বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮ সালের মাঝামাঝি। কলকাতা শহরের এক নামী বাংলা দৈনিকে কম খরচে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে ভ্রমণের টোপ দিয়ে ধারাবাহিক বিজ্ঞাপন দিতেন স্কাইলার্ক নামে একটি ভ্রমণ সংস্থার কর্তারা। এই বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন অন্তত হাজারখানেক মানুষ।
বেঙ্গালুরুর এম আর শশীধারার কথাই ধরা যাক। অবসরপ্রাপ্ত এই মানুষটি ২০১৭ সালে কলকাতায় এসে স্কাইলার্কের ব্যবস্থা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাই কম খরচে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে ঘোরার জন্য শশীধারা ও তাঁর ৬৩ জন বন্ধু ৩৫ লক্ষ ৪ হাজার টাকা তুলে দেন স্কাইলার্কের প্রতিনিধিদের হাতে। টাকা হাতে পাওয়ার পর বিমানের টিকিটও তুলে দেওয়া হয়েছিল শশীধারাদের হাতে। কিন্তু সেই টিকিট জাল ছিল বলে অভিযোগ। তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছিল না স্কাইলার্কের কোনও কর্তার।
শশীধারার ঘটনা একটি উদাহরণ মাত্র। এই কায়দায় অভিযুক্তরা কলকাতা সহ ভিনরাজ্যের একাধিক ভ্রমণ পিপাসু মানুষের সর্বস্ব হাতিয়েছে বলে অভিযোগ। কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, গড়ফা থানায় স্কাইলার্ক প্রতারণা মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ২৫টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যাতে আত্মসাৎ হওয়া টাকার অঙ্ক কোটি ছাপিয়ে গিয়েছে অনেকদিন আগেই। গড়ফার পাশাপাশি কসবা ও যাদবপুর থানাতেও স্কাইলার্কের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
কলকাতা শহরের বুকে এমন প্রতারণার মামলা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। তদন্তে নেমে গড়ফা থানা একটি স্পেশাল টিম তৈরি করে। রূপায়ণ গুপ্ত সহ তিন অভিযুক্তের খোঁজে ঝাড়খণ্ড সহ একাধিক রাজ্য চষে ফেলেন গোয়েন্দারা। এরপর অযাচিতভাবে মোবাইলের এক সূত্র মারফত তদন্তকারীরা জানতে পারেন, গড়ফাতেই লুকিয়ে আছেন অভিযুক্তরা।
তারপরই বৃহস্পতিবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় এই তিন অভিযুক্তকে। ধৃতদের কাছ থেকে ৬৬টি পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। তবে আত্মসাৎ হওয়া টাকা এখনও উদ্ধার করা যায়নি। ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে, আদালত ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।