‘উফ! বিয়ে, বিয়ে আর বিয়ে, আচ্ছা এছাড়া আর কি কোনও লক্ষ্য নেই জীবনে? এমন কী ব্যাপার আছে যে পৃথিবীতে সকলকেই বিয়ে করতে হবে? বিয়ের আচার-অনুষ্ঠানগুলো দেখো, কেমন যেন বোকা বোকা।
দীর্ঘ বারো বছর ধরে মহিলা ও শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন ‘দলছুট’ নাট্যদলের প্রধান মিঠু দে। তাঁর নাট্যদল, সেখানকার মহিলা নাট্যকার ও অভিনেতাদের কথা উঠে এল আলোচনায়। নাটকের জগতে মহিলাদের অবস্থানের কথাও বললেন মিঠু। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় কমলিনী চক্রবর্তী।
গ্রামের মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করছে ‘বাঁচবো’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কীভাবে? বিস্তারিত খোঁজ দিলেন ডাঃ বীরেশ কুমার চৌধুরী।
কলা ঝুলিয়ে রাখলে তা বেশিদিন ভালো থাকে। ঝুলিয়ে রাখতে না পারলে তা সাধারণ ঝুড়িতে রাখুন। কিন্তু কখনওই চাপা দিয়ে রাখবেন না। চাপা দিয়ে রাখলে কলা কালো হয়ে যায় তাড়াতাড়ি।
নভেম্বরের ৮-১৪ তারিখ অবধি ছিল গ্লোবাল অন্ত্রোপ্রোনর উইক। আর এই সময় কলকাতার মার্কিন কনস্যুলেট শিলংয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এশিয়ান কনফ্লুয়েন্সের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি ক্যাম্পের আয়োজন করে।
‘স্টেটাস সিঙ্গল’— একটা বই যা ক্রমশ একটা শ্রেণির প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে। এ সমাজের একক নারীর কথা বলে বইটি। লেখিকা শ্রীময়ী পিউ কুণ্ডু তাঁর জীবনের বহু অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। তাঁর সঙ্গে কথায় কমলিনী চক্রবর্তী।
নারীর মনের বল হয়ে উঠতে হবে নিজেকেই। সঙ্কোচ দূরে ঠেলে এগিয়ে এসে লড়তে হবে লড়াইটা। শ্রীলেখা মিত্র এবং প্রিয়াঙ্কা সরকার-এর সঙ্গে আলোচনায় অন্বেষা দত্ত।
ফিকির মহিলা শাখা ফ্লো-এর উদ্যোগে নারীকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে দুবাইতে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের ১৮ ও ১৯ তারিখ হবে এই চলচ্চিত্র উৎসব। দুবাই এক্সপোর ইন্ডিয়া প্যাভেলিয়নে এই উৎসবের আয়োজন করেছে ফ্লো।
একটু বুদ্ধি খাটালেই ফেরাতে পারেন হেঁশেলের হাল। দরকার একটু সময় আর ঝকঝকে মন। উপায় বাতলালেন সুদীপ ভট্টাচার্য। শুনলেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
উভয়ের মিলিত শক্তিতেই পূর্ণতার প্রাপ্তি। নারীর শক্তির পাশে পুরুষও তাই অনবদ্য এক চালকশক্তি। দেবীর এই শক্তিতত্ত্বই কি নতুন করে পথ দেখাতে পারে?
ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
খাদিজা ম্যাকেঞ্জির জীবনটাই বড় অন্যরকম। একেবারে সাধারণ একজন মহিলা তিনি। সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা। শহুরে জীবনেই অভ্যস্ত। জীবজন্তু নিয়ে মোটেও মাথাব্যথা ছিল না তাঁর। আর থাকবেই বা কী করে? শহরে তো আর গোরু বা ঘোড়ার আধিক্য দেখা যায় না। অথচ এহেন শহুরে কন্যাটির জীবনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে ঘোড়া! আর এই বদলটা ঘটেছে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর। সেটা ছিল ২০১৫ সাল। খাদিজার স্বামী হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। আর ঘটনার আকস্মিকতায় এতই প্রবল ধাক্কা খেলেন খাদিজা যে তিনি ক্রমশ তলিয়ে যেতে লাগলেন অবসাদের অন্ধকারে। মনকে ভালো রাখার জন্য পাড়া প্রতিবেশী থেকে বন্ধু, আত্মীয় সবাই চেষ্টা করেছিল। কিটি পার্টির আয়োজন, বইমহলে আড্ডা, রেস্তরাঁয় খাওয়া— চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিল না। কিন্তু কিছুতেই কোনও কাজ হচ্ছিল না। খাদিজা ম্যাকেঞ্জি এক অজানা অন্ধকার ঠিকানায় হারিয়ে যাচ্ছিলেন ক্রমশ। এই সময় হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হন তিনি। ছবিতে একটি পুরুষকে দেখা যাচ্ছিল ঘোড়ায় সওয়ার। আর তাঁর পিছনে এক পাল সিংহ! আকৃষ্ট হওয়ার মতো ছবিই বটে। খাদিজার অবসাদগ্রস্ত মনও সেই আকর্ষণকে এড়িয়ে যেতে পারেনি। খোঁজখবর নিতে নিতে ঘোড়ার চালকের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠেন খাদিজা। ভদ্রলোকের নাম শাই। তিনি প্রফেশনাল হর্স ট্রেনার। দেশে বিদেশে ঘোড়াদের আদবকায়দা সেখানো, ঘোড় দৌড়ের কম্পিটিশনের জন্য তাদের তৈরি করাই তাঁর কাজ। উল্লিখিত ছবিটি আফ্রিকার এক জঙ্গলে তোলা। গোটা জীবনটাই জীবজন্তুদের মাঝে কাটিয়েছেন শাই। বিয়ে করেননি। রোমাঞ্চ উপভোগই তাঁর জীবনের পাথেয়। খাদিজার সঙ্গে ভাব জমে যায় শাইয়ের। অবসাদে আক্রান্ত মনটাকে ঘোড়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার পারামর্শ দেন তিনি। সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন হর্স রাইডিং সেন্টারের যোগাযোগও বাতলে দেন। ক্রমশ পরিচয় প্রণয়ে বদলায়। তারপর পরিণয়।
২০১৯ সালে আবারও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন খাদিজা। ততদিনে তিনি ঘোড়াদের রাজ্যে নিজেকে সঁপে দিয়ে আবারও নতুন করে বাঁচার রসদ খুঁজে পেয়েছেন। বন্ধুদের বিস্ময় আর হাজার বারণ সত্ত্বেও ঘোড়ায় চড়া শিখেছেন এবং সক্রিয়ভাবে হর্স রাইডিংয়ের খেলায় মেতে উঠেছেন। হর্স ট্রেনার হয়তো হতে পারেননি। তবে ঘোড়ার প্রতি টান তাঁকে নতুন করে ভালোবাসতে শিখিয়েছে। এখন নতুন স্বামীটির সঙ্গে খাদিজাও দেশে বিদেশে বেড়ান ঘোড়াকে সঙ্গী করে। জীবনটাই তাঁর নতুন আবর্তে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। খাদিজা বললেন, ‘মানুষ যখন সাহারা দিতে পারে না তখন পশুদের মাঝে এক অন্য শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়। আমি সেই শান্তিরই খোঁজ পেয়েছি। অল থ্যাঙ্কস টু শাই।’
