বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
৩২ বছর বয়স্ক রণজিৎবাবুর সাইকেলের বিশেষত্ব হল এতে ১০০’র মতো বিভিন্ন ধরনের লাইট লাগানো রয়েছে। এর বেশির ভাগই এলইডি লাইট। সাইকেলে অত্যাধুনিক রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেমও। এই সাইকেল আবার ব্যাটারিচালিত। সাইকেলের পিছনের চাকার পাশে বক্সের মতো করে ব্যাটারিটি লাগানো আছে। লক করা থাকলে কেউ স্পর্শ করলেই আওয়াজ হয়। সাইকেলে রিমোট কন্ট্রোল স্যুইচের সাহায্য গান বাজে। রণজিৎবাবু কথা বলতে পারেন না। সেজন্য নিজেই তিনি সাইকেলে দিক দেখানোর জন্য মোটর বাইকের মতো ইন্ডিকেটর লাইট লাগিয়ে নিয়েছেন। এই লাইট সামনের বা পিছনের লোককে সাইকেল নিয়ে তিনি কোন দিকে যাবেন তার দিশা বলে দেয়। সামনের হ্যান্ডেলে লাগানো রয়েছে লুকিং গ্লাসও। রণজিৎবাবু এই সাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হলেই লোকজন তাঁকে ঘিরে ধরে। ইতিমধ্যেই তিনি ভালো সাইকেল মিস্ত্রি বলে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছেন। দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই তাঁর কাছে সাইকেল সারাতে আসেন। রণজিৎবাবু প্রতিদিন দোকানের মালপত্র আনতে লাইট জ্বালিয়ে যখন ময়নাগুড়ি বাজারে আসেন তখন মানুষ তাঁর সাইকেলটি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখে। তিনি ইশারায় শুধু একটি কথাই বলতে চান গান তাঁর খুব প্রিয় আর সাইকেলটি তাঁর প্রাণ।
ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের সজল কুমার বিশ্বাস বলেন, চেষ্টা থাকলে মানুষ সব করতে পারে তার উদাহরণ এই ছেলে। প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে ইচ্ছে শক্তি দিয়ে রণজিৎ যে সাইকেল তৈরি করেছে। তাঁর কাজের ক্ষেত্রে কোনও কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। সাইকেল মেকানিকের কাজ করে তিনি এখন স্বাবলম্বী। তাঁর জন্য আমরা সমস্ত ময়নাগুড়িবাসী গর্বিত। রণজিৎবাবুর গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু সরকার বলেন, ও সাইকেলের মেকানিক হিসাবে খুব ভালো কাজ জানে। তাঁর কাছে সাইকেল মেরামতের জন্য অন্য এলাকা থেকেও লোকজন আসে।