ কম। একেবারে ধোঁয়া ভর্তি রাস্তা বা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া বাতাসে এদের মাত্রা ক্ষতিকারক সীমার তুলনায় অনেকটাই কম। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের ১ শতাংশেরও কম অঞ্চলে এই দুই গ্যাসের মাত্রা বেশি। বাদবাকি জায়গায় এই দুই গ্যাসের মাত্রা ঠিকই আছে। 
 কতটা বেশি হলে খারাপ:
ক্ষতিকারক সীমার কথা যখন উঠলই, তখন সেই সম্বন্ধেও আমাদের জানা দরকার। যেমন— স্কুলে আমাদের স্যাররা অনেক সময়ই প্রশ্রয় দেন। কিন্তু যখন বাইরে থেকে কেউ আসেন, তখন আবার তিনি অত্যন্ত কড়া। সাধারণত ক্লাসের সবচেয়ে দুষ্টু ছেলেটি একেবারে যা তা রকমের বদমাইশি না করলে উত্তম-মধ্যম দেন না। অথচ, বাইরের কারও সামনে পান থেকে চুন খসলেই একেবারে আড়ং ধোলাই কপালে নাচে। এখন, ধুলোকণা ২.৫-এর ক্ষেত্রেও এর বিপজ্জনক সীমার রকমফের আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, ধুলোকণা ২.৫-এর মাত্রা ১০ মাইক্রো গ্রামের বেশি প্রতি ঘন মিটার বাতাসে থাকলে বিপজ্জনক। আর ভারতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কথা অনুযায়ী, বছরে গড় ৪০ মাইক্রো গ্রামের বেশি ধুলোকণা ২.৫ প্রতি ঘন মিটার বাতাসে থাকলে, তা বিপজ্জক। অর্থাৎ হিসেবের রকমফের রয়েছে। ভারতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সীমাটা হল— স্কুলের সবথেকে দুষ্টু ছেলেটার যা তা বদমাইশি। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম হল, বাইরের কেউ যখন আসে। যাই হোক, ভারতে যে সীমাই ধরি না কেন, সব সীমা ছাড়িয়ে ধুলোকণা ২.৫ বহুদূরে পৌঁছে গিয়েছে। ধুলোকণা ২.৫-এর জন্যে ভারতে গড় মান হল ৭০ মাইক্রো গ্রাম প্রতি ঘন মিটারে। তবে, একথা বললেই পুরোটা বলা হয় না। হেমন্ত এবং শীতকালে মানে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একেবারে শহরে শহরে যুদ্ধ চলে— কখনও কলকাতা এগিয়ে যায় তো কখনও দিল্লি কখনও আবার লখনউ। তখন কোথায় ১০ বা ৪০, পাঁচশো-সাতশো এমনকী মাঝে মাঝে হাজারও মাত্রা ওঠে। মানে যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১০ বলছে, সেখানে যদি ৫০০ হয়, মানে প্রায় ৫০ গুণ বেশি।       
 কীভাবে গণনা করা হয় বায়ুদূষণের প্রভাব:
মানুষের আয়ু কমে যাওয়ার পিছনে খাদ্যাভ্যাস থেকে জল, রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে জীবনযাপন অনেক কিছুরই ভূমিকা রয়েছে। শুধুমাত্র বায়ুদূষণের কারণে কতটা আয়ু কমবে সেটা জানতে আমাদের ফিরে যেতে হবে বেশ কয়েক দশক আগের চীন দেশে। প্রায় এগারোশো কিলোমিটার জুড়ে বয়ে চলা হুয়াই নদী চীন দেশকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করছে। চীনের উত্তর দিকে ঠান্ডা একটু বেশি হওয়ায় সরকার পাঁচ থেকে সাতের দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সেই অঞ্চলের বাসিন্দাদের বিনামূল্যে কয়লা দিত। যাতে তারা কয়লা পুড়িয়ে গরম করতে পারে নিজেদের ঘর। চীনের দক্ষিণে অবশ্য এরকম কোনও নিয়ম ছিল না। যদিও