Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মহাকাশ-চর্চায় ভারতকে স্যালুট জানাচ্ছে গোটা দুনিয়া
মৃণালকান্তি দাস

দেশভাগের পর আরও একবার ধর্মীয় সংঘর্ষ দেখেছিল এই দেশ। শিখদাঙ্গায় জ্বলে উঠেছিল রাজধানী দিল্লি, পাঞ্জাব। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শেষ করে দিতে ইন্দিরা গান্ধীর অভিযান। স্বর্ণমন্দির ছারখার করে দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। আর তার প্রতিশোধ নিতে খুন হন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সবটাই ওই বছরে। বছর শেষ হওয়ার আগে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয় এ দেশকে। ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান কয়েক হাজার মানুষ। আর একই বছরে এই ক্ষতবিক্ষত দেশে আশার আলো দেখিয়েছিলেন বায়ুসেনার এক পাইলট।
মহাকাশ জয় নিয়ে আমেরিকা ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যেই ইন্দিরা গান্ধী চেয়েছিলেন অন্তত একজন ভারতীয় মহাকাশে যাক। আর তার জন্য বন্ধু দেশ রাশিয়ার সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। ইতিহাস তৈরি হয়েছিল ১৯৮৪ সালের ২ এপ্রিল। সোভিয়েত রিপাবলিক অব কাজাখিস্তানের একটি স্পেসপোর্ট থেকে সয়ুজ টি-১১ রকেটে চেপে মহাশূন্যের পথে উড়ে গিয়েছিলেন ভারতের উইং কম্যান্ডার রাকেশ শর্মা। সঙ্গে দু’জন রুশ নভশ্চর। ইউরি মেলিশেভ এবং গেনাডি স্টেকালভ। রাকেশ শর্মা ও তাঁর সঙ্গে থাকা মহাকাশচারীরা মহাকাশে প্রায় ৮ ঘণ্টা সময় কাটান। রাকেশ যখন মহাকাশে, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, উপর থেকে কেমন লাগছে ভারতকে? কসমোনট শর্মার জবাব ছিল, ‘সারে জাহাঁ সে আচ্ছা’। কোনও ভারতীয়ের মহাকাশ থেকে ভারত ভূখণ্ডকে দেখা সেই প্রথম। পরে রাকেশ শর্মা বলেছিলেন, ‘ভারতকে মহাকাশ থেকে অনেক সুন্দর দেখায়। এখানে রয়েছে বিশাল সমুদ্রতটরেখা। তিনদিকে বেষ্টিত অনন্যসুন্দর নীল মহাসাগর। আছে শুষ্ক মালভূমি, বন, নদীর সমতলভূমি, মরুভূমির সোনালি বালু। রাজকীয় হিমালয়কে গোলাপি দেখায়। কারণ, সূর্যালোক এর উপত্যকায় পৌঁছতে পারে না। রয়েছে তুষারশিখর পর্বতমালা। আমাদের তো সবকিছুই আছে।’
সেদিন গোটা দেশকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন রাকেশ শর্মা। এর মাঝে ৩৪ বছরে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো বহু মাইল পার করেছে। মঙ্গলে যান পাঠিয়েছে। গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে মহাকাশে পাঠিয়েছে একের পর এক উপগ্রহ। নজরে সৌরজগতের আরও এক গ্রহ শুক্র। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩ সালেই শুক্রে মহাকাশযান পাঠাবে ভারত। কিন্তু এখনও অধরা নিজস্ব যানে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর কৃতিত্ব। সেই অনন্ত অভিযানের স্বপ্নকে ফের চাগিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত বছর ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছর পূর্ণ হবে ২০২২ সালে। সেই বছরই ভারতের কোনও সন্তান ভারতের পতাকা নিয়ে যাবে মহাকাশে। এই ঘোষণায় সিলমোহর দিয়েছে ইসরো।
একটা সময় ছিল, যখন মহাকাশে মানুষ পাঠানো নিয়ে আমেরিকা-সোভিয়েতের সমানে সমানে লড়াই চলত। আমেরিকার নভোচরদের বলা হত অ্যাস্ট্রোনট, রাশিয়া নাম দিয়েছিল কসমোনট। এবার ইসরোর পাঠানো মহাকাশচারীকে বলা হবে ‘গগনট’। আর ভিনদেশের নয়, দেশের এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যানে মহাকাশে যাবে ভারত। জানিয়েছেন ইসরো চেয়ারম্যান কে শিভান। ‘গগনযান’ নামে সেই মিশনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করেছে ১০ হাজার কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, সাতদিনের ওই অভিযানে তিনজনকে পাঠানো হবে। শ্রীহরিকোটা মহাকাশ বন্দর থেকে রওনা হওয়ার ১৬ মিনিটের মধ্যে মহাকাশে পৌঁছে যাবেন তিন নভোশ্চর। ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের একটি কক্ষপথে অবস্থান করবে সেই স্পেসক্রাফট। অভিযাত্রীরা থাকবেন একটি ক্রু মডিউলে, যা একটি সার্ভিস মডিউলের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এই দুই মডিউল নিয়ে তৈরি অরবিটাল মডিউলটিকে মহাকাশে বয়ে নিয়ে যাবে ‘জিএসএলভি এমকে-থ্রি’ রকেটের অত্যাধুনিক সংস্করণ।
তবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে ২০২০ ও ২০২১ সালে দুটি মানবহীন যানও পাঠাবে ইসরো। গোটা পথটা পরীক্ষা করে দেখতে। ২০২২-এর মধ্যে পুরো প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গোটা বিশ্বে রাশিয়া, আমেরিকা ও চীনের পর ভারতই হবে চতুর্থ দেশ, যারা মহাকাশে মানুষ পাঠাবে। তবে, চাঁদে বা মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠানোর তুলনাতেও এই প্রকল্প অনেক বেশি কঠিন। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল মহাকাশচারীদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলেই মহাকাশযানগুলি বায়ুর সঙ্গে ঘর্ষণে প্রবল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই তাপকে সহ্য করার মতো প্রযুক্তি তৈরিই মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর তা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছে ইসরো।
শ্রীহরিকোটা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে জোর কদমে চলছে লক্ষ্যে পৌঁছনোর প্রস্তুতি। হাতে সময় ৪০ মাস। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ৪০ মাসের মধ্যে হবে প্রথম অভিযান। মহাকাশ-যাত্রার যাবতীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে এই সময়ের মধ্যেই। ইসরোর দাবি, ২০০৮-এর পরিকল্পনা মোতাবেক উৎক্ষেপণ যান ‘জিএসএলভি এমকে-থ্রি’ অনেকটাই তৈরি হয়ে গিয়েছে। ১৭৩ কোটি টাকা খরচ করেও আর্থিক কারণে মাঝে খানিকটা থমকে যায়। কেউ কেউ বলেছেন, টাকার অভাব। কিন্তু ইসরোর অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞানীদের অনেকেই বলছেন, টাকা নয়, আসল অভাবটা প্রযুক্তির। এ দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা গোঁ ধরে বসেছিলেন, তাঁরাই প্রযুক্তির উদ্ভাবন করবেন। সেই প্রযুক্তিই বিশ্ব-সেরা হবে বলে তাঁদের ধারণা। তাই তাঁরা আউটসোর্সিংয়ের ভাবনাটাকে বরাবরই দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছেন।
২০১৮ সালের জুলাই মাসেই প্রায় ১৩ টনের ক্রু মডিউল প্যাড অ্যাবোর্ট পরীক্ষা করা হয়। যাতে উৎক্ষেপণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়লে বাঁচানো সম্ভব হয় তিন মহাকাশচারীকে। এ ব্যাপারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, এমন একটা মহাকাশযান তৈরি, যা মহাশূন্যে অনেকটা ওজন বহনে সক্ষম। মানববহনকারী মহাকাশযানকে অতিরিক্ত ৫ থেকে ৬ টন ওজন বহন করতে হবে। ইসরোর প্রধান উৎক্ষেপণযান পিএসএলভি, যা চন্দ্রযান ও মঙ্গলযান মিশনে ব্যবহৃত হয়েছিল, তা খুব বেশি হলে ২ টন ওজন বহনে সক্ষম, এবং তাও পৃথিবীর ৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে। সেই কারণেই প্রস্তুতি চলছে ‘জিএসএলভি এমকে-থ্রি’- এর। যে উৎক্ষেপণযান মহাকাশের বেশি গভীরে, বেশি ওজনের মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করতে পারবে। ইসরোর দাবি, এই অভিযান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশকে নতুন দিশা দেবে। কৃষি থেকে শুরু করে ওষুধ তৈরি কিংবা দূষণ নিয়ন্ত্রণেও এই অভিযান থেকে বিপুল তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সামরিক ও মহাকাশ প্রযুক্তিতে আজকের দুনিয়ায় নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আগে আমেরিকা ও রাশিয়া এক্ষেত্রে নিজেদের অগ্রগতি দেখালেও এখন চীনও অনেক এগিয়েছে। ভারতও হাত গুটিয়ে বসে নেই। শুধু ২০১৮-র কথাই ধরুন। ৩০টি সহযাত্রী উপগ্রহ-সহ গত বছর ১২ জানুয়ারি ইসরোর ৭১০ কেজির কার্টোস্যাট-২ রিমোট সেন্সিং উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। ২০১৮-র ২৯ মার্চ জিস্যাট-৬এ উপগ্রহ জিওসিনক্রোনাস ট্রান্সফার কক্ষে উৎক্ষেপণ করা হয়। জিস্যাট-৬এ একটি সংযোগমূলক উপগ্রহ, যেটি মোবাইল সংযোগ পরিষেবায় সাহায্য করে থাকে। ১২ এপ্রিল ১,৪২৫ কেজির আইআরএনএসএস-২ উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণ করা হয় দুটি উপগ্রহ নোভাসার এবং এস১-৪। ২৯ নভেম্বর ভূ-পর্যবেক্ষণের জন্য দেশের একটি শক্তিশালী উপগ্রহ ‘হাইসিস’-সহ ৩০টি বিদেশি উপগ্রহকে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। ৫ ডিসেম্বর ইসরোর সবথেকে ভারী এবং প্রযুক্তিগতভাবে সবচেয়ে উন্নত সংযোগমূলক উপগ্রহ জিস্যাট-১১টি উৎক্ষেপণ করা হয়। ১৯ ডিসেম্বর সংযোগমূলক উপগ্রহ জিস্যাট-৭এ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করে ইসরো। যাকে বলা হচ্ছে ইসরোর ‘অ্যাংরি বার্ড’। ভারতীয় বায়ু সেনার হাতে থাকা অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও যুদ্ধ বিমানের নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে সাহায্য করবে এই উপগ্রহ। একে সাফল্য বলবেন না? শুধু তাই-ই নয়! চলতি বছরে আরও ৩২টি মহাকাশ অভিযান চালাবে বলে জানিয়েছে ইসরো। ‘২০১৯ সাল ইসরোর কাছে একটা চ্যালেঞ্জিং বছর।’ সহকর্মীদের নতুন বছরের বার্তায় বলেছেন ইসরো প্রধান কে শিভান। কারণ, এ বছরই রয়েছে ‘চন্দ্রযান-২’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযান।
মহাকাশ-চর্চায় ভারতের সাফল্যে স্যালুট জানাচ্ছে গোটা দুনিয়া। ইউরোপ, আমেরিকা থেকে প্রতিবেশী চীন—বিশ্বের প্রধান শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর সংবাদমাধ্যমে এখন ইসরোর সাফল্যের চর্চা। ২০১৭-র ফেব্রুয়ারিতে রেকর্ড সৃষ্টি করে একসঙ্গে ১০৪টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠায় ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। যেভাবে ভারত মহাকাশভিত্তিক নজরদারি ও যোগাযোগ স্থাপনের বাণিজ্যিক ক্ষেত্র দখল করছে, তা প্রশংসার দাবিদার বলে জানিয়েছে বিশ্বের সবক’টি প্রধান সংবাদমাধ্যম। মহাকাশ চর্চায় বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের দখল এখন ভারতের হাতে। তুলনামূলক অনেক কম খরচে অন্য দেশের স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর ভূমিকায় ভারত উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছে বলে লিখেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। নিউ ইয়র্ক টাইমসের কথায়, একবারেই আগের রেকর্ডের তিনগুণ বেশি সংখ্যক স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়ে ভারত যে রেকর্ড গড়েছে, তাতে তার ভূমিকাকে অস্বীকার করা যায় না। সিএনএন-এর মতে, ‘আমেরিকা বনাম রাশিয়ার মহাকাশ যুদ্ধ এখন অতীত। মহাকাশের আসল লড়াই চলছে এশিয়াতেই।’ ভারত এখন মহাকাশ গবেষণার এলিট গ্রুপে ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছে লন্ডনের টাইমস পত্রিকা। একই কথা বলতে বাধ্য হচ্ছে চীনের সংবাদমাধ্যমও।
আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন, ‘ঘুমন্ত হাতি’ ভারত এখন দৌড়াচ্ছে, গোটা বিশ্ব সেই দৌড় দেখছে।
11th  January, 2019
তিন তালাক বিল অমানবিক ও বৈষম্যমূলক
শামিম আহমেদ

রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশন ৯ জানুয়ারি শেষ হল, তিন তালাক বিল লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় হল না। বিরোধীরা বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবিতে অনড় রইল।
বিশদ

মমতার ব্রিগেডে মিলতে পারে
অনেক রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

১৯ জানুয়ারি তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ-রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়ে যাবে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারিতে বামেদের সমাবেশ রয়েছে ব্রিগেডে। বিজেপি ৭ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের কথা ঘোষণা করলেও, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ আটকে পড়ায়, ২৯ জানুয়ারি নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে ব্রিগেডে সমাবেশ করার কথা নতুন করে ভাবছে।
বিশদ

10th  January, 2019
অন্নদাতা না ভোটব্যাঙ্ক!
মোশারফ হোসেন

সালটা ছিল ১৯০১। আঠাশ বছর বয়সি এক সুঠাম যুবক কলকাতা থেকে বরিশালের চাখার গ্রামের দিকে চলেছেন। সেখানেই তাঁদের বেশ কয়েক পুরুষের বসবাস। যুবকটি এর আগে কলকাতার রিপন কলেজ থেকে একইসঙ্গে তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন।
বিশদ

08th  January, 2019
রিপোর্ট কার্ডে ‘ফেল’
পি চিদম্বরম

আমি দিল্লি থেকে লিখছি, যেটা পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল মহানগরীর একটা। এখনও শীতকাল। গত সপ্তাহে যে বসন্তের উল্লেখ করেছিলাম তা এখনও কয়েক সপ্তাহ দূরে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ রাজ্যের ভোটে সবক’টাতে পরাজয় সত্ত্বেও বিজেপি নেতৃত্ব এখনও সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপ্রবণ, উদ্ধত এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাচ্ছিল্যপূর্ণ।
বিশদ

07th  January, 2019
দু’দিনের বন্‌ধ সফল করে কি সিপিএম ভাবমূর্তি ফেরাতে পারবে?
শুভা দত্ত

 সিপিএমের প্রবীণ নেতা বিমান বসু একটি প্রস্তাব রেখেছিলেন। সরাসরি অবশ্য প্রস্তাবটা রাখেননি বিমানবাবু, রেখেছিলেন আকারে ইঙ্গিতে, ঘোরানো কথায়। কিন্তু, রাজ্যের রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণজন সকলেই তাঁর সেই ঘোরানো-প্যাঁচানো কথার মধ্যেকার আসল বক্তব্যটি ধরে ফেলেছিলেন।
বিশদ

06th  January, 2019
প্রধানমন্ত্রী: আকস্মিক বনাম আত্মঘাতী
শুভময় মৈত্র

 ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ বইটি এবং তার ওপর ভিত্তি করে লেখা সিনেমা নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক সম্পর্কে অনেকেই অবহিত। ২০১৪ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিয়ে একটি জীবনী প্রকাশ করেন সঞ্জয় বারু। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংবাদমাধ্যম ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সঞ্জয়বাবুর যথেষ্ট পরিচিতি আছে।
বিশদ

05th  January, 2019
সংবিধান ৭০
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক কেমন সম্পর্ক ছিল তখন জওহরলাল নেহরু আর মহম্মদ আলি জিন্নার? ১৯৪৬ সালের কলকাতা দাঙ্গার পর, নোয়াখালি, তারপর বিহার, তারপর পাঞ্জাব। রক্তগঙ্গা বইছে। ঠিক সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যাটলি ভারতীয় নেতাদের ডেকেছিলেন একটি মিটিংয়ে। মাল্টা হয়ে লন্ডন।
বিশদ

04th  January, 2019
আলসেখানার বাসিন্দা থেকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশের ভোটে ৩০০ আসনে তিনিই ছিলেন মুখ! দুর্নীতির জালে আটকে পড়া, পাকিস্তান প্রেমে মত্ত আর ধর্মীয় উগ্রবাদে আস্থা রাখা বিরোধীদের সঙ্গে লড়াইটাও ছিল তাঁর একার। নির্বাচনের আগাগোড়া আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর দল আওয়ামি লিগ ফের জিতবে।
বিশদ

03rd  January, 2019
স্বাগত ২০১৯, নতুন বছরে একজন বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই
হিমাংশু সিংহ

বিদায় ২০১৮। গত বারোমাসের হাজারো উজ্জ্বল এবং তারই মধ্যে কিছু কিছু ধুলো মলিন মন ভারাক্রান্ত করা স্মৃতিকে বিদায় দিয়ে দ্বিগুণ উদ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। আগামী ৩৬৫ দিনে সবচেয়ে বড় যে দুটি মেগা ইভেন্ট প্রত্যক্ষ করার জন্য দেশবাসী উন্মুখ হয়ে আছে তা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন ও লন্ডনের বিশ্বকাপ ক্রিকেট।
বিশদ

01st  January, 2019
একনজরে
বিএনএ, চুঁচুড়া: বামেদের ডাকা ধর্মঘটের দিন কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় দলীয় কর্মীকে মারধরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শুক্রবার উত্তরপাড়া থানার কানাইপুর ফাঁড়ি ঘেরাও করল তৃণমূল। ...

 মুম্বই, ১১ জানুয়ারি (পিটিআই): বেতন বৃদ্ধি, ‘বেস্ট’ ও ‘বিএমসি’র বাজেট মিশিয়ে দেওয়া সহ একাধিক দাবিতে শুক্রবার চতুর্থ দিনে পড়ল মুম্বইয়ের বাস ধর্মঘট। যার জেরে চরম ...

সংবাদদাতা, মালদহ: সঙ্গীতের তিনটি বিভাগে সর্বভারতীয় প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে সেরার খেতাব ছিনিয়ে নিল মালদহের কিশোরী রাফা ইয়াসমিন। ৯ জানুয়ারি কলকাতায় এই মেধা অনুসন্ধান সঙ্গীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদ।  ...

 ইসলামাবাদ, ১১ জানুয়ারি (পিটিআই): প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ সহ পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-এর একাধিক নেতার বিদেশ ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখল পাক সরকার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় যুব দিবস
১৮৬৩: স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম
১৯৩৪: মাস্টারদা সূর্য সেনের ফাঁসি
১৯৫০: কলকাতায় চালু হল চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৬০ টাকা ৭১.২৯ টাকা
পাউন্ড ৮৮.২২ টাকা ৯১.৪৩ টাকা
ইউরো ৭৯.৬৯ টাকা ৮২.৭০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৬৬৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০,৯৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৪৫৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৯,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৯,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৭তম আবির্ভাব দিবস
২৭ পৌষ ১৪২৫, ১২ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ষষ্ঠী ৩৯/১৫ রাত্রি ১০/৫। নক্ষত্র- পূর্বভাদ্রপদ ৫/৫০ দিবা ৮/৪৩, সূ উ ৬/২২/৫৮, অ ৫/৬/৩০, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০। বারবেলা ঘ ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/৪ গতে ২/২৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ঘ ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৩ গতে উদয়াবধি।
আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৭তম আবির্ভাব দিবস
২৭ পৌষ ১৪২৫, ১২ জানুয়ারি ২০১৯, শনিবার, ষষ্ঠী রাত্রি ৫/৫১/২৯। উত্তরভাদ্রপদনক্ষত্র অহোরাত্র। সূ উ ৬/২৪/১, অ ৫/৪/৪২, অমৃতযোগ দিবা ঘ ৭/৬/৪৪ মধ্যে ও ঘ ৭/৪৯/২৮ থেকে ঘ ৯/৫৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫/৪৮ থেকে ২/৫৬/৪২ মধ্যে ও ৩/৩৯/২৫ থেকে ৫/৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪/২২ থেকে ঘ ২/৫০/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ১/৪/৩৩ থেকে ২/২৪/৩৯ মধ্যে, কালবেলা ৭/৪৪/৭ মধ্যে ও ঘ ৩/৪৪/৪৫ থেকে ৫/৪/৫২ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৪৪/৪৬ মধ্যে ও ঘ ৪/৪৪/১৬ থেকে ৬/২৪/১০ মধ্যে।
 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। বৃষ: দাম্পত্য জীবনে তৃতীয় ব্যক্তির আগমনে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
জাতীয় যুব দিবস১৮৬৩: স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম১৯৩৪: 'মাস্টারদা' সূর্য সেনের ফাঁসি১৯৫০: ...বিশদ

07:03:20 PM

ভর সন্ধ্যায় শ্যুটআউট পার্কসার্কাসে
ভর সন্ধ্যায় পার্কসার্কাস স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় গুলি করে খুন করা ...বিশদ

09:59:38 PM

কলকাতায় চিতা বাঘের চামড়া সহ ধৃত ২

শনিবার বিকালে উত্তর কলকাতার একটি বাড়ি থেকে চিতা বাঘের চামড়া ...বিশদ

06:20:00 PM

আইলিগ: নেরোকাকে ১-০ গোলে হারাল মোহন বাগান 

04:09:04 PM

পথ দুর্ঘটনায় জখম উঃদিনাজপুরের জেলাশাসক
পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন উঃদিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। তবে ...বিশদ

04:05:22 PM