বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
পরবর্তী লোকসভা ভোটের বাঁশি বেজে গিয়েছে। আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে ওই ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এবারের ভোটে সর্বভারতীয় রাজনীতির ময়দানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং গেরুয়া শিবিরের প্রধানতম মুখ নরেন্দ্র মোদি যেমন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন, ঠিক তেমনি পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বাধিনায়িকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অন্যতম আলোকিত চরিত্র। এই আবহের মধ্যেই সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় কৃষকের স্বার্থরক্ষাকে কেন্দ্র করে মোদি বনাম মমতা সরকারের মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দেশে ফসল বিমা চালু রয়েছে। এই বিমা পরিচালনা করে প্রধানত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব একাধিক বিমা সংস্থা। সেজন্য তাদের কাছে নির্দিষ্ট অঙ্কের প্রিমিয়াম জমা দিতে হয়। সর্বভারতীয় এই বিমাটি প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা নামে প্রবর্তিত হলেও পশ্চিমবঙ্গে এটি বাংলার ফসল বিমা নামে অভিহিত। কারণ, এই বিমা বাবদ প্রিমিয়ামের মাত্র ২০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার দেয়। বাকি ৮০ শতাংশই গুনতে হয় রাজ্য সরকারকে। তাই সঙ্গত কারণেই রাজ্য সরকার এরাজ্যে ওই বিমার নাম পরিবর্তন করে নিয়েছে। কিন্তু প্রিমিয়ামের মাত্র ২০ শতাংশ দিয়েও নানা কৌশলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিষয়টিকে একান্ত তাদেরই বলে জনমানসে ধারণা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এই অভিযোগ তুলেছেন। এধরনের প্রচারের মাধ্যমে কৃষকদের বিভ্রান্ত করে আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি এরাজ্যে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে সচেষ্ট বলে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ।
প্রতিবিধানের রাস্তাও বাতলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীই। বুধবার বীরভূমে এক প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এবার ফসল বিমার প্রিমিয়ামের পুরোটাই রাজ্য সরকার বহন করবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের দান নেবেন না। কারণ, তাঁর মতে ফসল বিমা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কারও বলার কিছু থাকতে পারে না। শুধু বলার কথা একটিই—ফসল বিমা নিয়ে মোদি বনাম মমতা সরকারের সংঘাতের জেরে বাংলার কৃষকদের স্বার্থ যাতে বিন্দুমাত্রও ক্ষুন্ন না হয় তা সুনিশ্চিত করতেই হবে।