বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুকের পাইকপাড়ি গ্রামের দীপক বাগ রাধামণিতে বেকারি কারখানা চালাতেন। সেখানে ব্যবসায় মন্দা চলায় কারখানা বন্ধ করে তিনি স্ত্রী ঝুম্পা ও দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে বছরখানেক আগে এগরার বালিঘাইয়ে চলে আসেন। বালিঘাইর একটি সেবাশ্রমে গাড়ি চালানোর কাজ নেন দীপক। সেবাশ্রমে থেকেই বালিঘাইয়ের দোঁবাধিতে একটি রুটি কারখানায় কাজ করত তরুণ। তরুণের সঙ্গে দীপকের পরিবারের ঘনিষ্ঠতা ছিল।
পুলিস জানতে পেরেছে, তরুণের সঙ্গে ঝুম্পার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠার বিষয়টি জানতে পেরে দীপক তরুণকে সেই সেবাশ্রম থেকে বেরও করে দেন। এরপর পথের কাঁটা সরাতে তরুণ ও ঝুম্পা মিলে দীপককে খুনের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মতো গত ৫জানুয়ারি রাত ২টো নাগাদ ঝুম্পার মোবাইলে ফোন করে তরুণ। কেউ তাঁকে ডাকছে জানিয়ে দীপককে বাইরে যেতে বলে ঝুম্পা। দীপক বাইরে এলে তাঁর উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় তরুণ। শরীরে একাধিক কোপ মারে। গলায় মাফলার থাকায় কোনওরকমে রক্ষা পেয়ে যান দীপক। দীপককে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দীপক থানায় স্ত্রী ও তরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে তরুণ ছুরিটি একটি ঝোপে ফেলে দেয়। বৃহস্পতিবার তরুণকে নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করে পুলিস এবং সেই ঝোপ থেকে ছুরিটি উদ্ধার করে। দীপক বলেন, তরুণ ও ঝুম্পা আমাকে পরিকল্পনা করেই খুনের চেষ্টা করেছিল। তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই। এগরা থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু প্রধান বলেন, ধৃতরা খুনের চেষ্টায় যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে নেওয়ায় ঘটনার দ্রুত কিনারা করা সম্ভব হয়েছে।