Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

নারীর একক লড়াই

‘স্টেটাস সিঙ্গল’— একটা বই যা ক্রমশ একটা শ্রেণির প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে। এ সমাজের একক নারীর কথা বলে বইটি। লেখিকা শ্রীময়ী পিউ কুণ্ডু তাঁর জীবনের বহু অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। তাঁর সঙ্গে কথায় কমলিনী চক্রবর্তী।

হঠাৎ সমাজের একক মহিলাদের উপর একটা বই লিখবেন ভাবলেন কেন?
সেটা ছিল ২০১৮ সাল। আমি তখন একটি সংবাদপত্রে নিয়মিত কলাম লিখতাম। তাতে আমি একক জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা লিখতাম। একা জীবন কাটাতে গিয়ে আমি অনুভব করেছি যে একলা মেয়ের জীবনে প্রচুর ঘটনা রয়েছে। তার কিছু ভালো, কিন্তু বেশিটাই মন্দ।  সেই অভিজ্ঞতাগুলো আমি সমাজের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। কেমন করে আমাদের সমাজ একক নারীর গায়ে একটা লেবেল লাগিয়ে দেয়, তা সবাইকে বলতে চেয়েছিলাম। এবং সেই থেকেই এই বই লেখার কথা মনে হল।

কিন্তু সে তো আপনার জীবনের কথা...।
না, এটাই আমি বলতে চাই। বইটা লিখতে গিয়ে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এই গল্প আমার একার নয়। আমাদের দেশের আরও অজস্র একক মহিলা রয়েছেন যাঁরা সবাই বিভিন্ন ওঠাপড়া নিয়ে, নানা সমস্যার সঙ্গে মানিয়ে গুছিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। আমার মনে হয়েছিল সেই সব মহিলার প্রতিনিধি হয়ে উঠতে হবে আমাকে। তাঁদের জীবনটাকেও সমাজের সামনে আনতে হবে। শুধু তাই নয়, আমার কলামটা লিখতে লিখতেই আমি বুঝেছিলাম এটা কোথাও গিয়ে যেন সমগ্র একক নারীর কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছে। আমার কাছে মেয়েরা রীতিমতো অনুরোধ পাঠাতেন। কেউ বা অবাক হয়ে বলতেন, পড়তে পড়তে মনে হচ্ছে যেন তাঁরই জীবনের কথা। কেউ নিজের কিছু সমস্যার কথা জানাতেন। এইভাবেই আমার কলামটা যখন ব্যক্তিগত থেকে ক্রমশ সর্বজনীন হয়ে উঠল তখনই অনুভব করলাম সবার হয়ে আমাকেই প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। 
এটা একটা ভেতরের টান বলতে পারেন। এবং সেই টান থেকেই আমি গবেষণা করে সমাজের একক নারীদের কাছে পৌঁছই এবং বইটির প্রথম সংস্করণেই তিন হাজারেরও কিছু বেশি একক মহিলার জীবনের গল্প লিখি। তবে সেটা যে বেস্ট সেলার হয়ে উঠবে তা কিন্তু ভাবিনি।

সমাজের একক মহিলাদের কী কী স্তরে ভাগ করেছেন?
আমার বইতে একক নারীদের নানাভাবে খুঁজে পাবেন। কেউ অবিবাহিত, কেউ বিধবা, কেউ ডিভোর্সি কেউ বা বিবাহিত হয়েও স্বামীর সঙ্গে থাকেন না। এমন নানা দিক থেকে আমি ‘একলা মেয়ে’-দের জীবনকথা তুলে ধরেছি। বইটা যখন লিখেছিলাম তখনই বিপুল সাড়া পেয়েছিলাম। কিন্তু ক্রমশ তা একটা সামাজিক দলিল হয়ে উঠেছে। একলা মেয়েদের মুখপাত্র বলতে পারেন। ফলে এখন আর এটা শুধুমাত্র একটা বই হয়েই আটকে নেই। বরং এটা একটা কমিউনিটিতে পরিবর্তিত হয়েছে। আমার বইতে যেসব মহিলার কথা রয়েছে, সারা ভারত থেকে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। একটা এমন জায়গা যা বিপন্ন একক মহিলাদের আশ্রয় হয়ে উঠেছে। আমরা মিটিংয়ের আয়োজন করি। নিজেদের বিভিন্ন ঘটনার কথা আলোচনা করি। একে অপরের বন্ধু হয়ে নিজেরাই নিজেদের ভরসা হয়ে উঠি। প্রয়োজনে কাউকে সাহায্য করি, আবার কারও যদি শুধুই একটা বিশ্বস্ত শ্রোতার প্রয়োজন হয় নিজেকে খুলে ধরার জন্য, তাহলে সেই নীরব শ্রোতা হয়ে তাঁর বা তাঁদের পাশেও থাকি। 

এই মহামারী পরিস্থিতিতে আপনারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেন কীভাবে?
সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের একটা অ্যাক্টিভ কমিউনিটি রয়েছে। নাম, স্টেটাস সিঙ্গল। সেখানে আমরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি।  সেই মাধ্যমে শুরু হলেও যোগাযোগ ক্রমশ বাড়তে থাকে। তখন আর তা কেবলমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে আবদ্ধ থাকে না। তা ব্যক্তিগত হয়ে যায়। আমরা একে অপরের বন্ধু হয়ে উঠি। ফোন মারফত নিজেরা নিজেদের খোঁজখবর নিই। এই বছর অক্টোবর মাসে এই প্ল্যাটফর্মেরই একজন মহিলা, সঞ্চারী সিংহ একটা আইডিয়া দিলেন আমাদের। তিনি বললেন, আমরা অনলাইনে এতদিন ধরে সম্পর্ক বজায় রেখেছি যখন, তখন এবার অফলাইনে সেই সম্পর্ক নিয়ে যাওয়া উচিত। তখনই আমরা ভাবলাম সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ফোন পর্যন্ত গড়িয়ে আনা যায় সম্পর্কটাকে। সেই থেকেই আমাদের ফোনালাপ শুরু হয়। প্রতি মাসে আমরা জুম কলের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতাম। ক্রমশ দেখলাম আমাদের পরিধি আরও বেড়ে যাচ্ছে। 

কীভাবে?
সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্র ধরে এই প্যানডেমিকে এমন বহু মহিলা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন যাঁরা একক জীবনের ভালো মন্দ নিয়ে চলছিলেন, কিন্তু প্যানডেমিকে হঠাৎই বড্ড অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাঁরাও সাহারা খুঁজতে খুঁজতে আমাদের দরজায় কড়া নাড়লেন। আর আমরা তো আছিই একে অপরের সাহায্য করার জন্য। ফলে আমরাও তাঁদের সাদর আমন্ত্রণ জানালাম। প্রয়োজনে টুকটাক সাহায্য করলাম এবং এইভাবেই আমাদের দল আরও ভারী হয়ে উঠল। 

তারপর মুখোমুখি হলেন কীভাবে?
ভেঁপুটা বাজিয়েছিল সঞ্চারী। কিন্তু ওর ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এল সমগ্র একক নারী সমাজ। কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং লখনউয়ের মেয়েরা সঞ্চারীকে সমর্থন করে মুখোমুখি দেখা করার প্রস্তাব রাখল। এতদিনে আমরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পরিচিত হয়েছি। ফলে যোগাযোগটাও অনেক গভীরে পৌঁছেছে। এবং সেখান থেকে মুখোমুখি দেখা করাটা একেবারেই কঠিন হয়নি। প্যানডেমিক একটু হালকা হতেই আমরা মুখোমুখি পরিচিত হয়ে উঠলাম। 

সমাজে একক নারীর অবস্থান কেমন বলে মনে করেন?
আমি নিজে একক জীবন যাপন করি, এবং কাজের সূত্রে বহু একক নারীর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে বুঝেছি সমাজে আমাদের অবস্থান খুবই নড়বড়ে। আমাদের গায়ে একটা অলিখিত অচ্ছুৎ লেবেল সেঁটে রেখেছে সমাজ। একই সঙ্গে আমাদের অসম্ভব স্বেচ্ছাচারীও ভাবা হয়। যখন কলাম লিখতাম তখনই অনুভব করতাম যে, সমাজে নারীর অবস্থানই যথেষ্ট টলমল, তার ওপর আবার সে যদি একা হয় তাহলে তো কথাই নেই। অথচ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ভণ্ডামিটা ভাবুন, নিজেদের সুবিধের জন্য তারা আবার আমাদের গায়ে স্বেচ্ছাচারী তকমাও লাগিয়ে রেখেছে। এই নিয়ে কাউকে বলতে গেলে দেখবেন আপনার পুরুষ বন্ধুটিই বলবে, ‘তোদের আবার কী সমস্যা? তোরা তো একা আছিস, সংসার নেই, দায় নেই, দিব্য কাটছে জীবন!’ আবার এই পুরুষতন্ত্রই কিন্তু সুযোগ বুঝে একা মেয়ের ওপর হামলা করে। তো এমন যখন অবস্থা, তখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ভীষণই জরুরি। আর সেই কাজটাই আমি আমার গ্রুপ বা ফোরামের মাধ্যমে করার চেষ্টা করেছি। এত বিপুল সাড়া পেয়ে অবশ্যই অভিভূতও হয়েছি। 

সমাজে একক নারীর হাত শক্ত করতে কীভাবে সচেষ্ট থাকেন?
আমরা একে অপরের সমস্যাগুলোর সমাধান করার চেষ্টা করি। যেমন একজন রয়েছেন যাঁর ডিভোর্সের মামলা দেড় বছর ধরে আটকে রয়েছে। তিনি হন্যে হয়ে একজন ভালো ডিভোর্স লইয়ার খুঁজছেন। আমাদের গ্রুপে নিজের সমস্যার কথা বলতেই সেখান থেকে একজন সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন। তিনি ডিভোর্স লইয়ারের খোঁজ দেওয়া থেকে তাঁর সঙ্গে প্রাথমিক কথা বলা ইত্যাদি সবরকম সাহায্য করলেন। একইভাবে একজন হয়তো তাঁর বয়স্ক বাবা মায়ের জন্য আয়া চাইছেন তখন সেই অঞ্চল থেকে ভালো আয়ার সন্ধান দেওয়া হয় আমাদেরই গ্রুপের মধ্য থেকে। বেঙ্গালুরুর একটা কেস বলি, তাহলে ব্যাপারটা বোঝাতে পারব সহজেই। একজন একক মহিলা লক্ষ্মী, সম্পত্তিঘটিত বিপুল সমস্যায় পড়েছিলেন। তাঁর ভাই এবং ভাইয়ের বউ তাঁকে একা পেয়ে তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি হাতিয়ে নিচ্ছিল। এমন অবস্থায় তিনি গ্রুপে আবেদন করেন। নিজের সমস্যার কথা জানান। সঙ্গে সঙ্গে বেঙ্গালুরু গ্রুপের হেড সুজান তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেন। দেখা গেল বেঙ্গালুরু গ্রুপেই তিন তিনজন প্রপার্টি লইয়ার রয়েছে। সুজানের মাধ্যমে তাঁদেরই একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এখন লক্ষ্মীর সম্পত্তিঘটিত সমস্যা অনেকটাই সমাধানের পথে। আমার গ্রুপটা যেহেতু খুবই বড়, সেহেতু তার সদস্য সংখ‌্যাও প্রচুর। ফলে ভারতের যে কোনও জায়গায় আমরা সহজেই পৌঁছতে পারি। এবং সেইভাবেই একে অপরের ডাকে সাড়া দিই। আমরা নিজেরাই নিজেদের ভরসা হয়ে উঠেছি।     

