বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
নতুন বছরের ১০ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও বেতন পাননি বেস্টের কর্মীরা। সেইমতো বেতন বৃদ্ধি, নতুন বেতন চুক্তি, ‘বেস্ট’ ও ‘বিএমসি’র বাজেট মিশিয়ে দেওয়া সহ একাধিক দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন তাঁরা। কাজে যোগ দেননি ৩২ হাজারেরও বেশি শ্রমিক। রাস্তা থেকে উধাও প্রায় ৩ হাজার ২০০টিরও বেশি বাস। যার জেরে ব্যাহত মুম্বইয়ের বাস পরিবহণ পরিষেবা। সপ্তাহের কাজের দিনে এই দীর্ঘ ধর্মঘটে জন্য চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মেট্রো শহরের আম আদমি।
সমাধান সূত্রে পৌঁছতে বেস্টের শ্রমিক সংগঠনগুলির শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক বসেছিল বৃহন্মুম্বই পুর কর্তৃপক্ষ (বিএমসি)। উপস্থিত ছিলেন পুরসভার মেয়র বিশ্বনাথ মহাদেশ্বর, কমিশনার অজয় মেহতা এবং বেস্টের জেনারেল ম্যানেজার সুরেন্দ্র কুমার। কিন্তু, দফায় দফায় হওয়া সেই বৈঠকেও মেলেনি কোনও রফাসূত্র। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত ট্রেন চালাচ্ছে পশ্চিম ও মধ্য রেল। নামানো হয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্য সড়ক পরিবহণের বহু বাস। এমনকী, ধর্মঘটীদের বলপূর্বক কাজে ফেরাতে কঠোর মহারাষ্ট্র এসেন্সিয়াল সার্ভিসেস মেইন্টেন্যান্স অ্যাক্ট (মেসমা) লাগু করেছে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকার। কিন্তু, তাতেও কাজের কাজ হয়নি। ধর্মঘটের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। প্রসঙ্গত, বিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন হল বেস্ট।
এর আগেও বিভিন্ন দাবি নিয়ে বেস্টের কর্মীরা ধর্মঘটে গেলেও এত দীর্ঘদিন তা স্থায়ী হয়নি। এ বিষয়ে নিত্যযাত্রী রাজারাম সৎপুত বলেন, ‘গত ৪০ বছর মুম্বইয়ে রয়েছি। কিন্তু, এমন বাস ধর্মঘট আগে দেখিনি।’ বিএমসির পাশাপাশি ফড়নবিশকেও একহাত নিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরপ্রদেশে থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজারাম।