বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের বাড়িতে একা ছিল ওই বৃদ্ধ। সেই সময় প্রতিবেশী ওই ছাত্রী বৃদ্ধের বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এরপরই ওই বৃদ্ধ ছাত্রীকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে যৌন নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি স্থানীয় এক মহিলার নজরে আসতেই তিনি ছাত্রীর বাড়িতে খবর দেন। তড়িঘড়ি ওই ছাত্রীর বাবা-মা সহ স্থানীয় বাসিন্দারা এসে দেখেন, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করা। স্থানীয় বাসিন্দারা দরজা ভেঙে ছাত্রীকে উদ্ধার করে ওই বৃদ্ধকে পুলিসের হাতে তুলে দেন। ওইদিন বিকেলেই ধানতলা থানার পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার সকালে এই ঘটনা নিয়ে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, এদিন সকালে বৃদ্ধের স্ত্রী সহ দুই বউমা তাদের উপর আক্রমণ করে। যদিও বৃদ্ধের পরিবারের পক্ষ থেকে পাল্টা আক্রমণের অভিযোগ আনা হয় ওই নাবালিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। পরে এলাকার উত্তেজিত বাসিন্দারা বৃদ্ধের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। বৃদ্ধের ছেলের একটি টোটো ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
ছাত্রীর বাবা বলেন, মেয়ের উপর শারীরিক অত্যাচার করেছে ওই বৃদ্ধ। আমি এর বিচার চাই। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বৃদ্ধের মেয়ে বলেন, ওইদিন বিকেলে ঘটনার সময় বাড়িতে বাবা একাই ছিলেন। বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার জন্য ট্রেনে ছিল। খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি, বাবাকে মারধর করা হয়েছে। বাড়িতে অন্যান্যদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে নিজেরাই মেয়েকে আমাদের বাড়িতে ঢুকিয়েছিল। ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের জমি নিজেদের নামে লিখিয়ে নেওয়ার জন্য চক্রান্ত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর ধরে দুই পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। বেশ কয়েক বছর আগে ওই বৃদ্ধ ১০ কাঠা চাষের জমি ছাত্রীর পরিবারের কাছে বন্ধক দেয়। পরে সেই জমি সহ আরও বেশ কিছু জমি নিজেদের নামে মিউটেশন করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে ছাত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে। এনিয়ে রানাঘাট মহকুমা আদালতে তিন বছরের বেশি সময় ধরে দুই পরিবারের মধ্যে মামলা চলছে। যদিও স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বৃদ্ধ ওই ছাত্রীর উপর যৌন নিগ্রহ করেছে। জমি নিয়ে বিবাদের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা।