বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
ব্রিগেড সমাবেশকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের শিলিগুড়িতে মিছিল করে। অভিযোগ সেই মিছিলে এক প্রকার জোর করেই বিভিন্ন কলেজ থেকে ছাত্রছাত্রীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে শিলিগুড়ি মহিলা কলেজের ছাত্রীদের মারধর করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারই মহিলা কলেজের অধ্যক্ষকে এসএফআইয়ের তরফে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এরপরই শুক্রবার সংগঠনের এক নেত্রী তথা ওই কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনিন্দিতা চক্রবর্তী কলেজে পৌঁছতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্ব তাঁকে ঘেরাও করে। খবর পেয়ে তাঁর বাবা ও দিদি কলেজে পৌঁছালে তাঁদের উপর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা হামলা করে বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পাল্টা অভিযোগ, তাদের বেশ কিছু নেতা কর্মীকে মারধর করেছেন এসএফআইয়ের সদস্যা অনিন্দিতার বাবা ও দিদি।
সামগ্রিক ঘটনায় জীবেশ সরকার বলেন, যা ঘটছে তা খুবই নিন্দনীয়। শিক্ষাঙ্গণে এমন ঘটনা কখনই কাম্য নয়। বল প্রয়োগ করে শাসকদল যা খুশি তাই করছে। এর প্রতিবাদ করলে বিরোধীদের মারধর করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পুলিস অজয় চক্রবর্তীকে আটক করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি, অন্যথায় আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।
অন্যদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় বলেন, বহিরাগতদের নিয়ে এসএফআইয়ের লোকজনেরা কলেজে ঢুকে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মারধর করেছে। আমরা পুলিসে অভিযোগ জানিয়েছি। ঘটনায় পুলিস সঠিক পদক্ষেপ করবে বলে আমাদের আশা। নিজেদের দোষ ঢাকতে এসএফআই আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছে তা পুরোপুরি মিথ্যা। আমাদের সংগঠনের বদনাম করার চেষ্টা। এবিষয়ে শিলিগুড়ি থানার আইসি দেবাশিস বসু বলেন, অজয় চক্রবর্তীকে আটক করা হয়েছে। উভয় তরফেই লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।