বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
দশমীর অঞ্জলির পরে মন্ত্র উচ্চারণ ও মূদ্রা প্রদর্শনের মাধ্যমে কোনও বড় মাটি বা তামা বা পেতলের পাত্রে জল নিয়ে তাতে দর্পণ বিসর্জন দেওয়া হয় মন্ত্র পাঠ করে। দর্পণ বিসর্জনের পর হয় অপরাজিতা পুজো। মন্ত্রপাঠ করে অপরাজিতা দেবীর ধ্যান করে পুজো সমাপ্ত হলে সবাই দর্পণ বিসর্জন দেওয়া পাত্রের জলে মা দুর্গার চরণের প্রতিবিম্ব দেখে মায়ের আশীর্বাদ কামনা করেন। পান দিয়ে মায়ের মুখ মুছিয়ে সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে প্রদীপ দেখিয়ে বা হাত দিয়ে আগুনের তাপ নিয়ে মায়ের বুকে ছুঁইয়ে মায়ের কানে কানে বলে দেওয়া হয়। মা দুর্গা বাংলার ঘরের মেয়ে। কেউ কেউ মায়ের হাতে পানের খিলি গুঁজে দেন। কৈলাসে মায়ের আসার খবর পাঠানোর উদ্দেশে নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে দেবার প্রচলন কোনও কোনও পরিবারে প্রচলিত আছে। সন্ধেবেলা নদী বা জলাশয়ে মাটির দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। তারপর শুরু হয় কোলাকুলি, বড়দের প্রণাম, ছোটদের আশীর্বাদ আর মিষ্টিমুখের পালা। সারা বছরে হিংসা, দ্বেষ, কলহ ভুলে একে অপরকে কাছে টেনে নেয়। বিজয়া দশমীর এটাই সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য।
দূর্বা বাগচী