বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
শুধু রকি নয়, ওইদিন দুপুরে ফ্ল্যাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিবেশীরাও যে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন, শুক্রবার নিজেরাই জানালেন তা। তাঁদের কথায়, ফ্ল্যাট বাঁচানোর থেকে রকিকে বের করে নিয়ে আসাই আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল। দু’দিন আগে বরানগরে একটা অগ্নিকাণ্ডে আটটি কুকুরছানা মারা গিয়েছে বলে শুনেছিলাম। রকিকে নিয়েই ভয় হয়েছিল, ওকে বাঁচানো যাবে কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন ছিল।
এদিন তাপসবাবু অবশ্য আর কাজে যাননি। যদিও তাঁর এই অবস্থা শুনে অফিসের সতীর্থরাই ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন। তাঁরা তাপসবাবুর পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পড়াশোনার জন্য রাজস্থানে থাকা তাপসবাবুর মেয়েও তাঁর বাবাকে ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছেন বলে পড়শিরা জানিয়েছেন। এদিকে, ঘটনার দিন যিনি প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রীতিমতো আগুনের সঙ্গে লড়াই করেছেন, সেই প্রতিবেশী যুবক শ্যামল পুরকায়েত এদিন নিত্যদিনের মতো ট্যাক্সি চালাতে বেরিয়ে যান। তাঁর বৃদ্ধা মা বললেন, ছেলের জন্য গর্ব তো হচ্ছেই। আগুন নেভাতে যখন ও ঝাঁপিয়ে পড়ল, তখন ভয় লাগছিল। কিন্তু পরে তা লাগেনি। এদিকে শ্যামলবাবুর কথায়, কুকুরটি বেঁচেছে, এর থেকে বেশি আর কী হতে পারে! আমার এটাই ভালো লাগছে। তবে ফ্ল্যাটের অধিকাংশ জিনিসপত্র বাঁচানো গেলে আরও ভালো লাগত।
এদিকে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছিল। ঘর বন্ধ থাকায় সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যে ঘরটিতে লেগেছিল, সেই অংশটি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশের ঘরেরর জিনিসপত্র কিছুটা বাঁচানো গিয়েছে। তাপসবাবুর কথায়, আগুনে বাড়ির অনেক আসবাবপত্র পুড়ে গিয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ছিল। সেগুলি পুড়ে যাওয়ায় মন তো একটু খারাপ হবেই।