বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর বারা পেশায় দিনমজুর। কৃষ্ণনগর শহরের শম্ভুনগরের এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। যুবকটি পেশায় দিনমজুর। তিনি ভিনরাজ্যে কাজ করেন। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ডিসেম্বর ধুবুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। ওইদিনই অষ্টম শ্রেণী থেকে উত্তীর্ণ এক ছাত্রী স্কুলের এক শিক্ষিকাকে জানায় বিয়ের কথা। ওই শিক্ষিকা এরপর বিষয়টি বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষিকা ও প্রধান শিক্ষিকাকে জানান। স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবও বিয়ে রুখতে নামে। কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যরা ছাত্রীর বাড়িতে যায়। তার বাবা-মাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, বিয়ে দিতে অনড় থাকে ছাত্রীর বাবা-মা।
বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের জীবন বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষিকা অদ্বিতীয়া চৌধুরী দে ও অন্যান্য শিক্ষিকারা নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে নিয়ে ধুবুলিয়া থানায় যান। এরপর পুলিস ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছয়। পুলিস নাবালিকা বিয়ের অপরাধে কী শাস্তিমূলক আইন রয়েছে, তা বোঝায় ছাত্রীর বাবা ও মা-কে। ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা বোঝান, বিয়ে না করলে ছাত্রীটি কী কী প্রকল্প পেতে পারে। পরে ছাত্রীটির বাবা-মা বিয়ে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। ছাত্রীর বাবা বলেন, আমরা গরিব মানুষ। একটি পাত্র পাওয়া গিয়েছিল, তাই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আর এখন বিয়ে দিচ্ছি না। মেয়ের ১৮বছর বয়স হওয়ার পর বিয়ে দেব।
সুভাষ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অদ্বিতীয়াদেবী বলেন, ছাত্রীটি নিজেই এসে আমায় জানিয়েছিল, বিয়ের পাকা কথা হয়ে গিয়েছে। এদিন আমরা শিক্ষিকারা মিলে ওকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম। ওর বাবা-মা বিয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষিকা অপর্ণা বিশ্বাস বলেন, কন্যাশ্রী ক্লাব প্রথমে বিয়ে রুখতে নামে। তাতে ওর বাবা মা রাজি হয়নি। এদিন কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েরাও আমাদের সঙ্গে গিয়েছিল। কন্যাশ্রী ক্লাব সফল হয়েছে। ছাত্রীটির বিয়ে বন্ধ করতে পেরেছি আমরা।
নবম শ্রেণী ওই ছাত্রী বলে, আমি এখনই বিয়ে করতে চাই না। আরও পড়তে চাই। ভবিষ্যতে আমি অভিনেত্রী হতে চাই। ধুবুলিয়া সুভাষ বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা পরভিন বলেন, কন্যাশ্রী ক্লাব, স্কুলের শিক্ষিকারা গিয়ে ছাত্রীটির বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। ওর বাবা-মা মুচলেকা দিয়েছে।