মহিলা ক্ষমতায়নে মার্কিন সাহায্য
নভেম্বরের ৮-১৪ তারিখ অবধি ছিল গ্লোবাল অন্ত্রোপ্রোনর উইক। আর এই সময় কলকাতার মার্কিন কনস্যুলেট শিলংয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এশিয়ান কনফ্লুয়েন্সের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি ক্যাম্পের আয়োজন করে। ভারতের উত্তরপূর্ব অঞ্চল থেকে পঁচিশজন মহিলা ব্যবসায়ীকে অর্থনৈতিক সাহায্য করা হয় এই ক্যাম্পে। গত ১২ এবং ১৩ নভেম্বর কলকাতার আমেরিকান সেন্টারে এই ক্যাম্পটি আয়োজিত হয়েছিল। মার্কিন কনস্যুলেট এবং উইমেন অন্ত্রোপ্রোনর অ্যাকাডেমির যুগ্ম উদ্যোগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের মহিলা ব্যবসায়ীকে অর্থনৈতিক সাহায্য করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পাঁচ হাজার মহিলা ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছে বলে মার্কিন কনস্যুলেট কলকাতার তরফে জানানো হয়েছে। অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড থেকে মহিলা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন কনস্যুলেট কলকাতা। সাহায্যের মধ্যে যে শুধুই অর্থনৈতিক প্রকল্প রয়েছে তা নয়। ব্যবসা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যেমন অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে ‘ড্রিমবিল্ডার’ কোর্সটি অনলাইনে করার সুযোগ পাচ্ছেন বাছাই করা মহিলা ব্যবসায়ীরা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট অন্ত্রোপ্রোনরশিপ ইকোসিস্টেম তৈরি করা গিয়েছে বলেই মার্কিন কনস্যুলেটের বক্তব্য। এতে ভবিষ্যতে যেসব মহিলা ব্যবসা করতে আগ্রহী হবেন তাঁদের খুবই সুবিধা হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। মার্কিন কনসাল জেনেরাল মেলিন্ডা পাভেক এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আমেরিকা মহিলাদের ক্ষমতায়নে গভীরভাবে বিশ্বাসী। এবং নিজস্ব ব্যবসা যে এই ক্ষমতায়নের অন্যতম উপায় তা-ও তিনি বিশ্বাস করেন।  মহামারী পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু মহিলারা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে মেলিন্ডা মনে করেন। ফলে এই সময় তাঁদের হাত শক্ত করাই উদ্দেশ্য। প্রথম পদক্ষেপে ড্রিমবিল্ডার কোর্স সম্পূর্ণ করে সার্টিফিকেট পেয়েছেন মোট আশি জন মহিলা ব্যবসায়ী। পরবর্তী স্তরে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের মহিলা ব্যবসায়ীদের নিয়ে কাজ করবে মার্কিন কনস্যুলেট।

বিদেশের মাটিতে গজলের চর্চা অধ্যাপিকার
গজলের শ্রোতারা একটা ভিন্ন শ্রেণিতে বিরাজ করেন। মিউজিক    ইন্ডাস্ট্রিতে এই গানের শ্রোতাদের বেশ সমঝদার বলা হয়। এই ধরনের গানের লিরিকাল দিকটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রিমিক্স এবং রিমেকের যুগে গজল গেয়ে বিদেশের মাটিতে নাম করেছেন ড. সুস্মিতা দত্ত। পেশায় তিনি বায়োস্ট্যাটিস্টিকসের অধ্যাপিকা। আমেরিকার ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। আর নেশায় তিনি গজল গায়িকা। তাঁর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ‘আপ মেরে খ্যায়াল মে’ মার্কিন মুলুকে বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি সেখানে নিজের গাওয়া ‘নস্টালজিয়া’ শিরোনামের আধুনিক গজল অ্যালবামটি তিনি প্রকাশ করেছেন। এই অ্যালবামটি  ইন্দো-মার্কিন ফিউশন প্রোজেক্ট। ভাবছেন তো কীভাবে? গানটির সংগীত আয়োজন এবং মিক্সিং করা হয়েছে ভারতে। এবং এর ভিডিও, অডিও রেকর্ডিং এবং এডিটিং করা হয়েছে মার্কিন দেশে। ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ৫০ হাজারেরও বেশি ভিউয়ে পৌঁছেছে।
অ্যালবামের সমস্ত গান ড. দত্তের ইউটিউব চ্যানেল থেকে পৃথক মিউজিক ভিডিও হিসাবেও লঞ্চ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এবং তা সমস্ত লিডিং অডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে শোনা যাবে। অ্যালবামের দ্বিতীয় গানটি  ‘তুম ছুপা লো মেরে সনম’ ইতিমধ্যেই একক লঞ্চ করা  হয়েছে। 
গানগুলো লিখেছেন বিভিন্ন কবি। ড. দত্ত একজন স্বাধীন শিল্পী হিসেবে তাঁর গান উপস্থাপন করতে পেরে বেশ আনন্দিত। বললেন,
‘পাইপলাইনে আরও পরিকল্পনা রয়েছে। আমার চ্যানেল থেকে একের পর এক সেগুলি প্রকাশ করব। সকলকে আরও মৌলিক গান শোনার জন্য এবং স্বাধীন শিল্পীদের সমর্থন করার জন্যও অনুরোধ করব।’ এইভাবেই তিনি বিদেশেও ভারতের ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে সচেষ্ট।