মুখোমুখি আলাপ প্রসঙ্গে আবারও ফেরা যাক। প্রথম মিটিংটা কোথায় হয়েছিল?
১৫ অক্টোবর আমাদের প্রথম মিটিংটা হয়েছিল। তিনটে শহরের মেয়েরা একত্র হয়ে মিট করেছিলাম কলকাতার সল্ট হাউজ রেস্তরাঁয়। সেখানে কলকাতার মেয়েরাই প্রস্তাব দেয় বিজয়ার ‘সিঁদুর খেলা’ অনুষ্ঠানটাকে হাইলাইট করা হবে এই মিটিংয়ে। সামাজিক এই পুরুষতান্ত্রিক রীতিটা ভেঙে দেওয়ার সময় এসেছে। এবং একমাত্র মেয়েরাই পারে তা ভেঙে বেরিয়ে আসতে। এয়ো স্ত্রী হলে সে দেবীকে বরণ করতে পারবে আর অবিবাহিত বা বিধবারা পারবে না, এ আবার কেমন রীতি? মা দুর্গা কি শুধুই বিবাহিত মহিলাদের সম্পত্তি? এই রীতিটা ভাঙার জন্যই আমরা একক মহিলারা বিজয়ায় রীতিমতো এক মাথা সিঁদুর পরে, আলতায় পা রাঙিয়ে ঘোমটা টেনে সিঁদুর খেললাম। এবং তারপর আড্ডা ও খাওয়াদাওয়া পর্যন্ত গড়িয়েছিল অনুষ্ঠান। এই তিনটি শহর মিলিয়ে মোট তিরিশজন মহিলা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা জুম কল ও ভিডিও কলে যোগদান করেছিলেন। এরপর ২৩ অক্টোবর চেন্নাই মিট করল, তারপর ২৪ অক্টোবর মুম্বই মিটিং হল। সেদিনও আর একটা পুরুষতান্ত্রিক অনুষ্ঠান ছিল, করওয়া চৌথ। যেখানে আবারও সেই বিবাহিত মহিলারাই স্বামীর কল্যাণে উপোস করেন। তারপর স্বামীর হাত থেকে জল খেয়ে উপোস ভাঙেন। আমরা সেই নিয়মটাই ভাঙতে চেয়েছিলাম। আর সেই নিয়ম ভাঙার জন্য আমরা সেদিন বিবাহিত মহিলাদের মতোই মেহেন্দি পরে, হাত ভর্তি চুড়ি পরে সেজেছিলাম। আপেক্ষিকভাবে দেখলে এগুলো হয়তো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নয়। তবে পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে এগুলোই আমাদের প্রতিবাদ। এর ফলে যে রাতারাতি সমাজটা বদলে যাবে  তা নয়, তবু একটু একটু করে এই প্রতিবাদগুলো জমতে জমতে একদিন বদল আসবেই। এটা আমাদের বিশ্বাস। নারী শিক্ষা, নারী স্বাধীনতা বা তাঁদের অধিকারের লড়াই কোনওটাই তো একদিনে আসেনি।  কিন্তু ক্রমশ সমাজ তো একটু একটু করে হলেও বদলাচ্ছে। সেই বদলের পথ চেয়ে বসে আছি আমরা মেয়েরা। তার জন্য নিজেদের তরফে যেটুকু করার করেই চলেছি প্রতিনিয়ত। 

নারীরা কি সত্যিই মানসিকভাবে স্বাধীন?
দারুণ বলেছেন। গলদটা আসলে গোড়ায়। আমাদের সমাজ সেই গলদে হাওয়া দিয়ে চলেছে। আর মাঝখান থেকে লাভবান হচ্ছে পুরুষতন্ত্র। মেয়েরা যুগ যুগ ধরে পুরুষের ওপর নির্ভর করতে করতে নিজেরাই পরনির্ভরশীল হয়ে গিয়েছে। স্বাধীনচেতা মহিলার সংখ্যা সমাজে খুবই কম। আমরা সেখানেই বদল আনার চেষ্টা করছি। দুষ্টু গোরুর চেয়ে যে শূন্য গোয়াল ভালো সেটাই মেয়েদের মনে গেঁথে দিতে চাইছি। বিয়ে না টিকলে বেরিয়ে আসার সাহস তাদের দিতে চাইছি। নিজের জীবনটা নিজের মতো করে যাপন করার কথাই আমরা বলি। সেই নিয়েই আমাদের যাবতীয় মিটিং, আড্ডা ইত্যাদি। এতে আর কিছু না হোক, একলা যেসব মহিলা থাকেন তাঁরা একটা সাহস পান। অনেকটা বল ভরসার মতো কাজ করি আমরা একে অপরের। আগে যেমন ডিভোর্সি হলে লোকলজ্জার ভয়ে সিঁটিয়ে থাকত মেয়েরা এখন আর ততটা থাকে না। সমাজে নিজের অধিকার যদি মেয়েরা ছিনিয়ে নিতে না পারে তাহলে অবদমিত হতে হবে তাদের প্রতিপদে। আমরা একে অপরকে ভরসা দেওয়ার মাধ্যমে সেই মাথা উঁচু করে বাঁচার কথাই বলি। ডিভোর্সের দায় যে একলা স্ত্রীয়ের নয়, স্বামী এবং স্ত্রী দু’জনেরই, সেই সত্যটাই সমাজের চোখে তুলে ধরতে চাই। তবে এর জন্য সমগ্র নারী জা.র মানসিক পরিবর্তন প্রয়োজন সেটা অস্বীকার করা যায় না। আমাদের ফোরামে যাঁরা আছেন তাঁদেরকে পথপ্রদর্শক হিসেবে দেখা যেতে পারে।

আগামী দিনে আপনাদের ফোরামের পরিকল্পনা কী?
আমরা প্রতি মাসে একটা করে মিটআপ সেশন রাখব বলে ভেবেছি। এবং সেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ থিম অনুযায়ী করা হবে। যেমন সিঁদুর খেলা বা করওয়া চৌথ-এর ব্রত রাখার মাধ্যমে সমাজের কাছে, পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটা বার্তা দিয়েছিলাম তেমনই প্রতিটি মিটিংয়েই একটা বার্তা থাকবে। নারী উন্নয়নের বার্তা। যেমন নভেম্বর মাসের শেষে গিয়ে আমাদের আগামী সম্মেলনটা হবে কলকাতায়, গঙ্গা বক্ষে। নভেম্বর মাসে ধনতেরস, দেওয়ালি ইত্যাদির কথা মাথায় রেখে আমরা ব্যবসায়ী মহিলাদের সাফল্য কামনা করে আমাদের অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করব। আমাদের নভেম্বর মাসের থিম তাই ‘উইমেন অ্যান্ড ওয়েলথ’। দেশের উল্লেখযোগ্য মহিলা ব্যবসায়ীদের কথা আলোচনা করব এই মিটিংয়ে। আমাদের গ্রুপের মধ্যে যাঁরা ব্যবসা করছেন তাঁদের কথাও বলা হবে। যত ছোট ব্যবসাই হোক না কেন সেটাও তুলে ধরা হবে। একই সঙ্গে আমাদের সমাজে সফল ডাক্তার ও আইভিএফ সেন্টার লিডার ডাঃ ইন্দ্রাণী লোধের যাত্রাটাও তুলে ধরা হবে। আমাদের সমাজে মেয়েরা অনেকেই অর্থনীতির বিষয়টা বোঝেন না।  পরনির্ভরতা কিন্তু এখান থেকেই শুরু। অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতাই নারী উন্নয়নের প্রধান ও প্রথম ধাপ। সেই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করা হবে আমাদের আগামী সম্মেলনে। এইভাবেই আমরা নারী উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে চাই। নারী ক্ষমতায়ন শব্দবন্ধটা এখন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মেয়েদের কাছে। কিন্তু ক্ষমতায়নের প্রথম ধাপ যে স্বনির্ভরতা, সেটাই অধিকাংশ মেয়ে জানে না। আমরা সামগ্রিকভাবে নারী সমাজের উন্নয়ন এবং একক নারীর স্বাধীনতার কথা বলি। সেই দিনের পথ চেয়ে থাকি যেদিন সমাজের সব মহিলা একজোট হয়ে স্বাধীনতার মুকুট মাথায় পরবে। নারী হয়ে উঠবে প্রকৃত অর্থে স্বাধীন।      
20th  November, 2021
বিয়ে রীতির
সাতকাহন
সুস্মেলী দত্ত

‘উফ! বিয়ে, বিয়ে আর বিয়ে, আচ্ছা এছাড়া আর কি কোনও লক্ষ্য নেই জীবনে? এমন কী ব্যাপার আছে যে পৃথিবীতে সকলকেই বিয়ে করতে হবে? বিয়ের আচার-অনুষ্ঠানগুলো দেখো, কেমন যেন বোকা বোকা। বিশদ

04th  December, 2021
নারীদের নাট্যদল

দীর্ঘ বারো বছর ধরে মহিলা ও শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন ‘দলছুট’ নাট্যদলের প্রধান মিঠু দে। তাঁর নাট্যদল, সেখানকার মহিলা নাট্যকার ও অভিনেতাদের কথা উঠে এল আলোচনায়। নাটকের জগতে মহিলাদের অবস্থানের কথাও বললেন মিঠু। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

27th  November, 2021
মেয়েদের 
স্বনির্ভরতার আকাশ

গ্রামের মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করছে ‘বাঁচবো’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কীভাবে? বিস্তারিত খোঁজ দিলেন ডাঃ বীরেশ কুমার চৌধুরী।  বিশদ

27th  November, 2021
ঘরকন্নার
টুকিটাকি

কলা ঝুলিয়ে রাখলে তা বেশিদিন ভালো থাকে। ঝুলিয়ে রাখতে না পারলে তা সাধারণ ঝুড়িতে রাখুন। কিন্তু কখনওই চাপা দিয়ে রাখবেন না। চাপা দিয়ে রাখলে কলা কালো হয়ে যায় তাড়াতাড়ি। বিশদ

27th  November, 2021
এখন মেয়েরা

নভেম্বরের ৮-১৪ তারিখ অবধি ছিল গ্লোবাল অন্ত্রোপ্রোনর উইক। আর এই সময় কলকাতার মার্কিন কনস্যুলেট শিলংয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এশিয়ান কনফ্লুয়েন্সের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি ক্যাম্পের আয়োজন করে। বিশদ

20th  November, 2021
সাহসী  হোক  সকলে

নারীর মনের বল হয়ে উঠতে হবে নিজেকেই। সঙ্কোচ দূরে ঠেলে এগিয়ে এসে লড়তে হবে  লড়াইটা। শ্রীলেখা মিত্র এবং প্রিয়াঙ্কা সরকার-এর সঙ্গে  আলোচনায় অন্বেষা দত্ত। বিশদ

13th  November, 2021
প্রতিনিধি জ্যোতিকা

ফিকির মহিলা শাখা ফ্লো-এর উদ্যোগে নারীকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে দুবাইতে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের ১৮ ও ১৯ তারিখ হবে এই চলচ্চিত্র উৎসব। দুবাই এক্সপোর ইন্ডিয়া প্যাভেলিয়নে এই উৎসবের আয়োজন করেছে ফ্লো। বিশদ

13th  November, 2021
ঘোড়াই ভরসা 

খাদিজা ম্যাকেঞ্জির জীবনটাই বড় অন্যরকম। একেবারে সাধারণ একজন মহিলা তিনি। সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা। শহুরে জীবনেই  অভ্যস্ত। জীবজন্তু নিয়ে মোটেও মাথাব্যথা ছিল না তাঁর। আর থাকবেই বা কী করে? শহরে তো আর গোরু বা ঘোড়ার আধিক্য দেখা যায় না। বিশদ

13th  November, 2021
সাজবদলের 
রান্নাঘর

একটু বুদ্ধি খাটালেই ফেরাতে পারেন হেঁশেলের হাল। দরকার একটু সময় আর ঝকঝকে মন। উপায় বাতলালেন সুদীপ ভট্টাচার্য। শুনলেন মনীষা মুখোপাধ্যায়। বিশদ

13th  November, 2021
ব্যবসায় নতুন দিশা

পুরনো সব ধ্যানধারণা ক্রমশ ভেঙে ফেলছে মেয়েরা। পুরুষতান্ত্রিকতার বাঁধ ভেঙে আজ তারা স্বাধীন। মেয়েদের এই আকাশছোঁয়া সাফল্যের দুই প্রতিনিধির কথাই বলি আজ। ইউরোপের ছোট্ট দেশ মলডোভা রিপাবলিকের দুই কন্যা  মাজদেভা হাজিভু ও ভিক্টোরিয়া সবল। বিশদ

13th  November, 2021
মিছিমিছি 
ভাইফোঁটা

বছরের এই দিনটি বড় স্পেশাল। ভাই বা দাদার কপালে বোন বা দিদির ফোঁটা। এই রীতি ঘিরে ভাইবোনদের মধ্যে উৎসাহের সীমা থাকে না। তা যে যত বয়সেই পৌঁছক, ভাইবোনের মধ্যেকার টান আলগা হওয়ার নয়! তবে কাল বদলেছে। বদলেছে ভাইফোঁটার রকমসকম। সময়ের দাবি মেনে ভাইফোঁটাও এখন ভার্চুয়াল অনেক ক্ষেত্রে। লিখেছেন শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়।
বিশদ

06th  November, 2021
দুর্গম জয়ে
পিয়ালী

১০ অক্টোবর, ২০২১ রবিবার, পঞ্চমী। ট্রেনের জানালা দিয়ে দেখছেন তিনি গ্রামবাংলার ছোট ছোট স্টেশনের ধারে ধারে মণ্ডপে মণ্ডপে ব্যস্ততা। না, বিমানে তাঁর ফেরা হয়নি। কাঠমান্ডু থেকে দিল্লি আসতেও কম উদ্বেগ ছিল না।
বিশদ

06th  November, 2021
মাতৃশক্তির আরাধনার সঙ্গেই
 চলছে মেয়েদের লাঞ্ছনা

উভয়ের মিলিত শক্তিতেই পূর্ণতার প্রাপ্তি। নারীর শক্তির পাশে পুরুষও তাই অনবদ্য এক চালকশক্তি। দেবীর এই শক্তিতত্ত্বই কি নতুন করে পথ দেখাতে পারে?  বিশদ

30th  October, 2021
গিন্নি হলেন কর্তা

মেয়েরা আজ বহুক্ষেত্রে একাই সংসারী। সংসার সামলাতে তাঁদের তাই পুরুষের সাহচর্য লাগে না সবসময়। এহেন গিন্নিরা আদতে সংসারের কর্তাই বটে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আবার মাঝেমধ্যেই সমাজের অনভ্যস্ত সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। কিছু ক্ষেত্রে এই কটাক্ষ বিড়ম্বনা স্বরূপ, কিছু ক্ষেত্রে আবার হাস্যকর। এই নিয়ে রসরচনায় কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

23rd  October, 2021
একনজরে
পুড়িয়ে মারার আগে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের শরীরের প্রায় সব হাড়ই পিটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাদের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। ...

রবিবার আইএসএলের ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স  ২-১ গোলে হারাল ওড়িশা এফসিকে। এবার প্রতিযোগিতায় প্রথম জয় পেল কেরলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি। ...

রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকা কেবল টিভি’র তারই চিন্তার কারণ। যাতায়াতের পথে অনেক সময় জড়িয়ে যাচ্ছে পায়ে। আবার সাইকেল বা বাইকের চাকাতে জড়িয়েও কখনও কখনও ঘটছে দুর্ঘটনা। ...

কোচবিহার জেলায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং দলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের সঙ্গে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার বিরোধ চরম আকার নিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM