বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর কুমারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ওই গৃহবধূ থানার সামনে দিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করেন। অভিযোগ মাঝেমধ্যেই ওই অভিযুক্ত এএসআই ও সিভিক ভলান্টিয়ার ওই মহিলাকে দেখে ইভটিজিং করতেন। ৭ জানুয়ারি ইভটিজিংয়ের মাত্রা চরমে পৌঁছে যায়। মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া থেকে শুরু করে একাধিক অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করতে শুরু করে। মহিলা এনিয়ে প্রতিবাদ করলেও ঘটনাস্থলে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিস কর্মীরা তাঁর পাশে এসে কেউ দাঁড়ায়নি বলেই অভিযোগ। বাধ্য হয়ে ওই মহিলা এএসআই ও সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থার দাবিতে জেলার পুলিস সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠির সঙ্গে দেখা করে পুরো ঘটনা জানানোর পাশাপাশি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেতেই পুলিস সুপার ঘটনার তদন্তের জন্য সিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিস সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠি বলেন, কুমারগঞ্জ থানার এক এএসআই ও সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে মহিলাকে উত্ত্যক্ত করার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এএসআই বলেন, আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এরকম কোনও কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত নেই। সিভিকদের মধ্যে কোনও ঝামেলা রয়েছে। আমাকে কেন দোষারোপ করা হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার বলেন, অভিযোগকারী মহিলাকে আমি চিনিই না। তিনি কেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তা আমার জানা নেই।
ওই মহিলা বলেন, ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া ও নিয়ে আসার জন্য আমাকে থানার সামনে দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি ওই সময় থানার সামনে এক এএসআই ও সিভিক ভলান্টিার দাঁড়িয়ে থাকছেন। আমাকে দেখলেই তাঁরা উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি সকলের নজরে এলেও কেউ প্রতিবাদ করত না। আমাকে ওই এএসআই কুপ্রস্তাবও দেন। আমাকে শাসানো হয় এনিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে স্বামীর চাকরি খেয়ে নেবেন। গত ৭ জানুয়ারি ছেলেকে স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে আসার সময় যথারীতি ওঁরা থানার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমাকে দেখা মাত্র তাঁরা নানা অশ্লীল কথা বলতে শুরু করেন। সেদিন আর সহ্য করতে না পেরে আমি প্রতিবাদ করি। এনিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করলে থানার সামনে ভিড় জমে যায়। অনেকেই পুরো ঘটনাটি সেখানে শোনেন। কিন্তু কেউ কোনও প্রতিবাদ করেনি। আমি সেখানে কেঁদে ফেলি। থানায় অভিযোগ করে কোনও কাজ হবে না এমনটা আঁচ করে পুলিস সুপারের সঙ্গে দেখা করি। ৯ জানুয়ারি পুলিস সুপারের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে সিআই আমাকে থানায় ডেকেছিলেন। আমি তাঁকেও পুরো ঘটনা জানাই। আমার অভিযোগটি কে লিখে দিয়েছে তা বারবার আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়।