Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

সেকালের পুজো 

তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটি লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়। 

সে ছিল এক অন্য কলকাতা— সেখানে কলুপাড়া, ডোমপাড়া, হাঁড়িপাড়া, গয়লাপাড়া, হাতিবাগান, বাদুড়বাগান, চালতাবাগান, হালসীর বাগান— ছিল অঞ্চলের নাম। সেই সাবেক কলকাতাতেও ছিল দুর্গাপুজো। সমাজের ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষকে না শামিল করলে সেকালের দুর্গাপুজো পূর্ণতা পেত না।
তখন দুর্গাপুজো মূলত জমিদারবাড়ি কিংবা উচ্চবিত্ত মানুষদের বাড়িতেই হতো। তখনকার দিনে এই পুজো উপলক্ষে ভট্টাচার্য ব্রাহ্মণ আর ‘টুলো’ অধ্যাপকরা ‘বার্ষিকী’ বা পার্বণী পেতেন। কালীপ্রসন্ন সিংহের ‘হুতোম প্যাঁচার নক্সায়’ এই পার্বণী পাওয়ার চমৎকার বর্ণনা আছে। দুর্গাপুজোর বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই এই ‘পার্বণী’ দেওয়া শুরু হয়ে যেত। যে জমিদার বাড়িগুলিতে পুজো হতো, সে সব বাড়ি গিজগিজ করত ব্রাহ্মণ- পণ্ডিতদের ভিড়ে! বাড়ির ‘বাবু’টি তসরের কাপড় পরে তাঁর সেরেস্তায় বসে থাকতেন একটা গদির উপর। তাঁর ডানদিকে বসত তাঁর দেওয়ান টাকা আর সিকি-আধুলির তোড়া নিয়ে, দেওয়ানের সামনে খোলা থাকত একটা খাতা। ‘বাবু’র বাঁ দিকে বসতেন সভাপণ্ডিত। এই সভা-পণ্ডিতের কাজ ছিল বিচার করে স্থির করা কোন ব্রাহ্মণ প্রকৃতই এই ‘পার্বণী’ নেবার অধিকারী আর কে তা নন। যদি কেউ গত একবছর বিধবা-বিবাহের সভায় যেতেন, সেখানকার ‘প্রণামী’ গ্রহণ করতেন, কিংবা কোনও ‘অখাদ্য’ খেয়ে ফেলতেন, তাহলে ‘পার্বণী’ পাওয়ার অধিকার থেকে তিনি বঞ্চিত হতেন। অনেকে ‘পার্বণী’ পাবার লোভে ‘দিব্যি’ গেলে বলতেন যে তাঁরা তেমন কোনও ‘অসিদ্ধ’ কাজ গত একবছরে করেননি! কিন্তু সেকথা বিশ্বাস না হলে সভা-পণ্ডিত খাতা থেকে তাঁর নাম কেটে দেবার হুকুম দিতেন। বঞ্চিত ব্রাহ্মণরা তখন রেগে পৈতে ছিঁড়ে ‘অভিশাপ’ দিতে দিতে চলে যেতেন!
মুদি সারাবছর গৃহস্থকে সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জোগান দেয়। তাই বছরে দু’বার তাকে ‘উটনো’ মেটানো হতো। একবার চড়কের সময়, আর একবার দুর্গাপুজোর সময়। পুজোর সময় ‘উটনো’ মেটানোকে বলা হতো ‘ঢাকে-ঢোলে চুকানো।’ মুদিও যেন ফাঁকিতে না পড়ে এবং তারও যেন পাওনাগন্ডা সব মিটে যায় পুজোর আগে, সেইজন্যই সেকালের সমাজে ছিল এমন ব্যবস্থা।
কৃষ্ণপক্ষের নবমীতে অনেকের বাড়ি ‘কল্পারম্ভ’ হতো। তারপর থেকে রোজই চলত সংক্ষিপ্ত পুজো এবং চণ্ডীপাঠ। যাঁদের বাড়িতে প্রতিমাপুজো হতো না, তাঁদেরও কিন্তু এই ক’দিন রোজ বাড়িতে চণ্ডীপাঠ করাতে হতো— এমনি ছিল সেকালের নিয়ম।
মা দুর্গার সিংহের মুখ নিয়েও সেকালের কলকাতার নানারকম চল ছিল। শাক্তবাড়ির সিংহের মুখ হতো সাধারণ। কিন্তু গোঁসাইবাড়ির সিংহের মুখ হতো ‘ঘোটক-মুখী’। সেকালে মা দুর্গার সাজ হতো মাটির গয়নায়। অনেক পরে ‘ডাকের সাজ’ এবং ‘শোলার সাজ’-এর প্রচলন হয়েছিল। শুধু কি সাজ? মা দুর্গার দুপাশে কার্তিক গণেশের দিকনির্ণয় নিয়েও ছিল দুই বাংলার দু’রকমের প্রথা। পশ্চিমবাংলায় দেবীর ডানদিকে গণেশ, বাঁদিকে কার্তিক, আবার পূর্ববঙ্গে-এর ঠিক উল্টো। কোথাও আবার লক্ষ্মী-সরস্বতীর জায়গা নিতেন জয়া-বিজয়া কিংবা রাধাকৃষ্ণ।
দুর্গাপুজোর একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হল দেবীর ‘মহাস্নান’। শঙ্খজল, গঙ্গাজল, উষ্ণজল, গন্ধজল, রজতজল, স্বর্ণজল, মুক্তাজল, বৃষ্টিজল, নির্ঝরজল ইত্যাদি এই নানান জলে ‘দেবী’র মহাস্নানের সময় সেকালে বিভিন্ন রাগ বাজানোর চল ঩ছিল— যেমন ‘বৃষ্টিজল’-এ মহাস্নানের সময় ললিত রাগ ও বিজয়বাদ্য, ‘নির্ঝরজল’-এ মহাস্নানের সময় বরাড়ী রাগ ও শঙ্খবাদ্য প্রভৃতি। কলাবউ স্নান করাতে নিয়ে যাবার সময় পুরোহিত, তন্ত্রধারক, বাড়ির আচার্য, ব্রাহ্মণ, গুরু, সভা-পণ্ডিতের পেছনে বাড়ির ‘বাবু’টিকে সপারিষদ যেতেই হতো। সেই যাত্রায় ‘বাবু’র মাথার ওপর লাল সার্টিনে মোড়া রুপোর ‘রামছাতা’ ধরা হতো।
মহাষ্টমীর সন্ধিপুজোয় একশো আটটি ঘিয়ের প্রদীপ এখনও অবশ্য জ্বালানো হয়, কিন্তু এর পাশাপাশি আরও দু’রকম প্রথা ছিল যা আর আজকাল সচরাচর দেখা যায় না— ‘মানসপূর্তি’তে বাড়ির মহিলারা মাথায় করে সরা নিয়ে তাতে ধুনো পোড়াতেন, আর বাড়ির পুরুষরা ‘মানসপূর্তিতে’ বুক চিরে রক্ত দিতেন।
সেকালে বাড়ির পুজো থেকে বারোয়ারি পুজো সবেতেই মূল নৈবেদ্য ছিল ‘আগা-তোলা মন্ডা’ বা ‘দুর্গামন্ডা’। কাঠের বারকোশের ওপর সাজানো এই মন্ডার ওজন হতো প্রায় দেড় মন। নবমীতে হতো বলি। ছাগল, মোষ, ঘোড়া, মাগুরমাছ, সুপুরি, আখ, কুমড়োর পাশাপাশি পিটুলি দিয়ে শত্রুর প্রতিকৃতি তৈরি করে ‘বলি’ দেওয়ারও রেওয়াজ ছিল সেকালে। ‘বলি’র পর সেই বাড়ির লোক পাঁঠা, মোষ বা ঘোড়ার কাটা মুণ্ডু মাথায় নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরত! এটাই ছিল রীতি। বাড়ির বয়স্ক ঠাকুরদা তাঁর সমবয়সি বন্ধু এবং নাতিপুতিদের সঙ্গে নিয়ে সেই বলির ‘মুণ্ডু’ যাত্রার সঙ্গে সঙ্গে যেতেন গান করতে করতে। এই গানকে চলিত কথায় বলা হতো ‘কাদা মাটি’র গান। বৃদ্ধ ঠাকুরদার হাতে থাকত একটি খাতা। তাতে লেখা থাকত গান, পাছে গাইতে গাইতে কথা ভুলে যান, তাই এই ব্যবস্থা। এই গানকে ‘খেউড়’ গানও বলা হতো। সেকালে বড় মানুষের বাড়ির পুজোর নিমন্ত্রণে গেলে নিমন্ত্রিতকে প্রণামীর টাকা দিতে হতো সেই বাড়ির পুরোহিতের হাতে। শুধু হাতে ঠাকুর দর্শন করে চলে আসার প্রথা ছিল না। কিছু কিছু জায়গায় বাড়ির ‘বাবু’টি স্বয়ং জরির মছলন্দ পেতে সামনে আতরদান, গোলাপ-বাস সাজিয়ে বসে থাকতেন দোকানের পোদ্দারদের মতো ‘ওঁৎ’ পেতে। এই প্রণামীর টাকাকে সেই জন্য বলা হতো ‘ওঁৎ করা টাকা।’ অনেকে নিজেরা না গিয়ে এই টাকাটা ছেলেপুলেদের হাতে দিয়েও পাঠিয়ে দিতেন। সন্ধে বেলা এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে ছোট ছেলেমেয়েদের বাড়ির ঝি বা চাকর ঠাকুর দেখাতে নিয়ে গেলে তাদের এক সরা ‘জলপান’ দেওয়ার চল ছিল।
প্রতিমা দর্শন করতে মুসলমানরাও আসতেন। এই তথ্য আমরা পাই স্বামী বিবেকানন্দের মেজ ভাই মহেন্দ্রনাথ দত্তের ‘কলিকাতার পুরাতন কাহিনী ও প্রথা’ গ্রন্থে। স্থানীয় মুসলমানরা এসে তিনবার মা দুর্গাকে ‘সেলাম-সেলাম-সেলাম’ বলে চলে যেতেন।
প্রত্যেক বাড়িতে লোক খাওয়ানো হতো। ভাত, পাঁচরকম তরকারি, দই আর পায়েস। শাক্ত ব্রাহ্মণ বাড়ি হলে মাছও দেওয়া হতো, কায়স্থ বাড়ি হলে ছিল লুচির চল। দুই বাংলায় আরও দুটি বিপরীত প্রথা ছিল। পশ্চিমবঙ্গে দশমীপুজোয় দেবীকে দেওয়া হতো ‘দধিকর্মা’। পূর্ববঙ্গে দেওয়া হতো পান্তাভাত আর কচুর শাক।
আমরা হয়তো মনে করি নাচগান করতে করতে প্রতিমা বিসর্জনে নিয়ে যাওয়া হয়তো একালেই হয়েছে, কিন্তু না, এই প্রথা বহু পুরনো। যার উল্লেখ আছে জীমূতবাহনের ‘কালবিবেক’ গ্রন্থে। শবরজাতির মতো সারা দেহকে লতাপাতা দিয়ে সাজিয়ে, সারা গায়ে কাদা মেখে নাচ-গান করা হতো বলেই বিজয়া দশমীর এই উৎসবকে বলা হতো ‘শবরোৎসব’। শুধু নাচ-গানই নয়, গ্রাম্যভাষায় একে অন্যকে গালমন্দ করাও এই শবরোৎসবের অঙ্গ। শোভাযাত্রায় অনেক সময় ‘খাস-গেলাস’-এর ঝাড় হতো। মাটির ছোট ছোট মোমবাতি রাখার একরকম বাতিদান হতো, তার মাঝখান থেকে উপর-নীচে দুটো এক ইঞ্চি করে চোঙা থাকত। অভ্রর গেলাস তৈরি করে লাল কাগজের পাড় দিয়ে গেলাসটার উপর দিক ও নীচের দিক জুড়তে হতো। দেখতেও বাহারি হতো, আবার অভ্রটাও পড়ে যেত না। সেই অভ্রর গেলাসটা খুরির উপর আঠা দিয়ে বসান হতো। আর তার ভেতর একটি মোমবাতি থাকত এবং এই মাটির খুরিটা একটা বাখারির, ডাল বা ডান্ডার উপর আটকানো হতো। এইভাবে আট বা দশটা ডাল দিয়ে একটা ‘ঝাড়’ হতো। প্রতিমা নিয়ে গঙ্গায় বাইচ খেলানোরও চল ছিল ‘বাবু’দের মধ্যে। বজরার ছাতে শৌখিনবাবুরা খ্যাম্‌টাউলি ও বাঈজি সঙ্গে নিয়েও প্রতিমা নিরঞ্জনে যেতেন।
বিজয়ার দিন প্রতিমা নিরঞ্জনের পর চণ্ডীমণ্ডপে ফিরে পূর্ণ ঘটকে প্রণাম করে ‘শান্তিজল’ নেওয়াই শুধু নয়, সেই সঙ্গে ‘ঘটজল’ ও ‘কাঁচাহলুদও’ খেতে হতো। তারপর হতো শুভ বিজয়ার কোলাকুলি। ছোটরা বিজয়ার দিন পাড়ার বয়স্ক ব্রাহ্মণদের খালি হাতে কিন্তু প্রণাম করতে পারত না, প্রণামী দিতেই হতো। বড়রা সে প্রণামী যেমন নিতেন, তেমনি ছোটদের হাতে তুলে দিতেন নারকোল-ছাবা ও অন্যান্য নারকোলের মিষ্টি। বিজয়ার কোলাকুলিতে এবং প্রণামে ছানার মিষ্টি খাওয়ার নিয়ম ছিল না। কলাপাতায় ‘দুর্গানাম’ লিখতে হতো তারপর, এবং সিদ্ধি মুখে দিতেই হতো সবাইকে। তবেই ঘটত শুভ বিজয়ার পরিসমাপ্তি।
05th  October, 2019
বিজয়া দশমী 

দশমী তিথিতে সকাল বেলায় নির্ঘণ্ট অনুযায়ী পুরোহিত আচমন ভূতাপসারণ প্রভৃতি করে পঞ্চোপচারে দেবীর পুজো করেন। ওই দিন দেবীকে পান্তাভাত, কচুর শাক (নুন ছাড়া) ভোগ দেওয়া হয়। যাঁরা অন্নভোগ দেন না তাঁরা চিঁড়ে, মুড়কি, খই, বাতাসা, দই প্রভৃতি ভোগ দেন।  
বিশদ

05th  October, 2019
চণ্ডীতে দেবী দুর্গার প্রকাশময়ী মূর্তি 

দেবী বন্দনার সামগ্রিক বিকাশটি নিহিত আছে শ্রীশ্রীচণ্ডীতে। প্রথম, মধ্যম ও উত্তর ভেদে আদ্যাশক্তি মহামায়া চণ্ডিকা তিন রূপে প্রকাশিতা। গুণ ও কর্ম ভেদে তিনি কখনও মহাকালী, কখনও মহালক্ষ্মী, কখনও বা মহাসরস্বতী রূপে প্রকাশিতা।
বিশদ

05th  October, 2019
মহিলা মৃৎশিল্পী
মনের টানে ঠাকুর গড়েন মালা পাল 

কুমোরটুলির এক জায়গায় বসে সবাই যখন ঠাকুর গড়ত, মুগ্ধ হয়ে দেখত মেয়েটি। আর মনে মনে ভাবত সেও একদিন ঠাকুর গড়বে। সেই মতো মেয়েটির যখন চোদ্দো বছর বয়েস, তখন সে বাবার স্টুডিওতে এসে বাবার সঙ্গে ঠাকুর গড়া শুরু করে।  বিশদ

28th  September, 2019
ম হা ল য়া র মধুর সুর 

মহালয়া মানে পিতৃপক্ষের সমাপ্তি আর দেবীপক্ষের সূচনা। শারদীয়া দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন হল মহালয়া। মহালয়ার ভোর মানেই দূরত্ব ছাপিয়ে আসা আলো। প্রত্যেক বাঙালিরই মহালয়া নিয়ে নানা স্মৃতি। আজ এই প্রযুক্তি অধ্যুষিত সময়ে দাঁড়িয়েও এই একটা দিনেই আমবাঙালি রেডিওতে মাতে। আগের রাতে ধুলো ঝেড়ে বের হয় বাবা বা ঠাকুরদার পুরনো রেডিও সেটটি।   বিশদ

28th  September, 2019
পার্লারে পার্লারে পুজোর প্যাকেজ 

পুজোর আগে লাস্ট মিনিটে সাজ-সাজেশনে রয়েছে বিভিন্ন পার্লারের আকর্ষণীয় অফার। পুজোর পাঁচটা দিন তাক লাগিয়ে দিন বন্ধুদের। হয়ে উঠুন পুজোর সেরা সুন্দরী। আর যাঁরা এখনও পার্লারমুখো হননি তাঁরাও করে নিন মেকওভার।  বিশদ

