বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এব্যাপারে বাঁকুড়ার পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, প্রশান্ত মণ্ডল নামে এক যুবক সংসদ সদস্য সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে তিন লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ জমা দিয়েছেন। আমরা ওই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর করেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বড়জোড়ার বাসিন্দা বছর ত্রিশের প্রশান্ত এদিন বলেন, সৌমিত্র খাঁ সম্পর্কে আমার পিসতুতো দাদা। তিনি এসএসসি-র মাধ্যমে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ২০১৭ সালে আমার কাছ থেকে দাদা তিন লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি মতো আমার চাকরির ব্যবস্থা দাদা করে দেননি। ফলে বাধ্য হয়ে আমি পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছি।
এতদিন পরে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দাদা শাসক দলের সংসদ সদস্য থাকায় চাকরির আশা করেছিলাম। তাছাড়া দাদার ভয়ে এতদিন বিষয়টি কাউকে জানানোর সাহস পাইনি। অন্যদিকে, টাকা চেয়েও পাইনি। এবিষয়ে সৌমিত্রবাবু বলেন, দলত্যাগের পর তৃণমূল আমার বিরুদ্ধে কদর্য রাজনৈতিক খেলায় নেমেছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য মামাতো ভাইয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। অভিযোগ না জানালে তাকে বড়জোড়া ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে ভাই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে। এটা চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বড়জোড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা শ্বশুরবাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে। তৃণমূল নেতারা যেন ভুলে না যান, তাঁদেরও শ্বশুরবাড়ি আছে। আর সেখানেও কেউ ভবিষ্যতে ইট ছুঁড়তে পারে।
এবিষয়ে বড়জোড়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, সৌমিত্রবাবু তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক অভিযোগ তুলছেন। তাঁর মামাতো ভাইকে আমরা কেনও খামোকা হুমকি দিতে যাব? এটা ওঁদের ঘরের ব্যাপার। সংসদ সদস্যের শ্বশুরবাড়িতে ইটপাটকেল কে মেরেছে তা আমার জানা নেই। তবে ওই ধরনের ঘটনা তৃণমূল প্রশ্রয় দেয় না।