Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

বিয়ে রীতির
সাতকাহন
সুস্মেলী দত্ত

‘উফ! বিয়ে, বিয়ে আর বিয়ে, আচ্ছা এছাড়া আর কি কোনও লক্ষ্য নেই জীবনে? এমন কী ব্যাপার আছে যে পৃথিবীতে সকলকেই বিয়ে করতে হবে? বিয়ের আচার-অনুষ্ঠানগুলো দেখো, কেমন যেন বোকা বোকা। মাথায় সোলার টুপি পড়ে জোকারের মতো গনগনে আগুনের সামনে বসে হাতে হাত দিয়ে গদগদ হয়ে একে অপরের দিকে তাকিয়ে অং বং চং মন্ত্র আওড়ানো ছাড়া আর কী— তারপরে বধ্যভূমিতে পশুবলি দেওয়ার আগে নিরীহ পাঁঠাকে যেমন সিঁদুর দিয়ে মালা দিয়ে...।’ ‘ওরে চুপ কর! চুপ কর!  তোরা বুঝবি না এসবের মাহাত্ম্য,’ টুপুরকে একরকম জোর করেই মুখ বন্ধ করাতে বাধ্য হল তিতির। ওঘরে শাশুড়িমা আছেন, উনি এসব শুনলে কী ভাববেন! কাল বাদ পরশু একমাত্র আদরের নাতনির বিয়ে— কী আনন্দ! কী আনন্দ! মাসখানেক হল ওই আনন্দেই মেতে আছেন মীরাদেবী। বউমা তিতিরের কোনও কাজে খুঁত ধরে এখন টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করছেন না। এই একটু আগেই দু’বাড়ির ঠাকুরমশাইদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন। আগাম বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য সুদীর্ঘ আলোচনা। বিষয় একটাই, তা হল বিয়ের যাবতীয় নিয়মকানুনে যেন বিন্দুমাত্র খামতি না পড়ে। 
সত্যিই কম ঝক্কি এই বিয়ে নামক বস্তুটিকে ঘিরে! নিন্দুকে বলবে, নেই কাজ তো খই ভাজ। এই যেমন হবু কনে টুপুর রানির মত হল, রেজিস্ট্রি ম্যারেজটাই আসল বিয়ে। একান্ত যদি বিয়ে নিয়ে আদিখ্যেতা করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে বৈদিক মতে বিয়েটা ভালো অপশন। 
কিন্তু বেচারি টুপুর, বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের মুখের উপর যথেচ্ছ কালি ছিটিয়েও পূর্বসূরীদের কাছে এই একটা জায়গায় হেরে গিয়েছে। তাই ওর এখন দশকর্মা, বরণডালা, এয়ো, আইমুংলি সংক্রান্ত বিষয় আর তত্ত্বতালাশের চক্রব্যূহে পড়ে একেবারে প্রাণান্তকর অবস্থা। 
উদ্ধারণ দত্ত পরিবারের সেজ তরফের মেজ গিন্নী মীরাদেবীর এখন বয়স প্রায় বিরানব্বই ছুঁই ছুঁই। মেয়ের ঘরে নাতি-নাতনিদের সব বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এখন সবেধন নীলমণি বলতে ওই একটিই, সে হল টুপুর, মানে একমাত্র ছেলের একটি মাত্র কন্যা শাল্মলী দত্ত। ছোট থেকে মিশনারি স্কুলে পড়েছে, তাই ওর বেড়ে ওঠা বেশ কিছুটা অ্যাংলো পরিবৃত। পূজাআচ্চা নিয়মকানুনের ধার ধারে না। 
তবে, অন্তত বিয়ের ক্ষেত্রে বাঙালিদের এই মালাবদল, সিঁদুরদান, খই পোড়ানো, কড়ি খেলার  রীতিনীতিগুলো ওর কাছে বেশ চিত্তাকর্ষক, ইন্টারেস্টিং। তাই নিজের বিয়েতে করব না, মানব না গোছের মন্তব্যগুলো সাময়িকভাবে দেরাজে তুলে বাড়ির আধাবাধ্য হবু কনের মতো আচার-অনুষ্ঠানে খানিকটা মেতে উঠেছে। এমনকী পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের দিন সাতেক আগে থেকে রোজ স্নান করার আগে গায়ে হাতে পায়ে হলুদ বাটা লাগানো থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক কুলদেবতা প্রণাম ইত্যাদি কোনওটাই বাদ দেয়নি। একটু আগেই দুপুরে ঠাম্মি ওঁর পুত্রবধূর কাছে  হিরে–পান্নার সেট নিয়ে এসেছিলেন দেখাতে। নাতনিকে দেবেন বলে। বিয়ের সময় নাকি বাড়ির ট্র্যাডিশন অনুযায়ী যে কোনও পুরনো পারিবারিক গয়না উপহার দেওয়ার রেওয়াজ আছে। এছাড়া সিঁদুর পরানোর আগে পর্যন্ত কনের মাথায় একটা হীরের মুকুট পরানো হয়ে থাকে। একবার সিঁদুর পরানো হয়ে গেলে ‘লজ্জাবস্ত্র’ নামের একটি নতুন লালপাড়  টাঙ্গাইল শাড়ি দিয়ে মাথা ঢেকে ফেলতে হয়। এসবই বাপের বাড়ি থেকে দেওয়ার রেওয়াজ। কারণ হিসেবে বলা যায় মেয়ে যখন অবধি অবিবাহিত তখন সে মুকুট পরে রাজকন্যা। পরে একমাথা সিঁদুর পরে সেই–ই আবার ঘরের বউ। এখানে সিঁদুর ব্যাপারটা যেন কুমারী থেকে বিবাহিতা হওয়ার একটা মস্ত সাঁকো। 
‘তোমরা, মানে এখানকার মেয়েরা আর ছেলেরা সব নিয়মকানুনগুলো মানো না বটে, সেজন্যই বোধহয় বিয়েও ভাঙছে চটজলদি। নারায়ণ সাক্ষী করে সব নিয়মকানুন মেনে বিয়ে করার একটা আলাদা মাহাত্ম্য আছে। পান থেকে চুন খসলেই কিন্তু সব অনর্থ হয়ে যাবে।’ ওপাশের ঘর থেকে আদরের নাতনির বিবাহ সংক্রান্ত অ্যান্টি যুক্তি শুনতে পেয়ে কখন যেন তিতিরের শাশুড়ি মীরাদেবী গুটি পায়ে এসে উপস্থিত হয়েছেন তা কেউই এতক্ষণ খেয়াল করেনি। 
শাশুড়ির মুখ থেকে কথাগুলো প্রায় কেড়ে নিয়েই তিতির বলে উঠল, ‘ঠিক বলেছেন মা, সে যুগে বিয়েতে নিয়ম-কানুন মানার পিছনে একটা কারণ ছিল। এই যেমন কলাতলা বা ছাদনাতলায় মালাবদল হওয়ার পর বউ লুকিয়ে ফেলা আর তারপর হাত ধরে বর তার হবু বউকে সকলের মাঝখান থেকে উদ্ধার করে হাতে একটা হিরের আংটি পরিয়ে দেওয়ার যে রীতি প্রচলিত, তার মধ্যে কেমন যেন একটা রাক্ষস বিবাহ প্রথার প্রচ্ছন্ন প্রভাব আছে। তাই না?’ 
এবারে একটু নড়েচড়ে বসল টুপুর। বলে উঠলো, ‘মা রাক্ষস বিবাহ কী? জোর করে ধরে এনে বিয়ে করাকে কী রাক্ষস বিবাহ বলে?’ 
‘আমাদের বিয়ের ক্ষেত্রে যদিও জোর করার কথাটা সেভাবে খাটে না, সবই পূর্বনির্ধারিত। কিন্তু একটা কথা সত্যি যে তোকে তোর হবু বর কিছু বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে কাছে পেল, তারপর যে সিঁদুর পরানোর ফিলিংটা ভাব— ব্যাপারটা কেমন রোম্যান্টিক তাই না?’ 
‘অবশ্যই রোমান্টিক মম, আর ভীষণ থ্রিলিং। আচ্ছা এরকম বাস্তবে কেন হয় না বলো তো?’ প্রতিপক্ষ হার মানছে বুঝে এবার মীরাদেবী স্বয়ং নাতনির সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ঢাল তলোয়ার নিয়ে নামলেন। ‘তাহলে চল যাই তোর দাদু আর আমার বিয়ের ছাদনাতলার সেসব দিনগুলোর কথায়। আমার বিয়ে হয়েছিল বারো বছর বয়সে। বরের বয়স তখন ছাব্বিশ। খুব ভয় পাচ্ছি, পিঁড়ির ওপর বসে রোগা রোগা পা দুটো তখন আমার ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছে। শাড়ি সামলাব, গয়না সামলাব, নাকি নিজেকে সামলাব, ভেবেই পাচ্ছিলাম না। এদিকে শুনতে পাচ্ছি ছাদনাতলা থেকে ভেসে আসছে হইহই আর হাসির আওয়াজ। ওদিকে একটানা সানাইয়ের সুর আর মানুষের কোলাহল ছাপিয়ে আমার মা, মানে যিনি পাঁচ এয়োর মধ্যে হেড এয়ো অর্থাৎ আইমুংলি হয়েছিলেন, চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলছেন, ‘হাতে দিলাম মাকু /একবার ভ্যাঁ করো তো বাপু...।’ আগে দেখা বিয়ের  অভিজ্ঞতাগুলোকে স্মরণ করে বুঝতে পারলুম আমার বরকে এখন ‘জামাইবরণ’ করার পালা চলছে। বেচারির হাতে তখন একটাই অস্ত্র তা হল একটা রুপোর যাঁতি। যেটা নিজের বাড়ি থেকে আসার সময় তার মা কড়ে আঙুল কামড়ে, থুতু ছিটিয়ে অস্ত্রটি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। হয়তো মনে মনে বলেওছিলেন, যাও পুত্র যুদ্ধক্ষেত্রে যাও। বিজয়ী হয়ে ফেরত এস।’ 
তিতির মাঝখান থেকে ফুট কাটল শাশুড়ির কথায়, ‘ওহো ছাদনাতলায় সে একটা হুলুস্থুল কাণ্ড বটে, মনে আছে, আমার বোনরা জামাইবাবুর চোখটাই কাপড় দিয়ে বেঁধে দিয়েছিল। তারপর আপনার ছেলে সকলের মধ্যিখান থেকে কীভাবে যেন আমার হাতটাই ধরল। পরে অবশ্য ওঁর কাছ থেকে জেনেছিলাম বিয়ের দিন সকালে সম্বন্ধ করার সময় আপনারা যে সেটিং-এর পান্নার বড়সড় আংটিটা দিয়েছিলেন আমার আঙুলে, সেটা ছুঁয়ে দেখে ও বুঝতে পেরেছিল যে আমিই সেই।’ 
শাশুড়ি বললেন, ‘আর আমি তো ছিলাম ছোট্টটি, শুনেছি আমার মাথায় আটকে থাকা কাজললতার ডাঁটিটা দূর থেকে কীভাবে যেন তোমার শ্বশুরমশাই দেখতে পেয়েছিলেন।’ 
‘ওয়াও রোমান্টিক! ঠাম্মি, তারপর শুনেছি কী একটা ফুল নাকি দু’জনে শুঁকতে হয়। তারপর সেটা এক বছর রেখে দিতে হয়?’ 
‘বাহ্ টুপুর তুই তো বেশ এতদিনে আমাদের কাছ থেকে বিয়ের আচার অনুষ্ঠানগুলো শুনতে শুনতে গিন্নি হয়ে গেলি!’ বলতে বলতে নাতনির লজ্জায় রাঙা চিবুকটাকে অল্প তুলে মীরাদেবী বলে উঠলেন, ‘ঠিক ধরেছিস, একে বলে ছাউনি নাড়া ফুল। মালা বদলের পর বর কনে একে অপরকে এই ফুলটা শোঁকায়। এটাই বিয়ের তুক বলতে পারিস। অনেকটা মানুষের দেহের নাভির মতো প্রাণকেন্দ্র, যাকে বলে বিয়ের ভরকেন্দ্র, যা হারিয়ে গেলে খুবই অশুভ। তাইতো সেটা সযত্নে এক বছর রেখে দিয়ে গঙ্গায় বিসর্জন দিতে হয়।’ 
‘এ তো গেল সাধারণ নিয়মের  কথা, কিন্তু স্ত্রী আচার যেগুলো আছে, সেগুলোও তো মানতে হয় ঠাম্মি!’ 
‘হয় বইকি নাতনি। বিয়ের দিন আর বাসি বিয়ের দিন সকালে কড়ি খেলার কথাই ধর না— নিছক খেলা বটে কিন্তু এর মন্ত্রটা শোন। বর–বউ দু’জনকেই এয়োদের সঙ্গে খেলা  করার সময় বলতে হয়, ‘লজ্জাশরম ঢাকি...’ আমি বলেছিলুম, বীরেন্দ্রবাবুর লজ্জা-শরম ঢাকি। আবার আমার ঠাম্মা আমাকে দিয়ে বলিয়েছিলেন, ‘বীরেন্দ্রর কোলে / মীরা রানি দোলে’। এরকম আরও কত কী...। 
‘এগুলো বলতে পারিস স্ত্রী আচারকে সামনে রেখে বর–বউয়ের মনে ধীরে ধীরে ভালোবাসার বীজ রোপণ করা। মনে আছে মা, যখন এ বাড়িতে প্রথম আপনার ছেলের হাত ধরে এলাম, বাসি বিয়ের দিন রান্নাঘরে দুধ ওথলানো দেখলাম। তার আগে আলতা পায়ে থালার মধ্যে দাঁড়িয়েছিলাম যখন, তখন আপনারা আমাকে আদর করে কীরকম বরণ করে নিলেন। তারপর সদর দরজা থেকে আমার শোওয়ার ঘর অবধি একটা সাদা চাদরের ওপর পায়ের আলতার ছাপ ফেলে ফেলে ঘরের মধ্যে ঢুকলাম। নিজেকে কিরকম যেন রানি মনে হচ্ছিল সেদিন।’ 
‘তুমি তো আমার সংসারের রানীই মা।’ 
‘বাসি বিয়ের দিন দু’জনের হাতের আঙুলে কাঁটা ফুটিয়ে রক্ত মিশিয়ে দেওয়ার সময় মনে আছে আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন যাতে আমার কষ্ট না হয়, একটুও না লাগে। এইসব কি ভুলে যাব মা?’ 
মায়ের আর ঠাম্মির সঙ্গে নানা কথোপকথনের মাঝে টুপুরের চোখ দুটো কেমন যেন ভারী আর ঝাপসা হয়ে উঠল। কাল বাদে পরশু ওর আইবুড়ো ভাত। নিতকনেকে পাশে বসিয়ে অতিথিদের সঙ্গে এক আসনে বসে মাথায় ফুলের ঝাড়া পরে ও মধ্যাহ্নভোজ সারবে। 
বিয়ের দিন সকালে কলাতলায় ও দাঁড়াবে শিলের উপর। চারিদিকে সুতো দিয়ে বাঁধা থাকবে চারকোণে চারটে তীরকাঠি। চারিদিকে বসা পাঁচ এয়োকে ডিঙিয়ে পায়ের চাপে চার কোণে মাটির খুড়ি ওকে ভাঙতে হবে। এভাবেই আইবুড়ো নামটা সাঙ্গ হবে অধ্যাপক অনুরূপ সেনের স্ত্রী টুপুর ওরফে দেবাদ্রিতা সেনের। 
কথাগুলো ভাবতেই বুকটা কেমন যেন তিরতির করে কেঁপে উঠল। মা, ঠাম্মা তখনও কত কথা নিজেদের মধ্যে বলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু টুপুরের আর ওসব শুনতে ভালো লাগছিল না। ওর এখন কিছুটা সময় একলা থাকার ইচ্ছে। চুপচাপ, নিজের মনে। 
এতক্ষণ শোনা স্ত্রী আচার বা বিয়ের তথাকথিত নিয়মকানুনের সাজানো যুক্তিগুলো এখনও ওর মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। সত্যি, বিশ্বায়নের যুগে এগুলোর আর কি প্রয়োজনীয়তা আছে? নাকি সবই ভুল! তাই কি ওগুলো কালের নিয়মে বিলুপ্তির পথে? 
হয়তো বা। বুক থেকে একটা ভারী দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল টুপুরের। আশেপাশে অনেক ধোঁয়াশা, অনেক বুদ্ধির হাতছানি, কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে একটাই লক্ষ্য বোধহয়— ভালো থাকার চেষ্টা। তাই ‘ছাউনি নাড়া ফুল’ নয়। সৎ ভাবে সহাবস্থানটাই সুখী দাম্পত্যের আসল চাবিকাঠি। 
দূর থেকে শাঁখের ডাক ভেসে আসছে, বেশ লাগছে আওয়াজটা। মনে হচ্ছে সারা পৃথিবী যেন শুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এদিকে মোবাইলও ঘন ঘন বেজে চলেছে স্ক্রিনে অনুরূপের ছবি। 
‘হ্যাঁ বলো অনুরূপ।’ 
আচ্ছা অনুরূপকে কী ওর মনের অনুভূতির কথাগুলো জানাবে?
না থাক ওর মেয়ে–মনের ফ্যান্টাসি ওর কাছেই থাক। আর কারও সঙ্গে ও এই ভাবনাগুলো শেয়ার করবে না। আপাতত ও নিজের মনেই ডুব দেবে অতলে। হ্যাঁ পাবেই পাবে ঝিনুকের সন্ধান। স্ত্রী আচার বা নিয়মকানুনের সত্যিই কোনও গুরুত্ব আছে কি নেই তার বিচার করবে সময়। ফলাফলটা না হয় তার উপরেই ছাড়া রইল। টুপুর আরও কী কী সব ভাবতে ভাবতে মোবাইলটা আরও শক্ত করে কানের কাছে ধরল...।
‘হ্যালো অনুরূপ, তোমাকে না ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করছে... ভীষণ!’ 
04th  December, 2021
নারীদের নাট্যদল

দীর্ঘ বারো বছর ধরে মহিলা ও শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন ‘দলছুট’ নাট্যদলের প্রধান মিঠু দে। তাঁর নাট্যদল, সেখানকার মহিলা নাট্যকার ও অভিনেতাদের কথা উঠে এল আলোচনায়। নাটকের জগতে মহিলাদের অবস্থানের কথাও বললেন মিঠু। তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

27th  November, 2021
মেয়েদের 
স্বনির্ভরতার আকাশ

গ্রামের মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করছে ‘বাঁচবো’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কীভাবে? বিস্তারিত খোঁজ দিলেন ডাঃ বীরেশ কুমার চৌধুরী।  বিশদ

27th  November, 2021
ঘরকন্নার
টুকিটাকি

কলা ঝুলিয়ে রাখলে তা বেশিদিন ভালো থাকে। ঝুলিয়ে রাখতে না পারলে তা সাধারণ ঝুড়িতে রাখুন। কিন্তু কখনওই চাপা দিয়ে রাখবেন না। চাপা দিয়ে রাখলে কলা কালো হয়ে যায় তাড়াতাড়ি। বিশদ

27th  November, 2021
এখন মেয়েরা

নভেম্বরের ৮-১৪ তারিখ অবধি ছিল গ্লোবাল অন্ত্রোপ্রোনর উইক। আর এই সময় কলকাতার মার্কিন কনস্যুলেট শিলংয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এশিয়ান কনফ্লুয়েন্সের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি ক্যাম্পের আয়োজন করে। বিশদ

20th  November, 2021
নারীর একক লড়াই

‘স্টেটাস সিঙ্গল’— একটা বই যা ক্রমশ একটা শ্রেণির প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে। এ সমাজের একক নারীর কথা বলে বইটি। লেখিকা শ্রীময়ী পিউ কুণ্ডু তাঁর জীবনের বহু অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। তাঁর সঙ্গে কথায় কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

20th  November, 2021
সাহসী  হোক  সকলে

নারীর মনের বল হয়ে উঠতে হবে নিজেকেই। সঙ্কোচ দূরে ঠেলে এগিয়ে এসে লড়তে হবে  লড়াইটা। শ্রীলেখা মিত্র এবং প্রিয়াঙ্কা সরকার-এর সঙ্গে  আলোচনায় অন্বেষা দত্ত। বিশদ

13th  November, 2021
প্রতিনিধি জ্যোতিকা

ফিকির মহিলা শাখা ফ্লো-এর উদ্যোগে নারীকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে দুবাইতে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের ১৮ ও ১৯ তারিখ হবে এই চলচ্চিত্র উৎসব। দুবাই এক্সপোর ইন্ডিয়া প্যাভেলিয়নে এই উৎসবের আয়োজন করেছে ফ্লো। বিশদ

13th  November, 2021
ঘোড়াই ভরসা 

খাদিজা ম্যাকেঞ্জির জীবনটাই বড় অন্যরকম। একেবারে সাধারণ একজন মহিলা তিনি। সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা। শহুরে জীবনেই  অভ্যস্ত। জীবজন্তু নিয়ে মোটেও মাথাব্যথা ছিল না তাঁর। আর থাকবেই বা কী করে? শহরে তো আর গোরু বা ঘোড়ার আধিক্য দেখা যায় না। বিশদ

13th  November, 2021
সাজবদলের 
রান্নাঘর

একটু বুদ্ধি খাটালেই ফেরাতে পারেন হেঁশেলের হাল। দরকার একটু সময় আর ঝকঝকে মন। উপায় বাতলালেন সুদীপ ভট্টাচার্য। শুনলেন মনীষা মুখোপাধ্যায়। বিশদ

13th  November, 2021
ব্যবসায় নতুন দিশা

পুরনো সব ধ্যানধারণা ক্রমশ ভেঙে ফেলছে মেয়েরা। পুরুষতান্ত্রিকতার বাঁধ ভেঙে আজ তারা স্বাধীন। মেয়েদের এই আকাশছোঁয়া সাফল্যের দুই প্রতিনিধির কথাই বলি আজ। ইউরোপের ছোট্ট দেশ মলডোভা রিপাবলিকের দুই কন্যা  মাজদেভা হাজিভু ও ভিক্টোরিয়া সবল। বিশদ

13th  November, 2021
মিছিমিছি 
ভাইফোঁটা

বছরের এই দিনটি বড় স্পেশাল। ভাই বা দাদার কপালে বোন বা দিদির ফোঁটা। এই রীতি ঘিরে ভাইবোনদের মধ্যে উৎসাহের সীমা থাকে না। তা যে যত বয়সেই পৌঁছক, ভাইবোনের মধ্যেকার টান আলগা হওয়ার নয়! তবে কাল বদলেছে। বদলেছে ভাইফোঁটার রকমসকম। সময়ের দাবি মেনে ভাইফোঁটাও এখন ভার্চুয়াল অনেক ক্ষেত্রে। লিখেছেন শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায়।
বিশদ

06th  November, 2021
দুর্গম জয়ে
পিয়ালী

১০ অক্টোবর, ২০২১ রবিবার, পঞ্চমী। ট্রেনের জানালা দিয়ে দেখছেন তিনি গ্রামবাংলার ছোট ছোট স্টেশনের ধারে ধারে মণ্ডপে মণ্ডপে ব্যস্ততা। না, বিমানে তাঁর ফেরা হয়নি। কাঠমান্ডু থেকে দিল্লি আসতেও কম উদ্বেগ ছিল না।
বিশদ

06th  November, 2021
মাতৃশক্তির আরাধনার সঙ্গেই
 চলছে মেয়েদের লাঞ্ছনা

উভয়ের মিলিত শক্তিতেই পূর্ণতার প্রাপ্তি। নারীর শক্তির পাশে পুরুষও তাই অনবদ্য এক চালকশক্তি। দেবীর এই শক্তিতত্ত্বই কি নতুন করে পথ দেখাতে পারে?  বিশদ

30th  October, 2021
গিন্নি হলেন কর্তা

মেয়েরা আজ বহুক্ষেত্রে একাই সংসারী। সংসার সামলাতে তাঁদের তাই পুরুষের সাহচর্য লাগে না সবসময়। এহেন গিন্নিরা আদতে সংসারের কর্তাই বটে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আবার মাঝেমধ্যেই সমাজের অনভ্যস্ত সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। কিছু ক্ষেত্রে এই কটাক্ষ বিড়ম্বনা স্বরূপ, কিছু ক্ষেত্রে আবার হাস্যকর। এই নিয়ে রসরচনায় কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

23rd  October, 2021
একনজরে
পুড়িয়ে মারার আগে শ্রীলঙ্কার নাগরিকের শরীরের প্রায় সব হাড়ই পিটিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাদের নৃশংসতা এখানেই থেমে থাকেনি। তাঁকে জ্বালিয়েও দেওয়া হয়। ...

কোচবিহার জেলায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং দলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের সঙ্গে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার বিরোধ চরম আকার নিয়েছে। ...

রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকা কেবল টিভি’র তারই চিন্তার কারণ। যাতায়াতের পথে অনেক সময় জড়িয়ে যাচ্ছে পায়ে। আবার সাইকেল বা বাইকের চাকাতে জড়িয়েও কখনও কখনও ঘটছে দুর্ঘটনা। ...

ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে আগেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। রবিবার মধ্যরাতের দিকে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ বলয়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা উপকূল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৩: জার্মান দার্শনিক ম্যাক্সমুলারের জন্ম
১৮৫৩: ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর জন্ম
১৯৫৬: দলিত আন্দোলনের নেতা ভীমরাওজি রামাজি আম্বেদকরের মৃত্যু
১৯৮৫: ক্রিকেটার আর পি সিংয়ের জন্ম
১৯৯২: অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ধ্বংস
২০১৬ - তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৩৯ টাকা ৭৬.১১ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৮৬ টাকা ১০১.৩০ টাকা
ইউরো ৮৩.৬১ টাকা ৮৩.৬৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  December, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬১, ৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১, ৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  December, 2021

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১। তৃতীয়া ৫১/৩ রাত্রি ২/৩২। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৫০/৩০ রাত্রি ২/১৯।  সূর্যোদয় ৬/৭/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩২ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৮ গতে ১১/০ মধ্যে পুনঃ ২/৩৪ গতে ৩/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৭ গতে ৮/৪৭ মধ্যে পুনঃ ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৭ গতে ১১/২৭ মধ্যে। 
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১।  দ্বিতীয়া দিবা ৯/২। মূলা নক্ষত্র দিবা ৮/৩২। সূর্যোদয় ৬/৯, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ৯/৪ গতে ১১/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ১১/৫ মধ্যে ও ২/৪০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৯ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ২/৮ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৪৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।  
১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে কমল দৈনিক সংক্রমণ
গতকালের তুলনায় রাজ্যে অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ...বিশদ

09:04:21 PM

গল্ফগ্রিনে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, উদ্ধার খোয়া যাওয়া সামগ্রী

04:34:00 PM

রেলের পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে, জানুন
রেলের পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় রয়েছেন ...বিশদ

04:21:03 PM

৯৪৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

04:06:34 PM

৫২৫ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

02:01:53 PM

সারের কালোবাজারি বন্ধের দাবিতে মাথাভাঙার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ

01:27:47 PM