Bartaman Patrika
অমৃতকথা
 

  করুণা পাথার জননী আমার

জগৎজননী যখন সাংসারিক মায়ের মতো ধরা দেন, তখন পরিতৃপ্ত স্নিগ্ধতায় প্রাণমন জুড়িয়ে দেন। মায়ের সঙ্গে আমার জাগতিক যোগাযোগ ১৯৫৮ সন থেকে। প্রথম দর্শনেই আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলি তাঁর কৃপা সমুদ্রে। আমার অন্তরের বিগ্রহ অনুগ্রহরূপে মাতৃমূর্তিতে আমার কাছে ধরা দেন অপূর্ব স্নেহ করুণায়। তাই মাকে অন্তরের সব কিছু জানাতে আমার কখনও দ্বিধাবোধ হয় না।
১৯৭৮ সনের মার্চ মাসে আমার স্বামী সরকারী কার্যোপলক্ষ্যে গৌহাটী(আসাম) গেলেন। কামাখ্যা পাহাড়ে একটি কুমারী পূজো করবো অভিপ্রায়ে আমিও সঙ্গে গেলাম। মাকে একখানি চিঠি দিয়ে গেলাম, “তুমি পূজো গ্রহণ করো, ফিরে এসে নববর্ষে তোমাকে প্রণাম করতে যেন যেতে পারি সে খেয়াল রেখো।” মা তখন কোথায় তাও জানি না। দু’সপ্তাহের পর আসাম থেকে ফিরে এসে দেখি বনখল থেকে মায়ের আবাহন এসেছে— “তুমি আসবে আনন্দের কথা।” তখন আর কোনো কিন্তু নেই। মাতৃকৃপায় টিকিটও অদ্ভুতভাবে মিলে গেল। আমার স্বামী ও আমি হরিদ্বার রওনা হব, শুনলাম তরুদির ভাগবত ১লা বৈশাখ থেকে। আমরা ১৪ই এপ্রিল দিদিমার সন্ন্যাস উৎসবের দিন হরিদ্বার পৌঁছালাম। ১৫ই এপ্রিল ভাগবত শুরু হলো। এর আগে কখনও দেখি নাই বা শুনি নাই যে, একজনের ভাগবতের সঙ্গে অন্যেরা ভাগবত দিতে পারে। এই ভাগবতের সঙ্গে পুষ্পাদি ও কান্তিদি ভাগবত দিচ্ছেন দেখে ভাগবতের ষষ্ঠ দিনে মাকে প্রণাম করতে গিয়ে আমার অন্তরের ইচ্ছা মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল। “মা, ছোটভাবে যে ভাগবত করা যায় তা তো জানতাম না। এসব দেখে আমার শ্বশুরমশায়, শাশুড়ী, বাবা, মা সকলেই মৃত, এঁদের উদ্দেশ্যে ভবিষ্যতে আমার একটা ভাগবত দিতে ইচ্ছা হচ্ছে।” মা কথাটা শোনামাত্র বললেন, “খুব ভালো কথা,তুই এখনই স্বামীজীকে বল্।” মার যেন তর সয় না। আমি স্বামীজীকে বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বললেন, “অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসবের পর ১১ই মে থেকে একটি ভাগবত হবে সেই সঙ্গে কর।” আমি বললাম, “এতো তাড়াতাড়ি কি করে হবে? আমরা কাল কলকাতা ফিরে যাচ্ছি, টিকিট করা আছে। আমার স্বামী এখনই আবার ছুটি নিয়ে আসতে পারবেন না। মাত্র ১৫ দিন সময় পাবো।”
স্বামীজী বললেন, “তাহলে আবার কবে হবে জানি না।” শঙ্কিতমনে মায়ের কাছে গেলাম ও স্বামীজীর কথা বললাম। মা বললেন, “ভালোই তো— ১১ই তারিখ থেকে ভাগবত শুরু হবে।” এ কথা শুনে আমি আবার স্বামীজীর কাছে ফিরে এসে বললাম, “একলা আসতে হবে। ১৫ দিন মাত্র সময়, টিকিট পাওয়াও যাবে না মনে হচ্ছে।” স্বামীজী মাথা চাপড়ে বললেন, “তুই একলা আসলেই হবে। মা যখন বলেছেন সব ঠিক হয়ে যাবে, তুই শুধু চেষ্টা কর। ১দিন আগে পৌঁছলেই হবে।” আবার মার কাছে ছুটলাম। মার কাছে ঢোকার কতো তো বাধা। কিন্তু এ ব্যাপারে আমি কোনো বাধার সম্মুখীন হ’লাম না। মাকে সব বলাতে মা তো খুব খুশী। বললাম, “তোমার বাবা, ছেলে কেউই আসতে পারবে না, আমাকে একলা আসতে হবে। টিকিটও পাওয়া যাবে কিনা জানি না।” মা শোনেন, হাসেন, মাথায় হাত দেন, তবুও মানা করেন না। এতো কম সময় পাবো, আমি মনে মনে ভাবি, মা যদি বলেন এখন না করে পরে করতে, তবে বাঁচি। টাকার কথা স্বামীজীর সাথে যা হয়েছে, মাকে সব বললাম মা মনোযোগ দিয়ে সব শুনে বললেন, “আচ্ছা।”
আবার স্বামীজীর কাছে ফিরে গেলাম, বললাম “স্বামীজী আমি যাঁদের সাথে ভাগবত করবো, তাঁরা কোথাকার এবং কে ভাগবত ব্যাখ্যা করবেন?” তখন আমি বললাম, “আমার শ্বশুর, শাশুড়ী, বাবা, মা কেউই হিন্দী বোঝেন না। স্বামীও সঙ্গে আসতে পারছেন না।” স্বামীজী বললেন, “তাতে কি হবে? স্বামীর মত নিয়ে তুই আসলেই হবে।” আবার মার কাছে চললাম। কোনো বাধা পেলাম না। চট্ করে মায়ের ঘরে ঢুকে পড়ে বললাম, “মা হিন্দীতে ভাগবত ব্যাখ্যা হবে। ওঁরা কেউই তো হিন্দী জানেন না।” মা বললেন, “আত্মার কাছে ভাষার সমস্যা নাই।” মা যখন কেবল উৎসাহই দিয়ে গেলেন তখন আমি বললাম, “আমার শরীরটাও খুবই খারাপ। টিকিট পাবার সম্ভাবনাও খুব কম। এতো অল্প সময়— আর যদি আসি, অক্ষয় তৃতীয়াতে শ্রী শ্রী শঙ্করাচার্য্যের মূর্তি প্রতিষ্ঠা দেখবো না কেন? তুমি সব খেয়াল রেখো তবে হবে।” মা হাস্যোজ্জ্বল মুখে আমার মাথায় ও পিঠে হাত বুলিয়ে দিলেন। মায়ের আশীর্বাদে মনে খুব বল ভরসা পেলাম। এ বিষয়ে তরুদির ভাগবতাচার্য্য শ্রীনারায়ণ গোস্বামী ও আমাদের আশ্রমের পূজ্যপাদ নারায়ণ স্বামীজী আমায় খুব উৎসাহিত করলেন। ওঁরা বললেন, “মা যখন খেয়াল কললেন, তখন করে ফেলাই ভালো, শুভকাজ ফেলে রাখতে নাই।” ওঁরাও দু’জনে বললেন, “স্বামীর অনুমতি থাকলে কাজ করা যায়। তাতে কোনো প্রত্যবায় হয় না।” আমার স্বামীও তখন উপস্থিত ছিলেন। শ্রীনারায়ণ স্বামীজী বললেন, “তোমার উপর মায়ের অশেষ কৃপা। তুমি ছেলেকে আনতে চেষ্টা করো।” তখন ছেলের ছুটি পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। স্বরূপানন্দ স্বামীজী বললেন, “অসুস্থ শরীর, ফেরার টিকিটটা করে যাও নারায়ণ গোস্বামীজীর সাথে। উনি মায়ের জন্মোৎসবে আসবেন।” গোস্বামীজী বললেন, “আমি মায়ের আদেশ মতো অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসবে উপস্থিত থাকবো। আপনার ভাগবত একদিন শুনতে পারবো। তারপর চলে যাবো। পরে আবার মায়ের জন্মোৎসবে স্বামীজীর নির্দেশানুসারে আসতে হবে। ২৯শে মে ফিরে যাব।” অন্য কোনো সঙ্গী না দেখে ওঁর সঙ্গে ফেরার টিকিট করার জন্য স্বামীজীকে টাকা দিলাম। এদিকে আসা হবে কিনা তারও তখনও নিশ্চয়তা নাই। নিজেও ভালো হিন্দী বুঝি না, ভাগবত হিন্দীতে ব্যাখ্যা হবে বলে মনটা খুঁতখুঁত করছিল। যাই হোক ২৩শে এপ্রিল কলকাতায় ফিরে এলাম। মা কয়েকজন ভক্তকে কিছু দিতে বলেছিলেন বলে ওদের জিনিষ নিয়ে রওনা হয়ে ঐদিন আমার ইচ্ছামতো ভাগবতের কিছু জিনিষ কেনা হয়ে গেল ও অর্ডার দেওয়া হয়ে গেল। ২৩/৪ তাং টিকিট কাটতে দেওয়া হলো। আমার শরীর ভালো ছিল না বলে বৌমা আমাকে একলা ছাড়তে রাজী হলো না। ওর পরীক্ষা ছিল বলে আমি ওকে যেতে মানা করেছিলাম। যাই হোক্ ২দিন পর খবর পেলাম ৭/৫ তাং একটা কূপে পাওয়া গিয়েছে। নিশ্চিন্ত হলাম। সবই মায়ের অদ্ভুত লীলা। এই পনেরো দিনের মধ্যে আমার যে ইচ্ছার উদয় হয়েছে সঙ্গে সঙ্গে তা পূরণ হয়েছে। লোডশেডিং- এর জন্য স্যাকরা অনেকেই গয়না দিতে পারছিলেন না। অথচ আমার সামান্য যা কিছু সব তৈরী হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত ছেলে বললো যে সেও ৪/৫দিন ভাগবতে যোগ দিতে পারবে।
৭ই মে রওনা হয়ে আমরা ৯ই মে কনখলে পৌঁছলাম। স্বামীজী ও নির্মলদা থাকার সুব্যবস্থা করলেন। রাত্রে মাকে শ্বশুর-শাশুড়ী ও বাবা-মার ফটো দেখালাম। বললাম, কাল থেকে তো ভাগবত। মা কেমন অন্যমনস্ক ও ব্যস্তভাবে বললেন, “কাল থেকে হবে?” এদিকে ভদ্রেশ্বর থেকে গাঙ্গুলী দম্পতি সদলবলে এলেন। তখন শুনলাম ঐ বাঙালী পরিবারের সাথেই আমার ভাগবত হবে। আমি তো শুনে অবাক্। তারপর শুনি বৃন্দাবন থেকে পাঠকও আসেন নাই। এদিকে মা ভাগবত শুরু হবার আগের দিন রাত্রে নারায়ণ গোস্বামীজীকে ডেকে ভাগবত ব্যাখ্যা করার জন্য বললেন। ওনার খুব কাশি, গলা ধরে আছে। পনেরো দিন আগে উনি তরুদির ভাগবত ব্যাখ্যা করেছেন। শরীরও ক্লান্ত। গলাও খারাপ। উনি কিছুতেই রাজী হচ্ছেন না- মাও বারবার তাঁকে পাঠ করার জন্য বলছেন। গোস্বামীজী তখন মাকে বলছেন, “আপনি আমার গলায় হাত বুলিয়ে দিন তবে আমি পারবো।” মা বললেন, বাবা তুমি আগেরবার তো এ কথা বলোনি।” গোস্বামীজী বললেন, “তখন আমি বাড়ী থেকে গৃহদেবতার সুপ্রসন্ন মুখ দেখে বেরিয়েছিলাম, আমার কোনো ভয় ভাবনা ছিল না। এখন সবে একটা শেষ হয়েছে, গলা ধরে রয়েছে। আমি পারবো না মা।” কিন্তু মা তাঁকে ছাড়েন না। শেষ পর্যন্ত উনি রাজী হয়ে গেলেন। আমি ফেরার সময় ট্রেনে ওনার মুখ থেকে এ কাহিনী শুনেছি। তারপর উনি বললেন, “মার কাছে রাজী হয়ে আমি চিন্তিত মনে নিজের ঘরে শুয়ে পড়লাম। আমার ঘরের বারান্দায় ছবিদিদের কীর্তন সারা রাত ধরে হচ্ছিল। হঠাৎ শেষ রাত্রে শুনতে পেলাম কে জানি বলছে এই- ওষুধটা খাও। গলা ভালো হয়ে যাবে। তিনবার একথা শুনে আমি সকচিত হয়ে উঠে দরজা খুলে দেখলাম কোথায়ও কেউ নেই। বারান্দায় কীর্তন হচ্ছে। ওষুধটার নাম লিখে রেখে আমি আবার শুয়ে পড়লাম। তখন শেষ রাত। চোখবুজে শুয়ে আছি, দেখি একটা বাচ্চা ছেলে এসে বলছে, “আমায় সোনার বাঁশী করে দাও।” তখন আমার সর্বদেহ কন্টকিত হয়ে উঠেছে। আমি শয্যাত্যাগ করে উঠে পড়লাম। সকালে উঠে পাটনকে ওষুধটা এনে দিতে বললাম। পাটন ডাক্তারের প্রেসক্রিপসন্ বিনা ওষুধ খেতে মানা করলো। কাজেই আমি বাধ্য হয়ে পাটনকে ঘটনাটা বললাম। পাটন অনেক দোকান খুঁজে ওষুধটা জোগাড় করে এনে দিল। ওষুধটার উপর লেখা ছিল যে সেটা কাশি ও গলাভাঙা সারার ওষুধ। মা পাটনের কাছে ব্যাপারটা জেনে আমাকে ডেকে সব কথা শুনলেন।” ওনার শরীর খারাপ থাকা সত্ত্বেও মাতৃকৃপায় অতি সুন্দরভাবে ভাগবত ব্যাখ্যা করছিলেন। গলাভাঙার জন্য কোনো অসুবিধাই হয়নি। আমাদেরও বাংলায় শোনার বাসনা মা এভাবে পূর্ণ করেছিলেন।
বাসন্তী মৈত্রের ‘মূর্ত্তিময়ী কৃপা মা আনন্দময়ী’ থেকে
13th  April, 2019
অমৃতকথা 

‘বাউল’ শব্দটি ‘বাতুল’ শব্দের অপভ্রংশ। ‘বাতুল’ শব্দ ক্রমশঃ রূপান্তরিত হয়ে ‘বাউল’ শব্দে পরিণতি প্রাপ্ত হয়েছে। ‘বাউল’ শব্দের প্রকৃত মর্মার্থ হল—বাহ্যজ্ঞান রহিত উন্মাদ। অর্থাৎ যিনি বাহ্য ইন্দ্রিয়ের চেতনাশূন্য, বিষয়বুদ্ধি রহিত ভগবৎ প্রেমে পাগল।  বিশদ

জনগণের চৈতন্য জাগরণে শ্রীরামকৃষ্ণ—শিহোর-ফুলুই শ্যামবাজার

 কামারপুকুরের গদাধর অবতার হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। অবতারশক্তির প্রথম প্রকাশ হ’ল যখন শিহোরে খানাকুলের সুপ্রসিদ্ধ শাস্ত্রবিদদের সঙ্গে শাস্ত্র আলোচনায় শ্রীরামকৃষ্ণ জ্ঞানের রাশে পণ্ডিতদের স্তব্ধ করে দিলেন। এবার শুরু হল অবতার শক্তির প্লাবন।
বিশদ

18th  April, 2019
অমৃতকথা 

‘সুনীচেন’ শব্দের ব্যাখ্যায় মহাপ্রভু বলেছিলেন—
‘‘তৃণ হইতে নীচু হইয়া সবে নিক নাম।
আপনি নিরভিমানী, অন্যে দিবে মান।’’  বিশদ

17th  April, 2019
বেদান্ত 

বেদ ও উপনিষদের মর্মবাণীর মধ্যে ভারতের শাশ্বত সনাতন ধর্মের ভাবটি বিদ্যমান। এই উপনিষদ-ভিত্তিক ‘ব্রহ্মতত্ত্ব’ বা ‘আত্মতত্ত্ব’ই হল বেদের সার। এই ‘আত্মতত্ত্বে’র আলোচনামূলক গ্রন্থই ‘বেদান্ত’।
 
বিশদ

16th  April, 2019
 শ্রীরামকৃষ্ণের প্রেমে রামলালার প্রস্তর মূর্তিতে প্রাণসঞ্চার

কামারপুকুরের রঘুবীর জাগ্রত হয়ে উঠেছিলেন ক্ষুদিরামের সেবায় আর সেই রঘুবীরকে দর্শন করেছিলেন ক্ষুদিরাম পুত্র গদাধরের মধ্যে। রামরঘুবীর ও গদাই-এর একত্ব কোনদিন ছিন্ন হয়নি।
বিশদ

15th  April, 2019
শ্রীরামকৃষ্ণের কালীদর্শন

 গতানুগতিক পুরোহিত জীবনে অন্ন উপার্জনের জন্য পূজা পার্বণ, ঝামাপুকুরের রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের নিত্যপূজা আর অগ্রজ প্রতিষ্ঠিত টোলের চালকলা বাঁধা বিদ্যা–এ সবই গদাধরের বাল্যকাল থেকে ঈশ্বরসন্ধানী মন প্রত্যাখ্যান করল।
বিশদ

14th  April, 2019
স্বপ্ন 

নানারকমের পূর্বাভাসবহ স্বপ্ন আছে। এমন অনেক পূর্বাভাসবহ স্বপ্ন আছে যা সঙ্গে সঙ্গেই ফলে যায় অর্থাৎ আগের দিনে স্বপ্নে যা জানতে পারা যায় তা ঠিক পরের দিনে ঘটে যাবে এবং এমন অনেক পূর্বাভাসবহ স্বপ্ন আছে যা ফলতে কিছু কমবেশী সময় লেগে যায়। সময়ের অবস্থান অনুসারে এই ধরনের স্বপ্ন বিভিন্ন পরিকল্পনায় দেখতে পাওয়া যায়। 
বিশদ

11th  April, 2019
 অহঙ্কার

 মানুষকে সব সময় অহঙ্কারবর্জিত হয়ে থাকতে হবে। মহামন্যতা (superiority complex) বর্জন করতে হবে। কমপ্লেক্স মাত্রেই রোগ। সে ভীতম্মন্যতাই (fear complex) হোক, পরাজিতসুলভ মনোভাবই (defeatist complex) হোক, হীনম্মন্যতাই (inferiority complex)হোক বা মহাম্মন্যতাই (superiority complex)হোক—সমস্ত কমপ্লেক্সই এক এক ধরনের মনের রোগ।
বিশদ

10th  April, 2019
মা

জীবনের সায়াহ্নে এসে ভাবছি জীবনে কি পেলাম? ‘কি পাইনি তার হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজী।’ আমি যে স্বয়ং ভগবতীর করুণাধারায় ও স্নেহাশীষে স্নাত হয়ে এ জীবনে পুষ্ট হয়ে উঠেছি, তার বেশী মনুষ্য জীবনে আর কি কাম্য থাকতে পারে?
বিশদ

09th  April, 2019
সাধন

সাধনে অন্তরায়—না, সাধনাই অন্তরায়? দুই-ই সত্য। তবে কোটির মধ্যে সম্ভবতঃ একজন সাধকই উপলব্ধি করেন যে, সাধনাই অন্তরায়। অবশিষ্ট একোনকোটি সাধক সাধনে অন্তরায় লইয়াই কোন-না-কোন সময়ে বিব্রত হন। মুনীশ্বর অষ্টাবক্র রাজা জনককে বলেছিলেন, ‘তুমি নিঃসঙ্গ নিষ্ক্রিয় স্বপ্রকাশ নিরঞ্জন—সুতরাং তুমি যে সমাধির অনুষ্ঠান করিতেছ, ইহাই তোমার অন্তরায়।’
বিশদ

08th  April, 2019
 ভাবধারা

  মনে রেখো, ‘সংগ্রামে বৈপরীত্যং’। সংগ্রাম করতে গেলে বিপরীত ভাবধারার সাহায্য নিতে হয়। মানব মনের কালিমা নষ্ট করবার জন্যে বিপরীত ভাবধারা গ্রহণ করতে হয়। কারো প্রগতি দেখে মনে ঈর্ষা জাগলে আনন্দের ভাব নিতে হয়। কারো সৎকর্ম দেখে দুঃখিত না হয়ে তাকে উৎসাহ দিতে হয়। মানসিক ক্ষেত্রেও একই কথা। বিশদ

07th  April, 2019
শ্রীশ্রী মায়ের স্বরূপ প্রকাশ 

সেবার নৈমিষারণ্যে দুর্গা পূজোয় শ্রীশ্রীমার কাছে গিয়েছিলাম। ফিরে আসার সময় মাকে বললাম—মা সংযম সপ্তাহে যেতে ইচ্ছা করে কিন্তু শারীরিক ও সাংসারিক কারণে বোধ হয় যাওয়া হবে না। মা যেন অমৃত ঢেলে দিয়ে বললেন—চেষ্টা করো।  বিশদ

06th  April, 2019
দয়ার অবতার শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব

পরমহংসদেব বাস্তবিকই জ্ঞান-রত্ন ও ভক্তি-মাণিক্যের আকর ছিলেন। এতগুলো কাঙাল ধনী হইয়া গেল, তথাপি ধন ফুরাইল না, এ কি সামান্য রহস্যের কথা! এখন ক্রমে আমাদের ন্যায় কত চোর, লম্পট, মাতাল, অনাচারী, বিশ্বাস-ঘাতক, দলে দলে আসিয়া আশ্রয় লইতে লাগিল; অবারিত দ্বার; কাহাকেও বিমুখ করিলেন না!
বিশদ

05th  April, 2019
মন

মন কি? এক সময়ে অধিকাংশ পাশ্চাত্য জড়বাদী বৈজ্ঞানিক মনে করতেন যে, মন জড়েরই একটি প্রতিভাস, মস্তিষ্কের এক স্পন্দনবিশেষ। যকৃত হতে যেমন পিত্ত ক্ষরণ হয়—মস্তিষ্ক হতেও তেমনি চিন্তা ‘নিঃসৃত’ হয়। কিন্তু আধুনিক মনোবিজ্ঞানীরা শরীরের উপর মনের প্রভাব বিষয়ে অতিশয় গুরুত্ব আরোপ করে থাকেন।
বিশদ

04th  April, 2019
জপের স্থান ও কাল

সহজে মন নিবিষ্ট হয় এরকমটি দেখেই জপের স্থান নির্ধারণ প্রয়োজন। সাধারণত মন্দিরাদিতে বা গৃহাদির পূজার স্থানে জপাদি প্রশস্ত। যেখানে যে-ভাবের ক্রিয়া সচরাচর অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে সে ধরনের প্রয়াস সহজে ফল লাভ করে।   বিশদ

02nd  April, 2019
মনের মানুষ

বাউলগণ বলেন—যদি আত্মস্বরূপের বোধেবোধ করতে হয়, তাহলে মনের মানুষকে ধরতে হবে। আল্লা বা ভগবান বলে চিৎকার করলে তাঁকে জানা যাবে না। ভগবান বা আল্লা তোমার মধ্যেই বিরাজমান আছেন। যদিও তাঁকে বোধেবোধ করতে চাও, তাহলে কর্মময় যোগসাধনার প্রয়োজন। নিজেদের স্বরূপকে জানতে তাঁকে জানা যাবে।
বিশদ

01st  April, 2019
একনজরে
 নয়াদিল্লি, ১৮ এপ্রিল: দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে পান্ডিয়া ব্রাদার্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৫ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে। পঞ্চম উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়া ও ক্রুনাল পান্ডিয়া ২৬ বলে তোলেন ৫৪ রান। হার্দিক ১৫ বলে দু’টি বাউন্ডারি ও তিনটি ওভার ...

লিসবন, ১৮ এপ্রিল (পিটিআই): পর্তুগালে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ২৯ জন জার্মান পর্যটকের। এছাড়াও জখম হয়েছেন ২১ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্যস্থল মাদিরা দ্বীপে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে।  ...

বিএনএ, কাঁচরাপাড়া: বৃহস্পতিবার ভোরে কাঁচরাপাড়া স্টেশনের কাছে বিবেকানন্দ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লেগে মার্কেটের ১৬৭টি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। দমকল বাহিনীর উদাসীনতার জন্য আগুন ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: বৃহস্পতিবার নবদ্বীপের গ্রামীণ এলাকায় রোড-শো করে ভোটপ্রচার করলেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। এদিন সকাল ৮টা থেকে হুডখোলা জিপে চেপে মায়াপুর থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। বাইকে চেপে প্রচুর কর্মী-সমর্থক প্রার্থীর সঙ্গে রোড-শোয়ে শামিল হন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু,
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার,
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম,
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু,
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২ 

17th  April, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৬ টাকা ৯২.৩৪ টাকা
ইউরো ৭৭.০৭ টাকা ৮০.০২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,০০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৩৬৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০,৮২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৩২ অপঃ ৪/৪২। চিত্রা ৩৫/৩০ রাত্রি ৭/৩০। সূ উ ৫/১৭/৩৬, অ ৫/৫৪/২৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে অস্তাবধি, বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
প্রাচীন পঞ্জিকা: ৫ বৈশাখ ১৪২৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, পূর্ণিমা ২৮/৪৩/৪৯ অপঃ ৪/৪৭/৪৩। চিত্রানক্ষত্র রাত্রি ৩৬/২৭/৩৮ রাত্রি ৭/৫৩/১৪, সূ উ ৫/১৮/১১, অ ৫/৫৫/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৪০ গতে ১০/১৬ মধ্যে ও ১২/৫২ গতে ২/৩৪ মধ্যে ও ৪/১৮ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/৫৮ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে, বারবেলা ৮/২৭/৩১ গতে ১০/২/১১ মধ্যে, কালবেলা ১০/২/১১ গতে ১১/৩৬/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৪৬/১১ গতে ১০/১১/৩১ মধ্যে। 
১৩ শাবান 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম। বৃষ: প্রেমে সফলতা প্রাপ্তি। মিথুন: শ্বশুরবাড়ির সূত্রে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম ...বিশদ

07:03:20 PM

কেকেআরকে ২১৪ রানের টার্গেট দিল বেঙ্গালুরু  

09:44:38 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ১২২/২(১৫ ওভার) 

09:14:28 PM

আইপিএল: বেঙ্গালুরু ৭০/২(১০ ওভার) 

08:53:00 PM

টসে জিতে ফিল্ডিং নিল কেকেআর

07:35:32 PM