ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
নির্ভয়া! শব্দটা শুনলেই একটা ভয়ঙ্কর রাত ভেসে ওঠে মনে। দিল্লির পথে ন’বছর আগেকার সে নৃশংস ঘটনার ভয়াল স্মৃতি হয়তো তাড়া করে বেড়ায় দেশের প্রতিটি মেয়েকে। আর সে স্মৃতির পাশাপাশি বাস্তব অবিরত জানান দেয়, পরিস্থিতি কিন্তু খুব একটা বদলায়নি। হিংসা, নিগ্রহ, ধর্ষণ, নির্যাতন— বিশ্ব জুড়ে মহিলাদের জীবনচর্যার সঙ্গে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে শব্দগুলো। গোটা বিেশ্ব নারীদের উপর চলতে থাকা হিংসা নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘ আলাদা করে প্রচুর সমীক্ষা করায়। সেই পেজে চোখ রাখতেই চমকে দেওয়ার মতো কিছু তথ্য উঠে এল সামনে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ২০২০ সাল পর্যন্ত করা কিছু সমীক্ষা থেকে এই সব তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য ১: ১৫-১৯ বছর বয়সের বয়ঃসন্ধির মেয়েদের মধ্যে প্রতি চারজনে একজন তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী অথবা স্বামীর দ্বারা শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। কিশোরী থেকে তরুণীদের মধ্যে অন্তত ১৬ শতাংশ (১৫-২৪ বছর) মেয়ে মাত্র এক বছরের মধ্যে এ ধরনের নির্যাতন সহ্য করেছেন।
তথ্য ২: ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোভিড পরিস্থিতিতে মহিলা ও মেয়েদের উপর হওয়া হিংসার কারণে ১২১টি দেশ ইতিমধ্যেই নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তারপরেও রাষ্ট্রসঙ্ঘ মনে করছে তা যথেষ্ট নয়। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন অংশে এখনও পরিবারের একজন সদস্যের হাতে প্রতিদিন মরতে হচ্ছে ১৩৭ জন মহিলাকে! ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে হত্যা করা হয়েছে অন্তত ৮৭ হাজার মহিলাকে। এই অঙ্কে অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ ৫০ হাজার মহিলা (৫৮%) প্রাণ হারিয়েছেন বাড়ির লোক বা স্বামী/ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর হাতে।
তথ্য ৩: ২০১৯ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০-২৪ বছর বয়সি মেয়েদের প্রতি পাঁচজনে একজনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে ১৮ বছর বয়সে পৌঁছনোর আগেই। হ্যাঁ, বাল্যবিবাহ এতটাই ঘোর বাস্তব এখনও। আর এই ধরনের বিয়ের ফলে মেয়েরা কম বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হচ্ছে, বাধা পাচ্ছে তাদের পড়াশোনা বা স্কুল যাওয়া এবং পাশাপাশি সমানতালে বাড়ছে পারিবারিক হিংসা।
তথ্য ৪: বয়ঃসন্ধির আশপাশে থাকা (১৫-১৯ বছর) অন্তত দেড় কোটি মেয়ে নিজের স্বামী অথবা প্রাক্তন সঙ্গীর বলপূর্বক যৌনতার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি দেশ থেকে পাওয়া সমীক্ষার ভিত্তিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানাচ্ছে মাত্র ১ শতাংশ মেয়ে এই হেনস্তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।
তথ্য ৫: চোখ ফেরাই একটু আমাদের দেশের দিকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে মহিলাদের উপর হওয়ার অপরাধ নিয়ে চার লক্ষেরও বেশি মামলা হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে। তার মধ্যে কোন অপরাধ সংক্রান্ত মামলা সবচেয়ে বেশি জানেন? স্বামীর হাতে নিগ্রহ, শতাংশের হিসেবে ৩১%। চতুর্থ ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে থেকে জানা যাচ্ছে, ভারতে ১৫-৪৯ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের কবলে পড়েছে ৩০% মহিলা, ৭ শতাংশ শিকার হয়েছে যৌন নির্যাতনের আর ১৪ শতাংশ মানসিক হেনস্তা সহ্য করেছে।
ক্রমাগত এ ধরনের নির্যাতনের ফলে মেয়েদের অনেকেরই আত্মমর্যাদা ধসে যায়। নিজেকে নিয়ে কেবল নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। যৌন সম্পর্ক নিয়ে প্রবল ভীতিও তৈরি হয়। আসলে সাধারণভাবে আমাদের সমাজ চায় মেয়েরা যেন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় পৌঁছতে না পারে। কেউ সিদ্ধান্ত নিলে তাকেও গুরুত্ব না দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার সব বন্দোবস্ত করা থাকে এ সমাজে। মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে তাই আরও বেশি করে, বারবার কথা বলতে হয়। বলার প্রয়োজন কখনওই ফুরোয় না।
গতকাল মুক্তি পেয়েছে অংশুমান প্রত্যুষ পরিচালিত বাংলা ছবি ‘নির্ভয়া’। ছবিতে উঠে এসেছে এমন একটি নাবালিকা মেয়ের কথা যে গণধর্ষণের শিকার হয়। তার জেরে অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে সে। কিন্তু তার কি আদৌ মা হওয়ার মতো বয়স বা মানসিক অবস্থা রয়েছে? সহানুভূতি সত্ত্বেও আইনের দরবারে প্রশ্ন উঠছে গর্ভস্থ শিশুকে হত্যা করা যাবে কি না, তাই নিয়ে। তবে যে ধর্ষণের শিকার বা সারভাইভার হয়ে রয়ে গেল, তার জীবনসঙ্কট বুঝবে কে? এই প্রশ্ন ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে ছবিটি। এই প্রসঙ্গে ছবির দুই অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার এবং শ্রীলেখা মিত্রের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আলোচনায় উঠে এল নারীজীবনের লড়াইয়ের নানা দিক।
কথায় কথায় তাঁদের জিজ্ঞেস করলাম এমন একটা ছবিতে অভিনয়ের কথা মনে হল কেন? শ্রীলেখা বললেন, ‘একটা বয়সের পরে অনেক কিছু পাল্টায়। আমি একজন অভিনেত্রী, সঙ্গে একজন মা-ও। এতদিন ধরে যা দেখেছি তাতে এটা স্পষ্ট যে আমাজের সমাজ খুব একটা বদলায়নি। তাই মহিলারা অনেক ক্ষেত্রে হেনস্তার শিকার যেমন হচ্ছে, তেমন মহিলারাও মহিলাদের নিগ্রহের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এমনটাও বিরল নয়। ছবিতে আমার চরিত্রটা দৃঢ়চেতা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী। এমন অনেকেই আছেন, তাঁদের চিনি। সমাজসেবায় বা মহিলাদের জন্য কাজে নিজের জীবন তাঁরা উৎসর্গ করে দিয়েছেন। আগে এধরনের চরিত্র করিনি। তবে আমার চরিত্রে অধিকাংশ সময় একটা কণ্ঠ থাকে। এটাও ব্যতিক্রম নয়।’
প্রিয়াঙ্কা বললেন, ‘এমন একটা বিষয়ে ছবি হবে শুনেই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। এই ধরনের বিষয় নিয়ে এখন নিয়মিত কথা হচ্ছে, ছবি বানানো হচ্ছে, এটা একটা ভালো দিক। আমার চরিত্রটাও খুব অন্যরকম।’
কিন্তু সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে বা নারীর উপরে হয়ে চলা অপরাধে রাশ টানতে এধরনের ফিল্ম কি সত্যিই কার্যকর হয়? প্রিয়াঙ্কা এবং শ্রীলেখা দু’জনেই এই বিষয়টি নিয়ে কিছুটা সন্দিগ্ধ হলেও আশাবাদী। শ্রীলেখার মতে, ‘একটা ছবি সব বদলে দেবে, এটা ভাবা যায় না। এমন ঘটনা রোজ হাজার হাজার হচ্ছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এর যুগে সবাই খুব নিরাপত্তহীনতায় ভোগে, সবাই খুব স্বার্থপরও। আবেগও যেন পাঁচ সেকেেন্ডর বেশি স্থায়ী হয় না। মানুষ খুব ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। চারদিকে এত হিংসা। যেন আর কত হিংসা-নিগ্রহ দেখলে মনে হবে, এটা সত্যিই হিংসা? খুব অমানবিক একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি আমরা। ফলে আমি একটু হতাশ। তাই বলব না ছবি দেখলেই অনেক কিছু বদলে যাবে। তবু ছবির মাধ্যমে একটা কথা বলা যায়, কিছুটা যদি কিছু মানুষের কাছে পৌঁছনো যায়।’
প্রিয়াঙ্কা মনে করছেন, ‘অন্তত কথা বলাটা তো শুরু হয়েছে। আমরা প্রচারেও এটা বলেছি। প্রশ্নগুলো তোলা তো শুরু হোক। রাতারাতি সত্যিই কিছু পাল্টে যায় না। কিন্তু সব স্তরের মানুষ যদি একজোট হয়ে এগিয়ে আসে, ভাবনাচিন্তা করে, তাতে সময় লাগলেও চিন্তাধারায় কিছুটা বদল আসতে পারে।’ তাঁর মতে, ‘ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ ঘটে যাওয়ার পর সবাই খোঁজ করে অপরাধীর কী শাস্তি হবে। কিন্তু সারভাইভার বা যে মেয়েটি এই নিগ্রহ সহ্য করে বেঁচে রইল, তার কী অবস্থা হয়? সমাজ তাকে কীভাবে দেখে? সেই প্রশ্নগুলো কিন্তু আরও কঠিন। এই কথাগুলোই ছবির মধ্যে বলার চেষ্টা করা হয়েছে।’
প্রতিকূল পরিিস্থতির মোকাবিলা করার জন্য মেয়েরা নিজেদের কীভাবে প্রস্তুত করতে পারে? লাঞ্ছনা-গঞ্জনা হোক বা কোনও চরম সঙ্কটদায়ক মুহূর্ত— একজন মেয়ে কীভাবে কঠিন মুহূর্তের সঙ্গে যুঝবে? শ্রীলেখার সাফ কথা, ‘প্রত্যেককে নির্ভয়া হতে হবে। ভয় ভুলতে হবে। আমরা ছোট থেকে সব কিছু চেপে রাখতে শিখি। আমার মা-ও ব্যতিক্রম ছিলেন না। আমি খুব ছোটবেলায় ব্যাড টাচের সম্মুখীন হই, মাকে এসে বলেছিলাম। মা কিন্তু বাবাকে সেটা বলেননি। তাই আমি বলব মায়েরা-মেয়েরা প্রত্যেকেই নির্ভয়া হোন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন সবসময়। কিন্তু আইনের সুযোগ নিয়ে অন্য কাউকে বিপদে ফেলার রাস্তা থেকে বিরত থাকুন। মেয়েরা মেয়েদের শত্রু যেন আর না হয়। মেয়েরা মানুষ হোন।’
প্রিয়াঙ্কাও মেয়েদের সরব হওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন। তিনি জানালেন, যে কোনও বয়সের মেয়ের কথা বলা বা ভোকাল হওয়াটা এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, ‘নিজের অনুভূতি থেকে বলতে পারি যে যতক্ষণ আমি নিজের বক্তব্য সঠিকভাবে তুলে ধরতে না পারছি, ততক্ষণ কিন্তু কেউ আমায় বুঝবে না। কারও সেটা দায়িত্ব নয়। তা সে ছোট বিষয় হোক বা বড় বিষয়। মেয়েদের একটা প্রবণতা আছে, সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। এটাই ছোট থেকে শেখানো হয়। মানতে মানতে ছোট ছোট বিষয় কখন বড় বিষয় হয়ে যায়, আমরা বুঝি না। তখন আর তা মেনে নেওয়া মুশকিল হয়। তাই যা ভালো লাগছে না, তা গোড়া থেকেই বুঝিয়ে দেওয়া খুব জরুরি।’
আর একটা বিষয় উল্লেখ করলেন প্রিয়াঙ্কা। মা হিসেবে তিনি মনে করেন, এসময়ে বাচ্চাকে বড় করার ক্ষেত্রে সমাজে বেশ কিছু আধুনিক পদক্ষেপ ক্রমশ উপযোগী হয়ে উঠছে। একটা শিশুকে মানুষ করে তোলার ক্ষেত্রে যেটা খুব কাজে দিচ্ছে। অর্থাৎ বুঝিয়ে বলতে গেলে, একেবারে ছোট থেকেই স্কুলপাঠ্যে শিশুকে বোঝানো হচ্ছে গুড টাচ বা ব্যাড টাচের কথা, ছেলে হোক বা মেয়ে সকলকে খোলা মনে দেখার কথা, কোনও বিষয়ে ‘জাজমেন্টাল’ না হয়ে পড়া, সহানুভূতির সঙ্গে অন্যকে বোঝা— প্রিয়াঙ্কার মতে এই ছোট ছোট বিষয়গুলো নারী-পুরুষ উভঽয়কেই একটা সুস্থ মানসিকতার অধিকারী করে তুলতে পারে। যা আখেরে মানুষ হিসেবে প্রত্যেকের থাকা উচিত।
‘অনেক ক্ষেত্রে আবার পিতৃতন্ত্রের নিয়মকানুন খুব মনোযোগ দিয়ে মেনে চলে মেয়েরাই। পিতৃতন্ত্রের শিক্ষাটাই এমন। তাই শুধুই ছেলেরা পাল্টে যাবে, মেয়েদের কিছুই করণীয় নেই, এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়,’ মনে করেন তিনি।
সমাজে যে শিক্ষা নিয়ে একটা শিশু বেড়ে ওঠে তাতে মা-বাবার ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ, মনে করালেন শ্রীলেখা। তাঁর বক্তব্য, ‘একটা বাচ্চা যদি দেখে তার বাবা-মা প্রত্যেককে শ্রদ্ধা করেন, তাহলে সেও ছোট থেকে সেটাই শিখবে। সেটা বেশিরভাগ সময় হয় না বলেই মানসিকতায় গলদটা থেকে যায়।’
সারভাইভারদের কথা যখন উঠল, তখন তাদের লড়াইয়ের পথটা নিয়েও কথা হল। একবার ধর্ষণ বা অন্য কোনওভাবে হেনস্তার পর কোনও মেয়েকে উঠে দাঁড়াতেই দেয় না আমাদের সমাজ। তাদের পথচলাটা আরও বন্ধুর হয়ে ওঠে। ভেতরটা ভাঙচুর হয়ে যায়। তাদের জন্য কী বলবেন? শ্রীলেখা বলেন, ‘এখনও মেয়েদের চরিত্র মাপা হয় তাদের পোশাক দিয়ে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এগুলো মেনে চলা খুব কঠিন। আজ যে সারভাইভার, সে যদি শুধু মনে করে আমি নির্যাতিতা, এটাই আমার পরিচয় বা আমি শেষ হয়ে গেলাম বা সমাজ কী বলবে— এগুলো মাথা থেকে মুছে ফেলতে হবে। এতে তার তো কোনও অপরাধ নেই, তাই আবারও বলছি নির্ভয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচব, মনে রাখতে হবে শুধু এটাই। ’
প্রিয়াঙ্কা বললেন, ‘নানা ধরনের নিগ্রহের শিকার হয়েও অনেকে এখনও মুখ বুজে থাকতে বাধ্য হয়। ভয় পায় এগিয়ে আসতে। মূলত পরিবারের চাপেই হয়তো। কেউ কেউ জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা পর্যন্ত ভাবে। তাই আমাদের সমাজ যদি একটু সহানুভূতির সঙ্গে এই বিষয়গুলো দেখে তাহলে এই মারাত্মক ভয়টা অন্তত দূর হয়। নির্যাতিতাকে আশ্বাস দেওয়া, আইনের লড়াইয়ে পাশে আছি। নিত্য বেঁচে থাকায় পাশে আছি। তাকেও কিন্তু মনের হতাশা চেপে না রেখে সাহায্য নিতে হবে। একা একা সবটা লড়া যায় না। এটা বুঝতে হবে। সব চেপে রেখে নিজেকে দোষী মনে করে নিজেকে আরও কষ্ট দেওয়া থেকে সরে আসতে হবে। এধরনের কেস-এ যতরকম হেল্পলাইন আছে, কী কী আইন রয়েছে এগুলো বারবার প্রচারে আসা দরকার। নিজের অধিকারটাও জানা দরকার। তাহলে সব দিক থেকে নিজের জোর তৈরি করে এগিয়ে যাওয়া যায়।’
আমাদের মেয়েদের লড়াইটা তাই আমাদেরই হাতে। নিজেকে সাহসী করে তুলতে পারি আমরাই।