নয়াদিল্লি, ১১ জানুয়ারি (পিটিআই): অলৌকিক কিছু ঘটলেও ঘটতে পারে। মেঘালয়ের ‘র্যা ট হোল’ খনিতে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৩ ডিসেম্বর পূর্ব জয়ন্তিয়া হিলস জেলার একটি বেআইনি খাদানে কয়লা তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ১৫ জন শ্রমিক। উদ্ধারকাজ চলছে প্রায় একমাস হতে চলল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ শ্রমিকদের হদিশ মেলেনি। গত সপ্তাহে উদ্ধারকাজ সম্পর্কিত স্ট্যাটাস রিপোর্ট শীর্ষ আদালতের কাছে জমা দেয় মেঘালয় সরকার। তাঁর ভিত্তিতে শুক্রবার বিচারপতি এ কে সিক্রি ও এস আব্দুল নাজিরের বেঞ্চে শুনানি হয়। সেখানে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, খনিগর্ভ থেকে এক কোটি লিটারের বেশি জল তোলা হলেও উদ্ধারকাজে তেমন গতি আসেনি। কারণ, পার্শ্ববর্তী লেতিয়েন নদী থেকে ক্রমাগত জল চুঁইয়ে খনিগর্ভে ঢুকছে। নতুন করে বেড়ে যাচ্ছে জলস্তর। এই মুহূর্তে তল্লাশি চালানোর জন্য বিশেষ প্রযুক্তি সম্পন্ন ৫টি জলযান ব্যবহার করছে নৌবাহিনী। এই যানগুলি নিয়ে খনিগর্ভের অতি সংকীর্ণ স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী। সবমিলিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা করছে সরকার। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও আদালতকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, নৌবাহিনী, ওড়িশার দমকল বাহিনী, কোল ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞ দল মিলিয়ে মোট ৭১ জন সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা শ্রমিকদের হদিশ পেতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পরেই বেঞ্চের পরামর্শ, অলৌকিক কিছু ঘটলেও ঘটতে পারে। শ্রমিকদের মধ্যে হয়তো সবাই না হলে অন্তত কয়েকজন এখনও জীবিত থাকতে পারেন। উদ্ধারকাজ চালিয়ে যান।
এরই পাশাপাশি, বেআইনি খনি মালিকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারেও মেঘালয় সরকারের কাছে জানতে চায় শীর্ষ আদালত। জবাবে রাজ্য জানিয়েছে, পূর্ব জয়ন্তিয়া হিলস জেলার ওই বেআইনি খাদান মালিককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে আর্থিক বরাদ্দ নিয়েও রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতকে আগেই জানিয়েছিল, শুরুতেই জরুরিকালীন ভিত্তিতে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। পরবর্তী ধাপে ২০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করার আবেদন করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে অর্থের অভাব হবে না বলেও সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করেছে রাজ্য।