ঠান্ডা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁচার জন্য এই নিয়মের কোনও বিকল্পও হয়তো ছিল না। কিন্তু নিয়ম করে এভাবে কয়লা দেওয়ার ফলে চীনের উত্তর ও দক্ষিণে কয়লা ব্যবহারের একটা পার্থক্য দেখা দিয়েছিল। এই ব্যবস্থাপনার প্রভাব আজও চীনে দেখা যায়— উত্তর চীনের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও বাড়ি গরম করার জন্য কয়লার উপর নির্ভরশীল। একই সঙ্গে এখানে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। সেই সময় চীনের উত্তর থেকে দক্ষিণে বা দক্ষিণ থেকে উত্তরে স্থানান্তরিত হওয়া খুব ঝামেলা ছিল। শুধু তাই নয়, যাঁরা যে অঞ্চলে জন্মেছেন, তাঁরা যাতে সেই অঞ্চলেই থেকে যায়, সে ব্যাপারে উৎসাহ দিত দেশের সরকারও। চীনের উত্তর দিকে কয়লার বহুল ব্যবহারের ফলে বায়ুদূষণ ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং দুই অঞ্চলের বায়ুর যে পার্থক্য, তা বোঝা যেতে থাকে। নিয়ম কানুনের কড়াকড়ি থাকার জন্যে চাইলেও এক অঞ্চলের মানুষ অন্য জায়গায় যেতেও পারত না। এর ফলে নদীর একদিকে দীর্ঘকালীন অতিরিক্ত বায়ুদূষণের মধ্যে বেঁচে থাকা মানুষ এবং অন্যধারে অপেক্ষাকৃত কম দূষণে বেঁচে থাকা মানুষের গড় আয়ুর হিসেব বিজ্ঞানীদের কাছে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেয়। দুই অঞ্চলের হাসপাতালে সংগ্রহ করা হয় মৃত্যুর কারণ, কোন বয়সে মৃত্যু, পারিবারিক অবস্থা ইত্যাদি তথ্য। সেই সঙ্গে ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলের বায়ুদূষক পদার্থের তথ্য নিয়ে তুলনামূলক গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করতে থাকেন, বাতাসে ভাসমান ধুলোকণার পরিমাণ কতটা বাড়লে কতটা আয়ু কম হবে সেই হিসেব। এবার গোটা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের বায়ুতে মূল দূষণকারী উপাদান বা ধুলোকণা ২.৫-এর পরিমাণ মাপা হল। তাতে দেখা যাচ্ছে যে, ভারতে শুধু মাত্র বায়ুদূষণের কারণে গড় আয়ুষ্কাল ৬ বছরের কাছাকাছি কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশে সেই সংখ্যাটা ৫.৪ এবং পাকিস্তানে তা ৩.৯ বছর।  
ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে পৃথিবীর মানুষের গড় আয়ু ছিল মোটামুটি ৪০ বছরের আশপাশে। সীমাহীন দারিদ্র্য এবং অবহেলিত ও অনুন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাকে এর অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়। ক্রমশ মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বেড়েছে। যদিও উন্নত দেশগুলিতে উন্নয়নশীল দেশগুলির তুলনায় আয়ুষ্কাল বেশ খানিকটা কম। যাইহোক, সারা পৃথিবীর গড় নিয়ে যদি দেখা হয় তাহলে শুধুমাত্র বায়ুদূষণের কারণে মানুষের ২.২ বছর আয়ুষ্কাল কমছে। এই তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, অন্য একটি পরিসংখ্যান বলছে, নিয়মিত সিগারেট খাওয়ার ফলে আয়ুষ্কাল কমে ১.৮ বছর। মদ খেলে ৭ মাস। এই পরিসংখ্যান দু’টির তুলনা করলেই বোঝা যাচ্ছে, বায়ুদূষণই পৃথিবীর সব থেকে বেশি মানুষের শরীরের ক্ষতি করছে। একেই দূষিত বায়ু, তার উপর যাঁরা বিড়ি-সিগারেট খাচ্ছেন, তাঁদের অবস্থা তো গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো।
 বায়ুদূষণ ও ভারত:
ভারতের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১৩০ কোটি মানুষ এমন জায়গায় থাকেন, যেখানে বায়ুদূষণের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দিষ্ট করে দেওয়া মাত্রার থেকে বেশি। সিন্ধু ও গঙ্গার তীরবর্তী অঞ্চল যাকে ইন্দো-গ্যাঞ্জেটিক প্লেন বলা হয়, সেই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অসংখ্য কলকারখানা, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, শীতের সময় কাঠকয়লা পুড়িয়ে আগুন জ্বালানো এবং ফসল তোলার পরে জমিতে আগুন দেওয়ার রীতির কারণে ভারতীয় উপমহাদেশের বাকি অঞ্চলের থেকে এই অঞ্চলে বায়ুদূষণের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। শুধু বায়ুদূষক পদার্থের উৎপাদনের কারণেই নয়, শীতকালে বায়ুর গতিবেগ অত্যন্ত কম থাকে। কম তাপমাত্রার ফলে দূষিত বায়ু এক জায়গায় আটকে যায়। ফলে পাকিস্তান থেকে শুরু করে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার হয়ে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বায়ুদূষণের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। উত্তর ভারতে বায়ুদূষণের কারণে এই অঞ্চলের প্রায় ৫০ কোটি মানুষের গড় আয়ুষ্কাল কমছে প্রায় ৮.৫ বছর। লখনউতে দূষণ সব থেকে বেশি এবং তা মানুষের জীবন থেকে গড়ে ১১.২ বছর মুছে দিচ্ছে। বায়ুদূষণের মাত্রা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের স্থান ৬ নম্বরে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডের পরেই। যদি আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দিষ্ট করে দেওয়া মাত্রা মেনে চলতে পারি তাহলে আমরা প্রায় ৭ বছরের কাছাকাছি আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারব। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেশি। তুলনামূলকভাবে কোচবিহার, দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিঙে খানিকটা কম। যদিও তা ভারতীয় মাত্রা বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে অনেকটাই বেশি।
 সমস্যাটা কোথায়?
প্রথম সমস্যা হল, বায়ুদূষণ খুব জটিল এবং দেশ বা রাজ্যের সীমানা মানে না। বায়ুপ্রবাহের গতিমুখের জন্য সমগ্র সিন্ধু-গঙ্গা উপত্যকার দূষিত বায়ু পশ্চিমবঙ্গকেও দূষিত করে। মুশকিল হল, আমাদের কাছে এত তথ্য নেই, যাতে আমরা বলতে পারি ঠিক কতটা বায়ুদূষণকারী পদার্থ স্থানীয়ভাবে তৈরি হচ্ছে আর কতটা দূর থেকে উড়ে আসছে। দ্বিতীয়ত, কলকাতা ছাড়া আমাদের বাকি শহরগুলিতে নিয়মিত বায়ুদূষণের মাত্রা পরিমাপের যন্ত্রের বড়ই অভাব। কোনও অঞ্চলে বায়ুদূষণ কমানোর জন্য সেই অঞ্চলে ধুলোকণা ২.