বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ বস্তির উত্তর দিকের একটি ঝুপড়িতে প্রথম আগুন দেখা যায়। ভাঁড় কারখানার একেবারে পাশেই আগুন লেগেছিল। তাই আগুন কীভাবে লেগেছিল, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। এক বাসিন্দার দাবি, ওই এলাকায় একজন প্রোমোটিং শুরু করেছে। স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে। সেই প্রোমোটার এলাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য হামেশাই হুমকি দিত। এমনকী আগুন লাগিয়ে বস্তি খালি করে দেওয়া হবে বলেও নাকি মাঝেমধ্যে হুমকি দিত। যদিও ওই প্রোমোটার তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিস জানিয়েছে, তারা এখনও কোনও অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তা গুরুত্ব সহকারে দেখবে।
এদিকে, প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, নির্মল মণ্ডল বাঁচার জন্য বেশ কয়েকবার চিৎকার করে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু আগুন এত দ্রুত ভয়াবহ আকার নেয় যে, প্রতিবেশীরা কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি। তবে পাশেই আরেকটি ঘরে ঘটনার সময় ছিলেন দু’জন—হালিমা খাতুন এবং ইব্রাহিম গাজি। প্রতিবেশীরা তাঁদের নিরাপদে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছেন। এই দু’জনকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। আগুন নিভে যাওয়ার পর নির্মল মণ্ডলের অগ্নিদ্বগ্ধ দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তবে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন আয়ত্তে আনতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকলকে। স্থানীয়রা সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানান, আপাতত ক্ষতিগ্রস্তদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকেই করা হচ্ছে। তাঁদের পরে ঘরও তৈরি করে দেওয়া হবে। দমকল আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন দমকলের ডিজি জগমোহনও।
এদিকে, বিধাননগর পুরসভা ও জেলা প্রশাসনের তরফে স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে সাতটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আপাতত রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।