28th  September, 2019
মহাপূজার আঙিনায় হোম 

যজ্ঞানুষ্ঠান বৈদিক কর্মের অঙ্গ। অগ্নিকে প্রতীকরূপে উপাসনার প্রথা আদিকাল থেকে। এর উৎপত্তিস্থল ঋগ্বেদ। দেবতার অভিলাষে হব্যাদি যে কোনও অর্ঘ্যদান করতে গেলে অগ্নিতেই তা উৎসর্গ করতে হয়।   বিশদ

28th  September, 2019
আবাসনের পুজোয় মেয়েরাই সর্বেসর্বা 

শহর আর শহরতলি জুড়ে গড়ে উঠছে অসংখ্য আবাসন। সেখানে পুজোর ব্যবস্থাপনায় অগ্রণী ভূমিকা মেয়েদেরই। কয়েকটি আবাসনের মহিলা মহলের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন সোমা লাহিড়ী।  বিশদ

28th  September, 2019
মহাষ্টমী পুজো

 মহাষ্টমী পুজোর দিন সকালে পুরোহিত আচমন করে মায়ের পুজো শুরু করেন। আসনশুদ্ধি, ভূতশুদ্ধি, মাতৃকান্যাস, প্রাণায়াম, পীঠন্যাস সমাপ্ত করে মাকে দন্তকাষ্ঠ নিবেদন করেন। তারপর শুরু হয় মায়ের মহাস্নান।
বিশদ

21st  September, 2019
মহাপূজার আঙিনায়
বলিদান

 মহাপূজার অন্যতম অঙ্গ বলিদান। বলি শব্দের অর্থ উপহার। দেবীভাগবতের মতে, একমাত্র দেবী পূজাতেই বলিদান সম্মত। অন্যত্র নয়। কারণ ব্রহ্মবিদ্যাস্বরূপিণী দেবী আমাদের স্বরূপনিরোধক এই ঘোর জীববুদ্ধি নাশ করে ব্রহ্মকারা বৃত্তিতে প্রকাশমান হন। তাই মহাদেবী বলিপ্রিয়া।
বিশদ

21st  September, 2019
সেকাল একালের
আগমনী আড্ডা

দুর্গা পুজো মানেই নতুন পোশাক, খাওয়া-দাওয়া, রাত জেগে ঠাকুর দেখা আর নির্ভেজাল আড্ডা। আড্ডা পরিকল্পনাও থাকে নানারকম। আড্ডাবাজ বাঙালির আড্ডার আসর বসে পাড়ার পুজো, বাড়ির পুজো, বা আবাসনের পুজোমণ্ডপে। নব্য প্রজন্মের কেউ বা পছন্দ করে ঘুরে বেড়িয়ে আড্ডা দিতে। বিশদ

21st  September, 2019
মহিলা মৃৎশিল্পী
ঠাকুর গড়েন চায়না পাল

 ছোটবেলায় আঁকতে ভীষণ ভালোবাসতেন চায়না। পেন বা পেন্সিল দিয়ে পাতার পর পাতা ঠাকুর দেবতার ছবি আঁকতেন তিনি। টানা টানা চোখওয়ালা সাবেকি ঠাকুরের মুখ ভরে যেত তাঁর খাতার পাতায়। বাবা যখন ঠাকুর গড়তেন সেটাও হাঁ করে দেখতেন চায়না। বিশদ

21st  September, 2019
উৎসবের ভোজ, ভোজের উৎসব 

ভোরের প্রথম আলোয় শিউলি ফুলের মন মাতানো মিষ্টি গন্ধই শুধু নয়, ভোরের বাতাসেও অকারণ পুলকের স্পন্দন। পাড়ায় পাড়ায় বাঁশ আর কাপড়ের স্তূপ। যেন উৎসবের আর উৎসাহের জোয়ার। মায়ের আগমনী বার্তা বয়ে নিয়ে আসে এইসব খুঁটিনাটির অনুষঙ্গগুলো।   বিশদ

14th  September, 2019
মহিলা মৃৎশিল্পী 

সুস্মিতা রুদ্রপাল মিত্র: এক দশক মানে প্রায় বারো বছর হয়ে গেল সুস্মিতা রুদ্রপাল মিত্র প্রতিমা তৈরি করা শুরু করেছেন। সুস্মিতার বেড়ে ওঠা কুমোরটুলির এক মৃৎশিল্পীর পরিবারে। বাড়িতে বাবা-দাদাদের কাজ দেখতে দেখতে বড় হয়েছেন সুস্মিতা।  বিশদ