৫ কোথা থেকে কতটা আসছে, তা নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি। মানে গাড়ি থেকে, কারখানা থেকে বা জ্বালানি পুড়িয়ে কত শতাংশ আসছে তা জানা জরুরি। সেই ধরনের পরীক্ষা আমাদের দেশে খুবই কম হয়। ফলে আমাদের বায়ুদূষণ কমানোর জন্য অন্ধকারে ঢিল ছুড়তে হয়। তৃতীয়ত, যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের এতটা অভাব রয়েছে, সেখানে বায়ুদূষণের সমাধানে প্রচুর খরচ করাও অসম্ভব। চতুর্থত, বায়ুদূষণ একটা অসম্ভব জটিল পদ্ধতি। শহরে বিশেষত  ভারতীয় উপমহাদেশের শহরগুলিতে শুধুমাত্র গাছ লাগিয়ে বা হোর্স পাইপে করে জল ছিটিয়ে বায়ুদূষণের সমাধান করা সম্ভব নয়।
 সবই তো বুঝলাম কিন্তু...
বায়ুদূষণ নিয়ে কর্মশালার শেষে প্রশ্নটা থাকে— ‘সবই তো বুঝলাম, কিন্তু করবটা কী?’ প্রথমত আমাদের বাঁচতে হবে এবং পরিবারকে বাঁচাতে হবে। শীতকালে সাধারণত বায়ুদূষণের মাত্রা গ্রীষ্মকালের তুলনায় বেশি থাকে। তাই শীতকালে প্রাতর্ভ্রমণ নাই বা করলেন। ঠিক একইভাবে দিনের কর্মব্যস্ত সময় মানে সকাল ৯-১১টা আর বিকেল ৬-৮ টায় একটু সাবধানে চলাফেরা করলে ভালো। করোনার পরেও যদি মুখে মাস্কটা থাকে তাহলে ভালো। বাচ্চা ও বয়স্ক— এই দুই প্রজন্ম বায়ুদূষণের ফলে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তাই রান্না করার সময় এদের একটু দূরে রাখুন। এসি নয়, বাড়িতে হাওয়া বাতাস খেললে ঘরের ভেতরের দূষণ কমতে বাধ্য। ধূপকাঠি বা মশা মারার কয়েল কিন্তু সিগারেটের মতোই ক্ষতিকর, তাই মশারির বিকল্প নেই।  অটোতে যাতায়াতের সময় বাসের টেল পাইপ একেবারে অটোযাত্রীর মুখের উচ্চতায় থাকে। সেই সময় মুখে মাস্কটা থাকলে ভালো। বাড়ি ঘর বা রাস্তাঘাট তৈরির ধুলো বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। একইভাবে শীতের সময় জঞ্জাল পোড়ানো বা বিকট কালো ধোঁয়া ছাড়া গাড়ি— এগুলি সবই কিন্তু বেআইনি। ছবি তুলে সটান পুলিসের কাছে অভিযোগ করুন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রতিবাদ করুন। শুধু শহর নয়, আইআইটি বম্বের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, গ্রামের মানুষও একই হারে বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছেন। যদিও আমাদের বায়ুদূষণের মাত্রা নির্ধারণকারী যন্ত্র বা প্ল্যানিং ভীষণ ভাবে শহরকেন্দ্রিক। ফলে, যদি কাঠ বা কয়লার উনুনে রান্না হয়, তাহলে খোলা জায়গায় করুন। বদ্ধ জায়গা বায়ুদূষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। 
পরিশেষে আমাদের দেশে বলে নয়, যে সমস্ত দেশে ভাত কাপড়ের অভাব আছে, সেখানে বায়ুদূষণের প্রতিরোধ খানিকটা বিলাসিতাই বটে। যে ট্রাফিক পুলিস বছরের পর বছর ধরে রাস্তায় ধোঁয়া খেয়ে যাচ্ছেন বা যে মায়েরা এক চিলতে রান্না ঘরে হেঁশেল সামলাচ্ছেন, বা যে শ্রমিক বাড়ি তৈরির সময় ধুলোয় ধুলোময় হচ্ছেন, তাদের জন্য সত্যি আজও কোনও সমাধান নেই আমাদের কাছে।
(লেখক: সুইজারল্যান্ডের লুর্সানের সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের বিজ্ঞানী)
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায়
19th  September, 2021
পিঠে-পিকনিকে
বাঙালির শীত

কথায় বলে, বর্ষার ছাতা আর শীতের কাঁথা সামলে রাখতে হয়। বাঙালির শীত মানেই লেপ-কাঁথার সঙ্গে সোয়েটার, মাফলার আর বাঁদর টুপি। সেই সঙ্গে পিঠেপুলি, খেজুর গুড়, পাটালি, পিকনিক তো আছেই। শব্দ দিয়ে শীতপ্রিয় বাঙালির ছবি আঁকলেন সোমনাথ বসু।
বিশদ

05th  December, 2021
ব্রিটিশ গরাদে
বন্দি কারাসাহিত্য

সুখেন বিশ্বাস

সময়টা ছিল ১৯৩১-এর ৩০ জুন। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি রয়েছেন দীনেশ গুপ্ত। ফাঁসির কয়েক দিন আগে মাকে লিখছেন, ‘মা, যদিও ভাবিতেছি, কাল ভোরে তুমি আসিবে, তবুও তোমার কাছে না লিখিয়া পারিলাম না। তুমি হয়তো ভাবিতেছ, ভগবানের কাছে এত কাতর প্রার্থনা করিলাম, তবুও তিনি শুনিলেন না। বিশদ

28th  November, 2021
গ্লাসগোয় পৌষমাস
ঘোড়ামারায় সর্বনাশ
মৃন্ময় চন্দ

হাট বসেছে, সোমবারে। চাঁদের হাট। ক্লাইডের পারে, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে। ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর। উপলক্ষ? জলবায়ু সম্মেলন। ‘সিওপি’ বা কপ ২৬’। কপ অর্থে ‘কনফারেন্স অব দি পার্টিস’। বিশদ

21st  November, 2021
ডায়াবেটিসে মালপোয়া!
শ্যামল চক্রবর্তী

বাড়ি থেকে আনা খাবার চেক করছি রোজ দু’বেলা। তবু সুগার আর কমে না। আমরা টেনশনে জেরবার। রেসকোর্সের মাঠের উল্টোদিকের গেট দিয়ে ঢুকে স্যারের কোয়ার্টার দোতলায়। রোজকার মতো সেদিনও সকাল আটটায় পৌঁছে গিয়েছি। স্যার ব্রিফকেসটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছেন প্রায় দৌড়ে। বিশদ

14th  November, 2021
আইএসএল
কতটা প্রস্তুত কলকাতার দুই প্রধান?

আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ঢাকে কাঠি পড়বে। প্রথম কয়েকটি বছর এই প্রতিযোগিতাটিকে নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল। একাধিক তারকা ফুটবলার থেকে শুরু করে জিকোর মতো কিংবদন্তি ফুটবল ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি আইএসএলকে অন্য পর্যায়ে পৌঁছে দেয়। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লিগের মানও পড়তে শুরু করে।
বিশদ

07th  November, 2021
সংগ্রাম
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আরও এক ৩১ অক্টোবর। ৩৭ বছর আগে ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধীর সংগ্রাম শেষ হয়েছিল ঠিক এই দিনটায়... তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে। ব্যক্তি হয়েও প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে উঠেছিলেন তিনি। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস মুছে গিয়েছিল তাঁর রাজনৈতিক গ্ল্যামারে। অস্তিত্ব সঙ্কটে ভোগা দলকে আরও একবার শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন ইন্দিরা। আরও একবার সঙ্কটে কংগ্রেস... অস্তিত্ব রক্ষাই যে আজ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের মুখে আরও এক গান্ধী... সোনিয়া। সংগ্রামী জীবন যে তাঁরও... ঘরে-বাইরে। রাজনীতিতে।​​​
বিশদ

31st  October, 2021
স্যোশাল মিডিয়ার ফাঁদে

২০১৮। ব্রাজিল ও মার্কিন মুলুকে সাধারণ নির্বাচন। ফেসবুক নিজেই খুলে ফেলল ১ কোটি ৫ লক্ষ ফেক অ্যাকাউন্ট। ২০২০-এর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। অভিযোগ, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলটিকে জেতাতে ১ হাজার অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে অসংখ্য ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে নাকি নির্লজ্জ প্রচার চালানো হয়। বলিভিয়া-ইকুয়েডর-আজারবাইজান-ইউক্রেন-স্পেন সর্বত্র ‘অর্থের বিনিময়ে’ ভুয়ো খবরের অভিযোগ। ক’জন জানেন, ৬৪ শতাংশ উগ্রপন্থী সংগঠনের আঁতুড়ঘর ফেসবুক। এই সব হাড় হিম করা তথ্যকে লাশকাটা ঘরে পাঠাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় মার্কিন ‘আধিপত্যবাদের’ চতুর এই তল্পিবাহক। নামটা পাল্টে তাহলে ‘ফেকবুক’ রাখাই কি সমীচীন নয়? প্রশ্ন তুললেন  মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

24th  October, 2021
নানা রূপে দুর্গা
তরুণ চক্রবর্তী

সাধক গাইলেন, ‘ত্রিনয়নী দুর্গা, মা তোর রূপের সীমা পাই না খুঁজে।’ সত্যিই মায়ের রূপের যেন সীমা নেই। আর এমনটি হওয়াই স্বাভাবিক। শ্রীশ্রী চণ্ডীতে দেবী দুর্গার মাহাত্ম্য বর্ণনায় আছে,—‘নিঃশেষ দেবগণশক্তি সমূহ মূর্ত্যাঃ’, অর্থাৎ সব দেবতার সমস্ত শক্তির সম্মিলিত প্রতিমূর্তিই দেবী দুর্গা। বিশদ

10th  October, 2021
গান্ধীজির কলকাতা
রজত চক্রবর্তী

কলকাতা জুড়ে মিছিল শুরু হয়েছে— হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই। গান্ধীজি সন্ধ্যায় ফলের রস খেয়ে অনশন ভাঙলেন। গান্ধীজি আর সুরাবর্দি হায়দরি মঞ্জিলের সামনে তৈরি মঞ্চে উঠলেন। সাধারণ মানুষ আজ ভিড় করেছে প্রচুর। তারা শুনতে চায় শান্তির ক‍থা। বিশদ

03rd  October, 2021
বাংলার হারিয়ে যাওয়া নদী

মানব সভ্যতা নদীমাতৃক। অথচ, অনেক ক্ষেত্রে মানুষের সচেতনতার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে বহু নদী। সভ্যতা বাঁচাতে নদীকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই। তাই ‘বিশ্ব নদী দিবসে’ বাংলার হারিয়ে যাওয়া নদীগুলির সন্ধান করা হল। বিশদ

26th  September, 2021
অপু-দুর্গার খোঁজে
পুলক চট্টোপাধ্যায়

ছেলেবেলায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় যখন স্কুল পালিয়ে লুকিয়ে তাঁর বাবার লেখা ‘পশ্চিমের ডায়েরি’ পড়তেন, তখন থেকেই তাঁর মনের মধ্যে একটা কল্পনার পাখি বাসা বেঁধেছিল। এরপর বিভূতিভূষণ কর্মসূত্রে হাজির হলেন শরৎচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত ভাগলপুরের আদমপুরে উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে। বিশদ

12th  September, 2021
বাঙালির শিক্ষক
সমৃদ্ধ দত্ত

স্কটল্যান্ডের এবর্ডিন থেকে ২৫ বছর বয়সে বহু দূরের একটি শহর কলকাতায় যখন ডেভিড হেয়ার এলেন, তার কিছুকাল আগেই এই প্রদেশটিতে ভয়ঙ্কর এক দুর্ভিক্ষ ঘটে গিয়েছিল। তাঁর বাবা ছিলেন ঘড়ি নির্মাতা। চার পুত্র জোশেফ, আলেকজান্ডার, জন ও ডেভিড কমবেশি ঘড়ি-বিশেষজ্ঞ। বিশদ

05th  September, 2021
পেগাসাস, রাজকন্যা
ও চুপকথা

থ্রি মাস্কেটিয়ার্স— নিভ-সালেভ-ওমরির নামের আদ্যক্ষর মিলিয়ে তৈরি ইজরায়েলের কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা এনএসও। কেবল উগ্রপন্থী বা পেডোফাইলস (শিশু যৌন নির্যাতনকারী) পাকড়াতে বিভিন্ন দেশের সরকারকেই নাকি পেগাসাস বিক্রি করা হয়। আরবের রাজকুমারী লতিফা, খুন হওয়া সাংবাদিক জামাল খাশোগি বা মরক্কোর ইতিহাসবিদ্‌ মাতি মনজিব—সকলেই তাহলে ছিলেন পেডোফাইলস বা উগ্রপন্থী? আরব-ইজরায়েল সম্পর্ক সাপে-নেউলে। অথচ, পেগাসাস কেনাবেচার সময় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও মহম্মদ বিন রশিদ প্রাণের বন্ধু। গোটা বিশ্বের নিরাপত্তাই আজ বিপন্ন। ‘জিরো ক্লিকে’ই পেগাসাস ঢুকে পড়েছে কুলীন আইফোনের বাসরঘরে। রোমাঞ্চ উপন্যাসকেও হার মানানো পেগাসাসের কাণ্ডকারখানার তত্ত্বতালাশে কলম ধরলেন মৃন্ময় চন্দ।   বিশদ

29th  August, 2021
অবিস্মরণীয় চিত্রামৃত
শংকর

অনন্তকালের মহামানবদের বাণী প্রচারে অনেক সময় লেগে যায়। কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায় তার ব্যতিক্রম নন। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পাঁচ টাকা মাইনের পূজারী তাঁর অবসর সময়ে ভক্তজনদের কিছু বললেন, একজন স্কুল মাস্টার তা শ্রদ্ধার সঙ্গে শুনে বাড়ি ফিরে এসে নোটবইতে লিপিবদ্ধ করলেন। বিশদ

22nd  August, 2021
একনজরে
রবিবার আইএসএলের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স  ২-১ গোলে হারাল ওড়িশা এফসিকে। এবার প্রতিযোগিতায় প্রথম জয় পেল কেরলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। ...

ফুটফুটে এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ফের উত্তাল হল ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশ। ঘটনাটি হাপুর শহরের। মাত্র ছ’বছরের এক শিশুকন্যার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর পর তাকে ...

পুড়িয়ে মারার আগে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের শরীরের প্রায় সব হাড়ই পিটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাদের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। ...

কোচবিহার জেলায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং দলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের সঙ্গে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার বিরোধ চরম আকার নিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হলদিয়ায় ধৃত বাইক চুরি চক্রের ২ পাণ্ডা
গ্রেপ্তার বাইক চুরি চক্রের দুই পাণ্ডা। হলদিয়ায় এদের দু’জনকে গ্রেপ্তার ...বিশদ

07:49:00 PM

কালিয়াচকে সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে গেলে বিএসএফকে বাধা দিল বিজিবি, উত্তেজনা
মালদহের কালিয়াচকের সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে গেলে বিএসএফকে বাধা দিল বিজিবি। ...বিশদ

07:31:30 PM

জয়পুরে বৈঠক রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার

07:19:00 PM

ছত্তিশগড়ের সুকমায় আইইডি নিষ্ক্রিয় করলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা

07:17:00 PM

নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হল সলমনের আবাসন
নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হল সলমন খানের আবাসন। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় ...বিশদ

07:12:43 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে প্রস্তুতি তুঙ্গে, ১৩ জানুয়ারি থেকে মেলা শুরু

07:12:00 PM



Loading...