বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার আগেই রাজ্যের কৃষক পরিবারগুলির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পশ্চিমবঙ্গে চালু হয়েছে কৃষকবন্ধু স্কিম। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি কোনও কৃষক বা খেতমজুরের স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার এই প্রকল্পের সুবাদে পাবে দু’লক্ষ টাকা। এছাড়াও দুটি চাষের জন্য বছরে প্রতি একরে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আড়াই হাজার টাকা করে দু’খেপে ওই টাকা দেওয়া হবে। সংবাদে প্রকাশ, মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় রাজ্যের প্রায় এক কোটি কৃষক পরিবার উপকৃত হবে। এই নতুন প্রকল্পের জন্য সাত-আট হাজার কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্য সরকারের। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটের আগে এই ঘোষণায় মমতার সরকার কৃষকদের মন জয়ে কয়েক কদম এগিয়ে থাকবে। গোটা দেশে কৃষকরা নানা দাবিতে পথে নেমেছেন। দিল্লি, মুম্বইতে লং মার্চ হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন কৃষকরা। কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেই ওই সব রাজ্যে কৃষিঋণ মকুব করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে। সেই সিদ্ধান্তে বেশ বিপাকে পড়েছে বিজেপি। সেই হিসেবে কৃষক স্বার্থে মোদির গা ঘামানোর আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো মাস্টার স্ট্রোক দিয়ে দিলেন।
যদিও সংবাদে এও জানা গিয়েছে যে, জনধন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কৃষক ও দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষকে বিশেষ সহায়ক ভাতা দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। তিন রাজ্য হাতছাড়া হওয়ার পর কৃষক ও গ্রামীণ ভারতের মন ফিরে পেতে মরিয়া হয়েছে বিজেপি। বিরোধীদের অভিযোগ, কৃষক-শ্রমিক কিংবা দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষের উপকারের নামে মোদি সরকার একের পর এক বিমা প্রকল্প করে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রিমিয়াম আদায় করার ব্যবস্থা করেছে। এবার মোদি সরকারের উপর দলের মধ্য থেকেই চাপ তৈরি হয়েছে যাতে এমন প্রকল্প ঘোষণা করা হোক যেগুলি সরাসরি প্রত্যক্ষভাবে মানুষের হাতে পৌঁছবে।
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে এই যে, প্রতিবার ভোট এলেই রাজকোষ থেকে এই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খয়রাতি করার অর্থ কী? মানুষের হাতে নগদ টাকা দিলেই কি দারিদ্র ঘোচানো সম্ভব! গোড়া থেকে আর্থিক ভিত মজবুত না করতে পারলে কোনও দেশের মঙ্গল হওয়া অসম্ভব। অতএব, শুধু ভোটের দিকে না তাকিয়ে সরকারি গদিতে আসীন সকলেরই উচিত, দেশের মানুষকে স্বাবলম্বী করা।