14th  September, 2019
মহাসপ্তমী পুজোর রীতি ও আচার 

দুর্গাপুজোর মহাসপ্তমী। এই দিন প্রথমে গৃহকর্তা পুরোহিতকে কাপড় ও নানা দ্রব্য দিয়ে বরণ করে নেবেন। তারপর নবপত্রিকা স্নান। গঙ্গা বা কোনও জলাশয়ে নবপত্রিকাকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরিয়ে যথাযথ মন্ত্র উচ্চারণ করে দুর্গামণ্ডপে প্রতিষ্ঠা করা হয়।   বিশদ

14th  September, 2019
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দমদম-বাগুইআটি-নারায়ণপুর এলাকার বেশিরভাগ প্রতিমার বিসর্জন হল দশমীতে। সল্টলেকের অনেকগুলো পুজোর বিসর্জন হয়েছে দশমীতেই। এছাড়া বুধবার একাদশীর দিনও বিসর্জন চলেছে। নিউটাউনে অ্যাকশন এরিয়া ১-এ বিসর্জন ঘাট, দমদমের ধোবিঘাট, ভিআইপি রোডের ধারে দেবীঘাটে দিনরাত ছিল চরম ব্যস্ততা।  ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: বুধবার দীঘায় সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল বিশালাকৃতি ‘চিলমাছ’। এদিন মোহনার আড়তে মৃত এই মাছটি নিয়ে আসা হয়। অচেনা এই মাছ দেখতে উৎসুক মানুষজন ভিড় জমান। পাশাপাশি দীঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকরাও ভিড় জমান।   ...

পুনে, ৯ অক্টোবর: ভারতের মাটিতে ‘টিম ইন্ডিয়া’কে হারানো কতটা কঠিন, তা বিলক্ষণ টের পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কারণ, প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দলের ৫০২ রানের ...

বিএনএ, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির মণ্ডপে পাশাপাশি দেখা গিয়েছে দিদি-মোদির ফ্লেক্স। পুজো প্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষের অভিনন্দনজ্ঞাপক ফ্লেক্সের পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জলপারইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম
১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু দত্তের মৃত্যু
২০১১: গজল গায়ক জগজিৎ সিংয়ের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৩৪ টাকা ৭২.০৪ টাকা
পাউন্ড ৮৫.৩৯ টাকা ৮৮.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৬.৬০ টাকা ৭৯.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৩ রাত্রি ৭/৫২। শতভিষা ৫১/৩৮ রাত্রি ২/১৪। সূ উ ৫/৩৪/৩৩, অ ৫/১৩/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৮ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ২/৫৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৩ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৫ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/১৯ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/২৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২২ আশ্বিন ১৪২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বাদশী ৩৫/৪৭/৪২ রাত্রি ৭/৫৩/৫২। শতভিষা ৫৪/১৮/১৬ রাত্রি ৩/১৮/৫, সূ উ ৫/৩৪/৪৭, অ ৫/১৪/৪৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ১/১৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫০ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৩/৪৭/১৭ গতে ৫/১৪/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ২/১৯/৪৭ গতে ৩/৪৭/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/২৪/৪৭ গতে ১২/৫৭/১৭ মধ্যে। 
মোসলেম: ১০ শফর 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালো। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। মিথুন: ব্যবসায় বেশি বিনিয়োগ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
মানসিক স্বাস্থ্য দিবস১৯৫৪: অভিনেত্রী রেখার জন্ম১৯৬৪: অভিনেতা ও পরিচালক গুরু ...বিশদ

07:03:20 PM

২০১৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছেন পোল্যান্ডের ওলগা তোকারজুক এবং ২০১৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পাবেন অস্ট্রিয়ার পিটার হ্যান্ডকা

05:15:00 PM

দ্বিতীয় টেস্ট, প্রথম দিন: ভারত ২৭৩/৩ 

04:43:00 PM

সিউড়ি বাজারপাড়ায় পরিত্যক্ত দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ল, চাঞ্চল্য 

04:27:12 PM

মুর্শিদাবাদে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী বৃদ্ধ 
রোগ যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন লাগিয়ে ...বিশদ

03:34:00 PM