বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এই নতুন প্রকল্প প্রস্তাবে শিলিগুড়ির মেয়র ছ’টি ওভারহেড রিজার্ভার, ১২টি গভীর নলকূপ ও একটি পুকুর চেয়েছেন। মেয়র বলেন, ফুলবাড়ির কাছে তিন মাসের মতো জল ধরে রাখার জন্য একটি পুকুর খোঁড়ার প্রস্তাব দিয়েছি। গ্রীষ্মকালে জলের সংকট দেখা দেয়। এই পুকুর থাকলে আগে থেকে জল ধরে রেখে সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, একই ভাবনায় ১২টি গভীর নলকূপও চাওয়া হয়েছে। ছ’টি ওভারহেড রিজার্ভার তৈরি হলে গোটা শহরে জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। পর্যাপ্ত ওভারহেড রিজার্ভার না থাকায় এখন শহরের সব জায়গায় ঠিক মতো জল সরবরাহ হয় না। বেশির ভাগ এলাকায় জলের চাপও কম রয়েছে। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে গেলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ওভারহেড রিজার্ভার তৈরি করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে তাই মেয়র ছ’টি ওভারহেড রিজার্ভার চেয়েছেন।
মেয়র জোড়াতালি দিয়ে শহরের পানীয় জলের সমসযার সমাধান করতে চাইলেও ফুলবাড়িতে জল প্রকল্পের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট যে কোনও দিন অকেজো হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। তাঁদের কথায়, অনেক আগে ভুল পরিকল্পনায় এই জল প্রকল্প ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে পলি জমতে জমতে তা নদী বক্ষ থেকে উপরে উঠে এসেছে। এই পলি পরিষ্কার না করলে উৎস থেকে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে জল যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এই পলি পরিষ্কার করতে গেলে দীর্ঘদিন শহরের জল পরিষেবা বন্ধ রাখতে হবে। এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো জল ধরে রাখার কোনও ব্যবস্থাও তৈরি করা হয়নি প্রকল্প তৈরির সময়। এর পাশাপাশি ফুলবাড়িতে শিলিগুড়ির এই জল প্রকল্পের যে ধারণ ক্ষমতা রয়েছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে গোটা শহরের জলের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকদিন আগেই তাঁরা এই সতর্ক বাণী শুনিয়েছেন। তা শুনেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী থাকার সময় পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব গজলডোবা থেকে জল এনে বিকল্প জল প্রকল্প তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ছ’বছর আগে শিলিগুড়ি পুরসভা সেইমতো ৬০০ কোটি টাকার একটি ডিপিআর তৈরি করে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরে জমা দিয়েছিল। সেই প্রকল্প থেকে সরে এসে মেয়র এখন জোড়াতালি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছেন।