বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
দুই দেশের মধ্যে শান্তি পরিস্থিতি ফেরাতে পাকিস্তান আগ্রহী হলেও ভারতের তরফে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে দিনকয়েক আগেই অভিযোগ করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর মন্তব্যের জবাবে এদিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘আমি এই ধরনের মন্তব্যগুলির অর্থ খুঁজে পাইনি। পাকিস্তান যদি সত্যিই শান্তি আলোচনায় বসতে চায়, তাহলে তাদের মন্ত্রীরা কেন আন্তর্জাতিক তালিকাভুক্ত জঙ্গিদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন! শুধু একবার নয়, গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’ এই প্রসঙ্গে রবীশ কুমার জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদের সঙ্গে একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী নুর-উল-হক কাদরি। শুধু তাই নয়, সেই সভায় তাঁরা দু’জনেই ভারতবিরোধী বক্তব্য পেশ করেন বলেও জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। রবীশ কুমার আরও জানান, গত ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামাত-উদ-দাওয়া জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। পাক মন্ত্রী প্রকাশ্যেই তাদের সমর্থন জানান। পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আগ্রহী হলে মুম্বই ও পাঠানকোট হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হল না কেন বলেও প্রশ্ন তোলেন কুমার।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে পাকিস্তানের দুই জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া এবং ফালাহ-ই-ইনসানিয়ৎ ফাউন্ডেশনকে নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু অর্ডিন্যান্সটি বাতিল হয়ে যাওয়ার পর এই সংগঠনদু’টি আর নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত নয়। পাকিস্তান যে নিদিষ্ট সংগঠনগুলিকে মদত যোগায়, তা এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট।