বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
বইয়ে নিজের জীবনের গল্পের পাশাপাশি বিশ্বের নানা প্রান্তে শরণার্থী হওয়া মেয়েদের কিছু ব্যক্তিগত কাহিনীও তুলে ধরেছেন মালালা। তিনি লিখেছেন, বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে যখন বিভিন্ন দেশের শরণার্থী ক্যাম্পগুলিতে যাই, তখন আমার শৈশবের দিনগুলির কথাই মনে পড়ে যাচ্ছিল। শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সঙ্গে সেইসব অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিই। পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, পাকিস্তানে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। তবে কিছু অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি সমস্যায় ফেলেছে। ২০১২ সাল নাগাদ সোয়াত উপত্যকার বাসিন্দাদের ঘর-বাড়ির পাশাপাশি শান্তিরও প্রয়োজন ছিল। একটা সময় পার্বত্য অঞ্চলগুলিকে ঘাঁটি বানিয়ে তালিবান তাঁদের জোর করে তাড়িয়ে দিয়েছিল। এখন সেখানে সবুজ মাঠ আর গাছ ছাড়াও কিছুই খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমি দূরে থাকলেও মনটা সেখানেই পড়ে রয়েছে। পাকিস্তানে ১২ বছর পর্যন্ত মেয়েদের স্বাধীন ও নিরাপদে বেড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখি। তারা যেন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।
উল্লেখ্য, নারী শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করে তালিবানের বিরাগভাজন হন মালালা। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর স্কুল বাসে করে ফেরার পথে তাঁকে গুলি করে তালিবান জঙ্গিরা। ওই হামলার ছ’বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ সোয়াত উপত্যকায় তাঁর জন্মভূমিতে যান তিনি। ২০১৪ সালে কৈলাস সত্যার্থীর সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান মাললা।